আন্তর্জাতিক
ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে অস্ত্র বাংলাদেশ: ওয়েইসি
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলাকে হাতিয়ার করে ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান ও হায়দরাবাদের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এমপি আসাদুদ্দিন ওয়েইসি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
ওয়েইসি বলেন, ভারত সরকারের উচিত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা নিয়ে মোহম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে কথা বলা। বাংলাদেশের এই ধরনের ঘটনাকে হাতিয়ার করে ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে কেন?
তিনি বলেন, আমি শুক্রবার সংসদে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন কেন? এখান থেকে তিনি বক্তব্য প্রচারই বা করছেন কেন? ভারত সরকার কি তার বক্তব্যকে সমর্থন করে?
গত কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-নির্যাতনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় বিজেপি। কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন অভিযান, পেট্রাপোল ও ঘোজাডাঙা সীমান্ত অবরোধ, কলকাতার রানি রাসমণি রোডে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির সমাবেশে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশে ধৃত চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন মঞ্চ থেকে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি-বিরোধীদের মতে, বাংলাদেশকে সামনে রেখে রাজ্যে মেরুকরণের রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে আসাদুদ্দিনের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনীতিকদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সিরিয়ার ২৬ টন স্বর্ণের মজুত অক্ষত!
বিদ্রোহীদের তীব্র আক্রমণের মুখে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ গত ৮ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়া চলে যান। তারপরও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রায় ২৬ টন স্বর্ণর মজুত অক্ষত রয়েছে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরুর সময়ও ঠিক একই পরিমাণ স্বর্ণ ছিল।
এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুবই কম।
সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের বরাতে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল বলেছে, ২০১১ সালের জুনে দেশটিতে স্বর্ণের মজুত ছিল ২৫ দশমিক ৮ টন। রয়টার্সের হিসাবমতে, অর্থের অঙ্কে এটি ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের সমান।
সূত্রগুলোর একটি রয়টার্সকে বলেছে, নগদ অর্থে বর্তমানে সিরিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ২০০ মিলিয়ন (২০ কোটি) ডলারের মতো। অন্যদিকে আরেকটি সূত্র বলেছে, রিজার্ভের পরিমাণ ‘কয়েক শ মিলিয়ন ডলার’।
সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরুর বছর ২০১১ সালের শেষ নাগাদ সার্বিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগের বছর ২০১০ সালে আইএমএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল আনুমানিক ১৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
সিরিয়ার বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, দেশটির ডলারের রিজার্ভ প্রায় শূন্য হয়ে আসার পেছনে কারণ হলো আসাদ সরকার খাদ্য, জ্বালানি ও যুদ্ধ তৎপরতায় এখান থেকে বেহিসাবি খরচ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ সম্পর্কে সিরিয়ায় বিদ্রোহী যোদ্ধাদের নেতৃত্বাধীন নতুন ক্ষমতাসীন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
১ হাজার পয়েন্টের বড় পতন ভারতের শেয়ারবাজারে
ভারতের শেয়ারবাজারে হাজার পয়েন্টের বেশি পড়ল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সেনসেক্স সূচক। আর ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) নিফটি সূচকের অবস্থাও ভালো না। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আবারও ৮০ হাজারের ঘরে নেমে এসেছে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)। এদিন লেনদেন শেষে সেনসেক্স সূচকটি নেমেছে ৮০৬৮৪ পয়েন্টে। এতে সূচকটি কমেছে ১০৬৪ পয়েন্ট। আর ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটি সূচক কমেছে ৩৩২ পয়েন্ট।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) শেয়ার সূচকের দৌড় শেষ হয়েছে ২৪,৩৩৬ পয়েন্টে।
শেয়ার বাজারের এই পতনের নেপথ্যে দু’টি কারণের কথা বলেছেন স্টক বিশেষজ্ঞেরা। প্রথমত, কিছু দিনের মধ্যেই সুদের হারের ব্যাপারে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই হার কমলে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বেশি লাভ করার সম্ভাবনা বাড়বে। সেক্ষেত্রে আরও চাঙ্গা হবে আমেরিকার শেয়ার বাজার। আর সেই আশাতেই ভারতীয় শেয়ারবাজারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের একটা বড় অংশ।
