কর্পোরেট সংবাদ
এক মিনিটেই খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস
দুই সন্তান, স্বামী ও শ্বশুরকে নিয়েই সংসার রাজধানীর আদাবর নিবাসী সৈয়দা আয়শা আখতারের। পরিবারের ভবিষ্যৎ, নিজের কর্তব্যবোধ এবং বাবা-মায়ের কাছ থেকে সঞ্চয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন এই গৃহিণী। তিনি বলেন, ছোট বয়সে বাবাকে হারালেও, তার রেখে যাওয়া সঞ্চয়ের টাকা দিয়েই আমার পড়াশোনা, এমনকি বিয়েও হয়েছিলো। বিয়ের পর আয়-ব্যয়ে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চয়ের গুরুত্বটা স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে প্রায়ই আলোচনা করি। বেশ অনেকদিন ধরেই বিকাশের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করি, তাই বিকাশ অ্যাপে সেভিংসের মতো সেবা দেখার সাথে সাথেই একটি ডিপিএস খুলে ফেলি। বিকাশ অ্যাপ থেকে ব্যাংকে ডিপিএস খুলতে সময় লাগে মাত্র এক মিনিটের মতো।
আয়শার মতো এমন লাখো গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকে চার ব্যাংক ও এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খুলেছেন ৩২ লাখের বেশি সাপ্তাহিক ও মাসিক ডিপিএস। ঘরে বসে কাগজপত্র ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই বিকাশ অ্যাপ থেকে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স-এ এই ডিপিএসগুলো খুলেছেন বিকাশ গ্রাহকরা। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং দেশের শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেয়া যৌথ সেবায় আস্থা রেখেই গত তিন বছরে অর্জিত হয়েছে এই মাইলফলক।
উল্লেখ্য, বিকাশের মাধ্যমে সেভিংস খোলা গ্রাহকদের প্রায় ৩০ শতাংশ নারী। ঘরে বসেই ছোট অঙ্কের সঞ্চয় করতে পারার সুযোগ থাকায় দেশব্যাপী নারীরাও সঞ্চয়ে আগ্রহী হচ্ছেন, যা তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করতে ভূমিকা রাখছে। এদিকে বিকাশ-এ ডিপিএস খোলা ৪৮ শতাংশ গ্রাহকের বয়স ৩৫-এর নীচে। অর্থাৎ, উদ্ভাবনী প্রযুক্তিভিত্তিক নির্ভরযোগ্য আর্থিক সেবা পেলে তরুণরাও তাদের সীমিত আয় থেকে সঞ্চয় করতে আগ্রহী হন। আবার এরই মধ্যে যে গ্রাহকদের ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে, তাদের ৯৬ শতাংশই আবার বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস খোলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। গ্রাহকদের সঞ্চয়ের এই মানসিকতা যেমন ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে সুদৃঢ় করছে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস খোলা যায় যেভাবে গ্রাহকরা এই মুহূর্তে বিকাশ অ্যাপে প্রতিষ্ঠান ও ডিপিএসের ধরনভেদে (সাপ্তাহিক বা মাসিক) ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জমাতে পারছেন। আবার সাধারণ ডিপিএস-এর পাশাপাশি ইসলামি শরিয়াহ্ মোতাবেক সঞ্চয়ে আগ্রহী গ্রাহকদের জন্য আছে সিটি ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক-এর ইসলামিক ডিপিএস সেবা।
নতুন ডিপিএস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ক্লিক করতে হবে। সেভিংস-এর ধরন থেকে পছন্দ অনুযায়ী ‘সাধারণ সেভিংস’ অথবা ‘ইসলামিক সেভিংস’ বেছে নিয়ে সেভিংস-এর সময়কাল ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর এবং জমার ধরন থেকে ‘মাসিক বা সাপ্তাহিক’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর প্রতিমাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক- নূন্যতম ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা- নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে। এরপর জমার তথ্য ভালোভাবে দেখে নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
এরপর ডিপিএস-এর সার-সংক্ষেপ দেখে নিয়ে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিয়ে সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই ডিপিএস-এর আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। আবেদন সম্পন্ন হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকাশ ও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাহক তার মোবাইলে নিশ্চিতকরণ ম্যাসেজ পেয়ে যাবেন।
