কর্পোরেট সংবাদ
চট্টগ্রামবাসীদের জন্য পাঠাওয়ের ‘ও বদ্দা অনলি চিটাং’ ক্যাম্পেইন
বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং ও ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম পাঠাও, শুধুমাত্র চট্টগ্রামবাসীদের জন্য নিয়ে এলো ‘ও’ বদ্দা অনলি চিটাং’ ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে থাকছে পাঠাওয়ের পুরাতন ও নতুন ইউজারদের জন্য পাঠাও কার, বাইক ও ফুড-এ এক্সাইটিং সব ডিসকাউন্টস! ক্যাম্পেইনটি চলবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চট্টগ্রামের ব্যস্ত রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ও কাজের জন্য যাতায়াতে বা লোকাল ফুডগুলো উপভোগ করতে পাঠাওয়ের এই ক্যাম্পেইনের এক্সাইটিং অফারগুলো এভেইল করে সহজে ও বাজেটের মধ্যে করতে পারবেন সবকিছু।
নিউ ইউজারদের জন্য এক্সক্লুসিভ অফারস:
পাঠাও কার: প্রোমো এফইএসটি১০০ ইউজ করলেই পাবেন, ৫০% অফ, ১২৫ টাকা পর্যন্ত।
পাঠাও বাইক: প্রোমো ফাস্টরাইড৫০ ইউজ করলেই পাবেন, ৫০% অফ, ৬৫ টাকা পর্যন্ত।
পাঠাও ফুড: প্রোমো হ্যালো১০০ ইউজ করলেই পাবেন, ৫০% অফ, ১০০ টাকা পর্যন্ত।
এক্সিসটিং ইউজারদের জন্য এক্সাইটিং অফারস:
পাঠাও কার: প্রোমো সিটিজিকার ইউজ করলেই পাবেন, ৫০% অফ, ৯০ টাকা পর্যন্ত।
পাঠাও বাইক: প্রোমো সিটিজিবাইক ইউজ করলেই পাবেন, ৫০% অফ, ৪০ টাকা পর্যন্ত।
পাঠাও ফুড: প্রোমো ফুডসিটিজি ইউজ করলেই পাবেন, ৩০% অফ, ১০০ টাকা পর্যন্ত।
এই প্রোমোগুলো ইউজ করে চট্টগ্রামবাসীরা এখন সহজেই ও সাশ্রয়ে রাইড ও ফুড উপভোগ করতে পারবেন। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পাঠাও তুলে ধরেছে যে পাঠাও প্রতিটি শহরের বিশেষ চাহিদাগুলো মেটাতে চেষ্টা করে আসছে।
চট্টগ্রামবাসীরা এখনই সময় পাঠাওয়ের সাথে শহরজুড়ে ঘুরে বেড়ানো ও মজাদার সব খাবার উপভোগ করার। এই ক্যাম্পেইনে দারুণ সব ডিসকাউন্ট নিয়ে পাঠাওয়ের সাথে আছে সুলতানস ডাইন, কাচ্চি ডাইন, বারকোড, চমক সহ চট্টগ্রামের আরও সেরা সব রেস্টুরেন্টস।
পাঠাও ডাউনলোড করে উপভোগ করুন ‘ও’ বদ্দা অনলি চিটাং’ ক্যাম্পেইনের এক্সাইটিং সব ডিলস ও ডিসকাউন্টস!
