জাতীয়
৩৮ শতাংশ মানুষ নিশ্চিত নন কাকে ভোট দেবেন: জরিপ

দেশে এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে কোন দলকে ভোট দেবেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ৩৮ শতাংশ মানুষ। বাকি মানুষের ১৬ শতাংশ বিএনপিকে, ১১ শতাংশ জামায়াতে ইসলামীকে এবং ৯ শতাংশ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। ২ শতাংশ মানুষ ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে তাদেরকে ভোট দিতে চান। এদিকে মাত্র ১ শতাংশ বলেছেন তাঁরা জাতীয় পার্টিকে ভোট দেবেন।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ‘পালস সার্ভের’ দ্বিতীয় ধাপের জরিপের ফলাফলে এমন চিত্র উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশে (পিআইবি) এক অনুষ্ঠানে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বিআইজিডির আয়োজনে ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ: মানুষ কী ভাবছে’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা সহযোগী শেখ আরমান তামিম অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন। চলতি বছরের ১৫ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।
এই জনমত জরিপে দেখা গেছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে মানুষের প্রত্যাশ্যা অনেক বেড়েছিল। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী, তাঁর অনেক কিছুই অপূর্ণ রয়েছে, ভবিষ্যৎ নিয়েও জনমনে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
তবু উত্তরদাতাদের ৫৬ শতাংশ বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছে। অন্যদিকে ৩৪ শতাংশ মনে করেন দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের আগস্টে করা পালস সার্ভের প্রথম ধাপে পাওয়া ফলাফলের তুলনায় যা কমেছে। আগের সমীক্ষায় উত্তরদাতাদের ৭১ শতাংশ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। তখন দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন ১২ শতাংশ মানুষ।
এই জরিপে সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪,১৫৮ জনের থেকে টেলিফোন সাক্ষাৎকারে মতামত নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (বিআইজিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা এম হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর আগস্টে মানুষের আশা বেড়েছিল। তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এই আশা পূরণ না হওয়ায় জনসাধারণ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের সময় সরকারকে জনগণের এই উদ্বেগের কথা বিবেচনা করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকার দেশ ভালো পরিচালনা করবে কি না, এমন প্রশ্নে ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা নির্বাচিত সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। দ্বিমত প্রকাশ করেছেন ১৫ শতাংশ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা জানি যে, বর্তমানে দেশে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে তবে এটাও মনে রাখা দরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত সময়কালে একাধিক জটিল সমস্যার সমাধান করা অত্যন্ত কঠিন বটে। তবে আমরা সকলে মিলে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। অভ্যুত্থানের পর জনগণের উচ্ছ্বাস তাদের প্রত্যাশাকেও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতার কারণে জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। জনমনে এত প্রত্যাশা জন্মানোর পেছনে সরকারের বার্তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং এই বার্তা পুনর্মূল্যায়ন করা জরুরি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন, পিআইবির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. আহমেদ আহসান, পরিচালক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) ও মোহাম্মদ আয়নুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সৈয়দা সেলিনা আজিজ, ফেলো অব প্র্যাকটিস, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিআইজিডি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