অন্যদিকে নভেম্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ডলারের নিরিখে হু হু করে কমেছে ভারতীয় টাকার দাম। বর্তমানে রেকর্ড পতনের পর সেটি ৮৪.৯২-তে নেমে এসেছে। ফলে ভারতের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের লাভের অংক কমেছে। এর জেরে বম্বে ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে বিনিয়োগের উৎসাহ হারাচ্ছেন তাঁরা।
ব্রোকারেজ হাউজগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ১৪৯৭টি শেয়ারের দাম বেড়েছে। দর কমেছে ২৩৬০টি স্টকের এবং ৮৫টি শেয়ার অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিন নিফটিতে সর্বাধিক লোকসান হয়েছে শ্রীরাম ফিন্যান্স, ভারতী এয়ারটেল, গ্রাসিম ইন্ডাস্ট্রিজ়, হিরো মোটোকর্প এবং জেএসডব্লু স্টিলের স্টকে। অন্য দিকে লাভের মুখ দেখিয়েছে একমাত্র সিপলা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনে ১০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়া থাকতে পারবেন পর্যটকরা
বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চীন ভিসামুক্ত অবস্থানের সময়সীমা তিনগুণ বাড়িয়েছে। দেশটির স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ইমিগ্রেশন জানিয়েছে, এখন থেকে পর্যটকরা চীনে ১০ দিন বা ১৪০ ঘণ্টা ভিসা ছাড়াই অবস্থান করতে পারবেন। খবর সিএনএনের।
আগে চীনে ৭২ ঘণ্টা (৩ দিন) বা ১৪৪ ঘণ্টা (৬ দিন) পর্যন্ত ভিসামুক্ত থাকার সুযোগ ছিল। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এই সময়সীমা ১৪০ ঘণ্টায় উন্নীত করা হয়েছে। চীন আশা করছে, এ উদ্যোগ বিদেশি পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের বেশি করে দেশটিতে ভ্রমণে উৎসাহিত করবে, যা দেশটির পর্যটন খাত এবং অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করবে।
ভিসামুক্ত নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ব্রাজিল, কানাডাসহ ৫৪টি দেশের নাগরিকরা চীনে ভ্রমণ করতে পারবেন। এ সুবিধা ব্যবহার করে তারা চীনের ২৪টি প্রদেশ এবং ৬০টি আন্তর্জাতিক বন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে শর্ত হলো, এটি কেবল তৃতীয় কোনো দেশে বা অঞ্চলে ট্রানজিটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বেইজিং, সাংহাই, চেংডু, গুয়াংজু প্রভৃতি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলো ভিসামুক্ত নীতির আওতায় পড়ছে। তবে তিব্বত ও জিনজিয়াং-এর মতো বিশেষ অঞ্চলে প্রবেশ করতে অতিরিক্ত অনুমতি নিতে হবে।
হংকং ও ম্যাকাও বর্তমানে ২৪০ ঘণ্টা ভিসামুক্ত ট্রানজিট সুবিধা দিচ্ছে। এ দুই অঞ্চল তৃতীয় গন্তব্য হিসেবে ব্যবহৃত হলে পর্যটকরা এ সুবিধা নিতে পারবেন।
চীনের এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পর্যটন খাতের সঙ্গে দেশের সংযোগ আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
১০০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাব থেকে বাদ পড়লেন আদানি-আম্বানি
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, ভারতের দুই ধনকুবের গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি বিশ্বের অভিজাত এলিট সেন্টিবিলিয়নিয়ার্স ক্লাব বা ১০০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাব থেকে ছিটকে পড়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
চলতি বছরের শুরুতে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্তের বিয়ের উদযাপনের জমক দেখে মানুষের চোখ কপালে উঠেছিল। সাত মাস ধরে চলা এই বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের বিনোদন দিতে রিহানা থেকে জাস্টিন বিবার কাকে না আনা হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানের আনুমানিক ব্যয় ৬০০ মিলিয়ন ডলার, এই অনুষ্ঠান পৃথিবীবাসীর সামনে ভারতের সুপার ধনীদের আত্মবিশ্বাসের ছবি তুলে ধরেছিল। তবে ছয় মাস পর পরিস্থিতি হঠাৎ বদলে গেছে।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি দুই ভারতীয় ধনকুবেরই কঠিন সময় পাড় করছেন। বর্তমানে তাদের ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত সুনাম উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রিলায়েন্সের এনার্জি ও রিটেল ব্যবসা কিছুটা থমকে যাওয়ায় আম্বানির ব্যবসা তেমন ভাল যাচ্ছে না এবং সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে।
অন্যদিকে, মার্কিন বিচার বিভাগের তদন্তের মুখে পড়ে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে।
গত বছর তার বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের পর গৌতম আদানির সম্পদের মূল্য কমে যায়। সেই প্রথমবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো নড়েচড়ে বসে। সেই থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছেন আদানি।
এরপর তিনি যখন ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রায়ের জেরে বড় ধরনের সংকটে পড়েছেন।
গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালতের রায়ের জেরে গৌতম আদানির সম্পদের মূল্য অনেকটাই কমে গেছে। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের তদন্তের আওতায় রয়েছেন।
তবে দুইবারই অভিযোগ অস্বীকার করে আদানি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে এগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মার্কিন অভিযোগের পরে তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠান ‘বিশ্বমানের নিয়ন্ত্রক কমপ্লায়েন্স’ মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোম্পানির বিরুদ্ধে হওয়া প্রতিটি আক্রমণ ‘আমাদের আরও শক্তিশালী করে তোলে’।
সম্ভবত এগুলোর ফলে নতুন বছরে আদানির প্রতিষ্ঠান এবং তার শেয়ারের দামের ওপর চাপ পড়বে।
হিন্ডেনবার্গের আক্রমণের পর আদানি তার আর্থিক অবস্থান শক্তিশালী করতে জোর পদক্ষেপ নেওয়ার পর গত জুন মাসে তার সম্পদ রেকর্ড ১২২.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।
তবে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, বর্তমানে তিনি ৮২.১ বিলিয়ন ডলারের মালিক। তবে সম্প্রতি বিলিয়ন ডলারের ক্লাব থেকে ছিটকে পড়া একমাত্র ভারতীয় ধনী নন তিনি।
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির সম্পদও কমেছে, তবে তার সম্পদ কমার হার আদানির চেয়ে কিছুটা কম।
জুলাই মাসে আম্বানির সম্পদ রেকর্ড প্রায় ১২০.৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।
তার প্রধান ব্যবসা রিলায়েন্স গ্রুপ ভালো আয় করতে না পারা থেকে শুরু করে, জ্বালানি ব্যবসায় সংকট এবং রিটেইল ব্যবসায় ভোক্তা চাহিদা কমে গেছে। গত ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৯৬.৭ বিলিয়ন ডলারে।
আম্বানি তার ব্যবসার উন্নতির জন্য একটি কৌশলগত পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। তিনি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তার কনগ্লোমারেট প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা, খুচরা ব্র্যান্ড এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। তবে খুচরা ব্যবসায় বিক্রি ও মুনাফার হার কমে গেছে।
এছাড়া, ভারতের প্রধান শহরগুলোর মুদির দোকান এবং গৃহস্থালির পণ্য বাজারে ডিজিটাল ব্যবসায়ীরা তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন দরকার: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বদল আনা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রবিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’স ওয়ার্ল্ড’ নামের আন্তর্জাতিক নীতি-বিষয়ক একটি নতুন সাময়িকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব এখন আর দ্বিমেরু বিশিষ্ট বা এককেন্দ্রিক নেই। তাই পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বদল আনা দরকার। তিনি আরও যোগ করেন, ভারতের বিদেশি নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলো থেকে শিখে নেওয়া মূল্যবান পাঠ।
তিনি বলেন, গত দুই দশকে বিশ্বায়ন তীব্র আকার ধারণ করেছে। দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা অনেক বেশি বেড়েছে। এসব কিছুর পাশাপাশি প্রযুক্তিও মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বড় পরিবর্তন এনেছে।
তিনি যোগ করেন, গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বিদেশে সফর করেছেন, তখন প্রযুক্তি, মূলধন, সর্বোত্তম অনুশীলন এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত আলোচনা অনেক বড় ভূমিকা নিয়েছে। তিনি ভারত সরকারের বহির্বিশ্বে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এটি দেশের জাতীয় উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
জয়শঙ্কর বলেন, আমরা যখন পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনার কথা বলি, যখন নেহরু-পরবর্তী পররাষ্ট্রনীতি গঠনের কথা হয়, তখন এসবকে রাজনৈতিক আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা ঠিক হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বমঞ্চে ভারত ক্রমশ ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী’ দেশে পরিণত হচ্ছে। আগামী বছরগুলোতে বিদেশে ভারতের প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা ‘নাটকীয়ভাবে বাড়বে’। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা গতিশীলতার বিস্ফোরণ দেখতে যাচ্ছি। তাই বড় করে ভাবা, দীর্ঘমেয়াদে ভাবা এবং স্মার্ট করে ভাবাই ভবিষ্যতের পররাষ্ট্রনীতি হবে বলে আমার ধারণা।