জাতীয়
লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮৫ বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮৫ বাংলাদেশি। তারা সেখানে আটকা ছিলেন। পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতে বাংলাদেশ মিশন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় ঢাকায় ফিরলেন তারা।
বাংলাদেশ সরকারের ভাড়া করা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটযোগে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ২১ মিনিটে তারা দেশে পৌঁছান।
সম্প্রতি ১৬টি ফ্লাইটে লেবানন থেকে নিরাপদে দেশে ফিরে এলেন মোট ১০৪৮ বাংলাদেশি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম প্রতিনিধিরা বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান।
তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা, প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়েছে আইওএম। কর্মকর্তারা চলমান সংঘর্ষের মধ্যে ফিরে আসাদের কাছ থেকে তাদের অভিজ্ঞতার কথা শোনেন।
লেবাননে সম্প্রতি বোমা হামলায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সহিংসতার কারণে লেবানন থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসন ব্যয় বহন করার জন্য সরকার তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। যারা সেখানে থাকতে চান তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১৫২ কর্মকর্তাকে বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ ইসির
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ১৫২ জন কর্মকর্তার কাছে বেতনের টাকা ফেরত চেয়েছে সংস্থাটি। এই কর্মকর্তাদের অর্থ ফেরত দিতে স্বয়ং চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারের কার্যালয় থেকে চিঠি দিয়েছে ইসিকে। এই ১৫২ জন কর্মকর্তাকে ৩ মাস সাতদিনের বেতন ফেরত দিতে হবে।
ইসির সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান সরকারি কোষাগারে টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্দেশনায় জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে প্রথম জারি করা চিঠির মাধ্যমে ১৫২ জন কর্মকর্তাকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর ৭(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১০ বছর পূর্তিতে ৬ষ্ঠ গ্রেড প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় চিঠির মাধ্যমে উচ্চতর স্কেল প্রাপ্যতার তারিখ ০৭-০৯-২০১৫ এর পরিবর্তে ১৪-১২-২০১৫ সংশোধন করা হয়। এরপর তৃতীয় চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত গৃহীত অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারের কার্যালয়। এ বিষয়ে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন দুই কমিটি ঘোষণা
‘কর্মসূচি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন’ এবং ‘ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট’ নামে দুটি নতুন কমিটি গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে ‘কর্মসূচি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সেল’ এবং ‘ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল’ গঠন করা হয়েছে।
কর্মসূচি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন সেলের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মুঈনুল ইসলাম। এছাড়া সদস্যরা হলেন- মোফাজ্জল হোসাইন সাদাত, রাকিব হাসান রাজ, মাসুদুর রহমান আদনান, ফারিয়া বিনতে রহমান, সুলতানা খাতুনে জান্নাত, আতিক শাহরিয়ার, নাজমুল হাসান, মো. আবু হাসনাত, মায়িদা ইকবাল শর্মী, আলাউদ্দীন মিনহাজ, ইসরাত জাহান নিহা, মো. ইসমাইল, আব্দুল্লাহ আল মাহাথির, মো. জুবায়ের হোসেন ও জাওয়াদ আহমেদ।
এছাড়া ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের সেল সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন হামযা মাহবুব। সেলের অন্য সদস্যরা হলেন- মোহাম্মদ আরমানুল ইসলাম, মাহবুব-ই-খোদা, শেখ তারেক জামিল তাজ, মুহাম্মদ উসামা, সাঈদ আফ্রিদি, মো. হেলাল উদ্দিন নাঈম ও মো. ইমাম হোসাইন ইমন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে ফিরলেন কলকাতা বিমানবন্দরে আটকা ২২০ বাংলাদেশি
কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকা পড়া ২২০ বাংলাদেশি যাত্রী ঢাকা পৌঁছেছেন। তারা সবাই মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা ফিরছিলেন। সোমবার রাত দেড়টায় কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা মালিন্দো এয়ারের ফ্লাইটটি ঢাকায় রাত আড়াইটায় অবতরণ করেছে বলে বিমানের যাত্রী রিয়াজ উদ্দি ফাহাদী জানিয়েছেন।
এর আগে, রোববার রাতে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা আসার পথে মালিন্দো এয়ারের (ফ্লাইট নম্বর ওডি-১৬২) বিমানটি ঘন কুয়াশার কারণে কলকাতায় জরুরি অবতরণ করেছিল। বিমানটি রাত ৩টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল।
যাত্রীদের অভিযোগ, ১৬ ঘণ্টা পার হলেও কলকাতা থেকে বাংলাদেশে তাদের ফেরানোর বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও তাদের পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এছাড়া কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এখনো তাদের ফেরত যাওয়ার সময় সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানটি রাত ৩টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে ২২০ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতায় অবতরণ করে। এরপর থেকে যাত্রীরা ট্রানজিট পয়েন্টেই আটকা ছিলেন।
