জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত ইসি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) তাহমিদা আহমদ।
এর আগে বিজয় দিবসের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষ দিকে কিংবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। তবে সংস্কার ও ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে প্রণয়ন সাপেক্ষে এ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসি তাহমিদা বলেন, কমিশন ২০২৫ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সকালের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রধান সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম সফল করতে আমরা আপনাদের অব্যাহত সমর্থন ও পরামর্শ আশা করি।’
এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যকে স্বাগত জনিয়েছে বিএনপি।
আজ সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ স্বাগত জানান।
মির্জা আব্বাস বলেন, আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।

জাতীয়
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঁচ সচিব

পাঁচজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) কাজী এনামুল হাসান, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) সুকেশ কুমার সরকার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইব্রাহিম ও জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. সহিদ উল্যাহ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পাঁচটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) ড. লিপিকা ভদ্রকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে জানানো হয়, তাদের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর করা প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে বিধায় তাদেরকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে।
তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালযয়ের প্রজ্ঞাপনগুলোতে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী সরকার ২৫ বছর হয়ে গেলে একজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠাতে পারে কিন্তু সেজন্য সুনির্দিষ্ট কারণ কখনো প্রকাশ করা হয় না।
জাতীয়
এক বছরে বৈষম্যের শিকার ১৯.৩১ শতাংশ মানুষ

গত এক বছরে দেশের ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের বৈষম্য বা হয়রানির শিকার হয়েছেন। নারীদের মধ্যে এ হার কিছুটা বেশি, যা ১৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে তা ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে পরিবার ও গণপরিবহনে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস)’ শীর্ষক এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গত শনিবার (১৪ জুন) প্রকাশ করেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশের ৬৪ জেলায় এক হাজার ৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট থেকে ৪৫ হাজার ৮৮৮টি খানার ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট ৮৪ হাজার ৮০৭ জন নারী-পুরুষ উত্তরদাতার সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
জরিপে নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার এবং বৈষম্যবিষয়ক এসডিজি ১৬ এর ছয়টি সূচকের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়েছে। জরিপের প্রশ্নপত্র জাতিসংঘ থেকে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মান ও পদ্ধতি অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে।
বিবিএস জানায়, শহরাঞ্চলে বৈষম্যের হার ২২ দশমিক ০১ শতাংশ, যেখানে গ্রামাঞ্চলে এ হার ১৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক অবস্থার কারণে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং লিঙ্গবৈষম্যের কারণে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ মানুষ হয়রানির শিকার।
এছাড়া নিজ পরিবারের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ, গণপরিবহন বা উন্মুক্ত স্থানে ৩১ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং কর্মস্থলে ২৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ মানুষ বৈষম্য বা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তবে ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাত্র ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ এসব ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন বলেও জানিয়েছে বিবিএস।
জাতীয়
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিটিভি-বাংলাদেশ বেতার

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে নীতিগত কাঠামো ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিটির সদস্যরা বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় টিভির লাইসেন্স কীভাবে দেওয়া হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে কোন নীতিমালার ভিত্তিতে লাইসেন্স দেওয়া হবে সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা তৈরি করবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, ৫ আগস্টের আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটিতে আরও কয়েকজন উপদেষ্টা থাকবেন। কমিটির সদস্যরা ছাত্রজনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই সনদ দ্রুত তৈরি করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করবেন।
জাতীয়
৫ আগস্টের আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার লক্ষ্যে কমিটি গঠন

আগামী ৫ আগস্টের আগে জুলাই সনদ ঘোষণার লক্ষ্যে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। কমিটিতে আরও কয়েকজন উপদেষ্টা থাকবেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা ছাত্রজনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই সনদ দ্রুত তৈরি করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে নীতিগত কাঠামো ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় টিভির লাইসেন্স কীভাবে দেওয়া হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে লাইসেন্স দেওয়া হলে কোন নীতিমালার ভিত্তিতে দেওয়া হবে সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা তৈরি করবেন।
জাতীয়
৫ আগস্ট ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’, থাকবে সরকারি ছুটি

‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান’ দিবস হিসেবে ৫ আগস্ট সরকারি সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।
তিনি জানান, এখন থেকে প্রতিবছর এই দিনে ছুটি থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এ ব্যাপারে আগামী রবিবার (২২ জুন) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে গেজেট প্রকাশ হবে বলেও জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
তিনি আরও জানান, আগামী ১ জুলাই থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক কর্মসূচি শুরু হবে। আর চূড়ান্ত কর্মসূচি চলবে ১৪ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত। এ বিষয়ে আগামী ২৩ জুন সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে।
কাফি