জাতীয়
কবি হেলাল হাফিজ আর নেই
দ্রোহ আর প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। শুক্রবার শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া। বিকেল পৌনে ৪টায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, কবি হেলাল হাফিজ আর নেই। জাতীয় প্রেস ক্লাব সদস্য হেলাল হাফিজ কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন।
কবি হেলাল হাফিজ ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা খোরশেদ আলী তালুকদার পেশায় ছিলেন স্কুলশিক্ষক আর মা কোকিলা বেগম গৃহিণী।
কবি হেলাল হাফিজ অনেকটা বোহেমিয়ান জীবন কাটালেও সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
কবি হেলাল হাফিজের লেখালেখির সূচনা ষাটের দশকের উত্তাল সময়ে। তবে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয় দেশ স্বাধীন হওয়ারও অনেক পরে, ১৯৮৬ সালে। ২৬ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। ২০১৯ সালে প্রকাশ পায় কবির আরেকটি কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।
‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’-উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় তার রচিত কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র এ পঙক্তি দুটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমন, তেমনি এখনও প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে।
উল্লেখ্য, কবিতায় অসামান্য অবদানের স্মারক হিসেবে হেলাল হাফিজকে ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি পেয়েছেন- যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৬), আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), নেত্রকোনা সাহিত্য পরিষদের কবি খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কার ও সম্মাননা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
একাত্তরের পুনরাবৃত্তি আমরা জুলাইয়ে দেখেছি: শফিকুল আলম
১৯৭১ সালে যেভাবে ঠকঠক করে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা, এ রকম পুনরাবৃত্তি আমরা জুলাইয়ে দেখেছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, আমাদের যে ছয়জন শীর্ষ ছাত্রনেতা তাদের কীভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আজ শনিবার সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের উত্তরসূরিদের জন্য যেভাবে তাদের লেখা লিখে গিয়েছিলেন, আহনাফ বা শিক্ষার্থীরাও তাদের মায়ের কাছে চিঠি লিখছে যে, তারা যুদ্ধ করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যে নতুন বাংলাদেশের আমরা স্বপ্ন দেখছি, যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এগিয়ে যাচ্ছেন, এটি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে স্বপ্ন ছিল তারই ধারাবাহিকতা। সেই আলোকেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে, সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সেখানে কিছু সময় তারা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
প্রসঙ্গত, ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। অগ্রহায়ণের শেষভাগে এসে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। আজ শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় শীত পড়তে শুরু করেছে। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন ১১ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে ১২ ডিসেম্বর তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ১৩ ডিসেম্বর তাপমাত্রার পারদ আরও নিচে নেমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরে তা আরও কমে শনিবার তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায়, সকালে তীব্র শীত উপেক্ষা করে বাইরে বেরিয়েছেন দিনমজুর ও শ্রমিকরা। তবে এই ঠান্ডার কারণে কাঙ্ক্ষিত কাজ পাচ্ছেন না তারা। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। যানবাহন চললেও ছিল না তেমন যাত্রীর চাপ। তবে স্বস্তির খবর হলো রাতে ঘন কুয়াশা থাকলেও সকালে বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলেছে।
এদিকে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। খুব প্রয়োজন না হলে মানুষ সকালে বাইরে বের হচ্ছেন না। অপেক্ষা করছেন রোদ ওঠার। অনেকে আবার জীবিকার তাগিদে তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে বের হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার শহরের চা দোকানি মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন ভোরে দোকান খুলতে হয়। ভোরের দিকেই শীত বেশি। সূর্য উঠছে, কিন্তু ঠান্ডা বাতাসও আছে। তাই আরও শীত অনুভূত হচ্ছে।
ভ্যানচালক মফিজুর রহমান বলেন, এবার শীত যেন একটু বেশি। আমরা পেটের তাগিদে রাস্তায় বের হচ্ছি। কিন্তু রাস্তায় যাত্রী নেই। সকালে তো একদমই ভাড়া হচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলো। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গার শীতার্ত মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার সরকারের ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে ১০ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শুক্রবার থেকে এসব কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান: আইন উপদেষ্টা
দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারই ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, একটি দলের ব্যর্থতার জন্য ১৯৭১ সালে যে উদ্দেশ্যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার তা ব্যর্থ হয়েছে। দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারই ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেখেছি ছাত্ররা জিবনের মায়া ত্যাগ করে লড়াই করেছে গণতন্ত্রের জন্য মানুষের অধিকার ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকে এ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসে তাদের কথা মনে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বহুমানুষের, বহু শহীদদের আত্মত্যাগের পরও আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ব্যর্থ হয়েছিলাম, এক ধরনের মানসিকতার জন্য, একটা দলের ব্যর্থতার জন্য। সেই ব্যর্থতার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। তরুণদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্র গঠনের যে দ্বিতীয় সুযোগ আমরা পেয়েছি। সেই সুযোগ যেন আমরা কোনোভাবেই নষ্ট না করি। এ বুদ্ধিজীবী দিবসে এটাই আমাদের কাম্য।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের বরেণ্য সন্তানদের স্মরণ করবে জাতি। পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়। তার দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে পরাজয় মেনে নেয় পাকিস্তানি হানাদাররা।
সামরিক কোনো কার্যকরণ না থাকলেও বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করে দিতে হত্যাকাণ্ডটি পরিচালিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের পর রাজধানীর রায়েরবাজার ইটখোলা ও মিরপুরের বধ্যভূমিসহ ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের চোখ-হাত বাঁধা ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়। অনেকেই রয়ে যান খোঁজ-খবরের বাইরে।
রাষ্ট্রীয়ভাবে এই শ্রেষ্ঠদের স্মরণ করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের পবিত্রতা রক্ষায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় মাইক বা লাউডস্পিকার ব্যবহার না করার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা একই দিনে সকাল ৭টা ২২ মিনিটে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এ ছাড়া সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।
বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজনৈতিক দলগুলোও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৩ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা, ১৪ ডিসেম্বর ভোরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, সকাল ৯টায় মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবে।
এদিকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস পালন করতে দলের সকল শাখার নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান। তবে দলটি কোনো নির্দিষ্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেনি।
বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার সকাল ৮ টায় রায়েরবাজারে ১৯৭১ সালের শহীদ বুদ্ধিজীবী ও ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে শহীদদের গণকবর জিয়ারত কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এছাড়াও বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।
এছাড়া দিবসটি স্মরণ করতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা পর্যায়েও বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (ডিসেম্বর ১৪) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে সোয়া ৭টায় প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্রীয় সালাম দেন।
বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। কুয়াশা মোড়ানো শীতের সকালের পিনপতন নীরবতায় করুণ সেই সুরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়, তৈরি করে শোকের আবেশ।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ আঙিনায় উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের পক্ষ থেকেও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
কাফি