কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবির দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পেলেন ১৬০ কৃষি-উদ্যোক্তা
সম্প্রতি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) কৃষি সহায়তা উদ্যোগ ‘ভরসার নতুন জানালা’র আওতায় শেরপুরের কৃষি-উদ্যোক্তাদের জন্য একটি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এটি এই উদ্যোগের অধীনে ৫৯তম আয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) শেরপুর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়। জেলার ৫টি উপজেলা থেকে মোট ১৬০ জন কৃষি-উদ্যোক্তা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইউসিবির করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) প্রকল্পের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। সম্ভাবনাময় কৃষি-উদ্যোক্তাদের আরও সক্ষম করে তুলতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিভির কৃষি-ভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’-এর উপস্থাপক ও কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন; শেরপুর সদরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. পলাশ কান্তি দত্ত; জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (শেরপুর) প্রনব কুমার কর্মকার এবং অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির জামালপুর ব্রাঞ্চের ম্যানেজার মো শরীফ হাসান সরকার।
কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, বিশ্বজুড়ে চলমান পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের কৃষি খাতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রবর্তন এবং আমাদের কৃষক ও কৃষি-উদ্যোক্তাদের সেই পরিবর্তন সম্পর্কে অবহিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষক ও কৃষি-উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করলে আমরা একটি প্রতিকুল পরিবেশ সহিষ্ণু কৃষি খাত গড়ে তুলতে পারবো; যা দেশকে খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। এই সিএসআর উদ্যোগের লক্ষ্য কৃষকদের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করার মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, কৃষকদের সুবিধার্থে ‘ভরসার নতুন জানালা’ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে ইউসিবি। এসবের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন জাতের বৃক্ষরোপণ, কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, এআই-নির্ভর ‘আরো মাছ’ (মোরফিশ) ডিভাইসের মতো কৃষি- সংক্রান্ত স্মার্ট ডিভাইস বিতরণ, তামাকের বিকল্প শস্য হিসেবে ভুট্টাচাষে উৎসাহদান, বজ্রপাত থেকে রক্ষা করতে লাইটনিং অ্যারেস্টার ডিভাইস স্থাপন এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাদ্য উৎপাদন যন্ত্রাংশ বিতরণ ইত্যাদি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সাউথইস্ট ব্যাংকের অংশীদারিত্ব সভা
দেশের শীর্ষস্থানীয় হজ এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি সফল ও কার্যকরী পরিচিতি এবং অংশীদারিত্ব সভার আয়োজন করেছে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান এম. এ. কাসেম উপস্থিত ছিলেন।
এই উদ্যোগ ব্যাংকের হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার এবং হজ যাত্রীদের সেবায় উদ্ভাবনী আর্থিক সমাধান প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান অনুষ্ঠানে এম. এ. কাশেম হজ যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে সাউথইস্ট ব্যাংক নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে এজেন্সি এবং আল্লাহর মেহমান হাজীগণ তাদের আধ্যাত্মিক যাত্রার প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসাইন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ মাছুম উদ্দিন খান এবং আবিদুর রহমান চৌধুরী। এছাড়াও বিভিন্ন হজ এজেন্সির প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
২০১০ সাল থেকে সাউথইস্ট ব্যাংক অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সুবিধার্থে হজ মানি কালেকশন সেবা প্রদান করে আসছে। এর পাশাপাশি, ব্যাংক হজ যাত্রীদের জন্য নির্ভরযোগ্য, সুরক্ষিত ও সুবিধাজনক অর্থ স্থানান্তর সেবা নিশ্চিত করতে হজ রেমিট্যান্স সার্ভিস এবং হজ ক্রেডিট কার্ড, ট্রাভেল কার্ড ও অন্যান্য আর্থিক সেবা প্রদান করে আসছে। এই সেবাগুলো কেবলমাত্র মুনাফা লাভের জন্য নয়, বরং এর উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর মেহমান হাজী সাহেবানদের সম্মান জানানো এবং তাঁদের সহায়তা করা। হাব-এর বেশিরভাগ বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্যই সাউথইস্ট ব্যাংকের গ্রাহক।
সাউথইস্ট ব্যাংক এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে এবং অংশীদারিত্ব ও সেবার উৎকর্ষতার এই যাত্রা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ে র্যাবের ১৬ সদস্য আটক: ডিজি
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাবের ১৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। পরে র্যাবের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে র্যাবের ১৬ জন সদস্য বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাবের ৫৮ জন কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ২৪৬ সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীলতা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব।
তিনি আরও বলেন, আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করবো ততদিন র্যাব গুম, খুনে জড়িত হবে না বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঘন কুয়াশায় ৩ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট ও শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে তিন ঘাটে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৩টা থেকে ওই তিন রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই তিনটি নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। রাত ৩টার দিকে কুয়াশার মাত্রা তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করতে থাকে। এতে ফেরি চলাচলের চ্যানেলের বিকনবাতি ও মার্কিং পয়েন্ট কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে তিনটি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এতে মাঝ নদীতে ছোট-বড় ৪টি ফেরি আটকে পড়ে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তীব্র কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ফরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার মাত্রা কমে গেলে এ নৌরুটে ফের ফেরি চলাচল ফের স্বাভাবিক হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ভূমি সেবার গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে: মন্ত্রণালয়
জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নাগরিকবান্ধব সফটওয়্যারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। সফটওয়্যারগুলোতে পুরাতন সংস্করণ থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য স্থানান্তর করতে হয়েছে। ফলে এ মুহূর্তে সিস্টেমগুলো একটু ধীর গতিতে চলছে। বর্তমানে সফটওয়্যারগুলো ধীর গতিসম্পন্ন হওয়ায় নাগরিকরা ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ান সেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। সেবা পাওয়ার এ গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, জনবান্ধব ভূমিসেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। হয়রানিমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত ভূমিসেবা সহজীকরণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ১টি নতুন সফটওয়্যার ও ৪টি সফটওয়্যারের ২য় ভার্সন গত ১ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করেন। জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নাগরিকবান্ধব এ সফটওয়্যারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন সংস্করণ ই-নামজারি, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর ও ই-পর্চা ও মৌজা ম্যাপ (খতিয়ান) প্রাপ্তির জন্য নাগরিককে প্রথমেই এলএসজির মাধ্যমে প্রোফাইল তৈরি করে নিবন্ধন করতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় নাগরিককে অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্বোধন করা সফটওয়্যারগুলোতে পুরাতন সংস্করণ থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য স্থানান্তর করতে হয়েছে। ফলে এ মুহূর্তে সিস্টেমগুলো একটু ধীর গতিতে চলছে। এ ছাড়া সেবা প্রদান এবং সেবা গ্রহণে কিছু কারিগরি জটিলতা ও ক্রটি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত প্রাপ্ত ফিডব্যাক অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ সব ত্রুটি সমাধানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় ও প্রকল্পের একটি শক্তিশালী কারিগরি টিম গঠন করা হয়েছে এবং এ টিম দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে সফটওয়্যারগুলো ধীর গতিসম্পন্ন হওয়ায় নাগরিকরা ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ান সেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। সেবা প্রাপ্তিতে এ গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে।
এতে বলা হয়, ভূমিসেবা দেওয়া মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে নাগরিকদের ধৈর্যসহকারে আন্তরিকতার সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেন সে বিষয়ে ৮টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ভূমিসেবা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ম্যানুয়াল তৈরি করে সরবরাহ করা হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ গত ১০ ডিসেম্বর, সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করে সমস্যা সমাধানের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। জনবান্ধব, হয়রানিমুক্ত সেবা দেওয়ার জন্য সফটওয়্যার সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানে ভূমি মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণ কাঙ্ক্ষিত ভূমিসেবা পেতে কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব ভূমি মালিকদের কাছ থেকে আমরা আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
অপুষ্টিতে ভুগছে দেশের ১১.৯ শতাংশ মানুষ
ক্ষুধা মোকাবিলায় বাংলাদেশে অগ্রগতি হলেও এখনও মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা বিরাজ করছে এখানে। বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টির শিকার।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এর প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ১১ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকিতে এবং ২৩ দশমিক ছয় শতাংশের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বয়সের তুলনায় যথেষ্ট কম।
মূলত চারটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ক্ষুধা সূচকের স্কোর নির্ধারিণ করা হয়েছে: এর মধ্যে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার। বাংলাদেশে জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ খর্বকায়। পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ১১ শতাংশ শারীরিকভাবে দুর্বল। পাঁচ বছর বয়সের আগে প্রায় ৩ শতাংশ শিশু মারা যায়।
রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশ এবং কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের যৌথ আয়োজনে ‘ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশের পথে: বাধা এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে। ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশ ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিলেই এই প্রতিবেদন তৈরি করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের অন্যতম অনুঘটক হিসেবে জেন্ডার ন্যায্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি অর্জন করতে হলে ব্যক্তিপর্যায় থেকে শুরু করে সামগ্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে আইনি অধিকার, আনুষ্ঠানিক শর্তাবলি এবং অনানুষ্ঠানিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতি, যা প্রায়ই পরিবার ও সমাজে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে।
বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এর তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ক্ষুধা নিরসনে বাংলাদেশের অগ্রগতি হলেও এখনও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২-এর প্রকৃত ক্ষুধামুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে আছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও লিঙ্গবৈষম্যের কারণে এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষ খাবারের তীব্র সংকটে থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, অনিরাপদ কৃষি চর্চার ফলে আমরা নিরাপদ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করতে পারছি না। এতে পুষ্টিনিরাপত্তাও নিশ্চিত হচ্ছে না।
মাছসহ বাংলাদেশে যে ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য বৈচিত্র্য আছে, তা রক্ষার ওপর জোর দেন তিনি। এ ছাড়া খাদ্যনিরাপত্তায় নারীর লোকজ জ্ঞানকেও গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি। এ সময় অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও খাদ্যব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে উল্লেখ করেন ফরিদা আখতার।