জাতীয়
২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: শফিকুল আলম
জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ সময় প্রশ্ন রেখে শফিকুল আলম বলেন, ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার চেয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ আর কি হতে পারে?
তিনি বলেন, নবম ও দশম শ্রেণিতে টেক্সট রেশনালাইজেশন করা হবে। ইউনিভার্সিটি মঞ্জুরি কমিশন থেকে মঞ্জুরি শব্দটি বাদ রাখা হবে। যাতে আরও যুগোপযোগী হয়। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল এডুকেশনকে যুগোপযোগী করা হবে। বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এ নিয়ে কাজের পরিকল্পনা আছে সরকারের।
প্রধান উপদেষ্টার এই প্রেস সচিব বলেন, স্কুল ও কলেজপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি খুব হালনাগাদ করা হয়নি। এগুলো আরও হালনাগাদ করতে কাজ হচ্ছে।
দেশের শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যাতে কম্পিটিশন করতে পারে, সে রকম একটি মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা করতে চায় সরকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এজন্য শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানো হবে।
শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্যসহ দুর্নীতির বিষয় অনেকাংশে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা কমিশন করা না হলেও অল্প সময়ে শিক্ষা খাতে যেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আনা সম্ভব, তেমন কাজ করছে সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে কায়রোর পথে প্রধান উপদেষ্টা
মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে রওয়ানা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি মিশরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
ডি-৮ (ডেভেলপিং এইট) অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার ২০২৪ সালের শীর্ষ সম্মেলন মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মিশর এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ডি-৮ সংস্থা বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে এই সংস্থার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সংস্থার লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানের উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্পর্কের বহুমুখীকরণ, নতুন সুযোগ সৃষ্টি, আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ
শীতার্ত ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য কম্বল কিনতে ১৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ৮ বিভাগের ৬৪টি জেলার ৪৯৫টি উপজেলায় ৩ লাখ টাকা করে মোট ১৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব কম্বল কেনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন এবং জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) তার জেলার অধীনস্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে কম্বল কিনে দুস্থদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকি করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ওবায়দুল কাদের দেশে ছিলেন কি না, জানালেন প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন এবং পরে দেশ ছেড়েছেন—এমন প্রমাণ সরকারের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সম-সাময়িক ইস্যুতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রেস সচিব।
আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুল কাদের ও অভিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেশত্যাগের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। অনেকগুলো বিষয় জানতেও পেরেছি। ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে ছিলেন কি ছিলেন না, সেই প্রমাণ সরকারের হাতে নেই।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরের তিন দিন দেশে সরকার ছিল না। এক সপ্তাহ দেশে পুলিশ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ নিজেদের নিরাপত্তা দিয়েছে, ছাত্ররা রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তবে এতটুকু বলতে পারি, এ সরকারের দৃষ্টিতে যা ধরা পড়ছে তাই করছে।
শফিকুল আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডে যারাই জড়িত, যাদের হাতে রক্ত আছে, তাদের বিচার হবেই। এখানে কোনো মাফ নেই। যারা গুমে জড়িত ছিলেন তারা রাজনৈতিক দল হোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলেও বিচার হবেই। এইটুক নিশ্চিত থাকতে পারেন।
আওয়ামী লীগের বিচার পরে জাতীয় নির্বাচন—জাতীয় নাগরিক কমিটির এমন দাবি প্রসঙ্গে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাম মজুমদার বলেন, জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনের আলোচনায় যদি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব আসে কিংবা আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা আসে; সবগুলো বিষয় বিবেচনা করে সরকার যদি মনে করে তাহলে সিদ্ধান্ত নেবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৪০০ নয়, হাসিনার সেই পিয়নের অ্যাকাউন্টে ৬২৬ কোটি টাকা!