জাতীয়
আবদুল হামিদ দোষী হলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তদন্তের দোষী হলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, তদন্তে দোষী হলে কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না। দোষী ব্যক্তিকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। কিন্তু কেউ নির্দোষ হলে কেন তাকে সাজা দেবো?
সোমবার (৯ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়ে এক মাস পর রোববার (৮ জুন) দিনগত রাত দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন আবদুল হামিদ। এর আগে গত ৭ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। মামলার আসামি হয়েও তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন তা নিয়ে তখন অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যেই কয়েকটি দলের দাবির মুখে ১০ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও ১২ মে দলটির নিবন্ধন স্থগিত করা হয়।
একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিদেশে গিয়েছেন এবং তিনি দেশেও ফিরে এসেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অনেকে বলেছেন যে (আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে) কিছু কিছু মামলা আছে, যেগুলোর কোনো তদন্ত হয়নি। তদন্তে যারা দোষী হয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারাই (সাংবাদিক) সবসময় বলেছেন, নির্দোষরা যেন কোনো অবস্থায় সাজা না পায়। এজন্য আমাদের তদন্তটা করতে দেন। তদন্তে কেউ যদি দোষী হয় তাহলে কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না। দোষী ব্যক্তিকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
ফৌজদারি মামলায় তদন্তে দোষ বা অপরাধ মোটামুটি প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হবে না বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নির্দোষ একজন মানুষকে কেন সাজা দেবো?
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার মতো বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাস্তাঘাটে দু-একটা দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। টুকটাক চুরিচামারি হচ্ছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমি মোটামুটি খুশি।
জাতীয়
বিমানবন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন শেখ হাসিনার চাচা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমিয়েছেন। রোববার (৮ জুন) সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে একটি ফ্লাইটে অনেকটা গোপনে তিনি সিঙ্গাপুর যান।
সোমবার (৯ জুন) সকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শেখ কবির হোসেনের বিরুদ্ধে টাকা পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি বড় বড় পদ দখল করে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ক্ষমতাবান একটি চক্রের সহায়তায় শেখ কবির বিমানবন্দর ছাড়তে সক্ষম হন। অথচ শেখ হাসিনার শাসন আমলে আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন খাতে অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম ছিল শেখ কবির। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ২৩টি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের নানান পদে ছিলেন শেখ কবির।
২০১১ সাল থেকে বিমা কোম্পানির মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) একটানা সভাপতি ছিলেন শেখ কবির হোসেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ হাসিনার চাচা হিসেবে শেখ কবিরের পরিচিতির কারণে দুই বছর মেয়াদি বিআইএর কমিটির কোনো স্বাভাবিক নির্বাচন হতো না। এ ছাড়া শেখ কবির বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেম্বার অব গভর্নরস, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশন, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান ছিলেন।
শেখ কবিরের দেশত্যাগের বিষয়ে জানতে সোমবার সকালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মোয়াজ্জেম হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রোববার সকালে একটি ফ্লাইটে তিনি দেশের বাইরে গেছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো হত্যা মামলা ছিল। তারপর একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে তাকে বিদেশ যাত্রা অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ

বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন ফোরাম (আইএএফ) ও ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশন (আইএলএসি) প্রতি বছর ৯ জুনকে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস হিসেবে পালন করে।
বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সব পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই আন্তরিক। এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয়
করোনা সতর্কতায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাড়তি নজরদারি

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে শাহ আমানত বিমানবন্দরে মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৮ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বাংলাদেশে এ সংক্রমণ এড়াতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জরুরি স্বাস্থ্য নির্দেশনা দিয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে- আন্তর্জাতিক আগমনি হলে ইমিগ্রেশন এ প্রবেশস্থলে হেলথ স্ক্রিনিং ইকুইপমেন্ট বসানো হয়েছে। বিমানবন্দরের মেডিকেল টিম কর্তৃক থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে নন টাচ পদ্ধতিতে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা নির্ণয় করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরে টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবার জন্য মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জরুরিভিত্তিতে পর্যাপ্ত মাস্ক ও গ্লোভস মজুতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বাড়ানোর জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
ঈদের তৃতীয় দিনেও চলবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম: উপদেষ্টা আসিফ

ঈদের তৃতীয় দিনেও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। একইসঙ্গে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন কোরবানি করা পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ মোট তিন দিন ধরে কোরবানি হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানি হয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই সেদিনও বর্জ্য তৈরি হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করা পশুর বর্জ্য নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেটি দ্বিতীয় দিনের কোরবানি করা পশুর বর্জ্য। তবে অনেকেই সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি না করলেও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ঈদের তৃতীয় দিনেও চলমান থাকবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
এর আগে ঈদের দিন দিবাগত রাতে আসিফ মাহমুদ এক পোস্টে উল্লেখ করেন, সব সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩৫ হাজার ২৭২ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে সুন্দর করেছেন আমাদের ঈদ উদযাপন। এজন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ধর্মীয় দিক থেকে ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনও কোরবানি করা যায়। তাই অনেকেই আজও কোরবানি করবেন। তাই সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনগুলোর পক্ষ থেকে ঈদের তৃতীয় দিনেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।