সারাদেশ
ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট অপহরণ, ২৮ লাখ টাকা ছিনতাই
২৮ লাখ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে লাহিড়ী মোহনপুর যাওয়ার সময় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দুই এজেন্টকে অপহরণসহ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া পৌর এলাকায় সরকারি আকবর আলী কলেজ এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে ওই দুজনকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। খবর পেয়ে অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
অপহৃতরা হলেন, উল্লাপাড়া উপজেলার ঝিকিড়া গ্রামের মামুন হোসেন (২৩) ও মাটিকোড়া গ্রামের মেরাজ হোসেন (৩৫)। দু’জনই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কর্মচারী ছিলেন তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মিরাজ ও মামুন একটি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। তারা সরকারি আকবর আলী কলেজ রোড এলাকায় পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাসে এসে অপহরণকারীরা মোটরসাইকেলটি আটকে দেয়। এ সময় তাদের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মীর বাবু জানান, মামুন ও মিরাজ দুইজন মোটরসাইকেল যোগে ২৮ লাখ টাকাসহ উল্লাপাড়া আউটলেট থেকে লাহিড়ী মোহনপুর আউটলেটে যাচ্ছিলেন। সরকারি আকবর আলী কলেজ রোড এলাকায় পৌঁছালে ৫ থেকে ৬ জন অপহরণকারী মাইক্রোবাস থেকে নেমে দুই কর্মচারীর মুখ চেপে ধরে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছেন।
সিরাজগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) অমৃত সূত্রধর জানান, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দুই এজেন্টকে অপহরণের বিষয়টি জেনে আমরা দুই কর্মচারী ও টাকা উদ্ধারে অভিযান চালাই। অভিযানে হাটিকুমরুল বনপাড়া মহাসড়কে নিয়ামতপুর সড়কের পাশ থেকে ওই দুই কর্মচারীকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলছেন, অপহরণকারীরা ২৮ লাখ টাকা নিয়ে তাদের মহাসড়কের পাশে ফেলে গেছেন।
তিনি আরও জানান, পুলিশ তদন্ত ও অভিযান শুরু করেছে। দ্রুত অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
গত কয়েকদিন ধরে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা কমে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আবহাওয়া অফিস বলছে, পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ।
এদিকে সকাল সকাল দেখা মিলেছে সূর্যের মুখ। অপরদিকে সকাল ৯টার পর থেকে কমতে শুরু করেছে কুয়াশার পরিমাণ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল জেলার পথঘাট। সকালে ঘন কুয়াশা থাকায় যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে উত্তর থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিম বাতাসের কারণে ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ায় বিপাকে পড়তে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের লোকজনকে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ৩০ নভেম্বর সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ০১ ডিসেম্বর সকাল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ০২ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ০৩ ডিসেম্বর ১১ ডিগ্রি, ০৪ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ০৫ ডিসেম্বর ১২ ডিগ্রি, ৬ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ৭ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ৮ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ৯ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ১০ ডিসেম্বর ১৩ দশমিক ৭, ১১ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ১২ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ওঠানামা করায় এ জেলায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। একই সঙ্গে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ আরও কমে আসছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বাড়বে বলেও জানান তিনি।
এদিকে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাবেত আলী বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে পঞ্চগড়ের অবস্থান হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা প্রতি বছর একটু বেশি থাকে। এ সময়টিতে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েন সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের মধ্যে উষ্ণতা ছড়াতে সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
আশুলিয়ায় আরও ২৬ পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি
সরকার ঘোষিত বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের পরিমাণ ৪ শতাংশ বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করে ১৫ শতাংশ করার দাবিতে আন্দোলন করছেন সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এসময় আন্দোলনরত শ্রমিকদের মুখে পড়ে ২৬টি পোশাক কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় আল-মুসলিম, নাসা, নিউ এইজ, ডেকোসহ ২৬টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
শ্রমিকরা জানান, গত কয়েক বছর পোশাক শিল্পখাতে বার্ষিক ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হতো। কিন্তু শ্রমিকরা ১৫ শতাংশ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের কাছে দাবি জানান। তবে শ্রমিকদের ১৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও ৪ শতাংশ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু পোশাক শ্রমিকদের কাঙ্ক্ষিত দাবি পূরণ না হওয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, আগে পোশাক শ্রমিকদের ৫ শতাংশ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি করা হতো। কিন্তু সরকার আরও ৪ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে পোশাক শ্রমিকদের মোট ৯ শতাংশ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু পোশাক শ্রমিকদের দাবি ছিল ১৫ শতাংশ। তবে অনেক কারখানায় শ্রমিকপক্ষ সরকার ঘোষিত বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা না দেওয়ার কারণেই শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মালিকপক্ষ কারখানায় ঘোষণা দিলেই সমাধান হয়ে যাবে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম বলেন, আজকে ২৬টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০টি পোশাক কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রেখেছে। এ ছাড়া ১৬টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার পর শ্রমিকরা আন্দোলন করলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
