জাতীয়
হাসিনা-রেহানার ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি বা ৫৯ হাজার কোটি টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাট করেছেন।
এছাড়া তারা আশ্রয়ণসহ অন্যান্য প্রকল্পেও দুর্নীতি করেছেন। সে সংক্রান্ত অভিযোগও আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের এসব দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটের বিবাদী করা হয়।
রিটের শুনানি নিয়ে এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বেশ কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার লোপাট করেছেন। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের তথ্যের বরাত দিয়ে এসব প্রতিবেদন করা হয়।
প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়। যাতে মধ্যস্থতা করেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম। নিজের ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।
২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সে সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি। ২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রেও ‘জুমানা ইনভেস্টমেন্ট’ নামে একটি কোম্পানি রয়েছে তাদের।
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের অভিযোগ, এ কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করতেন শেখ হাসিনা। তাদের এ কোম্পানিটি ডেসটিনি গ্রুপ নামে একটি চিটিং ফান্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
লেবানন থেকে ফিরেছেন আরও ৯৪ বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ৯৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ১১টায় তারা দেশে ফেরেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে ইকে ৫৮৪ ফ্লাইট যোগে ৯৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে গত রাত ১১টায় দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত ১৭ ফ্লাইটে সর্বমোট ১ হাজার ১৪২ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা হাতখরচ, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে আইওএম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
টঙ্গীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
তাবলীগ জামাতের যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় টঙ্গীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজন মারা যাওয়ার খবর জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকাল বেলাল (৬০)। সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০ জন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে কায়রোর পথে প্রধান উপদেষ্টা
মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে রওয়ানা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি মিশরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
ডি-৮ (ডেভেলপিং এইট) অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার ২০২৪ সালের শীর্ষ সম্মেলন মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মিশর এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ডি-৮ সংস্থা বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে এই সংস্থার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সংস্থার লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানের উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্পর্কের বহুমুখীকরণ, নতুন সুযোগ সৃষ্টি, আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ
শীতার্ত ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য কম্বল কিনতে ১৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ৮ বিভাগের ৬৪টি জেলার ৪৯৫টি উপজেলায় ৩ লাখ টাকা করে মোট ১৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব কম্বল কেনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন এবং জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) তার জেলার অধীনস্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে কম্বল কিনে দুস্থদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকি করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ওবায়দুল কাদের দেশে ছিলেন কি না, জানালেন প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন এবং পরে দেশ ছেড়েছেন—এমন প্রমাণ সরকারের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সম-সাময়িক ইস্যুতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রেস সচিব।
আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুল কাদের ও অভিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেশত্যাগের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। অনেকগুলো বিষয় জানতেও পেরেছি। ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে ছিলেন কি ছিলেন না, সেই প্রমাণ সরকারের হাতে নেই।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরের তিন দিন দেশে সরকার ছিল না। এক সপ্তাহ দেশে পুলিশ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ নিজেদের নিরাপত্তা দিয়েছে, ছাত্ররা রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তবে এতটুকু বলতে পারি, এ সরকারের দৃষ্টিতে যা ধরা পড়ছে তাই করছে।
শফিকুল আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডে যারাই জড়িত, যাদের হাতে রক্ত আছে, তাদের বিচার হবেই। এখানে কোনো মাফ নেই। যারা গুমে জড়িত ছিলেন তারা রাজনৈতিক দল হোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলেও বিচার হবেই। এইটুক নিশ্চিত থাকতে পারেন।
আওয়ামী লীগের বিচার পরে জাতীয় নির্বাচন—জাতীয় নাগরিক কমিটির এমন দাবি প্রসঙ্গে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাম মজুমদার বলেন, জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনের আলোচনায় যদি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব আসে কিংবা আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা আসে; সবগুলো বিষয় বিবেচনা করে সরকার যদি মনে করে তাহলে সিদ্ধান্ত নেবে।