পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ২৩ হাজার কোটি টাকা
বিদায়ী সপ্তাহে (৮ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব সূচকের পতন হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহজুড়ে সূচকের সঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের মোট বাজার মূলধন কমেছে ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।
ডিএসই ও সিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ২০৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
দেশের অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে গত সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আর সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৮১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মোট বাজার মূলধন কমেছে ২৩ হাজার ২৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
চলতি সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সবকটি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এছাড়া, ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩০ দশমিক ০২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ২৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৬ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৬১০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৬টি কোম্পানির, কমেছে ২৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স যথাক্রমে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ ও ১ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩০৪ পয়েন্টে ও ৮ হাজার ৭০২ পয়েন্টে।
এছাড়া, সিএসআই সূচক ১ দশমিক ৭০ শতাংশ ও সিএসই-৩০ সূচক ০ দশমিক ২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯২৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে ও ১১ হাজার ৭৫৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। আর সিএসই-৫০ সূচক কমেছে অবস্থান করছে ১০৮৩ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৫৬ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ২১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বেক্সিমকোর আরও চার কারখানা লে–অফ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের চারটি শাখা কারখানা লে-অফ করে শ্রমিকদের ছাঁটাই করার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারি এসব কারখানার উৎপাদন বন্ধ ও শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গাজীপুরের কাশিমপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ইয়ার্ন ইউনিট-২, টেক্সটাইল, ডেনিম ও নিটিং বিভাগ বন্ধ করে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে গোষ্ঠীর অন্যান্য বিভাগ, যেমন রূপগঞ্জের ইয়ার্ন ইউনিট-১-এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আগেও বেক্সিমকোর কয়েকটি কারখানা লে-অফ করা হয়েছে। এরপর গত সপ্তাহে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, বেক্সিমকো শিল্প পার্কের লে-অফে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে ১২টি। আরও সিদ্ধান্ত হয়, তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকের বন্ধকি শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আরও চারটি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দেড় ঘণ্টায় ২৪৫ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় ২৪৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টা ৩০মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ২২ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৭০ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ৬ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৪ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১৪৬ ও ১৯১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ১৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এসময় লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪৫টির, কমেছে ৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩ কোম্পানির শেয়ারদর।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জেড থেকে এ ও বি ক্যাটাগরিতে ফিরলো দুই কোম্পানি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির ক্যাটাগরির উন্নতি হয়েছে। কোম্পানি দুটি হিসাববছরের ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করায় জেড ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
কোম্পানি তিনটি হচ্ছে- এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ এবং বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস (বিবিএস)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ গত ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত সময়ের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। আর সমাপ্ত সময়ের জন্য বিবিএস ০ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়ে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে।
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে কোম্পানিগুলো ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।
তবে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানি দুটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি গত ৩০ জুন,২০২৪ অর্থবছরের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রেরণ করেছে।
কোম্পানি দুটি হচ্ছে- এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ এবং বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস (বিবিএস)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে।
আলোচ্য অর্থবছরে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ ১০ শতাংশ এবং বিবিএস ০ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
নগদ ও বোনাস শেয়ার পেলেন লাভেলোর বিনিয়োগকারীরা
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি লাভেলো ব্র্যান্ডের আইসক্রিম বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান তাওফিকা ফুডস এন্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নিকট লভ্যাংশ কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিয়েছে সময় সীমার মধ্যেই।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য তাওফিকা ফুডস এন্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। যা কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ৩০ ডিসেম্বর,২০২৪ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঘোষিত স্টক লভ্যাংশ ৬ জানুয়ারি,২০২৫ তারিখে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয় ও নগদ লভ্যাংশ সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসেবে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, তাওফিকা ফুডস এন্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি ২০২০-২১ সালে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ, ২০২১-২২ সালে ১২ শতাংশ নগদ, ২০২২-২৩ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও সর্বশেষ ২০২৩-২৪ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকেই এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে।
এসএম