জাতীয়
সেনাবাহিনীর বাৎসরিক প্রশিক্ষণ শুরু আগামীকাল

আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে সেনাবাহিনীর বাৎসরিক যৌথ প্রশিক্ষণ। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিটি প্রশিক্ষণ বছর শেষে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন ডিভিশনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাৎসরিক যৌথ প্রশিক্ষণ অনুশীলন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি প্রশিক্ষণ বছর শেষে আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ডিভিশনসমূহ নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাৎসরিক যৌথ প্রশিক্ষণ অনুশীলন করবে।
উল্লেখ্য, এই বাৎসরিক যৌথ প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

জাতীয়
রাজনীতিবিদ ও আমলারা দুর্নীতি বন্ধ করতে চান না: জ্বালানি উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশের রাজনীতিবিদ ও আমলারা দুর্নীতি বন্ধ করতে চান না। শনিবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির বাজেটবিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, অপচয়, দুর্নীতি ও অদক্ষতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। ব্যক্তিস্বার্থে পানি উৎস থেকে অনেক দূরে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং অপ্রয়োজনীয় রাস্তা বানানোর মাধ্যমে বিপুল অর্থ অপচয় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আত্মীয়করণ, স্বজনপ্রীতি ও সুবিধাবাদের পথে না হেঁটে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত রাখতে চায়।
বিদ্যুৎ খাত প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির বলেন, নিজস্ব গ্যাসের মজুত কমে যাওয়ায় এলএনজি-নির্ভরতা বেড়েছে, যা সরকারের জন্য বড় অঙ্কের ভর্তুকির কারণ। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি ভবনে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন এবং ছাদে প্যানেল বসিয়ে বেসরকারি খাত থেকে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনৈতিক সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ। সমিতির সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিন বলেন, অর্থনৈতিক ইস্যুতে বিভিন্ন মতের যুক্তিপূর্ণ আলোচনার কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখবে অর্থনৈতিক সমিতি।
কাফি
জাতীয়
আউটসোর্সিং শিল্প বিকাশে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: শিল্প উপদেষ্টা

আউটসোর্সিং শিল্প বিকাশে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেন, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাত এখন কেবল আউটসোর্সিং নয়—এটি মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের প্রতীক।
শনিবার (২১ জুন) দুই দিনব্যাপী ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেনাপ্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সামিট শুরু হয়।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও)-এর আয়োজনে সামিটে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, একটি ল্যাপটপ, ইন্টারনেট সংযোগ ও সঠিক দক্ষতা—এই তিনের সমন্বয়েই আজ বাংলাদেশ থেকে উঠে আসছে বৈশ্বিক কর্মশক্তি। এই সামিট তাদের স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি।
উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন বিএসিসিও’র সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সাঈদ, বিএসিসিও’র সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম।
উদ্বোধনী পর্বের পর দিনব্যাপী চলে সেমিনার ও ওয়ার্কশপ, যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে বৈশ্বিক বিপিও চাহিদা, বাংলাদেশের অবস্থান এবং তরুণদের ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সামিটে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এবং টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি)।
জাতীয়
একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের চেষ্টা করছে সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংস্কার বাস্তবায়ন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে।
শনিবার (২১ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা অগ্রগতি এবং গবেষণা পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, মাছ আমিষের জোগানদাতা; প্রাণিজ আমিষ হিসেবে মাছ বাঙালির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগ, বিএফআরআই এবং মৎস্য অধিদপ্তরকে অভিন্ন লক্ষ্যে আন্তঃসমন্বয় করে কাজ করতে হবে; তবেই বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের গুণগত পরিবর্তন সম্ভব।
বিজ্ঞানীদের জাতির মূল্যবান সম্পদ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন তাদের মেধা দিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে, গবেষণায় আরও মনোনিবেশ করতে পারে—সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে। বিজ্ঞানীদের এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে, যা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হবে এবং যার উপকারিতা জনগণ সরাসরি বুঝতে পারবে। এসব প্রযুক্তি যদি মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারিত করা যায়, তাহলে দেশে মাছের সংকট থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, কৃষি কার্যক্রমে ব্যবহৃত কীটনাশক হাওর এলাকার মাছের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কীটনাশক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এসব কমিটির কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে হাওরাঞ্চলে কীটনাশক ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমবে; ফলে জলজ প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় ও হুমকির মুখে থাকা মাছ শনাক্তে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) প্রজাতিগুলোকে লাল (বিপন্ন), হলুদ (ঝুঁকিপূর্ণ) ও সাধারণ (নিরাপদ) শ্রেণিতে ভাগ করেছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে মাছের সংকট নিরসনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বিএফআরআই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আর তা সফল হলে তা দেশের মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে একটি বড় মাইলফলক হবে।
বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে ময়মনসিংহ বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, বিএফআরআই-এর বিজ্ঞানীরা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ও মৎস্য খামারিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় স্বাদুপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন উর রশিদ গবেষণা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
জাতীয়
আগারগাঁও এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

