আন্তর্জাতিক
হাসিনার কোনো বক্তব্যকে সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বক্তব্যকেই ভারত সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।
আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেবল একটি একক রাজনৈতিক দল বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বলেও জানিয়েছেন বিক্রম মিশ্রি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ব্রিফিংয়ে বুধবার পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনাকে ভারত সমর্থন করে না এবং এটি (হাসিনার বক্তব্য) বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই ছোট বা তুচ্ছ বিষয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেবল একটি একক রাজনৈতিক দল বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এবং বাংলাদেশের জনগণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে ভারত।
চলতি বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই এক ধরনের টানাপোড়েন চলছে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে।
এমন অবস্থায় সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সফর করেন। তার ঢাকা সফর থেকে ফেরার দুই দিন পর তিনি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন। বুধবার নয়াদিল্লির সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ব্রিফিংয়ে দেশটির ২১ থেকে ২২ সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে বিক্রম মিশ্রি বলেন, শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত যোগাযোগের ডিভাইস ব্যবহার করে এসব বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে চলেছেন এবং ভারত সরকার তাকে এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুবিধা প্রদান করছে না, যা তাকে ভারতের মাটি থেকে তার রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালানোর সুযোগ দেয়।
তিনি দাবি করেন, অন্য দেশে হস্তক্ষেপ এড়ানোর জন্য ভারতের ঐতিহ্যবাহী যে রীতি রয়েছে, এটি তারই অংশ।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে নানা ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন হাসিনা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে মিশ্রি আরও জানান, সোমবার ঢাকা সফরের সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়েছেন— বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা একটি নির্দিষ্ট সরকারের বাইরেও আছে এবং ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় এবং বর্তমান সরকারের সঙ্গেও জড়িত থাকবে।
তিনি বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বাণিজ্য ও যোগাযোগের বৃহত্তম অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই পক্ষ রেল যোগাযোগ, বাস সংযোগ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ নির্মাণ করেছে। তিনি অবশ্য কমিটিকে জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা এখনো স্থগিতই রয়ে গেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
১০ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে ফেরত পাঠালো সৌদি
আইন লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগে সৌদি আরবে অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ২ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেফতার করেছে সৌদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সময়ে সৌদি থেকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার ১০ হাজার ৩১৯ জন প্রবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে গালফ নিউজ।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত দিনের অভিযানে ১৯ হাজার ৪১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আবাসিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১১ হাজার ৭৮৭ জনকে, নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪ হাজার ৩৮০ জনকে এবং ৩ হাজার ২৫১ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে সৌদিতে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ২২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪২ শতাংশ ইয়েমেনি, ৫৬ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ২ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক রয়েছেন। একই সময়ে সৌদি আরব থেকে অবৈধভাবে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে ১৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইন লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন, আশ্রয় এবং নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবে বর্তমানে ৩০ হাজার ২৬১ জন পুরুষ এবং তিন হাজার ৩১৫ জন নারীসহ মোট ৩৩ হাজার ৫৭৬ জন প্রবাসী বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপের মধ্যে রয়েছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২৩ হাজার ৯৯১ জনকে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহের জন্য নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ৩ হাজার ৮৬৯ জনকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া১০ হাজার ৩১৯ জনকে নিজ নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেউ যদি কাউকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশে সহযোগিতা করে এবং কাউকে পরিবহন সুবিধা ও আশ্রয় দেয়, তাহলে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে। এছাড়া ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে তার সম্পত্তি এবং যানবাহনও বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাজ্যে এবার আলোচনায় টিউলিপের পারিবারিক বন্ধু শায়ান
যুক্তরাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক চাপে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। এই পরিস্থিতিতে আলোচনায় এসেছেন তার ‘পারিবারিক বন্ধু’ শায়ান ফজলুর রহমান, যিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছেলে এবং ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) শায়ান এবং তার স্ত্রী শাজরেহ রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শায়ান ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের পারিবারিক বন্ধু। লন্ডনে শেখ হাসিনার সফরের সময় শায়ানের ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বাড়িতে তিনি বিনাভাড়ায় অবস্থান করতেন। শায়ান একসময় তার বাবার মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন।
ডেইলি মেইল আরও জানায়, দুর্নীতির অভিযোগের পরও শায়ান এখনো ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পদে বহাল রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা শায়ানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে অবগত এবং বাংলাদেশের ঘটনার দিকে নজর রাখছি।
শায়ানের এক মুখপাত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি যুক্তরাজ্যে জন্ম নেয়া একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী। তিনি বা তার স্ত্রী কখনো কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হননি।
শায়ান একসময় আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করলেও, ক্ষমতার পরিবর্তনের পর ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হলে তিনি পরিচালকের পদ হারান।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শায়ানের ভূমিকা ও তার বাবার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। তবে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে তার অবস্থান বহাল রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
‘জমজমের’ বলে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি
বোতলের গায়ে জমজমের পানির লেবেল লাগিয়ে জমজমের পানি বলে ট্যাপের পানি বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে প্রতারণা করে তুরস্কে এক ব্যক্তি একাই আয় করেছেন ৯ কোটি লিরা (প্রায় ৩০ কোটি টাকা)। ওই ব্যক্তি প্রতিদিন ২০ টন ভুয়া জমজমের পানি বিক্রি করতেন বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন তিনি অন্তত ২০ টন পানি বিক্রি করে আসছেন। গত ৫ মাস ধরে এই প্রতারণা করছেন বিলাল নামের ওই ব্যক্তি।
জিজ্ঞাসাবাদে বিলাল পুলিশকে জানান, তুরস্কে জমজমের পানি বলে যেসব পানি বিক্রি হয়, বেশিরভাগই তুরস্কের পানি। এগুলো সৌদি আরবের জমজমের পানি নয়। এসব পানি আদানার ওয়্যারহাউজের।
বিলালের কাছে তথ্য পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর এমন ভুয়া ১৫ হাজার লিটার জমজমের পানি পায় তারা। এসব পানির বোতলের বেশকিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাতে দেখা যায়, সব ধরনের আকারের বোতলই রয়েছে। এগুলো তুরস্কের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি বিরোধীদলীয় নেতার
ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রিসভার সদস্য ও যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রিসভার সদস্য এবং তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, নিজ খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনদের উপহারের ফ্ল্যাটে থাকা নিয়ে বিতর্ক চলছে তাকে নিয়ে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে কনজারভেটিভ পার্টির এ নেতা বলেছেন: কেয়ার স্টারমারের টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে।
পোস্টে তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
ব্যাডেনোচ বলেন, সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলো তৈরি করেছে, তা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ সিদ্দিক সেই কাজে মনোনিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছেন। আর এখন বাংলাদেশ সরকারও শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে তার যোগসূত্র নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এছাড়া সম্প্রতি টোরি এমপিরাও টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা টিউলিপের উদ্দেশে বলেছেন, ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তিনি যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
টোরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং ব্যাখ্যা করতে হবে আসলে কী ঘটেছে এবং কেন? যদি তিনি তা না করেন, তবে মন্ত্রী হিসেবে তিনি তার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না।
টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য কোনও ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে লেখা একটি চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, ‘আমি কোনও ভুল করিনি।’
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন তিনি। সেইসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেছেন, টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা নিয়ে যে খবর চাউর হয়েছে তা ‘সম্পূর্ণ অসত্য’।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে কারাবন্দিদের নামানো হলো দাবানল নেভানোর কাজে
ভয়াবহ দাবাননে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস। আর এই আগুন নেভানোর কাজে নামানো হয়েছে কয়েকশ কারাবন্দিকে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজের জন্য দৈনিক ভাতা হিসেবে মাত্র ৫ দশমিক ৮০ ডলার থেকে ১০ দশমিক ২৪ ডলার করে পান তারা। জরুরি অবস্থা চলাকালে প্রতি এক ঘণ্টার জন্য আলাদা করে এক ডলার দেওয়া হয় তাদের।
লস অ্যাঞ্জেলসে বর্তমানে পাঁচটি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। দাবানলে পুড়ছে সেখানকার ১১৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার অবকাঠামো পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশন জানিয়েছে, পেশাদার ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে অন্তত ৩৯৫ জন কারাবন্দি আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
যদিও এটি স্বেচ্ছাশ্রম। তবে অনেকে মনে করেন বিষয়টি পুরোনো দাস প্রথারই একটি অংশ। যেখানে কারাবন্দিদের দিয়ে খুবই অল্প অর্থের বিনিময়ে ঝুকিপূর্ণ কাজ করানো হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল নেভানোর কাজে যে বাহিনী আছে, তার প্রায় ৩০ শতাংশই কারাবন্দিদের নিয়ে গঠিত। কিন্তু বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাদের ফায়ার ফাইটার হিসেবে আর চাকরি দেওয়া হয় না।
সাধারণ ফায়ার ফাইটাররা আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করলেও; কারাবন্দি ফায়ার ফাইটাররা মূলত হাত দিয়ে কাজ করে। আগুন যেন না ছড়ায় সেজন্য গাজ ও লতাপাতাগুলো সরায় তারা। এতে করে সাধারণ ফায়ার ফাইটারদের তুলনায় তারা চার গুণ বেশি আহত হয়।
কারাবন্দি এসব ফায়ার ফাইটাররা থাকেন মূলত ফায়ার ক্যাম্পে। তাদের অনেকে বলছেন, কম বেতন এবং ঝুকি থাকা সত্ত্বেও ক্যালিফোর্নিয়ার মূল কারাগারে থাকার চেয়ে ফায়ার ক্যাম্পে বন্দি থাকতে চান। কারণ কারাগারে বিভিন্ন অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তবে এক বন্দি বলেছেন, “আমাদের আগুন নেভানোর কাজ করতে পাঠানো অন্যায়। আমরা কারাগারেই থাকতে চাই।”
সূত্র: আলজাজিরা
কাফি