বিমানবন্দরে কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ যাত্রী ছিলেন। ফাহাদী জানান, বিমান সংস্থার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ভারতীয় আঞ্চলিক অফিস কিংবা কুয়ালালামপুরের সদরদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যাত্রীদের দুর্ভোগের খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিমান কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের ঢাকায় ফেরানোর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সীমান্তে ফেলানী হত্যার ১৪ বছর আজ
কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ১৪ বছর পূর্ণ হলো। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বাবার সাথে কাটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্যের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী খাতুন।
ফেলানীর মরদেহ কয়েক ঘণ্টা কাটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্য দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মানবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় তোলে।
দেশ-বিদেশে আলোচিত এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিচার পায়নি ফেলানীর বাবা-মাসহ পরিবার। বিচারিক কাজ ভারতের উচ্চ আদালতে ঝুলে থাকায় এখনও ন্যায় বিচারের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন ফেলানীর বাবা-মাসহ স্থানীয়রা।
২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় বিএসএফ’র বিশেষ আদালত। বিজিবির আপত্তিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুন:বিচার শুরু হলেও সেখানে খালাস দেওয়া হয় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে। এরপর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) এর মাধ্যমে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন। পিটিশনের ভিত্তিতে কয়েক দফায় শুনানীর দিন পিছালেও এখনও আদালতেই ঝুলে আছে পিটিশনটি। এ অবস্থায় অনেকটা হতাশার মধ্যে থাকলেও মেয়েকে হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ন্যায় বিচারের আশা করছেন ফেলানীর পরিবার।
ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, আমার নিষ্পাপ মেয়ে ফেলানীকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ অমিয় ঘোষ। আমার বড় মেয়েকে মেরে বুক খালি করেছে। মেয়েকে হত্যার পর থেকে আমার পরিবারের সবাই দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছি। কেউ খোঁজ খবর নেয় না। বাংলাদেশ-ভারত সরকারের কাছে আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। বেঁচে থাকতে আমি অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দেখে যেতে চাই।
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, “ভারতের কোচবিহারে বিএসএফ’র আদালত আমার মেয়ে হত্যার বিচার শুরু করে। আমি স্বাক্ষী দিয়ে আসি। আমার চোখের সামনে গুলি করে মারা হয়েছে আমার মেয়েকে। কিন্তু অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে খালাস দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমি ভারতের একটি মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করি। কিন্তু সেখানে বিচার শুরু হয়নি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।”
রামখানা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা আখতার হোসেন বলেন, “শুধু শুনে আসছি যে ফেলানী হত্যার বিচার হবে। কিন্তু বিচার হচ্ছে না। ভারত সরকার বিচার করছে না। ফেলানী হত্যার বিচার পেতে আদালতে স্বাক্ষী দিতে কয়েক দফায় ভারতে যান ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিচার না পাওয়ায় হতাশ আমরা এলাকাবাসীরাও।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম কুড়িগ্রামের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম বলেন, ফেলানী হত্যার রিট পিটিশনটি ভারতের উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে। আমরা মনে করি পিটিশনটি উত্থাপন করে ফেলানী হত্যার বিচারের মাধ্যমে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে ভারত সরকার। এতে করে দু’দেশের দীর্ঘ সীমান্তে হত্যার ঘটনা কমে আসবে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলনিটারী গ্রামের নুর ইসলাম ও জাহানারা দম্পতির ৮ সন্তানের মধ্যে সবার বড় মেয়ে ছিল ফেলানী। পরিবারের অভাব অনটন দূর করতে কাজের সন্ধানে স্বপরিবারে চলে যান ভারতে। মেয়েকে বিয়ে দিতে দালালের মাধ্যমে দেশে ফেরার সময় এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় ফেলানী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো বাংলাদেশ
চার দিনের মাথায় সাত সকালে আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ভূ-কম্পনটির উৎপত্তিস্থল চীনের তিব্বতে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
ভূ-কম্পনটি বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভারত, ভুটানে অনুভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চীনের জিজ্যাংয়ে (তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল)। উৎপত্তিস্থলে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
এর আগে ৩ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হয়।