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩ লাখ পাঠাও হিরো ও ডেলিভারি এজেন্ট, ১ লাখ মার্চেন্ট এবং ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
গাইবান্ধার চরাঞ্চলের নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিল এনআরবিসি ব্যাংক
চর ও হাওড়াঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে আর্থিক সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। বিশেষ করে নারীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বিনাজামানতে স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) গাইবান্ধায় কেয়ার বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ঋণ প্রদান কর্মসূচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ টাকার অ্যাকাউন্টধারী ২০ জন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তার হাতে প্রকাশ্যে ঋণের চেক তুলে দেওয়া হয়।
সৌহার্দ্য-৩ প্লাস কর্মসূচির আওতায় গ্রামীন এলাকায় আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণের জন্য বৈশ্বিক এনজিও কেয়ার বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এনআরবিসি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ২০ জন নারী উদ্যোক্তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ প্রদান করা হয়। এই ঋণের সুদ হার মাত্র ৭ শতাংশ।
ঋণগ্রহীতারা হলেন- কহিনুর বেগম, মুন্নি বেগম, মিসেস শামসুন্নাহার, রিক্তা বেগম, দিলুফা বেগম, মিসেস নুরুন্নাহার, শাহানা বেগম, জাহেদা বেগম, বুলী বেগম, জোসনা বেগম, মিসেস শাহানা বেগম, জান্নাতুন বেগম, প্রতীমা রানী, ময়না বেগম, মিথি আক্তার, আঞ্জুয়ারা বেগম, মিসেস নুরুন্নাহার, শাপলা বেগম, মরিয়ম খাতুন ও মনোয়ারা বেগম।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, দেশের সকল মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনার লক্ষে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে প্রত্যেক মানুষের নামে অন্তত একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এজন্য কোন জটিলতা ছাড়াই ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে এবং প্রায় ১ কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। স্বল্প সুদে ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৭৫০ কোটি টাকার পুনঅর্থায়ণ তহবিল গঠন করে ব্যাংকগুলোকে অর্থের যোগান দিচ্ছে। প্রান্তিক এলাকায় ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ, বিনা জামানতে ঋণ প্রদানে এনআরবিসি ব্যাংকের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। এনআরবিসি ব্যাংক প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের উন্নয়ন ও গ্রামমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
তিনি আরও বলেন, বড় বড় শিল্পোদ্যোক্তারা ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ ফেরত দিচ্ছেন না। কিন্তু নারীদের মধ্যে খেলাপি হওয়ার প্রবণতা নেই। দেশের অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে নারীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। তাই নারীসহ প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদেরকে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকাণ্ডের আওতায় আনতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। বৈষম্যমূলক সমাজ গঠনে আমরা বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অর্থায়ন করছি। গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলা, বিনা জামানাতে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। অন্তত ১ লাখ মানুষকে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুনঅর্থায়ন তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে সাড়ে ৩ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে বিনাজামানতে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এনআরবিসি ব্যাংকের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত শাখা-উপশাখার মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা হচ্ছে।
এনআরবিসি ব্যাংকের ডিএমডি হারুনুর রশীদ বলেন, মুনাফা বা ব্যবসায়িক স্বার্থে এনআরবিসি ব্যাংক গ্রাম পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের ঋণ দিচ্ছে না। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে স্বল্প সুদে বিনা জামানতে এই ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। সারাদেশে ১ লাখ ৩৮ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদেরকে বিনা জামানতে ঋণ প্রদান করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।
কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মান্নান মজুমদার বলেন, গ্রামের উন্নয়ন করতে হলে নারীদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর্থিক সংযোগ ও আর্থিক অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি আরও সহজ করতে হবে। মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ হতে হলে ব্যাংকগুলোকে আরও গ্রামমুখী হওয়া প্রয়োজন। এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকাণ্ড গ্রামের মানুষদের সঞ্চয় করা এবং আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে সহযোগিতা করছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকাণ্ডের আওতায় এনআরবিসি ব্যাংক দেশের প্রত্যন্ত হাওড় ও চরাঞ্চলের হতদরিদ্রদের মানুষদেরকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসছে। মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পাচ্ছেন এসব অঞ্চলের হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা। বিনা খরচে এসব অ্যাকাউন্টে অর্থ সঞ্চয় ও ঋণ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৫০২ জন উদ্যোক্তাদের ১১০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।
ঋণ বিতরণের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক নিশাত আফরোজ বিন্নি, এনআরবিসির মাইক্রো ফাইন্যান্স ইউনিটের প্রধান মো. রমজান আলী ভূঁইয়া, কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মান্নান মজুমদার, সিনিয়র টিম লিডার জর্জ নকরেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
গ্যাস সংকট কেটে গেলে সারের ঘাটতি থাকবে না: শিল্প উপদেষ্টা
দেশ বর্তমানে গ্যাস সংকটের মধ্যে আছে। গ্যাস সংকট কেটে গেলে সারের ঘাটতি থাকবে না। আগামীতে সার উৎপাদন বাড়বে। দেশে সারের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীর ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
আদিলুর রহমান খান বলেন, দেশে গত সাড়ে পনেরো বছরে গ্যাস খনন করা হয়নি। বাপেক্সকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে ভোলা থেকে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা চলছে।
গত সাড়ে ১৫ বছরে প্রতিটি সেক্টরে হওয়া দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে সেগুলো নিরসনের চেষ্টা চলছে বলেও জানান শিল্প উপদেষ্টা।
এ সময় শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সমতার ভিত্তিতে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে। সেই লক্ষ্য নিয়েই সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ শনিবার নরসিংদীর বেলাব উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ভারতকে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি- আমরা ভালো সম্পর্ক চাই, তবে সেটি দুপক্ষেরই স্বার্থের ভিত্তিতে।
নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সরে যাবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে চূড়ান্তভাবে একটি নিরপেক্ষ এবং সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর। এটা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কিছু সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আমরা সরে যাব। তারা দেশ চালাবে। তবে পুনরায় যেন ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তায় নেমে আসতে না হয়, তাদের প্রাণ যেন আর না ঝরে এ জন্য সবার দায়িত্ব নিতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
একাত্তরের পুনরাবৃত্তি আমরা জুলাইয়ে দেখেছি: শফিকুল আলম
১৯৭১ সালে যেভাবে ঠকঠক করে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা, এ রকম পুনরাবৃত্তি আমরা জুলাইয়ে দেখেছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, আমাদের যে ছয়জন শীর্ষ ছাত্রনেতা তাদের কীভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আজ শনিবার সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের উত্তরসূরিদের জন্য যেভাবে তাদের লেখা লিখে গিয়েছিলেন, আহনাফ বা শিক্ষার্থীরাও তাদের মায়ের কাছে চিঠি লিখছে যে, তারা যুদ্ধ করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যে নতুন বাংলাদেশের আমরা স্বপ্ন দেখছি, যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এগিয়ে যাচ্ছেন, এটি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে স্বপ্ন ছিল তারই ধারাবাহিকতা। সেই আলোকেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে, সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সেখানে কিছু সময় তারা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
প্রসঙ্গত, ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। অগ্রহায়ণের শেষভাগে এসে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। আজ শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় শীত পড়তে শুরু করেছে। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন ১১ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে ১২ ডিসেম্বর তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ১৩ ডিসেম্বর তাপমাত্রার পারদ আরও নিচে নেমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরে তা আরও কমে শনিবার তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায়, সকালে তীব্র শীত উপেক্ষা করে বাইরে বেরিয়েছেন দিনমজুর ও শ্রমিকরা। তবে এই ঠান্ডার কারণে কাঙ্ক্ষিত কাজ পাচ্ছেন না তারা। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। যানবাহন চললেও ছিল না তেমন যাত্রীর চাপ। তবে স্বস্তির খবর হলো রাতে ঘন কুয়াশা থাকলেও সকালে বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলেছে।
এদিকে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। খুব প্রয়োজন না হলে মানুষ সকালে বাইরে বের হচ্ছেন না। অপেক্ষা করছেন রোদ ওঠার। অনেকে আবার জীবিকার তাগিদে তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে বের হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার শহরের চা দোকানি মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন ভোরে দোকান খুলতে হয়। ভোরের দিকেই শীত বেশি। সূর্য উঠছে, কিন্তু ঠান্ডা বাতাসও আছে। তাই আরও শীত অনুভূত হচ্ছে।
ভ্যানচালক মফিজুর রহমান বলেন, এবার শীত যেন একটু বেশি। আমরা পেটের তাগিদে রাস্তায় বের হচ্ছি। কিন্তু রাস্তায় যাত্রী নেই। সকালে তো একদমই ভাড়া হচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলো। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গার শীতার্ত মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার সরকারের ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে ১০ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শুক্রবার থেকে এসব কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে।
কাফি