প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে বিকাশ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে নির্ধারিত কিস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিপিএস-এ জমা হয়ে যাবে। নির্ধারিত তারিখের আগেই ম্যাসেজের মাধ্যমে গ্রাহককে কিস্তি জমার তারিখ স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। গ্রাহকরা যেকোনো সময় অ্যাপ থেকে মোট জমার পরিমাণ, সঞ্চয়ের মেয়াদ এবং মুনাফার পরিমাণসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য দেখে নিতে পারবেন।
মেয়াদপূর্তিতে মুনাফাসহ মূল টাকা ফেরত আসবে বিকাশ অ্যাকাউন্টে, যা ক্যাশ আউট করা যায় কোনো খরচ ছাড়াই। আবার ক্যাশ আউট না করে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মতো ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, অফলাইন-অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন ও ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, বিভিন্ন সরকারি সেবার ফি প্রদান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান, এনজিওর ঋণের কিস্তি প্রদানসহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন ঘরে বসেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনের সব সদস্যের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাত্র ৬ দিন আগে মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তাসহ কমিশনের সব সদস্য পদত্যাগ করেছেন। এতে করে ঝুলে গেলো ১০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত নির্বাচন অনুষ্ঠান কার্যক্রম।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের কাছে দেওয়া ওই পদত্যাগপত্রে কমিশনের সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, আওয়ামীপন্থী সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের ফ্যাসিস্টদের দোসর উল্লেখ করে তাদের মনোনয়ন বাতিলের আবেদন করায় কমিশনের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে, বিধায় নির্বাচন পরিচালনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে তারা পদত্যাগ করেছেন। সমন্বয় পরিষদ ও ঐক্য পরিষদের দুটি আবেদনই সমিতির গঠনতন্ত্র বহির্ভূত বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন পদত্যাগকারী নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগে পুরো নির্বাচনই পণ্ড হয়ে গেলো বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, বারের নির্বাচনকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন পুরো নির্বাচন কমিশনই পদত্যাগ করেছে। এবারের নির্বাচন ঘিরে এর আগেও দু’বার নির্বাচনী কর্মকতাদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। একবার আমরা নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করি। আরেকবার পুনর্গঠন করি। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখন আর নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করার সুযোগ নেই। এতে করে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে গেলো। আমরা বুধবার সমিতির সভা করবো। ১১ ফেব্রুয়ারিও আমরা সভা করবো। আমাদের ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটা এডহক কমিটি করতে হবে। এ এডহক কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে একটি নির্বাচনের আয়োজন করবে।
১৩২ বছরের চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এ বছরের নির্বাচনকে ঘিরে শুরু থেকেই নানা ঘটনা ঘটে আসছে। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। বারের ইতিহাসে যা এর আগে কখনো প্রত্যক্ষ করেননি আইনজীবীরা। এবারের নির্বাচনের জন্য সর্বপ্রথম গত ৩০ ডিসেম্বর ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কয়েকদিন যেতে না যেতেই এ কমিশন থেকে গত ৫ জানুয়ারি মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ দুজন পদত্যাগ করেন। কমিশনে অগণতান্ত্রিক সরকারের সমর্থকরা অন্তর্ভুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে এ দুজন পদত্যাগ করেছিলেন। এ ঘটনার পর সমিতির পক্ষ থেকে গত ৯ জানুয়ারি নতুন করে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। এর মাত্র তিন দিনের মাথায় ১২ জানুয়ারি আবারো মৃখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ তিনজন পদত্যাগ করেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা পদত্যাগ করেছিলেন। এরপর সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি সমিতির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হয়। এতে আইনজীবী মোহাম্মদ সোলায়মানকে মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা করা হয়। আইনজীবী উত্তম কুমার দত্ত, সামশ্রী বড়ুয়া ও মো. নুরুদ্দীন আরিফ চৌধুরীকে নির্বাচনী কর্মকর্তা করা হয়।
