আন্তর্জাতিক
অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন
আকস্মিক সামরিক আইন জারি ঘিরে সৃষ্ট অচলাবস্থার মাঝে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সংসদে দ্বিতীয় দফার ভোটে অভিশংসিত হয়েছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির সংসদের বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে পড়ে ২০৪ ভোট, বিপক্ষে পড়ে ৮৫ ভোট। পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের মধ্যে তিন জন সংসদ সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন। এছাড়াও আটটি ভোট অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, ইউন-এর নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের ১৯২টি বিরোধী দলগুলোর নিয়ন্ত্রণে। অভিশংসন কার্যকর হওয়ার জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন। সে হিসাবে বিরোধী দলকে পিপিপির অন্তত ৮টি ভোট পেতে হতো। অপরদিকে, শাসক দলের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ১০৮ জন।
সামরিক আইন জারি ইস্যুতে এর আগে ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপি) প্রথম তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের চেষ্টা চালায়।
গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। যদিও জনগণের চাপের মুখে ছয় ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি। তার এই পদক্ষেপের কারণে দেশটির জনগণ হতবাক হয়ে পড়ে। তার নিজ দলের মধ্যেও বিভক্তি তৈরি হয়। মেয়াদের অর্ধেক পথে এসে ঝুঁকির মুখে পড়ে তাঁর প্রেসিডেন্ট পদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সিরিয়ায় গম রপ্তানি স্থগিত করলো রাশিয়া
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে গম রপ্তানি স্থগিত করেছে রাশিয়া। মস্কো এমন এক সময় এ সিদ্ধান্তের কথা জানালো যখন রাশিয়া থেকে ছেড়ে আসা দুইটি গম বোঝাই জাহাজ এখনো সিরিয়ার গন্তব্যে পৌঁছেনি।
রাশিয়া হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ গম রপ্তানিকারক দেশ। সিরিয়ায় তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও আসাদ আমলে শস্য রপ্তানি অব্যাহত রেখেছিল।
রাশিয়ার সরকারি একটি সূত্র সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানিয়েছে, সিরিয়ায় সরবরাহ স্থগিত করা হয়েছে। কারণ দামেস্কের পক্ষে কারা আমদানি কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্র জানিয়েছে, সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ গম রপ্তানি করার সাহস দেখাবে না।
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার পরিবার এরই মধ্যে রাশিয়ায় আশ্রয় পেয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন দীর্ঘ এই স্বৈরশাসক। সূত্র: রয়টার্স
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
২০২৩ সালে বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলা হয়নি
২০২৩ সালে বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক সহিংসতাকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই সময়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের সন্ত্রাসবাদের নামে আটক করা হয়েছে। এমনকি এতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গত বছর সরকার কঠোরভাবে জঙ্গিদের দমনের চেষ্টার অংশ হিসেবে আল কায়েদা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং আইএসআইএস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠীর সদস্যদের আটক করেছে। এছাড়া মার্কিন সরকারের কাছে প্রশিক্ষিত বাংলাদেশে পুলিশের বিশেষ ইউনিট একাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনলাইনে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তৈরি এ আইনটি সংশোধন করা হলেও এতে নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মে মাসে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলায় চট্টগ্রামে ২ সেনা নিহত এবং গত মার্চে আরও এক সেনা নিহত হন। এ ছাড়া কেএনএফের বিরুদ্ধে নতুন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়াকে (জেএএইচএস) প্রশিক্ষণের বিষয়টিও উঠে এসেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বোমা হামলার হুমকি
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে একটি বোমা হামলা হুমকির তদন্ত করছে দেশটির পুলিশ। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ওপর এই হুমকি ছিল বলে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জানিয়েছে তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আরবিআইয়ের নবনিযুক্ত গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার অফিসিয়াল মেইলে হামলার বিষয়ে রুশ ভাষায় লিখিত একটি সতর্ক বার্তা আসে। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত এখনও চলমান আছে।
চলতি বছর ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সসহ অনেক স্থাপনা উদ্দেশ্য করে কয়েকশ’ বোমা হামলার হুমকি পেয়েছে। অবশ্য এখন পর্যন্ত সবই ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।
গত সোমবার দিল্লির অন্তত ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেইলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দেশটির একাধিক বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্স প্রায় হাজার খানেক বোমা হামলার হুমকি পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় সংখ্যাটি ১০ গুণ বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিউনিকেশনের উপদেষ্টা জন কিরবি এসব কথা বলেন।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কয়েকটি হিন্দু আমেরিকান গোষ্ঠী প্রতিবাদ মিছিল করছে। হোয়াইট হাউসের বাইরেও এটি বিক্ষোভ হয়েছে। তারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর হিন্দুদের হত্যা এবং মন্দিরে আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন কি এ বিষয়ে অবগত? তিনি কি জাতিসংঘের সাইডলাইনে তাঁর বন্ধু এবং অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন?
