ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ব্যাংকের চাকরিতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে আদেশ জারি
দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিআরপিডির পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিটি তফসিলভুক্ত সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গত ১৮ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহগুলোয় সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছরের পরিবর্তে ৩২ বছর নির্ধারণ করত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন, এ অধ্যাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছরের পরিবর্তে ৩২ বছর নির্ধারণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো। ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে কার্যক্রমে সক্রিয় ইবি ছাত্রদল
দুর্দিন হতে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আওয়ামী লীগ আমলে মিটিং-মিছিল করতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক ধাওয়া ও মারধরের শিকার হয় দলটির নেতাকর্মীরা। তবে এসকল বাধা-বিপত্তি থাকা সত্ত্বেও আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে দলীয় কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির সক্রিয়তার ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখে আসছে ইবি শাখা ছাত্রদল।
ছাত্রলীগ হামলায় শিকার ছাত্রদল কর্মীর বরাতে জানা যায়, ২০২২ সালে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ধাওয়া ও ব্যানার ছিড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফিজ আহমেদ বলেন, ইবি ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির পর থেকেই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে সকল প্রকার বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। গনঅভ্যুত্থানের পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার আকাঙ্খাকে বুঝে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতি চর্চা করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, ইবি ছাত্রদল তার কমিটি গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা বারবার আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা যখন ক্লাস বা পরীক্ষা দিতে আসতেন, তাদের ওপর হামলা করা হতো এবং তাদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে বাধা দেওয়া হতো।
শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আহবায়ক কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকে আমরা কেন্দ্রের সকল কর্মসূচি পালন করেছি। কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। কর্মসূচিতে আমাদের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেওয়া হয়েছে, ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালাতে বাধার সম্মুখীন হওয়ায় মেইন গেইট ও থানা গেইটে কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছি। সাংগঠনিক কার্যক্রম ও কর্মসূচি ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাবির সাত হলে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় উত্তাল ক্যাম্পাস
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) রাতের আঁধারে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হল, সৈয়দ আমীর আলী হল, মতিহার হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখ্শ হল, শেরে বাংলা হল এবং শাহ মখদুম হলের বিভিন্ন স্থানে এই জঘন্য ঘটনা ঘটে।
হলের মসজিদ ও বুক সেলফে রাখা কুরআন শরীফের পৃষ্ঠা আংশিক পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। শহীদ জিয়াউর রহমান হলের এক শিক্ষার্থী জানান, কুরআন শরীফের প্রথম ও শেষ দিকের কিছু অংশ পুড়িয়ে বইয়ের বাকিটুকু অক্ষত রাখা হয়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, সৈয়দ আমীর আলী হলে মুক্তমঞ্চে কুরআন পোড়ানোর পাশাপাশি দেওয়ালে ভারতীয় রাজনৈতিক দল বিজেপির লোগো আঁকা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। মসজিদের পেশ ইমাম জানান, সেদিন পবিত্র কুরআনের কয়েকটি পৃষ্ঠা পুড়িয়ে একটি চিঠি রেখে যাওয়া হয়। চিঠিতে গুনাহের স্বীকারোক্তি থাকলেও সাম্প্রতিক ঘটনায় সেই ধারা ভিন্ন, যা ইঙ্গিত দেয় এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়ে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও অপরাধীদের শনাক্ত করতে কাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, এটি গভীর ষড়যন্ত্রমূলক একটি ঘটনা। কুরআন পোড়ানোর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা চলছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার (১২ জানুয়ারি) প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। ‘আল কুরআনের অপমান সইবে নারে মুসলমান,’ ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’ স্লোগানে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়। ইসলামি ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন একাত্মতা পোষণ করে বিক্ষোভে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক হলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ বলেন, কোনো ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি এমন ঘৃণ্য কাজ করতে পারে না। এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমাদের সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং এতে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অর্থসংবাদ/জুবাইর/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গভীর এক চক্রান্ত চলছে: রাবি উপাচার্য
‘আমাদের প্রিয় এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গভীর এক চক্রান্ত চলছে। যেকোনো উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য কিছু পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে’ বলে মন্তব্য করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি এসব কথা জানান।
শনিবার দিবাগত রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারটি আবাসিক হলে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ইতোমধ্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনধিক সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপাচার্য আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত চারটি হলে পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য পরিস্কার, মুসলিমদের অত্যন্ত প্রিয় একটি জায়গায় আঘাত করা। এটা সুস্পষ্ট উস্কানী। একদল অত্যন্ত নীচ মানুষ নামের কলঙ্ক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা দুস্কর্মকারীদের জিততে দেব না। তারা চায় আমাদের ভেতর সম্প্রিতিকে নষ্ট করতে, এটা আমরা হতে দিতে পারি না। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পুরোদমে কাজ করছে। আমরা খুব শিগগিরই জানতে পারব কারা এই ন্যাক্কারজনক কাজগুলো করেছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হল, মাদার বখ্শ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলে শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে কে বা কারা পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ করেছিল।
তবে এখন পযর্ন্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
অর্থসংবাদ/জুবাইর/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ব্যবসায় অনুষদভুক্ত হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এসময় বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন তার নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাকক্ষে এ সভাপতি দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন। সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবু সিনা, অধ্যাপক ড. অরবিন্দু সাহা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমান ও অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, হিউম্যান রিসোর্স ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম সহ ঐ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম তিন বছর এবং এখানে চাকরির বয়স ২০ বছর। বিগত সময়ে সভাপতিদের সাথে থেকেছি এবং শিখেছি। কিন্তু যখন আমি এ দায়িত্বে এসেছি তখন বুঝতে পেরেছি এখানে দায়িত্ব ঠিক কতটুকু। সভাপতি হিসেবে আমার দায়িত্ব শেষ হয়েছে তবে শিক্ষক হিসেবে বিভাগে আছি বিভাগে থাকবো।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব পালন কালে আমি একটা প্রবলেম চরমভাবে ফেস করেছি সেটা হলো আমার মতো বিভাগ একটা-দুইটা আছে যেখানে প্রত্যেকটা রেজ্যুলেশন, প্রত্যেকটা নোটিশ চেয়ারম্যানকে টাইপ করতে হয়। এটা ইনহিউম্যান মনে হয়েছে আমার কাছে। এবং যে কারণে আমি দেখতাম সেলিনা ম্যাডাম চেয়ার থেকে নড়তে পারে না। আমার পাশে অন্য ডিপার্টমেন্ট আছে। সেখানে চেয়ারম্যান জানতেও পারে না কী নোটিশ দিতে হয়। এটি আসলে চেয়ারম্যানশিপ চালানোর জন্য সবচাইতে বড় বাঁধা এখানে। আমরা সবাই চেষ্টা করেছি একজন টাইপিস্ট নিয়ে আসবো কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় দেয় না। এ বিষয়টি প্রশাসনকে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। সব শেষে দায়িত্ব পালনের সময় বিভাগের সকল শিক্ষকদের পক্ষ থেকে যে সহযোগীতা পেয়েছি যার জন্য তাদের নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
নব-নিযুক্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, আমার ছাত্রের নিকট থেকে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। এটা আমার কাছে গর্বের বিষয়। এ বিভাগ পরিচালনা করতে আমার কষ্ট হবে না। এখানে সবাই পরিবাবের মতো এবং পূর্বে সকলের সহযোগিতা পেয়েছি। আগের সভাপতি মহাদয়গণ যেভাবে বিভাগ পরিচালনা করেছেন আমি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবো।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগ সংস্কারে ১০ দাবি, ৭ দিনের আল্টিমেটম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিভাগ সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন সমাজ কল্যাণ বিভাগের চলমান সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভাগ সংস্কারের ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে ৭ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ চান শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে কঠোর কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছেন বলে জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষকের পদে নিয়োগ দেও, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেও’, ‘শিক্ষা যদি এগিয়ে চাও, শিক্ষা সংকট দূর করাও’, ‘শিক্ষক সংকটের লাগাম টানো, শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ রক্ষা করো’, ‘শিক্ষক সংকট আর না আর না’, ‘ক্লাসরুমের সংকট কাটাও, শিক্ষার গতি বাড়াও’, ‘যথেষ্ট ক্লাসরুম চাই, শিক্ষার মান বাড়াতে চাই’, ‘শিক্ষার্থীর অধিকার দেও, ক্লাসরুম সংকট দূর করাও’, ‘ক্লাসরুম ছাড়া ক্লাস, আর না আর না’, ‘সেশনজটের এই খেল, শিক্ষার্থীর জীবন ফেল’, ‘স্বপ্ন ভাঙে সেশনজটে, পরিবর্তন আনতে হবে’, ‘সময়মতো ডিগ্রি দেও, শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচাও’, ‘আজই চাই সমাধান, সেশনজটের অবসান’, ‘অন্য বিভাগে সেমিনার লাইব্রেরি, আমরা কেন লাইব্রেরি হীন’, ‘অন্য বিভাগ সুবিধাপ্রাপ্ত, আমরা কেন অবহেলিত’, ‘শিক্ষকদের রোষানলে, আর না আর না’, ‘অন্য বিভাগ স্বর্গে, আমরা কেন মর্গে’, ‘জবাব চাই জবাব চাই বিভাগ জবাই চাই’, ‘জবাব চাই জবাব চাই প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো নির্দিষ্ট রুটিন প্রনয়ণ এবং প্রতিটি কোর্সের নুন্যতম ক্লাস নিতে হবে। সেশন জট নিরসনে তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেক সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গেস্ট টীচার দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।পর্যাপ্ত ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করতে হবে। সেমিনার লাইব্রেরী বরাদ্দ দিতে হবে। ইনকোর্স সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগে নিতে হবে এবং নম্বর প্রকাশ করতে হবে। বর্তমান ট্রেজারার, জাহাঙ্গীর আলম স্যারকে সমাজকল্যাণ বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানের দায়িত্ব দিতে হবে। প্রতি বছর বিভাগ থেকে শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেটা সম্পূর্ণ বিভাগের অর্থায়নে করতে হবে। আন্দোলন পরবর্তী প্রভাব কোনো শিক্ষার্থীর উপর যেনো না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কয়েকবার দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু কোনো কর্ণপাত নাই। ৯ দফার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। প্রয়োজনে আমরণ অনশনে নেমে যাব। শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কিছু সময় নিতে পারে কিন্তু খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ সহ অন্য দাবিগুলো সব মেনে নিতে হবে। তাদের দাবি সব রোডম্যাপ রাজপথে ঘোষণা দিয়ে ক্লাসে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি জানান, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে অর্থাৎ এক সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান সংস্কার দেখতে পাবে শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বিভাগের শিক্ষকরা স্বাক্ষর করেছেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্যের সম্মতিক্রমে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমকে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। খণ্ডকালীন শিক্ষক সহ সব সংকট দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রেজারার দেখভাল করবেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহের মধ্যে বর্তমান ট্রেজারারকে বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে আসলে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগের প্রশাসন কী করছে বা করছে না সেটা দেখার বিষয় না। আমি দায়িত্ব নিয়েছি যেহেতু প্রতিদিন জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। শিক্ষার্থীদের এইটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে আমি যেখানে থাকবো সেখানে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান ফলাফল দেখতে পাবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম