পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারী বাড়লেও বিদেশি কমেছে
দেশের পুঁজিবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়লেও ধারাবাহিকভাবে কমছে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা। গত কয়েক মাস ধরে বিদেশিদের পুঁজিবাজার ছাড়ার যে ধারা চলছে তা এখনো থামেনি। হাসিনা সরকার পতনের পর দেশ চালানোর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে চার মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে ৩৩৭টি। বিদেশি ও প্রবাসীদের শেয়ারবাজার ছাড়ার এই মিছিল চলছে গত বছরের নভেম্বর থেকে।
দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কমলেও হাসিনা সরকার পতনের পর স্থানীয় তথা দেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গত চার মাসে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। অবশ্য চলতি বছরের শুরুর তুলনায় বর্তমানে শেয়াবাজারে প্রায় ১ লাখ বিও হিসাব কম রয়েছে।
বিও হলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউস অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব না। বিও হিসাবের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।
এই সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর শেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৬টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর শেয়ারবাজারে বিও হিসাব বেড়েছে ১৩ হাজার ২৮৮টি। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিও হিসাবে বেড়েছে ১২ হাজার ৪৫১টি। অন্তর্বর্তী সরকার যেদিন দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয়, সেদিন বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৫টি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করে তিনি দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান। সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে এই সরকারের চার মাস পার হয়েছে। হাসিনার সরকার পতনের পর প্রথম চার কার্যদিবস শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলেও, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজারে পতনের পাল্লা ভারী হয়েছে। শেয়ারবাজারে মন্দা দেখা দিলেও বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
অবশ্য সার্বিকভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লেও বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব আছে ৪৬ হাজার ৭৪৪টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৮৪টি। আর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ছিল ৪৭ হাজার ৮১টি। অর্থাৎ বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে কমেছে ৩৩৭টি।
বিদেশিদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ছাড়ার এই প্রবণতা চলছে আরও আগে থেকেই। গত বছরের নভেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাব কমছে। গত বছরের ২৯ অক্টোবর বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি। এরপর ওই বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর এই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৫৫ হাজার ৩৪৮টিতে।
এ হিসাবে চলতি বছরে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কমেছে ৮ হাজার ৬০৪টি। আর গত বছরের ২৯ অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কম আছে ৮ হাজার ৭৬৮টি।
বিদেশিদের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও সরকার পতনের পর স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ১৩৬টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৩ হাজার ৮২২টি। আর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ছিল ১৬ লাখ ৪ হাজার ৬৫৮টি। অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১২ হাজার ৪৭৮টি।
হাসিনা সরকারের পতনের পর শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেলেও তার আগে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছেন। চলতি বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১টি। আর বর্তমানে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৬টি। অর্থাৎ চলতি বছরে বিও হিসাব কমেছে ৯২ হাজার ১০৫টি।
এদিকে বর্তমানে শেয়ারবাজারে যে বিনিয়োগকারীরা আছেন, তার মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১২ লাখ ৬০ হাজার ২৮৮টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৪টি। অর্থাৎ হাসিনা সরকার পতনের পর পুরুষ বিনিয়োগকারীদের হিসাব বেড়েছে ১১ হাজার ৮৫৪টি।
অপরদিকে বর্তমানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৫৯২টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২ হাজার ৪৭২টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১ হাজার ১২০টি।
হাসিনা সরকার পতনের পর নারী ও পুরুষ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি কোম্পানির বিও হিসাবও বেড়েছে। বর্তমানে কোম্পানি বিও হিসাব রয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৬টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ১৫২টি। সে হিসাবে গত চার মাসে কোম্পানি বিও হিসাব বেড়েছে ৪১৪টি।
বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের যে বিও হিসাব আছে তার মধ্যে একক নামে আছে ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৬টি, যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৭টি। অর্থাৎ গত চার মাসে একক নামে বিও হিসাবে বেড়েছে ১৪ হাজার ৬৮৯টি।
অপরদিকে বিনিয়োগকারীদের যৌথ নামে বিও হিসাব আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫১৪টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় যৌথ বিও হিসাব ছিল ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২২৯টি। অর্থাৎ গত চার মাসে যৌথ বিও হিসাব কমেছে ১ হাজার ৭১৫টি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেনে ধীরগতি
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের মিশ্র প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ২ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২২২ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ০ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ২ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১৬৬ ও ১৯৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ১৫০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৫টির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬ কোম্পানির শেয়ারদর।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মতিন স্পিনিংয়ের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মতিন স্পিনিং মিলস পিএলসির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে।
কোম্পানিটির গত ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত ও ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সোনালী আঁশের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন
পুঁজিবাজারে পাট খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এ+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-৩’ রেটিং হয়েছে।
কোম্পানিটির গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার তারিখ পর্যন্ত আনুষাঙ্গিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রাইম ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের অর্ধবার্ষিক কুপন রেট ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের অর্ধবার্ষিক কুপন রেট ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ২৭ ডিসেম্বর,২০২৪ থেকে ২৬ জুন,২০২৫ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে প্রতিষ্ঠানটি ১০ শতাংশ কুপন রেট ঘোষণা করেছে।
কুপন রেট ঘোষণা সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
কুপন রেট ঘোষণা করায় আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বন্ডের মূল্যে কোনো সীমা থাকবে না।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ দেবে না আলহাজ টেক্সটাইল
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লহাজ টেক্সটাইল লিমিটেড। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৭৮ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৯১ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ জানুয়ারি।