সারাদেশ
ইজতেমা ময়দানে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত

বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে যোবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকাল বেলাল (৬০)।
ওসি বলেন, রাতে ইজতেমা মাঠে মারামারির ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। একজন লোকাল হাসপাতালে, আরেকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ
চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রো সংঘর্ষ, নিহত ৭

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ফের বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ জন।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাইক্রোবাসের ৭ যাত্রী। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লোহাগাড়া থানার অপারেশন অফিসার মোহাম্মদ জাহিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ নিয়ে গত তিন দিনে একই এলাকায় পরপর তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে ঈদের দিন (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চুনতি এলাকায় বাসের সঙ্গে মিনিবাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ৬ জন। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) একই স্থানে দুটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ৮ জন আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, লবণবাহী গাড়ি থেকে পানি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ার কারণে বারবার এ সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
শরীয়তপুর জেলা এসিএল প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

শরীয়তপুর জেলার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের আসামী কান্দি মাঠ সংলগ্ন এলাকায় জমকালো আয়োজনে শুরু হলো উত্তর তারাবুনিয়া প্রিমিয়ার লিগ (এসিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫-সিজন ৬।
আসামী কান্দি ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫ সিজন ৬ গ্র্যান্ড উদ্বোধনী ম্যাচে মায়ের দোয়া স্পোর্টিং ক্লাব বনাম তারাবুনিয়া কিংস মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মায়ের দোয়া স্পোর্টিং ক্লাব নির্ধারিত ১২ ওভারে ৯০ রান সংগ্রহ করে, ফলে তারাবুনিয়া কিংসের জন্য ৯১ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ হয়। জবাবে তারাবুনিয়া কিংস নির্ধারিত ১২ ওভার শেষে ৮২ রান সংগ্রহ করে। ফলে মায়ের দোয়া স্পোর্টিং ক্লাব ৮ রানে জয় লাভ করে। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হন মায়ের দোয়া স্পোর্টিং ক্লাবের নাদিম।
ক্রিকেট টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও সভাপতি আক্তার হোসেন আসামী, ক্রীড়াপ্রেমী ব্যক্তিত্ব মাসুম মাদবর, আবু বক্কর ছিদ্দিক রিয়াদ আসামী, আব্দুল গনি, মো. রাছেল আসামী, আঃ রহিম আসামী। পরিচালনায় ছিলেন মো. সোলাইলান আসামী, মো. শাহীন আসামী, মো. মাহফুজ আসামী, মো. নূরে আলম আসামী, মো. মাহিন আসামী, মো. আরিফ আসামী। এতে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আসামী বাড়ি যুব সংঘ।
ম্যাচটি দর্শকদের ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে উত্তেজনাপূর্ণ খেলা উপভোগ করতে পেরেছেন দর্শকরা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা ও ইফতার মাহফিল

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের সখিপুরে আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।এসএসসি ব্যাচ ২০০৯ সালের অর্থায়নে ও আয়োজনে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার মাহফিলে স্কুলটির প্রতিষ্ঠা সময়ে কালে ১৯৮৮ সালের প্রাক্তন শিক্ষার্থী থেকে ২০২৪ সালের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চতুর্থতম ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী (ব্যাচ ১৯৯২) আক্তার হোসেন আসামির সভাপতিত্বের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এসএম জাকির সিকদার ও মোহাম্মদ মুনির (এসএসসি ব্যাচ ২০০৯)।
অনুষ্ঠানে আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৮৮ থেকে ২০২৪ সালের ৩৭টি ব্যাচের প্রায় ১ হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, সাংবাদিক, ব্যাংকার, সরকারি চাকরিজীবী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার গুণী ব্যক্তিরা।
এই মিলনমেলার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহযোগিতা করা এবং নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর তৈরি করা। ইফতার মাহফিলে শিক্ষার্থীরা একসাথে বসে সাফল্যের গল্প ভাগ করে নেন এবং ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয়। ভবিষ্যতে এমন আরও মিলনমেলার আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অংশগ্রহণকারীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সব রেকর্ড ভেঙে শোলাকিয়ায় ৬ লাখের বেশি মুসল্লির অংশগ্রহণ