ছাত্র-জনতার আন্দোলন তীব্র হওয়ার আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজের চীন সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। গত ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে পিএসসির এক গাড়িচালক কিভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হলেন তা জানতে চেয়ে প্রশ্ন করা হয়।
এর জবাবে শেখ হাসিনা তখন বলেন, ‘আমার বাসার একজন পিয়ন ছিল, সেও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক! হেলিকপ্টার ছাড়া নাকি চলে না।’
এরপরই আলোচনায় আসেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই ব্যক্তিগত সহকারী (পিয়ন) জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগ পাওয়া যায়, রাজধানী মিরপুরে বাড়িসহ বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার নামে।
তবে এবার পাওয়া গেল নতুন তথ্য। ৪০০ কোটি নয়, আলোচিত সেই পিয়ন জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাংক হিসাবে ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রীর কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুটি মামলা দায়ের করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি জাহাঙ্গীর আলম স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় এবং তিনি ও তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ভোগ করার মানসে আটটি ব্যাংকের ২৩টি হিসাবে সর্বমোট ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা জমা বা ক্রেডিট ও জমা করা অর্থ বিভিন্ন মাধ্যমে উত্তোলন বা স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলম এসব অবৈধ সম্পদ অর্জন করে নিজের ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক হিসাব খুলেছেন। তার আটটি ব্যাংকের ২৩টি হিসাবে সর্বমোট ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা জমা ও ৬২৪ কোটি ৬০ লাখ ১৫ হাজার ৬৭১ টাকা উত্তোলিত হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
এ ছাড়া জাহাঙ্গীর আলম তার মালিকানাধীন স্কাই রি এরেঞ্জ নামে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি চলতি হিসাবে শুধু ২০২৪ সালের প্রথম ৫ মাসে (৮৩ দিনে) ১৭৮ কোটি টাকা জমা ও ১৭৮ কোটি ৯৩ টাকা উত্তোলন বা ফান্ড ট্রান্সফার করেন।
অপর একটি মামলায় আসামি করা হয় জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী কামরুন নাহারকে। যেখানে বলা হয়, তিনি নিজ নামে ৬ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদ ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নভেম্বরে ৪৮৬ দুর্ঘটনা, ঝরেছে ৫৮২ প্রাণ
সারাদেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৪৮৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে গত নভেম্বর মাস জুড়ে। এসব দুর্ঘটনায় ৫৮২ জন নিহত এবং ৮১৯ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সড়ক দুর্ঘটনাই ঘটেছে ৪১৫টি, যেখানে ঝরে গেছে ৪৯৭টি প্রাণ। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৪৭ জন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ সংক্রান্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন গণমাধ্যমগুলোতে।
এতে বলা হয়েছে, বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরে রেলপথে ৬৪টি দুর্ঘটনায় ৭৯ জন নিহত, ৪৩ জন আহত হয়েছে। এছাড়া নৌ পথে ৭টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথ মিলে সর্বমোট ৪৮৬টি দুর্ঘটনায় ৫৮২ জন নিহত এবং ৮১৯ জন আহত হয়েছে।
এই সময়ে ঘটে যাওয়া ৪১৫টি সড়ক দুর্ঘটনার ১৬৭টিই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, যেখানে ১৯২ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন ১১১ জন। যা মোট দুর্ঘটনার ৪০.২৪ শতাংশ, নিহতের ৩৮.৬৩ শতাংশ ও আহতের ১৪.৮৬ শতাংশ।
নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ মাসে ঢাকায় ১০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৯ জন নিহত ও ২৬৪ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহে। এ বিভাগে ২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ২৫৩ জন চালক, ১১৬ জন পথচারী, ১১৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৭ জন শিক্ষার্থী, ১৫ জন শিক্ষক, ৬৭ জন নারী, ৩৫টি শিশু, সাংবাদিক ৭ জন, ১ জন চিকিৎসক, ১০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং ০২ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর ২ সদস্য, ১৬৭ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৫ জন পথচারী, ৫৫ জন নারী, ২৭টি শিশু, ৪৫ জন শিক্ষার্থী, ২১ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষক, ০১ জন চিকিৎসক, ২ জন সাংবাদিক, ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
দুর্ঘটনায় পতিত যানবাহনের মধ্যে ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ১০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বাস, ২০ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস। মোট দুর্ঘটনার ৫০ দশমিক ১২ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২১ দশমিক ৬৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮ দশমিক ৩১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা, ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ বিবিধ কারণে ঘটা ঘটনা, শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনে সংঘর্ষের ঘটনা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত নভেম্বরে মোট দুর্ঘটনার ৩০ দশমিক ৮৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে ও ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে এবং ০ দশমিক ৭২ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে হয়েছে।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরুরিভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতে অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান, ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা ও মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এছাড়া রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা, সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা, উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা, মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবত ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।