তেল-পেঁয়াজ-আলুর দামে কারসাজি, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে মূল্য নির্ধারণ করা হলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। বরং নীতিনির্ধারকদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন তারা। এর মধ্যেই আলু, ডিম, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে অভিযান করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় মূল্য তালিকা না টাঙানো, বেশি দামে পণ্য বিক্রিসহ নানা অনিয়মের অপরাধে ১০০ প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, ১১ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বিশেষ টাস্কফোর্সসহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অধিদপ্তরের ৬ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৬টি টিম তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় দেশের ৩৫টি জেলায় অধিদপ্তরের ৪৫টি টিম অভিযান করে ১০০ প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ টাস্কফোর্সের আওতায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
শ্রমিক আন্দোলনে ২৫ কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
সরকার ঘোষিত বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের পরিমাণ ৪ শতাংশ বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করে ১৫ শতাংশ করার দাবিতে আন্দোলন করছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। শ্রমিকদের আন্দোলন ও কর্মবিরতির মুখে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আশুলিয়ার অন্তত ২৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শ্রমিকরা জানান, সরকার ঘোষিত বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৪ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা। তারা ১৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানান তারা।
শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের পরিমাণ বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে স্টারলিং নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছিলেন। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ছাড়া হামিম গ্রুপ, শারমিন, মেডলার, আল-মুসলিম, নেক্সট কালেকশনসহ অন্তত ২৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
প্রকাশ্যে ঘুরছে ছাত্র হত্যায় অংশ নেওয়া যুবলীগ নেতা আরজু
প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আশ্রাফ উদ্দিন আরজু। অথচ তার ভয়েই গত জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অজানা আতঙ্কে ছিল ছাত্র-জনতা। এ ঘটনায় একাধিক মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর প্রথম কয়েকদিন সন্ত্রাসী আরজু গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও এখন প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু তাই নয়, গুলি বর্ষণের ঘটনায় কেউ মুখ খুললে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও বাজারের তমিজ মার্কেট এলাকায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলা চালায় লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আশ্রাফ উদ্দিন আরজু। সাবেক যুবলীগ নেতা, স্থানীয় চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে এই হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় অংশ নেয় সে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান চার শিক্ষার্থী এবং আহত হয় দুই শতাধিক। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত আফনানের মা এবং নিহত সাব্বিরের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সন্ত্রাসী আশ্রাফ উদ্দিন আরজু প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অজানা কারণে তাকে গ্রেফতার করছে না।
পুলিশ জানায়, ১৪ আগস্ট রাতে আফনান হত্যার ঘটনায় তার মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০০-৭০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। একই দিন রাতে সাব্বির হত্যা মামলায় তার বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে ৯১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। দুটি মামলাতেই চেয়ারম্যান টিপুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদাম ব্রিজ এলাকায় সংঘর্ষের পূর্ব মুহুর্তে আশ্রাফ উদ্দিন আরজুসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-আন্দোলন বিরোধী নানা স্লোগান দেয়। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। সেখানে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে দেখা যায় আওয়ামী ক্যাডার আরজুকে।
৪ আগস্টের ওই হামলায় আহত এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ওইদিন ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসী আরজু ছিল। আমার ছেলেও হামলায় আহত হয়েছে। কিন্তু সে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে। আমি এর উচিত বিচার চাই।
জানা গেছে, আশ্রাফ উদ্দিন আরজু ২০১৯ সালে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পুলিশের উপর হামলা ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি। এছাড়াও ২০১৬ সালের লক্ষ্মীপুর সদর থানার ২৮-০৬-২০১৬ইং তারিখের ৪৮নং হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরেকজন বলেন, দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে শহরের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, পুলিশের ওপর হামলা থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরণের অপরাধেই আরজু যুক্ত ছিল। তবে ৫ আগস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে কয়েকদিন সে গা ঢাকা দিলেও বর্তমানে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন, সবকিছু ম্যানেজ হয়ে গেছে।
লক্ষ্মীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেন অন্যতম সমন্বয়ক মো. আরমান হোসাইন বলেন, ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে যারা নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের ভিডিও-ছবি প্রশাসনকে দিয়েছি। তাদের গ্রেফতারের দাবীতে আমরা সড়ক অবরোধও করেছি। কিন্তু এখনো আরজুদের মতো আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অনেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এটা ২৪ এর চেতনার জন্য হুমকি। প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি তাদের গ্রেফতারের জন্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মোন্নাফ জানান, হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কাফি