জাতীয়
ঢাকায় আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে আগামী ১৪-১৭ ডিসেম্বর পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তা বাংলাদেশে সরকারি সফর করবেন। এ সফরে তিনি আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আগামী ১৪ থেকে ১৭ ডিসেম্বর তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রপতি হোসে রামোস হোর্তা বাংলাদেশে সফর করবেন। তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রপতির এ সফরটি বাংলাদেশে তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সরকারি সফর হবে। এ সরকারি সফরে তিনি আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির মূখ্য উপদেষ্টাসহ উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
সচিব বলেন, তিমুর লেস্তের স্বাধীনতা লাভের পরপরই ২০০২ সালের ৭ জুন বাংলাদেশ তিমুর-লেস্তেকে স্বীকৃতি দেয়, যার মধ্যদিয়ে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তিমুর লেস্তের স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিমুর লেস্তে আজও বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তিমুর লেস্তের সম্মানিত অতিথি রাষ্ট্রপতি হোসে রামোস হোর্তাকে যথাযথ মর্যাদায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানাবেন।
তিনি আরও বলেন, সফরের প্রথম দিন, অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বরে তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন। এর পরপরই দু’দেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন রাতে তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রপতি তার সম্মানে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশ নেবেন এবং ১৬ ডিসেম্বর তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রপতি ১৬ ডিসেম্বরে সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। তিনি বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনু্ষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরদিন, অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখবেন। একইদিন বিকেলে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশ্যে তার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা পরবর্তী তিমুর লেস্তের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে বক্তব্য দেবেন। জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবের পটভূমিতে তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রনায়কের সান্নিধ্য বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্বাধীন ও বৈষম্যহীন ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় সঞ্চারিত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না: ডিবিপ্রধান
আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না। আমরা আপনাদের সেবা দিতে চাই, কারও কোনো কষ্টের কারণ হতে চাই না। আন্তরিক সেবা দেওয়ার মাধ্যমে আপনাদের কষ্টের অংশীদার হতে চাই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাড্ডার টাইকিং পার্টি সেন্টারে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও বাড্ডা থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ডিবিপ্রধান বলেন, আমাদের কাজের মাধ্যমে পুলিশকে মানুষের আত্মার জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। আপনারা যে কোনো প্রয়োজনে আসবেন আমরা আপনাদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন করে পাওয়া এই বাংলাদেশকে আমরা একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কটা খুবই নিবিড়। একে অন্যের পরিপূরক। পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। একটি সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মাণে এককভাবে পুলিশের পক্ষে কোনোকিছুই করা সম্ভব নয়, যদি না জনগণ তথ্য ও সহযোগিতা দিয়ে পাশে থাকে।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। যার ফলে বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এমনিভাবে পুলিশি সেবায়ও এসেছে আমূল পরিবর্তন। আগামীতে পুলিশকে আরও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও বাড্ডা থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি অনিক জাহান শাওন বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার দেশ। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে সব দল ও মতের সমর্থন থাকবে। এই দেশের অপরাধ প্রতিরোধে আমরা পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। বিশেষ করে সমাজ থেকে কিশোর গ্যাং ও মাদক নির্মূলে পুলিশের পাশে আমরাও দাঁড়াতে চাই। জনবান্ধব পুলিশি সেবার মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ হবে নিরাপদ ও সুন্দর।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় গুলশান বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বাড্ডা থানা এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বড়দিন-থার্টি ফার্স্টে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষদিন থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে ঢাকার আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সভায় জানানো হয়, বড়দিনে এবার ঢাকার প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে। এছাড়া ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপন করা হবে। এ দুটি বড় উৎসব ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি চার্চে ইউনিফর্মে ও শাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এ ছাড়া নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপন উপলক্ষে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতাও বাড়ানো হবে। উন্মুক্ত কোনো স্থানে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। গুলশান, হাতিরঝিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া উৎসব দুটি উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে বলে জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব সড়ক
আগামী শনিবার ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কিছু কিছু সড়কের বিকল্প ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা, বিদেশি কূটনীতিক এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাওয়া-আসা করবেন।
ওই এলাকায় যানবাহনের সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত করতে ওইদিন (শনিবার) ভোর ৪টা হতে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন (বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি ও রিকশা-ভ্যান ইত্যাদি) মিরপুর মাজার রোড (মাজার রোড ক্রসিং হতে মিরপুর ১নং ক্রসিং পর্যন্ত) পরিহার করে বিকল্প সড়কে চলাচল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
বিকল্প সড়কগুলো হলো
১. যেসব যানবাহন আশুলিয়া থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে মিরপুরে আসবে, সেসব যানবাহন নবাবেরবাগ ক্রসিং হতে গুদারাঘাট হয়ে রাইনখোলা ক্রসিং (চিড়িয়াখানা সড়ক) ব্যবহার করবে।
২. যেসব যানবাহন মাজার রোড ক্রসিং দিয়ে শাহআলী মাজার সংলগ্ন এলাকা অতিক্রম করবে, সেসব যানবাহন টেকনিক্যাল মোড়-আনসার ক্যাম্প-বাঙলা কলেজ-মিরপুর ১ নম্বর সড়ক ব্যবহার করবে।
৩. যেসব যানবাহন মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর হতে মিরপুর-১ নম্বর ও মাজার রোড হয়ে গাবতলীর দিকে যাবে, সেসব যানবাহন মিরপুর-১ হতে ডানে তানিন গ্যাপে ইউটার্ন করে নবাবেরবাগ ক্রসিং বা দিয়াবাড়ি ক্রসিং হয়ে ব্রাদার্স গ্যাপ দিয়ে গাবতলী চলাচল করবে।
৪. গাবতলী হতে ঢাকা মুখী যানবাহন ব্রাদার্স গ্যাপ থেকে বামে টার্ন করে বেড়িবাঁধ দিয়াবাড়ি ক্রসিং হয়ে নবাবেরবাগ ক্রসিং দিয়ে গুদারাঘাট ও রাইনখোলা ক্রসিং (চিড়িয়াখানা সড়ক) ব্যবহার করবে।
৫. দারুসসালাম থানা এলাকা হতে বিভিন্ন গন্তব্যের যানবাহন ১০ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারের রাস্তা ব্যবহার না করে গোলারটেক হয়ে পালপাড়া ঘাট দিয়ে গাবতলী বেড়িবাঁধের রাস্তা দিয়ে দিয়াবাড়ি ও নবাবেরবাগ ক্রসিং দিয়ে চলাচল করবে।
দিবসটিতে অনুষ্ঠান চলাকালে নগরবাসীকে পুলিশের নির্দেশিত বিকল্প সড়কে যানবাহন চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতাও চেয়েছে ডিএমপি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে ট্রেন চলাচল শুরু ১৫ ডিসেম্বর
যাত্রীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে এখন থেকে ঢাকা-জয়দেবপুর-ঢাকা রুটে ৪ জোড়া কমিউটার ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এতে গাজীপুর থেকে ঢাকায় এসে সহজেই অফিস করতে পারবেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ট্রেন চলাচলের সময়সূচি সম্পর্কে জানানো হয়েছে, তুরাগ কমিউটার-১ ট্রেনের ভোর ৫টায় ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে সকাল ৬টায় জয়দেবপুর পৌঁছাবে। ট্রেনটি ঢাকা বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে থামবে।
জয়দেবপুর কমিউটার-১ ট্রেনটি ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে জয়দেবপুর স্টেশনে সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে পৌঁছাবে। ট্রেনটি তেজগাঁও, ঢাকা বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে থামবে।
তুরাগ কনিউটার-২ ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশন থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে ঢাকা স্টেশনে ৭ টা ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে। ট্রেনটি তেজগাঁও, বনানী, ঢাকা বিমানবন্দর, টঙ্গী ও ধীরাশ্রম থামবে।
জয়দেবপুর কমিউটার-২ ট্রেনটি জয়দেবপুর থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। জয়দেবপুর কমিউটার-৩ ট্রেনটি ঢাকা থেকে বেলা ১১টায় যাত্রা শুরু করে দুপুর ১২টায় জয়দেবপুর পৌঁছাবে। জয়দেবপুর কমিউটার-৪ ট্রেনটি জয়দেবপুর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় যাত্রা শুরু করে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। ট্রেনগুলো তেজগাঁও, বনানী, ঢাকা বিমানবন্দর, টঙ্গী স্টেশনে থামবে।
তুরাগ কমিউটার-৩ ট্রেনটি ঢাকা থেকে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে জয়দেবপুর পৌঁছাবে। তেজগাঁও, বনানী, ঢাকা বিমানবন্দর, টঙ্গী,ধীরশ্রম স্টেশনে থামবে।
তুরাগ কমিউটার-৪ ট্রেনটি জয়দেবপুর থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। ট্রেনটি তেজগাঁও, ঢাকা বিমানবন্দর, টঙ্গী স্টেশনে থামবে।
তুরাগ কমিউটার শুক্রবার এবং জয়দেবপুর কমিউটার শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট ইস্যু করা হবে বলেও জানানো হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিটিআরসির দুই কমিশনারের নিয়োগ বাতিল
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দুই জন কমিশনারের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
তারা হলেন- বিটিআরসির কমিশনার (আইনজীবী ও বিচারক ক্যাটাগরি) ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক (বাবু) এবং কমিশনার (ব্যবসা-বাণিজ্য বা অর্থ বা ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসন ক্যাটাগরি) ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী।
তাদের নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এই দুই কর্মকর্তার নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হয়েছে।