রাজধানীর আগারগাঁও ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার (২১ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ২২ জুন রোববার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগর থানার অন্তর্গত শিশু মেলা থেকে আগারগাঁও রোডে অবস্থিত এনবিআর কার্যালয় (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), বিআইডিএ কার্যালয় (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও আশেপাশের এলাকায় সব প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি হয়েছে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
জাতীয়
হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন ৪০ হাজার ৫২০ হাজি, মৃত্যু ৩৮

সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। হজ পালন করতে গিয়ে শুক্রবার (২০ জুন) পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ফিরোজা বেগম (৬৩) ও ফাতেমা খাতুন (৪৪) নামে দুই নারী হাজি মারা গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৫২০ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।
শনিবার (২১ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের মৃত্যু সংবাদে এসব তথ্য জানা গেছে। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে মক্কায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের, মদিনায় ১১ জন, জেদ্দা ও আরাফায় ১ জন করে।
হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের তথ্য মতে, এ বছর হজে গিয়ে গত ২৯ এপ্রিল প্রথম মারা যান রাজবাড়ীর পাংশার মো. খলিলুর রহমান (৭০)। এরপর ২ মে মারা যান কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মো. ফরিদুজ্জামান (৫৭), ৫ মে মারা যান পঞ্চগড় সদরের আল হামিদা বানু (৫৮), ৭ মে মারা যান ঢাকার মোহাম্মদপুরের মো. শাহজাহান কবির (৬০) এবং ৯ মে মারা যান জামালপুরের বকশিগঞ্জের হাফেজ উদ্দিন (৭৩), ১০ মে মারা যান নীলফামারী সদরের বয়েজ উদ্দিন (৭২), ১৪ মে মারা যান চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মো. অহিদুর রহমান (৭২), ১৭ মে মারা যান গাজীপুর সদরের মো. জয়নাল হোসেন (৬১) এবং ১৯ মে মারা যান চাঁদপুরের মতলবের আ. হান্নান মোল্লা (৬৩) ও ২৪ মে রংপুরের পীরগঞ্জের মো. সাহেব উদ্দিন।
পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে শুক্রবার (২০ জুন) রাত পর্যন্ত ৪০ হাজার ৫২০ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ০৬ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৩৫ হাজার ৫১৪ জন দেশে ফিরেছেন।
এ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ১৬ হাজার ২৬২, সৌদি পতাকাবাহী সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ১৬ হাজার ৯৩৩ এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ৭ হাজার ৩২৫ জন দেশে ফিরেছেন। মোট ১০৩টি ফিরতি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪১টি ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের, ৪৩টি সাউদিয়ার এবং ১৯টি ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের।
হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছিল ২৯ এপ্রিল আর শেষ ফ্লাইট ৩১ মে। প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয় ১০ জুন এবং শেষ হবে ১০ জুলাই।
কাফি