এক মাস সিয়াম সাধনার পর উপমহাদেশসহ দেশের অন্যতম বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার ঐতিহাসিক এই জামাতে প্রায় ৬ লাখের বেশি মুসল্লি অংশ নেন। এর আগে, গত বছরের ঈদুল ফিতরের নামাজের ৫ লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টায় দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী জানান, এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতে প্রায় ৬ লাখেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের জামাতে অংশ নিতে এদিন সকালে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ঈদগাহে আসে। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি ট্রেন সকালে মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জে পৌঁছায়। সকাল ৯টার মধ্যেই ঈদগাহ ময়দান লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর জামাতে ইমামতি করেছেন কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজার মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। বিকল্প ইমাম হিসেবে ছিলেন হয়বতনগর এ ইউ কামিল মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা জুবায়ের ইবনে আব্দুল হাই।
মুসল্লিদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল এই ঈদগাহ ময়দান। এ বছর শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হলো। খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ে দুই দিন ধরেই গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪টি জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জে লোক আসতে শুরু করেন। অনেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বাসায়, আবাসিক হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে এবং ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাত্রীযাপন করেন। ভোররাতে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও হেঁটে হাজারো মানুষ কিশোরগঞ্জে আসেন। সবার গন্তব্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া। বড় ঈদগাহ, বড় জামাত বেশি মুসল্লির সঙ্গে জামাত আদায় করলে দোয়া কবুল হয়—এমন আকর্ষণে সকাল থেকেই এই ঈদ জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন লাখো মুসল্লি।
নেত্রকোনা থেকে ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। তার সঙ্গে এসেছেন আরও কয়েকজন মুসল্লি। তারা সবাই একসঙ্গে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের নামাজ শেষ করে বাড়ি ফিরবেন। তাদের মধ্যে এক স্বস্তির ঈদ উদযাপন লক্ষ্য করা গেছে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ হাছান চৌধুরী বলেন, অতীতের বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা সব সময় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। এবারও পূর্বের সব বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তাই আমরা কিছু বাড়তি আয়োজন করেছি। এর মধ্যে ইদগাহ ময়দানকে লক্ষ্য করে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদগাহ ময়দান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, খুব সুন্দরভাবেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ঈদগাহ মাঠের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকলেই আমাদের সহযোগিতা করছেন। রাস্তাঘাটে মানুষে লোকারণ্য। নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে সবাই শান্তিপূর্ণভাবেই বাসায় ফিরতে পারবেন।
রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে মুসল্লিদের সংকেত দিতে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। তিনটি জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে, দুটি ১০ মিনিট আগে এবং শেষ গুলিটি ছোড়া হয় জামাত শুরুর এক মিনিট আগে। আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের চলাচলের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনেরও ব্যবস্থা করেছে। একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে এবং অন্যটি ভৈরব থেকে ছেড়েছে।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রার্থনার ক্যাপ, মুখোশ এবং প্রার্থনার ম্যাট ছাড়া অন্য কিছু বহন করা নিষিদ্ধ ছিল। মুসল্লিদের সাহায্য করার জন্য বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক এবং কয়েকটি মেডিকেল টিম মাঠে কর্তব্যরত ছিল। মাঠসহ প্রবেশপথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারও ছিল। আর পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা আকাশে উড়েছে।
প্রসঙ্গত, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। তবু এ ঈদগাহ ময়দানের ধারাবাহিক জামাত আয়োজনে ছন্দপতন ঘটেনি, কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে দুই বছর এই ঈদগাহ ময়দানে ঈদের কোনো জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
২৭৪ বছরের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে শোলাকিয়া ঈদগাহ। এই ঈদগাহের যাত্রা শুরু ১৭৫০ সালে। তবে ১৮২৮ সালে প্রথম আনুমানিক সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সেই থেকেই এই ঈদগাহসহ পুরো এলাকার নামকরণ হয় ‘শোলাকিয়া’। ১৮২৮ সাল থেকে জামাত গণনায় এবার ১৯৭তম জামাত হবে।
প্রশাসন থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেনাবাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ, সাদা পোশাকের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মোট ৫টি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছিল। তারা আনসার সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠ পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও, ৬টি ওয়াচ টাওয়ার এবং ড্রোনও মাঠে নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
জরুরি সেবার জন্য ৬টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিস সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ঝরলো ৫ প্রাণ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাসের সঙ্গে মিনিবাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
ঘটনাস্থলে থাকা লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার রাখাল চন্দ্র রুদ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- আরাফাত (২১), রিফাত (১৮), নিজাম (২৮), সিদ্দিক (১৪) ও নাজিম (৩০)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিল সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস। গাড়িটি লোহাগাড়া সদরেরর পর চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মিনিবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। হতাহতদের বেশিরভাগই মিনিবাসের যাত্রী ছিলেন। মিনিবাসটি কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রওনা দিয়েছিল।