পদত্যাগপত্রে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি উল্লেখ করেছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে ব্যালট পেপার ছাপানোসহ ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচনে একপক্ষ সেনাবাহিনী মোতায়েন অন্যপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থক আখ্যা দিয়ে তাদের মনোনয়ন বাতিলের আবেদন করেন। দুই আবেদনই অগ্রহণযোগ্য। উভয়পক্ষের পারস্পরিক অবস্থান নির্বাচনের প্রতিকূল হওয়ায় নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে বিভিন্নভাবে হেনস্তা, ভয়ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। তাই ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন করার কোনো পরিবেশ নেই।
নির্বাচনে ঐক্য পরিষদ মনোনীত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. হাসান আলী চৌধুরী বলেন, সমন্বয় পরিষদ থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন চাওয়াতে নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করেছে। আমরা কমিশনের কাছে কোনো আবেদন করিনি। কমিশন কেন বলছে যে, আমরা আবেদন করেছি, তা বলতে পারছি না।
সমন্বয় পরিষদ মনোনীত সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের প্রতি হুমকি রয়েছে, তাই আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির জন্য প্রস্তাব করেছিলাম। অন্যদিকে ঐক্য পরিষদ আমাদের মনোনয়ন বাতিলের জন্য আবেদন করেছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এসব আবেদনকে ‘অজুহাত’ হিসেবে দাঁড় করিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ই-ক্লাবের নতুন সভাপতি অন্তু করিম, সম্পাদক জিসান
উদ্যোক্তাদের সংগঠন অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব বাংলাদেশের (ই-ক্লাব) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বনানী ক্লাবে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা আগামী দুই বছরের জন্য সংগঠনের দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন কমিটিতে ব্যবসায়ী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয় অভিনেতা অন্তু করিমকে সভাপতি এবং মো. সোলায়মান আহমেদ জিসানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এছাড়া, অন্যান্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট- আব্দুল্লাহ সাফি, ভাইস প্রেসিডেন্ট- স্থপতি মো. আব্দুর রহমান নিপু, ভাইস প্রেসিডেন্ট- ফাহমিদা আহমেদ বিউটি, যুগ্ম সম্পাদক- আর্কিটেক্ট অরূপা দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক- মো. হাসান ইকরাম আহমেদ, প্রচার সম্পাদক- মো. দেলোয়ার হোসেন, পরিচালক- ইভেন্টস অ্যান্ড মিটআপ- কবির হোসেন, পরিচালক- মেম্বারশিপ সার্ভিস- শারমিন সাত্তার অবনী, পরিচালক- লিগ্যাল অ্যান্ড ডিসপিউট- অ্যাডভোকেট শাকিল আহমাদ, পরিচালক- ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিন- আরিফুর রহমান ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অন্তু করিম বলেন, ই-ক্লাবকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো। উদ্যোক্তাদের জন্য আরও কার্যকর নেটওয়ার্কিং ও সহায়তা সেবা চালু করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
এসময় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সোলায়মান আহমেদ জিসান নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা একটি সুসংগঠিত, আধুনিক ও কার্যকর সংগঠন গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন কমিটির সবাই মিলিতভাবে ই-ক্লাবের কার্যক্রম আরও গতিশীল করবে।
নতুন নির্বাহী কমিটির সদস্যরা তাদের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে ই-ক্লাবকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শাহরিয়ার খান ও ডা. তৃণা ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ই-ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও ইসি অ্যাডভাইজরি বোর্ড মেম্বার প্রফেসর ড. মো. শাহ আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক ও গুণীজনেরা। অনুষ্ঠানে শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথির সামনে নতুন কমিটির নাম ঘোষণা ও তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান ই-ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মো. শাহরিয়ার খান।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ থেকে রিচার্জ করে আইফোন, স্মার্ট টিভি, ল্যাপটপ কুপন পেলেন তিনজন
