ব্যাংক
তিন মাসে ২৬ হাজার কোটি টাকা তুলে নিলো আমানতকারীরা

গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের ব্যাংক খাত থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ তুলে নিয়েছেন কোটিপতি আমানতকারীরা। জমা টাকা উত্তোলন করার কারণে দেড় হাজারের বেশি সংখ্যক মানুষের ব্যাংক হিসাবের স্থিতি কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
মাত্র তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যবধানে এ খাতের কোটিপতিরা ২৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি তুলে নিয়েছেন। এর ফলে দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ তারল্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে ব্যাংকিং খাত।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যবধানে ২৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি তুলেছেন এমন ব্যক্তিরা যারা সবাই কোটিপতি।
ধনীরা টাকা তুলে কি করেছেন এবং কেন তারা এত টাকা তুলেছেন সে সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে। ব্যাংক খাতে আস্থার সংকটের কারণে টাকা উত্তোলন হয়েছে এমন মত যেমন রয়েছে, একই সঙ্গে ওই টাকা অপেক্ষাকৃত ভাল ব্যাংকে ফেরত না আসা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এসব অর্থ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী এবং দলটির সঙ্গে ঘনিষ্ট ব্যক্তিরা উঠিয়েছেন বলে তাদের বদ্ধমূল ধারণা। তবে দালিলিকভাবে এ তথ্য প্রমাণ করা সম্ভব নয়। কারণ ব্যাংকের গ্রাহকের হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্যে রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ থাকে না।
এদিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা এসব অর্থ নিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকা ব্যক্তিরাও ব্যাংক থেকে বিপুল অর্থ সরিয়েছেন। কারণ তাদের হিসাবগুলো স্থগিত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিশেষ করে সাবেক এমপি ও মন্ত্রীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৬৫৭টি। একই সময় কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব থেকে ২৬ হাজার ১৮৭ কোটি টাকার আমানত তুলে নিয়েছেন গ্রাহকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, জুলাই-সেপ্টম্বর সময় দেশে একটা অস্থিরতা ছিল। আগের সরকারের কয়েকটি ব্যাংকের দুর্বলতা প্রকট আকার ধারণ করলেও এতদিন সেটা প্রকাশ করা হয়নি। নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা প্রকাশ করায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছিল। তাই এসব ব্যাংকের গ্রাহকরা আতঙ্কে আমানত তুলে নিয়েছে। আবার কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে, গভর্নরের এমন মন্তব্যেরও প্রভাব পড়েছে। তবে ভালো ব্যাংকগুলোতে আমানত আবার জমা হচ্ছে।
তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪ সালের সেপ্টম্বর পর্যন্ত ১ কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে, এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ১২৭। কোটি টাকার ওপরে এসব ব্যাংক হিসাবে মোট জমা আছে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ এপ্রিল-জুন সময়ে ১ কোটি টাকার বেশি আমানতের ব্যাংক হিসাব ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৪টি। ওই প্রান্তিকে এসব ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আতঙ্কের কারণে ক্ষুদ্র আমানতকারীরা তাদের অর্থ উত্তোলন করেছেন, কিন্তু কোটিপতিদের এত অর্থ দুর্বল ব্যাংকগুলো দিতে পারেনি। আবার অনেকেই দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে তাদের সবল ব্যাংকে থাকা হিসাবে জমা করেছেন। এতে অনেকের একাধিক ব্যাংকে থাকা টাকা এক ব্যাংকে জমা হওয়ায় তা কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই হিসাব অনুযায়ী কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা বাড়ার কথা ।
জানা গেছে, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি নাগরিকদের হিসাব নয়। কেননা, অনেক ব্যক্তিই যেমন ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখেন, তেমনি অনেক প্রতিষ্ঠানও তা করে। অর্থাৎ কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বলতে যুগপৎ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের কথাই বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তারও কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাবও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
দেশে প্রকৃত কোটিপতির সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না। ফলে কত মানুষের কোটি টাকা রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান মেলে না। তবে ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা থেকে একটা ধারণা পাওয়া যায়। কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা করোনা মহামারির পর থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৭৫ সালে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব ছিল মাত্র ৪৭টি, যা ২০১৫ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ৫১৬টি। করোনা মহামারির শুরুতে- ২০২০ সালের মার্চে এই সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫, যা বর্তমানে ১ লাখ ১৭ হাজারে উন্নীত হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যাংক
যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা আজ

তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বিল সংক্রান্ত লেনদেন এবং পোশাক কারখানার কর্মীদের বেতন, বোনাস পরিশোধের সুবিধার্থে শিল্পঘন এলাকায় আজ শনিবার (২৯ মার্চ) ব্যাংক খোলা থাকবে।
ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকার ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু শাখা আজ খোলা থাকবে।
এর আগে গতকাল শুক্রবারও সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা ছিল। তবে লেনদেন চলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আজ শনিবার শিল্প এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এর মধ্যে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। যেসব শাখা খোলা থাকবে সেসব শাখায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
শুক্রবার রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংক খোলা, লেনদেন ২ ঘণ্টা

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল-ফিতরের আগে বেতন ভাতাদি উত্তোলনের সুবিধার্থে শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- সােনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল ফিতরের আগে বেতন-ভাতাদি উত্তোলনের জন্য রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শুক্রবার সীমিত সংখ্যক লােকবলের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলাে।
ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আর অফিস সূচি হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। লেনদেন পরবর্তী বাকি সময় অফিসের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা হবে। এ সময়ের মধ্যে জুমাতুল বিদার বিরতি থাকবে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত। ছুটির দিন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিধি অনুযায়ী ভাতা পাবেন বলে জানানো হয় নির্দেশনায়।
শিল্প এলাকায় খোলা ব্যাংক
ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বিল বিক্রির জন্য এবং ওই শিল্পে কর্মরতদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে শিল্পঘন এলাকায় ২৮ ও ২৯ মার্চ ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে। যেসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে তার মধ্যে রয়েছে- ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকা।
এসব এলাকায় ২৮ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা খোলা রাখতে হবে। লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা হবে। শনিবার ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত, এর মধ্যে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। যেসব শাখা খোলা থাকবে, এই শাখাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদের আগে শেষ ব্যাংকিং লেনদেন আজ

আসন্ন ঈদের ছুটিতে টানা ৯দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক। ছুটির আগে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) শেষ হচ্ছে স্বাভাবিক ব্যাংকিং লেনদেন। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সাপ্তাহিক, ঈদের ও বিশেষ ব্যবস্থার ছুটি। তবে এর মধ্যে আগামী শুক্র ও শনিবার বিশেষ ব্যবস্থায় গার্মেন্ট এলাকাগুলোয় সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা খোলা থাকবে। এছাড়াও ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথ, অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিকভাবে খোলা থাকবে।
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলা, ঋণের অর্থ ছাড় করা, রেমিট্যান্সের ডলার ভাঙানো, সঞ্চয়পত্র ভাঙানো, মুনাফা উত্তোলনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কাজ আজ করা যাবে। এজন্য ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। কলমানিসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিয়ে টাকার জোগান বাড়িয়েছে। ঈদের আগে গ্রাহকদের টাকা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্যের জোগান দেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকির কারণে বরাবরের মতো এবারও কলমানি মার্কেটে সুদের হার বেশি বাড়তে পারেনি। এখনো সুদের হার ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।
আজ ব্যাংকগুলোয় নগদ টাকার বেশি চাহিদা থাকলেও কলমানির সুদের হার আগের মতোই স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকগুলোর তহবিল ব্যবস্থাপকরা। কারণ, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রেখেছে।
এদিকে ঈদের আগে ২৮ মার্চ শুক্রবার ও ২৯ মার্চ শনিবার বিশেষ ব্যবস্থায় কিছু এলাকায় ব্যাংকের শাখা সীমিত সময়ের জন্য খোলা থাকবে। এর মধ্যে শুক্রবার লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। শনিবার লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। এ দুইদিন ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। এ ছাড়া শনিবার বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী শাখাগুলোও বিশেষ ব্যবস্থায় আগের নিয়মে খোলা থাকবে। এ সময়ে শুধু টাকা তোলা, স্থানান্তর, চেক নগদায়ন করা যাবে। রপ্তানিকারকরা তাদের রপ্তানি বিল ভাঙিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারবেন। ঋণবিষয়ক কোনো কাজ করা যাবে না।
আগামী শনিবারের পর ৬ এপ্রিল রোববার ব্যাংক খুলবে। তখন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন চলবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
লভ্যাংশ বিতরণের শর্ত শিথিলতার দাবি বিএবি’র

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে ২০২৪ সালে ডেফারেল সুবিধা নেওয়া কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না। তবে ব্যাংকগুলো যেন আগের নিয়ম অনুসারে ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারে সে দাবি জানিয়েছে বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি)।
সংগঠনটির মতে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ শর্ত শিথিল করা উচিত। নতুন নিয়ম ২০২৫ সাল থেকে প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে দেখা করেন বিএবি চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে কয়েকটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তারা শর্ত শিথিল করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অনুরোধ জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর, সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৩ মার্চ একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যেখানে বলা হয়েছে- ২০২৪ সালের সমাপ্ত বছরে ডিভিডেন্ড বিতরণের জন্য ২০২১ সালের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ওই নির্দেশনায় ডেফারেল নেওয়া ব্যাংকগুলোকে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। ফলে ডেফারেল সুবিধা নেওয়া ব্যাংক ২০২৪ সালে কোনো ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারবে না।
বিএবির নেতারা জানান, শর্তশিথিল হলে ডেফারেল সুবিধা নেওয়া ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালে ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারবে। এতে ব্যাংকগুলোকে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে আরও টানতে সহায়তা করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সিটি ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে দুই নতুন নিয়োগ

সিটি ব্যাংক সম্প্রতি ব্যাংকের ডিএমডি ও চিফ রিস্ক অফিসার মেসবাউল আসীফ সিদ্দিকীকে হোলসেল ব্যাংক প্রধান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছে। একই সাথে মোহাম্মদ মাহমুদ গনি ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে কর্পোরেট ব্যাংকিং প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।
আসীফ ১৯৯৯ সালে ইস্টার্ন ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ২০০৪ সালে কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলনে যোগ দেন এবং পরবর্তীকালে ২০০৬ সালে এইচএসবিসি ব্যাংকে যোগ দিয়ে ব্যাংকটির বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর অফিসে দীর্ঘ ৯ বছর কর্পোরেট ব্যাংকিংয়ের নানা শাখায় কাজ করেন। ২০১৫ সালে তিনি এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিটি ব্যাংকের কর্পোরেট ব্যাংকিংয়ে যোগ দেন।
মেসবাউল আসীফ সিদ্দিকী গত টানা চার বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে সিটি ব্যাংকের শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং সাসটেনেবিলিটি ও গ্রিন ফাইন্যানসিংয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক উদ্যোগ ‘নেট-জিরো ব্যাংকিং অ্যালায়েন্স’-এ সিটি ব্যাংককে অন্তর্ভুক্তিকরণে অবদান রাখেন।
হোলসেল ব্যাংক প্রধান হিসেবে তাঁর দায়িত্বের আওতায় পড়বে কর্পোরেট ব্যাংকিং, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট, স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স, অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসা ইত্যাদি। আসীফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ এবং বিআইবিএম থেকে এমবিএম সম্পন্ন করেন।
মাহমুদ গনি ২০০১ সালে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে সিটি ব্যাংকে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে সিটি ব্যাংকের সামগ্রিক ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট টিমের অন্যতম সদস্য হিসেবে তিনি কর্পোরেট ব্যাংকিংকে পূনর্গঠন করে বর্তমান উৎকর্ষে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন। ২০১০ সালে স্বল্প সময়ের জন্য তিনি দেশের অন্য একটি ব্যাংকে যোগ দিয়ে ২০১৭ সালে কমার্শিয়াল ব্যাংকিং প্রধান হিসেবে আবার সিটি ব্যাংকে ফিরে আসেন।
২৪ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে মাহমুদ গনি কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ে ব্যবসার প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন যার অন্যতম অভিমুখ ছিল ব্যাংকটির বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি। মাহমুদ গনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন।