রাজনীতি
বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের এখনো চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে: জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার প্রকৃত রুপ রহস্যে ঘেরা। প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনো চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা মুক্ত স্বাধীন দেশ পেয়েছি। যুগ যুগ ধরে জাতি তাদের অবদানের কথা স্মরণ করবে। ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের কারা হত্যা করল? স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আজও জাতির সামনে তা তুলে ধরা হয়নি। যারা দেশকে বন্দুকের নলে লিজ দিতে চেয়েছিল এবং বিদেশি আগ্রাসনের এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে দায় রয়েছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাংবাদিক ও চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের নিখোঁজের প্রসঙ্গ টেনে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের লড়াই সংগ্রাম ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঘটনার ডকুমেন্টারী গবেষণার কাজে হাত দিয়েছিলেন। বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে গিয়ে হত্যার কারণ, তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ খুজে বের করতে চেয়েছিলেন। জাতি ভেবেছিল জহির রায়হানের এই ডকুমেন্টারি প্রকাশ হলে অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তাকে আর খুজে পাওয়া গেল না। তাই আজও রাজনীতিবিদ ও জাতি নিয়ে যারা চিন্তা করেন তাদের কাছে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড রহস্য ঘেরা। তার ডকুমেন্টারি কোথায় আজও জানা যায়নি।
ভারত কখনোই আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধুর পরিচয় দিতে পারেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের ভোটাধিকার এদেশের মানুষ নির্ধারণ করবে। ১৪, ১৮ এবং ২৪ তিনটা ভোট আমরা দিতে পারিনি। এই তিনটা ভোটই জনগণ বর্জন করেছে। আর এই আধিপত্যবাদী শক্তি (ভারত) এদেশে তাদের একজন সেবাদাস, দল দাসদেরকে প্রলুব্ধ করে তাদের মনোনীত সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫৩ বছর পরেও ভারত কখনো আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধুর পরিচয় দিতে পারেনি। আমরা ভারতের শত্রু নয়, বরং ভারতে বছরে বছরে যারা শাসন ক্ষমতায় এসেছেন তারা আমাদের শত্রুতা করেছে। তারা আমাদের ক্ষতি চেয়েছে, আমরা তাদের ক্ষতি চাইনি।
কাফি

রাজনীতি
বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় জামায়াত আমিরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সেখানে বলা হয়েছে জামায়াত আমিরের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফোন করে তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার সামগ্রিক খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ডা. শফিকুর রহমানের আশু রোগমুক্তি কামনা করেন।
ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ না করলেও জানা গেছে, রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জামায়াত আমির। আগামী সপ্তাহে তার বাইপাস সার্জারি হওয়ার কথা আছে।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি সমাবেশে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে তার ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করা হয়।
চিকিৎসকরা তার হার্টে তিনটি প্রধান রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তার এ অবস্থায় বাইপাস সার্জারি করানোই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
রাজনীতি
হৃদরোগে আক্রান্ত জামায়াত আমির, বাইপাস সার্জারির পরামর্শ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি সমাবেশে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে তার ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করা হয়।
চিকিৎসকরা তার হার্টে তিনটি প্রধান রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার এ অবস্থায় বাইপাস সার্জারি করানোই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে ‘রিং পরানো’র (স্টেন্টিং) ব্যবস্থার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে এ পর্যন্ত বাইপাস সার্জারি নাকি রিং পরানো হবে কিংবা দেশেই চিকিৎসা নেবেন, নাকি বিদেশে যাবেন— এসব বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের পক্ষ থেকে শিগগির বিস্তারিত জানানো হবে। জামায়াত আমির দেশে চিকিৎসা নেওয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। মনোবলের কারণে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন। এমনকি গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সভায়ও যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত জামায়াত আমিরকে বাইপাস সার্জারির পরামর্শজামায়াতের জাতীয় সমাবেশে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াত আমির-ফাইল ছবি
গত ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশে হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে জামায়াত আমিরকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতাল ত্যাগ করলেও ফলোআপে থাকেন। এনজিওগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার হার্টে গুরুতর ব্লক ধরা পড়ে।
আমিরের সুস্থতা কামনায় জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে তিনি বর্তমানে স্থিতিশীল। রীতিমতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ইবনে সিনা ট্রাস্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) জাহিদুর রহমান বলেন, বাইপাস সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন এমনটা জানা নেই। গতকালও তো তিনি একটি সভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
রাজনীতি
মানুষের নিরাপত্তা ছাড়া সংস্কার কোনো কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না।
মঙ্গলবার সকালে আমরা বিএনপি পরিবার ও মায়ের ডাকের যৌথ আয়োজনে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ভালো ভালো জায়গা দখল করেছেন। অনেকে মন্ত্রী হয়েছেন। আবার কেউ কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য দখলে নিয়েছেন। কিন্তু যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের দিকে কেউ তাকায়নি।
তিনি বলেন, গুমের শিকারদের ফিরিয়ে দিতে না পারলেও সবাইকে তাদের সন্তানদের দায়িত্ব নিতে হবে। গুম কমিশনের আশানুরূপ কোনো অগ্রগতি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে গুম পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে।
রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘আমরা বিএনপি পরিবার ও মায়ের ডাক’-এর উদ্যোগে ‘যৌথ গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনীতি
এক বছরে বিএনপির আয় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ২০২৪ সালে দলটির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। বর্তমানে দলটির ফান্ডে জমা আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এ তথ্য বলেন।
রিজভী বলেন, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ, এককালীন অনুদান থেকে আয় হয়েছে। আর ব্যয় হয়েছে ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচি বাস্তবায়ন, লিফলেট, পোস্টার ইত্যাদি ছাপানোয়।
তিনি বলেন, পূর্বে নির্বাচন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা হারিয়েছিল, নির্বাহী বিভাগের অধীনে ছিল, ফ্যাসিবাদের অস্ত্র হয়ে উঠেছিল, দিনের ভোট রাতে করেছিল। একটি লুটের নির্বাচন করে কমিশন বৈধতা দিয়েছিল। এছাড়া মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী লোক দিয়ে ইসি গঠন করা হয়েছিল।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার পদলেহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রত্যাশা, তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। নির্বাচন নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। আস্থার প্রতিষ্ঠান হবে নির্বাচন কমিশন, বিএনপি এটি প্রত্যাশা করে।
কাফি
রাজনীতি
পুরোনো সিস্টেমে দেশকে আর চলতে দেব না: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পুরোনো সিস্টেমে পুরোনো আইনে এই বাংলাদেশকে আর চলতে দেব না। অভ্যুত্থানের পরে নানা শক্তি চেষ্টা করছে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের বেরিরপাড়ে দেশে গড়তে জুলাই পথযাত্রা শেষে পথসভায় এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, পুলিশ হত্যাকে ডমিনেট করে এর দায় অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ৩ আগস্ট এক দফায় স্পষ্ট করেছি আমাদের লড়াই শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরক্ত পরিণত হয়েছে। আমাদের যে দমনপীড়ন করা হয়েছে আমরা বাধ্য হয়েছিলাম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। আমাদের লড়াই ছিলো ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী।
এর আগে শহরের শহীদ মিনার থেকে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা বের হয়। শহরের কোর্ট রোড ও শাহ মোস্তফা সড়কে পথযাত্রা হয়। এতে যোগ দেন সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ।
পথসভায় মৌলভীবাজার জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ফাহাদ আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মারুফ আল হামিদ, জাকারিয়া ইমন।