বিকাশে মোবাইল রিচার্জের মেগা ক্যাশব্যাক ক্যাম্পেইনে যেকোনো গ্রামীণফোন নাম্বারে ২০০ টাকার বেশি মূল্যের ইন্টারনেট প্যাক সর্বোচ্চবার রিচার্জ করে আইফোন ১৬, ওয়ালটন টিভি এবং ওয়ালটন ল্যাপটপ এর কুপন জিতে নিয়েছেন বিজয়ীরা। বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে কুপনগুলো উপভোগ করতে পারবেন বিজয়ীরা।
গত বছরের ১৮ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে সর্বোচ্চ সফল রিচার্জকারীদের এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়। মেগা পুরষ্কার বিজয়ী তিনজন ছাড়াও ক্যাম্পেইন চলাকালীন প্রতিদিন শীর্ষ ১০০ জন বিকাশ গ্রাহক পেয়েছেন ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২৮৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিনের সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
সভায় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল কুদ্দুছ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সাইফুল আলম, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাগিব আহসান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া ও কোম্পানী সচিব অলি কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
প্লেটিং রিয়েলিটি শো’তে অংশ নিয়ে ২০ লাখ টাকা জিতে নেওয়ার সুযোগ
শুরু হয়ে গেলো ফুড প্লেটিং নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম রিয়েলিটি শো “আকিজ টেবিলওয়্যার আর্ট অব প্লেটিং” এর ২য় সিজন। এবারের সিজনে অংশগ্রহণ করে যিনি প্লেটিং মায়েস্ট্রো হবেন, তিনি জিতে নিবেন ১০ লক্ষ টাকার অর্থ পুরস্কার। এছাড়াও ১ম রানার-আপ জিতবেন ৫ লক্ষ টাকা, ২য় রানার-আপ ৩ লক্ষ টাকা এবং শীর্ষ ৩০ প্রতিযোগী পাবেন ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, কালিনারি কোর্স, আকিজ টেবিলওয়্যারের এক্সক্লুসিভ ডিনার সেটসহ সর্বমোট ২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার।
আকিজ টেবিলওয়্যারের পক্ষ থেকে আকিজ বশির গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. খোরশেদ আলম বলেন, প্রথম সিজনে এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে দর্শকদের কাছ থেকে আমরা প্রচুর সাড়া পাই, যার কারণে এবার আমরা আরও বড় পরিসরে পুরো বাংলাদেশের প্লেটিং আর্টিস্টদের এক ছাদের নিচে নিয়ে আসার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি। ফুড প্লেটিং-এর আর্টে আমাদের সংস্কৃতি এবং নিজস্ব গল্পগুলো পুরো বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এবং এই ফুড আর্ট কালচারকে সমৃদ্ধ করতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দেশের এক অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম সিজনে প্রচুর দর্শক জনপ্রিয়তার পাওয়ার পর ভিন্নধর্মী এই রিয়েলিটি শো-এর ২য় সিজনটি এবার দেখা যাবে জাতীয় টেলিভিশনের পর্দায়। এনটিভি, চ্যানেল আই ও দীপ্ত টেলিভিশন ছাড়াও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি-তে দেখা যাবে এই শো। প্রাথমিকভাবে, নিজের করা সেরা প্লেটিং-এর ছবি তুলে তা ওয়েবসাইটে সাবমিট করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। এরপর অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ শেফদের বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে সকল অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে শীর্ষ ৩০ জনকে বাছাই করা হবে, যারা সুযোগ পাবেন টেলিভিশনের সামনে নিজের আর্ট ও প্লেটিং স্কিল তুলে ধরার।
অনুষ্ঠানের প্রধান বিচারক শেফ ড্যানিয়েল সি গোমেজ, আকিজ বশির গ্রুপের হেড অফ মার্কেটিং মো. শাহরিয়ার জামান, এবং চিফ অপারেটিং অফিসার মো. খোরশেদ আলম ও আকিজ টেবিলওয়্যারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা আসন্ন এই সিজন নিয়ে যাবতীয় তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। আলোচনায় ফুড প্লেটিং-কে আর্ট ফর্ম হিসেবে বাংলাদেশে পরিচিত করা এবং লোকাল ট্যালেন্টদের জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসার সুযোগ করে দেয়াই এই প্ল্যাটফর্মের মূল উদ্দেশ্য।
দেশ ও দেশের বাইরে নিজেকে চেনাবার এই সুযোগ পেতে অংশগ্রহণকারীরা https://www.aop.com.bd এই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
কাফি