কর্পোরেট সংবাদ
গাইবান্ধার চরাঞ্চলের নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিল এনআরবিসি ব্যাংক

চর ও হাওড়াঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে আর্থিক সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। বিশেষ করে নারীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বিনাজামানতে স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) গাইবান্ধায় কেয়ার বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ঋণ প্রদান কর্মসূচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ টাকার অ্যাকাউন্টধারী ২০ জন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তার হাতে প্রকাশ্যে ঋণের চেক তুলে দেওয়া হয়।
সৌহার্দ্য-৩ প্লাস কর্মসূচির আওতায় গ্রামীন এলাকায় আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণের জন্য বৈশ্বিক এনজিও কেয়ার বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এনআরবিসি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ২০ জন নারী উদ্যোক্তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ প্রদান করা হয়। এই ঋণের সুদ হার মাত্র ৭ শতাংশ।
ঋণগ্রহীতারা হলেন- কহিনুর বেগম, মুন্নি বেগম, মিসেস শামসুন্নাহার, রিক্তা বেগম, দিলুফা বেগম, মিসেস নুরুন্নাহার, শাহানা বেগম, জাহেদা বেগম, বুলী বেগম, জোসনা বেগম, মিসেস শাহানা বেগম, জান্নাতুন বেগম, প্রতীমা রানী, ময়না বেগম, মিথি আক্তার, আঞ্জুয়ারা বেগম, মিসেস নুরুন্নাহার, শাপলা বেগম, মরিয়ম খাতুন ও মনোয়ারা বেগম।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, দেশের সকল মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনার লক্ষে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে প্রত্যেক মানুষের নামে অন্তত একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এজন্য কোন জটিলতা ছাড়াই ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে এবং প্রায় ১ কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। স্বল্প সুদে ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৭৫০ কোটি টাকার পুনঅর্থায়ণ তহবিল গঠন করে ব্যাংকগুলোকে অর্থের যোগান দিচ্ছে। প্রান্তিক এলাকায় ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ, বিনা জামানতে ঋণ প্রদানে এনআরবিসি ব্যাংকের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। এনআরবিসি ব্যাংক প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের উন্নয়ন ও গ্রামমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
তিনি আরও বলেন, বড় বড় শিল্পোদ্যোক্তারা ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ ফেরত দিচ্ছেন না। কিন্তু নারীদের মধ্যে খেলাপি হওয়ার প্রবণতা নেই। দেশের অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে নারীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। তাই নারীসহ প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদেরকে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকাণ্ডের আওতায় আনতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। বৈষম্যমূলক সমাজ গঠনে আমরা বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অর্থায়ন করছি। গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলা, বিনা জামানাতে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। অন্তত ১ লাখ মানুষকে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুনঅর্থায়ন তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে সাড়ে ৩ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে বিনাজামানতে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এনআরবিসি ব্যাংকের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত শাখা-উপশাখার মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা হচ্ছে।
এনআরবিসি ব্যাংকের ডিএমডি হারুনুর রশীদ বলেন, মুনাফা বা ব্যবসায়িক স্বার্থে এনআরবিসি ব্যাংক গ্রাম পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের ঋণ দিচ্ছে না। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে স্বল্প সুদে বিনা জামানতে এই ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। সারাদেশে ১ লাখ ৩৮ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদেরকে বিনা জামানতে ঋণ প্রদান করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।
কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মান্নান মজুমদার বলেন, গ্রামের উন্নয়ন করতে হলে নারীদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর্থিক সংযোগ ও আর্থিক অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি আরও সহজ করতে হবে। মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ হতে হলে ব্যাংকগুলোকে আরও গ্রামমুখী হওয়া প্রয়োজন। এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকাণ্ড গ্রামের মানুষদের সঞ্চয় করা এবং আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে সহযোগিতা করছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকাণ্ডের আওতায় এনআরবিসি ব্যাংক দেশের প্রত্যন্ত হাওড় ও চরাঞ্চলের হতদরিদ্রদের মানুষদেরকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসছে। মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পাচ্ছেন এসব অঞ্চলের হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা। বিনা খরচে এসব অ্যাকাউন্টে অর্থ সঞ্চয় ও ঋণ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৫০২ জন উদ্যোক্তাদের ১১০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।
ঋণ বিতরণের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক নিশাত আফরোজ বিন্নি, এনআরবিসির মাইক্রো ফাইন্যান্স ইউনিটের প্রধান মো. রমজান আলী ভূঁইয়া, কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মান্নান মজুমদার, সিনিয়র টিম লিডার জর্জ নকরেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ফরেন ট্রেড’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ

এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ফরেন ট্রেড’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সমাপনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. মো. তৌহিদুল আলম খান উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ প্রদান করেন। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) কবীর আহমেদ ও হারুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে চার দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, উপশাখার ৩০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকের ‘তফসিলভুক্ত ব্যাংকের শাখা কর্তৃক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক কর্মশালা

শাখা-উপশাখায় দেশের বৃহত্তম বানিজ্যিক ব্যাংক আইএফআইসির উদ্যোগে ব্যাংকটির মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত, সুশৃঙ্খল ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘তফসিলভুক্ত ব্যাংকের শাখা কর্তৃক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক কর্মশালা।
শনিবার (১২ জুলাই) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উক্ত কর্মশালাটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা, নোট রিফান্ড রেগুলেশন, নোট সর্টিং, জাল নোট সনাক্তকরণ ও প্রচলন প্রতিরোধ এবং রিপোর্টিং প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক প্রসঙ্গে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
আয়োজনে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন এবং যুগ্ম পরিচালক (ক্যাশ) আব্দুল বাসেদ। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন নীতিমালা এবং আধুনিক নগদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উপর গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের সিলেট শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এবং আইএফআইসি ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান উইলিয়াম চৌধুরী।
কর্মশালাটিতে আইএফআইসি ব্যাংকের ঢাকা ও সিলেট জোনের বিভিন্ন শাখা-উপশাখার চার শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
গৃহিণীদের জন্য এক্সক্লুসিভ সেভিংস অ্যাকাউন্ট আনলো ব্র্যাক ব্যাংক

গৃহিণীদের জন্য ‘তারা হোমমেকার্স’ অ্যাকাউন্ট সেবা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। দেশে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট ডিজাইন করা হয়েছে গৃহিণীদের এক্সক্লুসিভ সব ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা উপহার দিতে।
এই অ্যাকাউন্ট খুলতে কোনো আয়ের প্রমাণপত্রের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, ফরমাল ওয়ার্কফোর্সের বাইরে থাকা যেসব নারীদের স্যালারি স্লিপ, নিয়োগপত্র বা অন্যান্য কাগজপত্র নেই, তাঁরা শুধুমাত্র একটি সেলফ-ডিক্লারেশনের মাধ্যমে সহজেই এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এর ফলে দেশের গৃহিণীদের আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার সাথে যুক্ত হওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বাধা দূর করতে সক্ষম হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ফরমাল ব্যাংকিংব্যবস্থার বাইরে থাকা এসব গৃহিণীরা পারিবারিক আর্থিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, এই উদ্যোগ তার-ই স্বীকৃতি। তাঁদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে অ্যাকাউন্টটিতে রাখা হয়েছে একাধিক সুযোগ-সুবিধা। এখানে ডেবিট কার্ডে নেই কোনো ফি, গ্রোসারি কেনাকাটায় থাকছে ক্যাশব্যাক এবং যেকোনো ব্যালেন্সের থাকছে ইন্টারেস্ট আয়ের সুযোগ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়নের পথ সুগম করেছে। অ্যাকাউন্টটি ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল চ্যানেল ও দেশজুড়ে বিস্তৃত ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহজেই খোলা যাবে।
নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের পরিবারের কথা বিবেচনা করে এই প্রোডাক্টটি ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে অনেক বেশিসংখ্যক নারীদের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। অ্যাকাউন্ট খোলার যোগ্যতা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে মাসিক পারিবারিক আয় ২ লাখ টাকার কম, প্রারম্ভিক জমা অনূর্ধ্ব ৫ লাখ টাকা এবং ছয় মাসে মোট জমা ১২ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না।
ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এই উদ্যোগের বিষয়ে বলেন বলেন, গৃহিণীদের জন্য এই এক্সক্লুসিভ সেভিংস অ্যাকাউন্ট চালু করতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত ও গর্বিত। আমরা বিশ্বাস করি, এই অ্যাকাউন্ট তাঁদের ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করার পাশাপাশি তাঁদের আকর্ষণীয় অনেক সুবিধা দেবে। এটি গৃহিণীদের অমূল্যায়িত শ্রমের স্বীকৃতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের যাত্রায় ব্র্যাক ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই অ্যাকাউন্ট সেবা চালুর মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’ আর্থিক সেবা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে সেসব নারীদের কাছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিংব্যবস্থার বাইরে ছিলেন।
এই অ্যাকাউন্ট চালুর আগে দেশব্যাপী ২,৫০০-এরও বেশি ফ্রন্টলাইন কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ব্যাংকটি। এতে কর্মীরা অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন এবং গ্রাহকদের সঠিকভাবে গাইড করতে প্রস্তুত আছেন, যা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে করবে সহজ ও উপভোগ্য। ব্র্যাক ব্যাংকের উইমেন ব্যাংকিং সেগমেন্ট ‘তারা’-এর অধীনে চালু হওয়া এই অ্যাকাউন্ট উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তির পথে আরও একটি মাইলফলক। গৃহিণীদের জন্য এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট সেবা চালুর মাধ্যমে সেই আর্থিক অন্তর্ভুক্তির দিগন্ত আরও প্রসারিত করলো ব্র্যাক ব্যাংক।
কর্পোরেট সংবাদ
নারী উদ্যোক্তাদের সম্মাননা ও ডিজিটাল ক্ষমতায়নে আইপিডিসির অনন্য উদ্যোগ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘নারী উদ্যোক্তা প্রণোদনা কর্মসূচি ২০২৫’-এ নারী উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদান করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ব্যতিক্রমী নারী উদ্যোক্তাদের তাদের দৃঢ় মানসিকতা, সময়মতো ঋণ পরিশোধ এবং সিএমএসএমই খাতে উদ্যোক্তাগত উৎকর্ষের জন্য সম্মানিত করা হয়।
এ বছরের সম্মাননাপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তারা এসেছেন ঢাকা, যশোর, বগুড়া, বরিশাল, সিলেট, ফরিদপুর, রংপুর, চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ থেকে। তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে উদ্যোক্তাগত দক্ষতা, ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা, আর্থিক শৃঙ্খলা এবং নিজ নিজ কমিউনিটিতে ইতিবাচক প্রভাবের ভিত্তিতে। সম্মাননার পাশাপাশি প্রত্যেককে তাদের ব্যবসা আরও বিস্তৃত ও শক্তিশালী করার জন্য আর্থিক প্রণোদনাও প্রদান করা হয়েছে।
নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির নিরলস প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় ‘নারী উদ্যোক্তা প্রণোদনা কর্মসূচি ২০২৫’ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, ডিজিটাল মানি ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণের মতো দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে এই উদ্যোগ নারী উদ্যোক্তাদের টেকসইভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে। এর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে আইপিডিসি। এ উদ্যোগ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উদ্যোক্তা পরিবেশ গঠনের লক্ষ্যে সংগঠনের স্বপ্নকে প্রতিফলিত করে, যেখানে নারীরা উন্নতি করবে, নেতৃত্ব দেবে এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।
প্রণোদনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘ফ্রম ক্যাশ টু ক্যাশলেস; ডিজিটাল মানি ম্যানেজমেন্ট’ শিরোনামে একটি সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ সেশন আয়োজন করা হয়। এই সেশনে ডিজিটাল আর্থিক সরঞ্জাম, মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম এবং টেকসই ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে বাস্তবভিত্তিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণে অংশ নেন সম্মাননাপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন খাতের আগ্রহী নারী উদ্যোক্তারা। সেখানে অভিজ্ঞতা বিনিময়, নেটওয়ার্ক গঠন এবং আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধির একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তদের একজন এম/এস ঐশী স্টোরের মালিক লুৎফর নাহার বলেন, এই প্রণোদনা শুধু অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, এটি আমাদের পথচলা ও সংগ্রামের একটি স্বীকৃতি। এটি আমাকে আরও বড় স্বপ্ন দেখাতে এবং নতুন আত্মবিশ্বাসে আমার দোকানটি সম্প্রসারণ করতে উৎসাহিত করেছে। এমন অসাধারণ সহায়তার জন্য আমি আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, আমরা শুধু সফলতাকেই নয়, সম্ভাবনাকেও স্বীকৃতি দিতে চাই। এই অসাধারণ নারীরাই আগামী বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তুলছেন। তাদের এই যাত্রায় আমরা স্বীকৃতি ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পাশে আছি। যাতে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি আর্থিক পরিবেশ তৈরি হয়।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে আইপিডিসি সারা দেশে নারীদের ক্ষমতায়ন ও একটি টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোক্তা পরিবেশ গড়তে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা

জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় রেজিস্ট্রেশন, চাঁদা সংগ্রহ এবং এপিআই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন খান এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিউজ্জামান।
এই সমঝোতার মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে দেশের জনগণের অংশগ্রহণ আরও সহজতর হবে এবং এর প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রমের সম্প্রসারণ নিশ্চিত হবে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সর্বদা সরকারের উন্নয়নমুখী উদ্যোগসমূহে সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং এই চুক্তি তারই একটি প্রমাণ।