ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্বতন্ত্র ভর্তির দাবিতে ইবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আসন্ন গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে একক ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইবি সংসদ।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়। পরবর্তীতে দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর জমা দেয় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। এতে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রমের পক্ষে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর নেয়া হয়।
এ সংগঠনটির দাবি, কর্মসূচির উদ্দেশ্য গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালুর দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করা এবং গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না সেটা তুলে ধরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য, শিক্ষা নীতি ও স্বতন্ত্রতা বজায় রাখতে কঠিন হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীরা মেধার সঠিক পরিচয় দিতে পারতেছে না। তাই ১১০০ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক সমর্থনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সম্মান দেখানো উচিত বলে মনে করে।
এসময় সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, বিগত কিছুদিন আগে আমরা একক ভর্তি পরীক্ষা চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছিলাম। সেই দিন ভিসি স্যার বরাবর স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলাম। স্যার আমাদের সংগঠনকে বিষয়টা দেখবে বা বিবেচনা করবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ প্রশাসন নেননি। আজকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর নিয়ে জমা দিয়েছি। এটা শুধু ছাত্র ইউনিয়নের দাবি না, এটা এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি। আমরা চাইবো এবিষয়ে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে ভর্তি পরীক্ষার জন্য কমিশন গঠন করতে।
এসময় ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একসাথে থাকার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দিয়েছেন। এতে ভালো ও খারাপ দিক দুটাই আছে। শিক্ষার্থীদের দাবি থাকতে পারে। তবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি এডমিনিস্ট্রেশনের অধীনে। যেহেতু একসাথে থাকার জন্য মিনিস্ট্রি শুরু থেকেই নির্দেশিকা দিয়ে আসছে। সুতরাং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানেই আইন বা আদেশ। গণস্বাক্ষরের বিষয়ে মিটিং এ প্রস্তাব উপস্থাপন করবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু মঙ্গলবার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে। আবেদন চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ মে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মো. আবুল কাসেম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহী প্রার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ৭০০ টাকা আবেদনকৃত কলেজে (কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অথবা সরাসরি) ২ মার্চের মধ্যে অবশ্যই জমা দিতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লিখিত সব শর্ত মেনে অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
জানা গেছে, ভর্তি কার্যক্রমে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের উত্তর ১ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ৪০ শতাংশ ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ৬০ শতাংশ যোগ করে সর্বমোট ২০০ নম্বরের মধ্যে মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে। পরবর্তীতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে বিষয়ভিত্তিক মেধা তালিকা প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের বিষয় বরাদ্দ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ও পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম উল্লেখ থাকবে। শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। পরীক্ষার্থী প্রয়োজনে সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে তবে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য ৩ কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে পৃথক ৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সফলভাবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য পরামর্শ দান, নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন বা সংশোধন এবং ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন বা পরিমার্জন করার বিষয়ে সুপারিশ করবে এসব কমিটি।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিগুলো ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশাকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন বা সংশোধনের জন্য উপ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ইতিমধ্যে প্রথম সভা করেছে।
এ ছাড়া, ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন বা পরিমার্জন করার বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হককে আহ্বায়ক করে পৃথক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সংশোধন প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে এবং বেশ কিছু প্রস্তাব পাওয়া গেছে। প্রস্তাবগুলো সমন্বয় করার কাজ বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলির আবেদন শুরু সোমবার
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একই উপজেলা বা থানার ভেতর অনলাইনে বদলির আবেদন আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। শিক্ষকরা ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বদলির আবেদন করতে পারবেন।
আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশনস) ড. মো. আতাউল গনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য বলেছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা এক আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্তঃউপজেলা বা থানা বদলির অনলাইনে আবেদন করবেন। ২৫ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষকরা সহকারী শিক্ষকের আবেদন যাচাই করবেন।
২৬ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সহকারী উপজেলা বা সহকারী থানা শিক্ষা অফিসাররা শিক্ষকদের বদলির আবেদন যাচাই সম্পন্ন করবেন। ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার আবেদনগুলো যাচাই ও অগ্রায়ণ সম্পন্ন করবেন। ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা সহকারী শিক্ষকদের বদলির আবেদন যাচাই ও অনুমোদন সম্পন্ন করবেন।
আন্তঃউপজেলা বা থানা বদলিতে অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শর্ত হিসাবে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা সর্বোচ্চ ৩টি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। কোনো শিক্ষকের তিনটি পছন্দ না থাকলে শুধু ১ বা ২টি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
যাচাইকারী কর্মকর্তারা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর জারি করা সর্বশেষ ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা, ২০২৩’ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে অগ্রায়ণ করবেন।
যাচাই করে পাঠানোর পর তা পুনর্বিবেচনা করার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর সর্বমোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলের জন্য ৬০ হাজার ৯৫ জনকে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা হয়।
আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এসব পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এ বছর ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
এতে বলা হয়েছে, এবছর ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ছিল ৪০। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ২২ হাজার ১৫৯ জন, যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এছাড়াও উত্তীর্ণ মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন, যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৯০ দশমিক ৭৫।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন জানান, দুপুরে ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত সভায় আজ ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার পর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানতে পারবেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও ফল বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তায় ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। আবেদনের সময় দেওয়া মোবাইল নম্বরে ফল পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে এ পরীক্ষা হয়।
জানা গেছে, এবছর আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৬১টি। কোটাসহ মেডিকেলে মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি। এ হিসাবে এ বছর একটি আসনের পরিবর্তে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
গুপ্ত হত্যা ও লাল সন্ত্রাসের আহ্বান জানানো মেঘমল্লার বসুকে গ্রেফতারের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে সমবেত হন তারা।
এসময় ‘লাল সন্ত্রাসের গদিতে, আগুন জালো এক সাথে, ‘লাল সন্ত্রাসের ঠিকানা, বাংলাদেশে হবে না, ‘লাল সন্ত্রাসী বসুকে, গ্রেপ্তার করো, করতে হবে, ‘হৈ হৈ রৈরৈ মেঘমল্লার গেলি কই’; ‘জঙ্গি বসুর ঠিকানা এ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশে হবে না’ উদ্যানের গাঁজাখোর, উদ্যানে ফিরে যা’; ‘লাল সন্ত্রাসের চামড়া, তুলে নেবো আমরা’; ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট একশান’; ‘লাল সন্ত্রাসের শাহবাগীদের গাজাখোরদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান’; বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম দেশ থেকে আওয়ামী লীগ বিদায়ের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বিদায় করেছি, কিন্তু না তারা প্রথমে রিকশা লীগ সেজেছে, আনসার লীগ সেজেছে সর্বশেষ তারা রেড টেরোরিস্ট সেজেছে। এই রেড টেরোরা রাশিয়াতে আমাদের ভাইদের কে মেরেছে, চীনে মেরেছে, যখন আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। তারা হাজার হাজার ভাইদেরকে রেড টেরোরের মাধ্যমে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, মেঘমল্লার বসু, আপনি কী গোপন এজেন্ডার মাধ্যমে আবার দেশে অস্থির করে তুলতে চাচ্ছেন? এদেশের ১৮ কোটি মানুষ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব সময় সজাগ আছে। এদেশে কোনো ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী নাই, হিন্দু আমার, মুসলিম আমার, আদিবাসীরা আমার, ১৮ কোটি মানুষ আমার। দেশে আমাদের শান্তিতে থাকতে দিন। এদেশে ১৮ কোটি সংগ্রামীদের সামনে আপনরা টিকে থাকতে পারবেন না। দেশে মানুষ সর্বদা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ রুখে দিতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, ‘লাল সন্ত্রাসই একমাত্র পথ বা উপায়’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মেঘমল্লার বসু। তিনি মনে করেন, জনগণের সুরক্ষায় প্রতিরোধমূলক সহিংসতা সংঘটিত করতে হবে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে এক ইংরেজি বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম