Connect with us

মত দ্বিমত

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র রাষ্ট্র বিনির্মাণে সমস্যা কোথায়?

Published

on

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল

ক্ষুদ্র ঋণের তাত্ত্বিক প্রবক্তা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের খ্যাতি দুনিয়াজোড়া। বিশ্বব্যাপী তাঁর ভাবনা এবং কর্মকাণ্ড তাঁকে দিয়েছে অনন্য সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা। ক্ষুদ্র ঋণের ধারণা ও তার প্রচলনের মাধ্যমে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। সংগত কারণে সেটা সম্পর্কে বিরূপ সমালোচনা করার মানুষেরও অভাব নেই, বিশেষ করে আমাদের দেশে। সে যাই হোক, অন্তরবর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে ঢাকা বিমান বন্দরে নেমেই তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি হবে একটি পরিবারের মত। বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো নিয়ে তাঁর এ পরিবার তত্ত্বটি সংস্কার প্রয়াস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবনার বহিঃপ্রকাশ যা আমাদেরকে জাতীয় ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি আরো বলবৎ করতে মাইক্রো লেভেলে গভীর মনোযোগের দাবি রাখে। এই বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কাঠামো এবং ব্যবস্থাপনার প্রতি তাঁর এক মানবিক এবং সহযোগিতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে। পরিবারকেন্দ্রিক দলীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিবারতন্ত্র এবং ক্ষমতার ব্যক্তিকেন্দ্রিক কেন্দ্রীয়করণের বাস্তবতায়, এই তত্ত্ব কতটা কার্যকর হতে পারে?

রাষ্ট্রকে পরিবার হিসেবে দেখার ড. মুহাম্মদ ইউনুসের এ মনোবৃত্তিকে সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে নতুন কিছু মনে হবার কথা না। রাষ্ট্র এবং সমাজের সম্পর্ক সব সময়ই সমাজতত্ত্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। প্রাচীন নগর রাষ্ট্রকে পরিবারের সাথে তুলনা করার তত্ত্ব বিদ্যমান ছিল এবং সমাজতাত্ত্বিকভাবে সেটা নগরায়ণ ও নাগরিক দায়-দায়িত্বের গভীরভাবে প্রোথিত ছিল। পরিবারের মধ্যে একধরনের আত্মিক বন্ধন থাকে, যেখানে প্রতিটি সদস্যের কল্যাণ নিশ্চিত করার দায়িত্ব থাকে পরিবার প্রধানের। সে কারণে রাষ্ট্রকে পরিবার হিসেবে দেখার গভীরে লুকিয়ে আছে মানুষের পারস্পরিক মেলবন্ধের মাধ্যমে সামাজিক কাঠামো এবং রাষ্ট্র পরিচালনার এক গভীর দার্শনিক দিক। আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশে সবার সার্বিক কল্যাণই হবে রাষ্ট্রের মৌল উদ্দেশ্য। তবে পরিবারকে ক্ষুদ্র ও রাষ্ট্রকে বৃহত্তম ইউনিট হিসেবে বিবেচনা করলে এই ধারণার প্রয়োগ এবং এর সাথে আমাদের বিদ্যমান পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যাগুলো মিলিয়ে দেখতে গেলে মূল উতস হিসেবে পরিবারকেই বিবেচনা করতে হয়। কিছু অসংগতি নজরে আসবে। আর সে কারণে কিছু স্বাভাবিক প্রশ্ন আমাদের সামনে এসে হাজির হবে রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রক্রিয়ায় পরিবার বিনির্মাণকে প্রাধাণ্য দিতে। পারিবারিক সমস্যার আলোকে আমাদের রাষ্ট্রীয় সমস্যাগুলো কোথায় তা চিন্তা করা যেমন জরুরি, তেমনি সেগুলো সমাধানে উদ্যোগী হওয়াও আমাদের দায়িত্ব। পারিবারিক পর্যায়ের সমস্যাগুলো আজকের আলোচনা বহির্ভুত।

প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে আধুনিক সমাজতত্ত্ববিদরাও রাষ্ট্র এবং পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নানা ভাবনাচিন্তা করেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ‘পরিবার তত্ত্ব’- এর মূল কথা হল রাষ্ট্রকে সবচেয়ে বড় একটা পরিবার হিসেবে দেখা। অর্থাৎ রাষ্ট্র হবে এক বৃহত্তর পরিবার, যেখানে প্রতিটি সদস্য সমান সুযোগ-সুবিধা এবং মান-মর্যাদা পাবে। প্লেটো তার “রিপাবলিক” গ্রন্থে রাষ্ট্রকে একটি বৃহত্তর পরিবারের মতো কল্পনা করেছিলেন, যেখানে সব নাগরিকের সমান অধিকার এবং দায়িত্ব থাকবে। প্রতীকী অর্থে ইউনুসের এই তত্ত্বে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হবে সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে কাজ করা ও সম্মিলিতভাবে সব মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। একটি আদর্শ পরিবার যেমন সদস্যদের সকল প্রয়োজন মেটায় এবং তাদের বিকাশের সুযোগ দেয়, রাষ্ট্রকেও প্রকৃত অর্থে তেমন হতে হবে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন আসে, বর্তমান বাস্তবতায় রাষ্ট্রীয় কাঠামো কি সত্যিই এমন রূপ ধারণ করতে পারবে?

পরিবারের মৌলিক উপাদান হলো ভালোবাসা, সহমর্মিতা, এবং একত্রে কাজ করার মনোভাব। পরিবারের মূল নীতি হলো দায়িত্ববোধ, সমতা এবং সহযোগিতা। কিন্তু বাস্তবে দুনিয়ার কোন দেশেই সব পরিবারে সব সময় এই নীতিগুলোর প্রতিফলন দেখা যায় না। এর বদলে দেখা যায় স্বজনপ্রীতি বা পক্ষপাতিত্ব, বৈষম্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। এই সমস্যাগুলো যখন রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে প্রতিফলিত হয়, তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা হয়ে থাকে পরিবারতন্ত্র বা গোষ্ঠিতন্ত্রের ছত্রছায়ায় । অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় শক্তি নির্দিষ্ট কিছু পরিবার বা একদল লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ থেকে মুক্তির আগ থেকেই উপমহাদেশে প্রচলিত জমিদার প্রথা ও সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা আমাদেরকে অভ্যস্ত করে তুলেছে পরিবারকেন্দ্রিক শাসন ও শোষণে। পরবর্তীতে প্রচ্ছন্ন রাজতন্ত্রের মতই বিভিন্নভাবে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সামাজিক ব্যবস্থায় এই পরিবারতন্ত্রের উপস্থিতি অনেক বেশি মাত্রায় স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। ফলে রাষ্ট্রকাঠামোসহ জনজীবনের সর্বস্তরে পরিবারতন্ত্র সুশাসন এবং ন্যায়বিচারের পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাষ্ট্রীয় পরিসীমায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিবারতন্ত্রের নেতিবাচক প্রভাবটা কী? রাষ্ট্রীয় পরিসীমায় পরিবারতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশীদের চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পৃথিবীর আর কোন দেশের মানুষ আছে বলে আমি মনে করি না। ছোটবেলায় শুনেছি, উপমহাদেশের বুক চিরে জন্ম নেয়া পাকিস্তান রাষ্ট্রটিকে শাসন ও শোষণ করেছিল বাইশটি পরিবার। তাদের মাত্র দুটো ছিল এই পূর্ব-পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ অংশে। পরিবারকেন্দ্রিক আধিপত্যের বিষয়টি সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুস্পষ্টরূপে দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোতে সাংগঠনিক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্রের চর্চা নেই বললেই চলে এবং দলীয় নেতৃত্ব প্রায়শই উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে বণ্টিত হয়। ক্ষমতার এই পরিবারকেন্দ্রিক বিতরণ একদিকে অগণতান্ত্রিক, অপরদিকে দলের মাঝে নতুন নেতৃত্ব তৈরির সুযোগকে সংকুচিত করে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটতে দেখা যায়। কিছু পরিবার বাণিজ্যিক সেক্টরে আধিপত্য বিস্তার করে। তারা ও তাদের অনুগ্রহভাজনেরা গড়ে তোলে সম্পদের পাহাড়। ফলে সমাজে ও রাষ্ট্রে ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান ক্রমশ বাড়ছে। সামাজিক প্রতিপত্তির ক্ষেত্রেও আমরা সেই রকম বিষয় দেখতে পাই। ব্যক্তি-মানুষের মাঝে পারিবারিক বন্ধন বা সম্পর্কগুলো সামাজিক উন্নয়নের সহায়ক হলেও, কখনো কখনো এগুলো বৈষম্য এবং সুযোগের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি তৈরি করে।

বাংলাদেশের সর্বস্তরে ক্ষমতার বৈষম্য ও প্রতীকী পুঁজির আধিপত্য লক্ষণীয়। ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী পিয়েরে বুর্দো তার তত্ত্বে বলেছেন, সমাজে কিছু গোষ্ঠী প্রতীকী পুঁজির মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোতে তেমনি নেতাদের পরিবারগুলো প্রতীকী পুঁজির (যেমন দলের ঐতিহাসিক ভূমিকা, নেতার কারিশমা বা দলের প্রতি জনসমর্থন) ভিত্তিতে তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। প্রকৃতপক্ষে মুজিব এবং জিয়ার উত্তরাধিকার তাদের পরিবারের জন্য ক্ষমতার এক অনন্য উৎস তৈরি করেছে। এই প্রতীকী পুঁজি নতুন নেতৃত্বের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করেছে। পরিবারতন্ত্রের কারণে দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন বা নতুন চিন্তার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় এবং রাজনৈতিক কাঠামোতে যে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ হয়, তা নাগরিকদের জন্য একটি বৈষম্যমূলক সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো তথা ব্যবস্থাপনা তৈরি করে। এর ফলে একদিকে রাজনীতিতে ও প্রশাসনে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা থাকে না। অপরদিকে পারিবারিক আনুগত্যের মধ্যে দিয়েই সামাজিক স্তরবিন্যাস এবং সর্বক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশের সমাজ কাঠামোতে পৃষ্ঠপোষকতার সম্পর্ক (পেট্রোন-ক্লায়েন্ট রিলেশন) অত্যন্ত প্রভাবশালী। রাজনীতি ও প্রশাসন, এমন কি সংগঠনগুলো এখানে ক্ষমতাসীন পরিবারগুলোর আশীর্বাদে টিকে থাকে। ফলে দলীয় কর্মীরা ব্যক্তিগত আনুগত্য দেখাতে বাধ্য হন, যা গণতান্ত্রিক চর্চাকে ব্যাহত করে। যথাযথ জনশিক্ষা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অভাবে পরিবারতন্ত্র কেবল রাজনীতিতেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি পরিণত হয়েছে সামাজিক মনস্তত্ত্বের একটি অংশে। পরিবারে ব্যক্তির শাসন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের একক পদ্ধতি অনেক ক্ষেত্রেই তাই দলের সাংগঠনিক বিন্যাস বা জাতীয় রাজনৈতিক কাঠামোয় প্রতিফলিত হয়।

আমরা যদি সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্রকে পরিবারের মত পরিচালনা করতে চাই, তাহলে প্রথমে পরিবারতন্ত্র এবং পরিবারের অভ্যন্তরীণ শিক্ষার সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। অপরদিকে জনজীবনে পরিবারতন্ত্রের প্রভাব কমানো অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক ক্ষেত্রে ক্ষমতার সাম্য নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে আমরা রাষ্ট্রকে একটি আদর্শ পরিবার হিসেবে কল্পনা করতে গেলেই পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো চোখে পড়ে। সে সব সমস্যার সমাধান না করে বহত্তম পরিবার হিসেবে রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখা বাতুলতা মাত্র।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের দাপট সুস্পষ্ট। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে পরিবারতন্ত্রের প্রভাবে জনজীবনে বহুমুখী সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দলীয় ও জাতীয় রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিবারতন্ত্রের একটি শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। দুই বড় রাজনৈতিক দল—আওয়ামী লীগ এবং জাতীয়তাবাদী দল—উভয়েই তাদের দলের নেতৃত্বে পারিবারিক প্রভাবকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। তাই দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরিবারিক প্রভাবের কারণে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসার পথ সংকুচিত হয়েছে। এর পরিণতিতে দুই পরিবারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রাজনীতিকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক এবং সংঘাতমুখী করে তুলেছে। ফলে আদর্শিক রাজনীতি কিংবা জনকল্যাণের জায়গায় ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ক্ষমতাস্বার্থ অধিক গুরুত্ব পেয়েছে। পরিবারতন্ত্রের সীমাবদ্ধতা তাই গণতন্ত্র তথা রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে বিশেষ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নতুন নেতৃত্ব এবং সৃজনশীল চিন্তার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। রাষ্ট্রীয় এবং দলীয় শক্তি নির্দিষ্ট পরিবারের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ স্বভাবিক হয়ে পড়ে। ফলে পরিবারতন্ত্রের কারণে রাজনীতিতে জবাবদিহিতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ দুর্বল হয় এবং জনগণের আস্থা হ্রাস পায়।

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ড. ইউনুসের বক্তব্যে রাষ্ট্রকে এমন একটি সামাজিক কাঠামো হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে, যেখানে নাগরিকদের প্রতি একটি পরিবারের মতো যত্নশীলতা থাকবে। রাষ্ট্র নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে এবং উন্নয়নের জন্য একটি সুষম এবং ন্যায়পরায়ণ কাঠামো তৈরি করবে। তবে এই তত্ত্বের প্রাসঙ্গিকতা তখনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যখন আমরা বাস্তবে পরিবারতন্ত্রের নেতিবাচক প্রভাব দেখতে পাই। রাষ্ট্র যখন একটি নির্দিষ্ট পরিবার বা গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় পরিচালিত হয়, তখন এই ধারণা মানবিক মূল্যবোধ হারায় এবং পরিণত হয় শোষণমূলক কাঠামোতে। তাই পরিবারতন্ত্র থেকে সুশাসনের দিকে অগ্রসর হওয়াই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিশ্চিত করার মধ্যে দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জোরদার করতে হবে। তরুণ এবং মেধাবী নেতৃত্বকে উৎসাহিত করার মধ্যে দিয়ে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোতে পরিবারতন্ত্রের পরিবর্তে আদর্শিক রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতে রাজনৈতিক সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণকেও তাদের রাজনৈতিক আদর্শ, নেতা ও দল পছন্দে সতর্ক এবং সচেতন হতে হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের রাষ্ট্রকে একটি পরিবার হিসেবে দেখার তত্ত্বে যে আদর্শিক মানবিকতা, সহমর্মিতা, সহাবস্থান, দায়-দায়িত্ব পালন, অংশিদারিত্ব ও ঐক্যের কথা আছে তা অর্জনের পথে বড় বাধা হলো বর্তমান রাজনৈতিক পরিমন্ডলে পরিবারতন্ত্রের দাপট। জনজীবনকে পরিবারতন্ত্রের এ দাপট থেকে মুক্তি দিত না পারলে রাষ্ট্র কখনোই পরিবারের মত মানবিক এবং কল্যাণমুখী কাঠামো অর্জন করতে পারবে না। নাগরিকদের সার্বিক ও সামষ্টিক কল্যাণ বিবেচনায় রাষ্ট্র অবশ্যই একটি পরিবার হতে পারে, কিন্তু সেই পরিবারটি গড়ে উঠতে হবে সমতা, ন্যায়বিচার, এবং মানবিকতার উপর ভিত্তি করে। রাষ্ট্রীয় পরিসীমায় পরিবারের মতো মানুষে মানুষে বন্ধন তখনই কার্যকর হবে, যখন দেশের সরকার ও জনগণের মাঝে একটি শোষণহীন, সহযোগিতামূলক ও কল্যাণমুখী সম্পর্ক তৈরি হবে।

ড. মাহরুফ চৌধুরী: ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি, ইউনিভার্সিটি অব রোহ্যাম্পটন, যুক্তরাজ্য।

অর্থসংবাদ/কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খেলাধুলা

২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে সৌদি আরবে

Published

on

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল

আগে থেকেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল ২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এবার এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আনুষ্ঠানিকভাবে ফিফা জানাল, আগামী ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব।

বুধবার একটি ভার্চুয়াল সভায় ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদি আরবের নাম ঘোষণা করেছে ফিফা। একই দিনে ফিফা আরো জানিয়েছে, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে মরক্কো, স্পেন ও পর্তুগাল মিলে। এছাড়া, বিশ্বকাপের শতবর্ষ উপলক্ষে একটি করে ম্যাচ হবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে।

২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে বদলে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপের চেহারা। শেষ কয়েকটি আসর বসেছিল ৩২ দল নিয়ে। যাতে বিশ্বকাপে খেলা হতো ৬৪ ম্যাচ। আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে দল বাড়ছে আরও ১৬টি, যার ফলে বাড়ছে ম্যাচসংখ্যাও। দশ বছরের পরের তথা ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপেও অংশ নেবে ৪৮টি দল।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৪৮ দলের অংশগ্রহণে ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ৫টি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে, এর মধ্যে ৮টি রাজধানী রিয়াদে। আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনে (ফিফা) আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের বিড করার পর এ ঘোষণা আসল।

ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেছিল সৌদি আরব। বিশেষত ফুটবলে বিশাল বাণিজ্যের বাজার ধরতে তারা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড খুলেছিল। তার অধীনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমার জুনিয়রসহ ইউরোপ মাতানো অসংখ্য ফুটবলারকে নিজেদের ক্লাবে ভিড়িয়েছে সৌদি। অবশেষে তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজার

জরিমানার হিড়িক, ইতিবাচক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় নেতিবাচক গুঞ্জনে অস্থির পুঁজিবাজার

Published

on

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত, বর্তমানে বিভিন্ন অনিয়ম ও শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরোপিত জরিমানার কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জরিমানার ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। তবে, এ ধরনের জরিমানার অর্থনৈতিক প্রভাব এবং এর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতার অভাব অনেক প্রশ্ন তৈরি করেছে। বিনিয়োগকারীরা একদিকে নিয়ম ভঙ্গকারীদের শাস্তি দেওয়ার পক্ষে থাকলেও, অন্যদিকে বাজারের সামগ্রিক উন্নতি নিশ্চিত করার আগে এ ধরনের পদক্ষেপকে তারা অযৌক্তিক বলে মনে করছেন।

পুঁজিবাজারে জরিমানা আরোপের প্রধান উদ্দেশ্য হলো শেয়ার লেনদেন ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। আর্থিক প্রতিবেদনে গরমিল, শেয়ার কারসাজি এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার মত অনিয়মের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ একটি প্রচলিত পদ্ধতি। সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু লিস্টেড কোম্পানি সময়মতো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় কিংবা ভুল তথ্য প্রদান করাসহ নানাবিধ অনিয়মের কারণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাদের জরিমানা করেছে। এছাড়াও অনিয়ম, শেয়ার কারসাজি ও বাজার নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী এবং ব্রোকার হাউজকে জরিমানা করেছে, যা চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে অব্যাহত রয়েছে।

পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার সৎ প্রচেষ্টায় প্রতিনিয়ত জরিমানা করার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিশেষভাবে লক্ষণীয়। অনেকে মনে করছে, এটি বাজারে শৃঙ্খলা আনতে একটি কার্যকর উপায়, কারণ এটি অনিয়মকারী কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের সতর্কবার্তা প্রদান করছে এবং দীর্ঘমেয়াদে এর ভালো ফল পাওয়া যাবে। অন্যদিকে, অনেক বিনিয়োগকারী এই ধরনের জরিমানার অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা মনে করেন, জরিমানা করার আগে বাজারের বুনিয়াদী অবস্থা উন্নত করা জরুরি এবং বর্তমানের নিয়মিত জরিমানা বিধান প্রয়োগের ফলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তবে, অনিয়মে নিমজ্জিত কোম্পানিগুলো সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মত তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না, তারা জরিমানার বিপক্ষে আপীল করার সুযোগ পাচ্ছে।

কঠোর হস্তে জরিমানা আরোপের ফলে যেমন দীর্ঘমেয়াদী শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তেমনি পুঁজিবাজারে একধরনের আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনেক বিনিয়োগকারী তাদের অর্থ বাজারে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন, কারণ তারা মনে করছে অনিয়মকারী কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। একই সঙ্গে, বাজারে তারল্য সংকটও দিন দিন প্রকট হচ্ছে।

জরিমানার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর অর্থ কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি নিয়ে এখনও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে সাধারণতঃ এই টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয় বলেই আমরা জানি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দাবি উঠেছে যে, এই জরিমানার অর্থ যদি একটি ‘বিনিয়োগকারী সুরক্ষা ফান্ড’ গঠনে ব্যবহৃত হয় তাহলে এটি পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই ফান্ড থেকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পূরণ বা প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে, শেয়ার মূল্যের পতনে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় এই ফান্ড ব্যবহার করার প্রস্তাব অনেক ইতিবাচক বিশ্লেষকের কাছ থেকে এসেছে।

পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায়, জরিমানা আরোপের পাশাপাশি বাজার উন্নয়নে আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। যেমন: (ক) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণ- বিএসইসি এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে এবং উন্মুক্ত তথ্য বাতায়ন থাকতে হবে। (খ) বাজারের বুনিয়াদি অবস্থা উন্নয়ন- বাজারের বুনিয়াদি সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে, যেমন কোম্পানির আর্থিক স্থিতিশীলতা, শেয়ার বাজারের তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য সঠিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। (গ) প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু- বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বাজারে একটি প্রণোদনা তহবিল গঠন করা যেতে পারে, এতে নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে আসতে উৎসাহিত হবে। (ঘ) শাস্তি আরোপের বিকল্প ব্যবস্থা- শুধুমাত্র জরিমানা নয় বরং অনিয়মকারী কোম্পানি বা ব্যক্তিকে বাজার থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে তাদের কার্যক্রম সীমিত করার মতো বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে এবং অভিযুক্তকে জেল প্রদানও করা যেতে পারে।

পুঁজিবাজারে জরিমানা একটি শৃঙ্খলা রক্ষার হাতিয়ার হলেও এর প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা জরুরি। বাজারের বুনিয়াদি সমস্যাগুলোর সমাধান এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো ছাড়া এ ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হলে স্বল্প মেয়াদে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। বিনিয়োগকারী সুরক্ষা ফান্ড গঠন এবং প্রণোদনা তহবিল চালুর মতো উদ্যোগ বাজারকে নতুন উদ্যম প্রদান ও আরও শক্তিশালী করতে পারে। পুঁজিবাজারের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উৎকৃষ্ট অবদান রাখার লক্ষ্যেই নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে।

মো. সাইফুল ইসলাম (পিপন)
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

খেলাধুলা

অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

Published

on

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ দলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবারও অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপ জয় করায় বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিজয়ের মাসে আন্তর্জাতিক বিজয়ের জন্য গর্বিত জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ভারত। বাংলাদেশ ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয়। জবাবে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কোণঠাসা হয়ে যায় ভারত। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে ভারত অলআউট হলে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশের যুবারা।

২০২৩ সালে এই স্টেডিয়ামেই স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলদেশ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

খেলাধুলা

বাংলাদেশ ফুটবল দলের পেজ হ্যাক

Published

on

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে। বাফুফের মিডিয়া বিভাগ থেকে বিকেলে এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় ফুটবল দলের যাবতীয় খবরাখবর প্রচারের জন্য এ বছরের শুরুর দিকে এই পেজটি চালু করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

পেজটি চালুর পর থেকে সেখানে নারী ও পুরুষ ফুটবল দলের সব খবর এখানে আপডেট করতো বাফুফে। এ কয় মাসেই পেজটির ফলোয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল লাখের কাছাকাছি।

বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাবিক জানিয়েছেন, তারা এরই মধ্যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পেজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। দ্রুতসময়ের মধ্যে পেজটি ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা করছে বাফুফে। সাম‌য়িক অসু‌বিধার জন্য বাফু‌ফে দুঃখও প্রকাশ করেছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

খেলাধুলা

নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫

Published

on

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল

জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার উত্তাল আন্দোলন আর দেড় হাজারেরও বেশি অকুতোভয় মুক্তিকামী মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে নতুন স্বাধীনতা। পরাজিত ও ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকার। ছাত্র-জনতার সেই সফল আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে দেশের তরুণ সমাজ।

সেই তরুণদের লড়াই-সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য ও পরিকল্পনায় তারুণ্যের উৎসব করার পরিকল্পনা নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ নামকরণের এক বড়সড় যজ্ঞ শুরু হতে যাচ্ছে চলতি ডিসেম্বর মাস থেকেই। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিপিএল দিয়ে শুরু হবে সেই ‘তারুন্যের উৎসব ২০২৫।’

যুব, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ রোববার স্থানীয় এক পাঁচ তারকা হোটেলে এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয় (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়সহ ১২টির বেশি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় প্রায় দুই মাস ধরে চলবে তরুণদের উৎসব।

ক্রিকেট ছাড়াও ফুটবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, সাঁতার, অ্যাথলেটিক্স ও বাস্কেটবলের বিভিন্ন ইভেন্ট থাকবে সে উৎসবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে সে তারুণ্যের উৎসব। পুরো আয়োজনে জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের বিভিন্ন ছাপ রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

পবিত্র কোরআন তেলোয়াত, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠ দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ হিরুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তারপর পর্দায় প্রদর্শিত হয় জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে মর্মস্পর্শী প্রামাণ্যচিত্র। পরে আন্দোলনে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়।

ওই তারুণ্যের উৎসব ‘২০২৫’-এর মিডিয়া লঞ্চিং উপলক্ষে আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বসেছিল তারার মেলা। ক্রিকেটার, ফুটবলার, বিভিন্ন মহাদেশীয় পর্যায় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরে দেশের জন্য সাফল্য বয়ে আনা একঝাঁক ক্রীড়াবীদ উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।

দেশের ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি কায়সার হামিদ, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান, টেবিল টেনিসের রানী জোবেরা রহমান লিনুর পাশে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, জাতীয় ফুটবল অধিনায়ক তপু বর্মণ, নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জোতি, সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন, দেশীয় টেবিল টেনিসের রানী জোবেরা রহমান লিনু, এসএ গেমসে ভারোত্তোলনে স্বর্ণপদক বিজয়ী মাবিয়া আক্তাররা আলো ছড়িয়েছেন আজকের এ অনুষ্ঠানে।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এই তারুণ্যের উৎসবের মাধ্যমে দেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘খেলাধুলা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে। বিশেষ করে ক্রিকেট আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে। ভিন্ন ক্ষেত্রে যত মতবিরোধই থাকুক, খেলার ক্ষেত্রে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাই। জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে দেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারে এগিয়ে যাওয়াই এই তারুণ্যের উৎসব ২০২৫এর অন্যতম উদ্দেশ্য।’

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হিসেবে একদম শেষে উন্মোচন করা হয় ছেলেদের বিপিএলের ১১তম আসরের মাসকট ও থিম সং। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আগের ১০টি আসরে ‘থিম সং থাকলেও কোন মাসকট ছিল না।

নতুন আসরে গত জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে মাসকটের নাম রাখা হয়েছে ‘ডানা ৩৬।’ যা মূলত ডানা প্রসারিত করা একটি সাদা পায়রা।

মাসকটের নামের ডানা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে। গত জুলাই-অগাস্টের গণ আন্দোলনের স্মরণীয় ৩৬ দিনের জন্য মাসকটের দুই পাশে ১৮টি করে রাখা হয়েছে মোট ৩৬টি রঙিন পালক। যা প্রতিটি স্বপ্নবাজ, উদ্যমী, অপ্রতিরোধ্য তরুণের নতুন বাংলাদেশ গড়ার অনুপ্রেরণা জোগায়।

বিসিবি সভাপতি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের উচ্চারিত শব্দমালা ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ সামনে রেখেই এই থিম সং তৈরি করা হয়েছে। তারুণ্যের উৎসবের প্রতিপাদ্যও এই শব্দমালা।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকসুদ পুরো আয়োজন সম্পর্কে একটা ধারণা দেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিপিএল দিয়ে শুরু হলেও ফুটবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, সাঁতার, অ্যাথলেটিকস ও বাস্কেটবলের নানান খেলাও থাকবে ঐ তারুণ্যের উৎসবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার7 hours ago

সিভিও পেট্রোক্যামিকেলের এজিএমে লভ্যাংশ অনুমোদন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিভিও পেট্রোক্যামিকেল রিফাইনারী পিএলসির ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায়...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার8 hours ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো ঢাকা ডাইং

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার10 hours ago

জরিমানার হিড়িক, ইতিবাচক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় নেতিবাচক গুঞ্জনে অস্থির পুঁজিবাজার

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত, বর্তমানে বিভিন্ন অনিয়ম ও শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের জন্য নিয়ন্ত্রক...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার10 hours ago

অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের লভ্যাংশ বিতরণ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার10 hours ago

ব্লকে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সর্বোচ্চ লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার11 hours ago

খান ব্রাদার্সের সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯ টি...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার11 hours ago

দরবৃদ্ধির শীর্ষে এইচআর টেক্সটাইল

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯ কোম্পানির...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার12 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার12 hours ago

লেনদেনের সঙ্গে প্রধান সূচক কমেছে ৪২ পয়েন্ট

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের নেতিবাচক প্রবনতায় লেনদেন শেষ...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার14 hours ago

পাঁচ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ আগামীকাল

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন রেকর্ড ডেটের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বন্ধ থাকবে।...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার14 hours ago

বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে তিন কোম্পানি

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি রেকর্ড ডেটের আগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) স্পট মার্কেটে যাচ্ছে। ঢাকা...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার14 hours ago

সামিট অ্যালায়েন্সের এজিএমের সময় পরিবর্তন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার15 hours ago

সূচক নিম্নমুখী, দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১১৪ কোটি টাকা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় চলছে লেনদেন।...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার15 hours ago

ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)...

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
পুঁজিবাজার16 hours ago

আলহাজ টেক্সটাইলের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর...

Advertisement
Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
খেলাধুলা3 hours ago

২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে সৌদি আরবে

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
সারাদেশ3 hours ago

তেল-পেঁয়াজ-আলুর দামে কারসাজি, ৫ লাখ লাখ টাকা জরিমানা

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
রাজনীতি3 hours ago

রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
অর্থনীতি4 hours ago

জাহাজের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
আইন-আদালত4 hours ago

ভূমি সেবার গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে: মন্ত্রণালয়

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
আইন-আদালত4 hours ago

অপুষ্টিতে ভুগছে দেশের ১১.৯ শতাংশ মানুষ

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
আন্তর্জাতিক4 hours ago

ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
বীমা5 hours ago

বিআইএফ’র তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
অর্থনীতি6 hours ago

দুই দিনের ব্যবধানে ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
বিনোদন6 hours ago

তাপসের গান বাংলা চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
খেলাধুলা3 hours ago

২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে সৌদি আরবে

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
সারাদেশ3 hours ago

তেল-পেঁয়াজ-আলুর দামে কারসাজি, ৫ লাখ লাখ টাকা জরিমানা

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
রাজনীতি3 hours ago

রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
অর্থনীতি4 hours ago

জাহাজের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
আইন-আদালত4 hours ago

ভূমি সেবার গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে: মন্ত্রণালয়

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
আইন-আদালত4 hours ago

অপুষ্টিতে ভুগছে দেশের ১১.৯ শতাংশ মানুষ

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
আন্তর্জাতিক4 hours ago

ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
বীমা5 hours ago

বিআইএফ’র তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
অর্থনীতি6 hours ago

দুই দিনের ব্যবধানে ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
বিনোদন6 hours ago

তাপসের গান বাংলা চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
খেলাধুলা3 hours ago

২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে সৌদি আরবে

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
সারাদেশ3 hours ago

তেল-পেঁয়াজ-আলুর দামে কারসাজি, ৫ লাখ লাখ টাকা জরিমানা

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
রাজনীতি3 hours ago

রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
অর্থনীতি4 hours ago

জাহাজের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
আইন-আদালত4 hours ago

ভূমি সেবার গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে: মন্ত্রণালয়

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
আইন-আদালত4 hours ago

অপুষ্টিতে ভুগছে দেশের ১১.৯ শতাংশ মানুষ

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
আন্তর্জাতিক4 hours ago

ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
বীমা5 hours ago

বিআইএফ’র তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
অর্থনীতি6 hours ago

দুই দিনের ব্যবধানে ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম

সিভিও পেট্রোক্যামিকেল
বিনোদন6 hours ago

তাপসের গান বাংলা চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