জবাবে জন কিরবি বলেন, আমরা এ ঘটনাগুলো খুব, খুব, খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রেসিডেন্টও ঘটনাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে এবং আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি যেন তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো যায়।
কিরবি আরও বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বাংলাদেশি সব নেতার সঙ্গে আমাদের আলোচনায় জানিয়েছি যে, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, ধর্ম বা জাতি নির্বিশেষে সব বাংলাদেশির নিরাপত্তা তাঁরা নিশ্চিত করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের এ প্রতিশ্রুতি রক্ষায় বাধ্য করতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারত প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর চার বছরের মেয়াদ শেষ করছেন, এই সময়ে ভারত–মার্কিন সম্পর্কের প্রধান অর্জনগুলো কী বলে আপনি মনে করেন?
জবাবে জন কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রশাসনের সময়ে ভারত–মার্কিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যে উন্নতি লাভ করেছে, তা নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত। উদাহরণস্বরূপ, আমরা ইন্দো–প্যাসিফিক কোয়াডকে একটি উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছি। অবশ্য আমি কোয়াডের সঙ্গে বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কতবার বৈঠক হয়েছে সেটি ঠিক বলতে পারব না।
তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্কের অনেক দিক উন্নতি লাভ করেছে: সামরিক থেকে সামরিক যোগাযোগ, প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা অংশীদারত্ব, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক— এসব ক্ষেত্রে প্রচুর অগ্রগতি হয়েছে।
আসন্ন (ট্রাম্প) প্রশাসনের কাছে কোয়াড এবং অন্যান্য আমেরিকান উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের প্রত্যাশা কী? এমন প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি বলেন, এটি আসন্ন প্রশাসনের ওপর নির্ভর করবে।
আপনি কি মনে করেন ভারত–মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে দ্বিদলীয় সমর্থন অব্যাহত থাকবে? এমন প্রশ্নে জন কিরবি বলেন, আমি ভবিষ্যতে এমন কিছু দেখছি না যা এই বিষয়ে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ভারত–মার্কিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি শক্তিশালী দ্বিদলীয় সমর্থন রয়েছে এবং আমি মনে করি, এটি অব্যাহত থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
শপথ অনুষ্ঠানে শি জিনপিংকে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের অন্তর্বর্তীকালীন মুখপাত্র মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। এসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ট্রাম্পের আমন্ত্রণে শি জিনপিং সাড়া দিয়েছেন কি না? জবাবে ক্যারোলিন বলেন, চীনা কর্তৃপক্ষ এখনো বিষয়টি নির্ধারণ করেনি।
চীনা প্রেসিডেন্ট ছাড়াও অন্যান্য বিশ্বনেতাকে ট্রাম্প তার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের কারও নাম নির্দিষ্ট করে বলেননি ক্যারোলিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে ক্যারোলিন বলেন, এটা একটা উদাহরণ। ট্রাম্প এমন দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে একটি খোলামেলা আলোচনার পথ তৈরি করছেন, যেগুলো শুধু যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র নয়, প্রতিপক্ষ-প্রতিযোগীও। ট্রাম্প যে কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক। তবে তিনি সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে এগিয়ে রাখবেন।
৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পরপরই তাকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট। বার্তায় বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক স্থিতিশীল, স্বাস্থ্যকর ও টেকসই করতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন শি জিনপিং।
শি যদি ওয়াশিংটন সফর করেন, তাহলে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে দেশ দুটির মধ্যে বিতর্কিত যে বাণিজ্য ও সামরিক ইস্যু রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনার প্রথম সুযোগ তৈরি হতে পারে।
এদিকে, ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন পর্যন্ত আমন্ত্রণ পাননি বলে নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন।