আইন-আদালত
‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত
‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে- হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
২০২০ সালের ১০ মার্চ ওই রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।
রায়ের দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদালত বাংলায় রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে’।
আদালত আরও বলেন, ‘আবেদনকারী সংবিধানের ৩ ও ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছেন, এটা এই আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত। কারণ কোনো আইন প্রণয়ন করা এবং সংবিধান সংশোধন করার একমাত্র অধিকার জাতীয় সংসদের’।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ রুলের সমর্থনে হলফনামা দিয়েছেন উল্লেখ করে আদালত রায়ে বলেন, আইন সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জয়বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করায় একমত পোষণ করেছেন।
এরপর আদালত রায়ের আদেশ অংশ ঘোষণা করেন।
আদেশে আদালত বলেন-
ক. আমরা ঘোষণা করছি যে, জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।
খ. সব জাতীয় দিবসগুলোতে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারীরা এবং রাষ্ট্রীয় সকল কর্মকর্তা সরকারি অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারণ যেন করেন, সেজন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।
গ. সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি সমাপ্তির পরে ছাত্র শিক্ষকরা যেন জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারণ করেন, তার জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আদালতের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন তিন মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যে আবেদনে হাইকোর্টের রায় স্থগিতেরও আবেদন রয়েছে।
২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলে ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর আদেশের পরে বশির আহমেদ বলেছিলেন, জয় বাংলা হচ্ছে আমাদের জাতীয় প্রেরণার প্রতীক। পৃথিবীর ৬০টি দেশে জাতীয় স্লোগান আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে আমরা আমাদের চেতনার সেই ‘জয় বাংলা’কে স্বাধীনতার এতদিন পরেও জাতীয় স্লোগান হিসেবে পাই নাই।
তিনি বলেন, জয় বাংলা কোনো দলের স্লোগান নয়, কোনো ব্যক্তির স্লোগান নয়, এটা হচ্ছে আমাদের ন্যাশনাল ইউনিটি। এই স্লোগান দিয়ে একদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না: হাইকোর্ট
সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট খারিজ করে দেন।
পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, বাংলাদেশের জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে বৈধ বলে মেনে নিয়েছে, কাজেই এ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না। এছাড়া আন্তর্জাতিক মহলও অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নিয়েছে, সুতরাং এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
তবে রিটকারী আইনজীবী মহসীন রশিদ এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঢাকার বায়ু আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। বাতাসের মান সূচকে ঢাকার বায়ুর স্কোর ২৫২। যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত। বিশ্বের ১২৪ নগরীর মধ্যে আজ ২৫৫ স্কোর নিয়ে প্রথম অবস্থানে আছে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোর।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান বিষয় ওয়েবসাইট আইকিউএয়ার-এ এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের মধ্যে চট্টগ্রামের বায়ুর মান ৯৮, রাজশাহীতে ১৮৪ আর খুলনায় ১৭৫। ঢাকা ও আশপাশের তিন সর্বোচ্চ দূষিত এলাকার মধ্যে আছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (৫৯৯) গোড়ান (৪৯৫), কল্যাণপুর (৩০৮)।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়লো
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) সারা বাংলাদেশে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬০ দিন অর্পণ করা হলো।
এর আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের।
এরপর ১৫ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রজ্ঞাপনে এ মেয়াদ ৬০ দিন বাড়ানো হয়েছিল। ওইদিনের প্রজ্ঞাপনে কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তাদেরও একই ক্ষমতা দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ভাইসহ সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও তার ভাই এ. বি. এম. শাহারিয়ারের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খান শুনানি করেন।
এদিন দুদকের পক্ষে পৃথক দুটি আবেদনে আসামিদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ চাওয়া হয়। দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এসব আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৭ কোটি ৫১ লাখ ১৭ হাজার ৮শ ৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের সকল আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।
এ. বি. এম. শাহারিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আবেদন বলা হয়, আসামি এ. বি. এম. শাহারিয়ার ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। আসামি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার ভাইকে অপরাধে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির সকল আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নাফিজ সরাফাত পরিবারের বাড়ি, জমি ও ১৮ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ
পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ, ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের নামে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা ১৮টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া নাফিজ সারাফত ও আঞ্জুমান আরা শহিদের নামে থাকা জমিসহ বাড়ি, প্লটও ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য জানান।
ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে নাফিজ সারাফাতের নামে গুলশানের ২০তলা একটি বাড়ি, গুলশানের একটি, ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট বাজারের চারটি, নিকুঞ্জ উত্তর আবাসিক এলাকায় একটি এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ, নিকুঞ্জের দুটি প্লট, বাড্ডার কাঠালদিয়ার আড়াই কাটা, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ১০ কাঠা করে ২০ কাঠা, গাজীপুর সদরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি, নিকুঞ্জরের জোয়ার সাহারায় ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ জমি, নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের রাজউক পূর্বাচল প্লটে সাড়ে ৭ কাঠা জমি রয়েছে।
আঞ্জুমান আরা শহিদের নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাড়ে সাত কাঠা জমির ওপর চারতলা বাড়িসহ জমি, পান্থপথে একটি, গুলশান লিংক রোডে একটি, মিরপুর ডিওএইচএসতে একটি, শাহজাদপুরে একটি ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ, নিকুঞ্জে তিন কাঠা জমি, বাড্ডার কাঠালদিয়া আড়াই কাঠা নাল জমি ও গাজীপুর সদরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ চালা জমি রয়েছে।
রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের নামে বনানীতে থাকা তিনটি ও বারিধারায় থাকা চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রধান কমিশনের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, নাফিজ সারাফাত ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে ঘুস, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা ও নিজেদের মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান চলমান। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চৌধুরী নাফিজ সারাফত, আঞ্জুমান আরা শহিদ ও চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফতের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে এবং তারা পলাতক রয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত স্থাবর সম্পত্তি দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা স্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাতের জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব স্থাবর সম্পত্তি অবিলম্বে ক্রোক করা আবশ্যক।
দুদেকর পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। পরে তাদের এসব সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।