আবহাওয়া
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। অগ্রহায়ণের শেষভাগে এসে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। আজ শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় শীত পড়তে শুরু করেছে। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন ১১ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে ১২ ডিসেম্বর তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ১৩ ডিসেম্বর তাপমাত্রার পারদ আরও নিচে নেমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরে তা আরও কমে শনিবার তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায়, সকালে তীব্র শীত উপেক্ষা করে বাইরে বেরিয়েছেন দিনমজুর ও শ্রমিকরা। তবে এই ঠান্ডার কারণে কাঙ্ক্ষিত কাজ পাচ্ছেন না তারা। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। যানবাহন চললেও ছিল না তেমন যাত্রীর চাপ। তবে স্বস্তির খবর হলো রাতে ঘন কুয়াশা থাকলেও সকালে বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলেছে।
এদিকে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। খুব প্রয়োজন না হলে মানুষ সকালে বাইরে বের হচ্ছেন না। অপেক্ষা করছেন রোদ ওঠার। অনেকে আবার জীবিকার তাগিদে তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে বের হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার শহরের চা দোকানি মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন ভোরে দোকান খুলতে হয়। ভোরের দিকেই শীত বেশি। সূর্য উঠছে, কিন্তু ঠান্ডা বাতাসও আছে। তাই আরও শীত অনুভূত হচ্ছে।
ভ্যানচালক মফিজুর রহমান বলেন, এবার শীত যেন একটু বেশি। আমরা পেটের তাগিদে রাস্তায় বের হচ্ছি। কিন্তু রাস্তায় যাত্রী নেই। সকালে তো একদমই ভাড়া হচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলো। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গার শীতার্ত মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার সরকারের ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে ১০ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শুক্রবার থেকে এসব কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
ঢাকাসহ চার বিভাগে বৃষ্টির আভাস
দেশজুড়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। ভোরের দিকে একটু শীত অনুভূত হলেও দিনরাত মিলিয়ে বাকি সময়ে শীতকাল চলছে, সেটা বোঝার উপায় নেই। একদিনের ব্যবধানে ঢাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে ৪ ডিগ্রিরও বেশি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন গতকাল রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবারও তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে৷ অর্থাৎ, তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এদিকে, আজ শুক্রবারও ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগ ও দুই অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
একই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে তাপমাত্রা না কমলে শীতের অনুভূতি আরও কমে যাবে। আপাতত এ কয়েকদিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। শীত বিরাজ করবে কম।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তেঁতুলিয়ায় আর সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল ঢাকায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে
মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশেই বেড়েছে শীতের অনুভূতি। এরমধ্যে উত্তরের দুই জেলা সিরাজগঞ্জ ও পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টা রাত-দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও আগামীকাল শনিবার রাতে সারাদেশে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানার সই করা ওই পূর্বাভাসে আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থার করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আর এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ৩দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আর আগামী ২৪ ঘণ্টা মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আর ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
তাপমাত্রার অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে পরদিন শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অবশ্য পরদিন রোববার (২৬ জানুয়ারি) সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
আবার আসছে শৈত্যপ্রবাহ
পৌষ মাস শেষ হয়ে মাঘ মাসের শুরু হয়েছে। দেশের অনেক অঞ্চলেই স্বাভাবিক শীতের দেখা মেলেনি মাঘের শুরুর তিন দিন। কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়েও চার-পাঁচ ডিগ্রি বেশি। তবে আজ শনিবার মাঘের চতুর্থ দিনে এসে তাপমাত্রা কিছুটা কমার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে শীতের অনুভূতিও কিছুটা বাড়তে পারে।
তবে আগামী দুই দিন রবি ও সোমবার শীত বেশি বাড়তে পারে। এই দুই দিনে অন্তত এক থেকে দুই ডিগ্রি করে কমতে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। সোমবার দেশের কিছু কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা।
জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গতকাল শুক্রবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রবিবার থেকে তাপমাত্রা খানিকটা কমে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
২০ জানুয়ারি শীত আরো বাড়তে পারে। এদিন দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। ২৩ জানুয়ারি থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
এরপর আবার ২৬ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।
প্রসঙ্গত, আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে দেশের কিছু অঞ্চলজুড়ে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বা এর নিচে নামলে এবং তা দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকলে তখন তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচে নামলে তখন সেই পরিস্থিতিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
ঢাকার ৬ এলাকার বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ আজ
বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ২৬৯ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। এদিন ঢাকার ৬ এলাকায় বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। শনিবার সকাল সোয়া ৯টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূচকে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম ২.৫) এর পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ৩৮.৮ গুণ বেশি রয়েছে। এসময় ঢাকার গোঁড়ান (৪০০), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (৩৬৪), ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এলাকা (৩৪৬), তেজগাঁওয়ের শান্তা টাওয়ার এলাকা (৩৪৫), গুলশান লেক পার্ক (৩৩০) ও সাভারের হেমায়েতপুর (৩১২) এলাকায় বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া মহাখালীর আইসিডিডিআরবি এলাকা (২৯০), পশ্চিম নাখালপাড়া সড়ক (২৮২), গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এলাকা (২৮০) এবং কল্যাণপুর (২৬৯) এলাকায় বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর।
৪৬৩ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ। তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা (২৬৯), ভারতের শহর কলকাতা (২৬৫), মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর (২১০) এলাকায় বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান।
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন তথ্য
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টা (৩ দিন) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এছাড়া আগামীকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও পরদিন রোববার (১৯ জানুয়ারি) সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
অপরদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা আজ (শুক্রবার) সকাল ৯টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের টেকনাফে। যার পরিমাণ ৩১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে। যার পরিমাণ ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই সময়ের মধ্যে দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।