আইন-আদালত
জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারে আইনি নোটিশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি জি এম কাদেরসহ তার অনুসারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।
রবিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ নোটিশ পাঠান তিনি।
নোটিশপ্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।
আইনি নোটিশে বলা হয়, বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ করা যায়, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করার সাহস পেয়েছে। জাতীয় পার্টির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে চুরি করেছে এবং ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। তথাকথিত গৃহপালিত দল জাতীয় পার্টি স্বৈরাচারের সুরে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরও নিতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়েছে যে পথ দিয়ে, জাতীয় পার্টিকে যেতে হবে সে পথ দিয়ে।
জাতীয় পার্টিকে জাতীয় বেঈমান উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শেখ হাসিনা পালানোর পর আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।
নোটিশে আইনজীবী সবুজ খান বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপিরা গ্রেপ্তার হলেও জাতীয় পার্টির মন্ত্রী-এমপিরা আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাদের গ্রেপ্তার না করে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হচ্ছে।
আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের আটক না করায় জনমনে প্রশ্ন প্রবল হয়ে উঠছে।
তিনি আরো বলেছেন, জি এম কাদেরসহ তার অনুসারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত। জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে শহীদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ভূমি সেবার গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে: মন্ত্রণালয়
জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নাগরিকবান্ধব সফটওয়্যারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। সফটওয়্যারগুলোতে পুরাতন সংস্করণ থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য স্থানান্তর করতে হয়েছে। ফলে এ মুহূর্তে সিস্টেমগুলো একটু ধীর গতিতে চলছে। বর্তমানে সফটওয়্যারগুলো ধীর গতিসম্পন্ন হওয়ায় নাগরিকরা ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ান সেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। সেবা পাওয়ার এ গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, জনবান্ধব ভূমিসেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। হয়রানিমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত ভূমিসেবা সহজীকরণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ১টি নতুন সফটওয়্যার ও ৪টি সফটওয়্যারের ২য় ভার্সন গত ১ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করেন। জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নাগরিকবান্ধব এ সফটওয়্যারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন সংস্করণ ই-নামজারি, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর ও ই-পর্চা ও মৌজা ম্যাপ (খতিয়ান) প্রাপ্তির জন্য নাগরিককে প্রথমেই এলএসজির মাধ্যমে প্রোফাইল তৈরি করে নিবন্ধন করতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় নাগরিককে অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্বোধন করা সফটওয়্যারগুলোতে পুরাতন সংস্করণ থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য স্থানান্তর করতে হয়েছে। ফলে এ মুহূর্তে সিস্টেমগুলো একটু ধীর গতিতে চলছে। এ ছাড়া সেবা প্রদান এবং সেবা গ্রহণে কিছু কারিগরি জটিলতা ও ক্রটি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত প্রাপ্ত ফিডব্যাক অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ সব ত্রুটি সমাধানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় ও প্রকল্পের একটি শক্তিশালী কারিগরি টিম গঠন করা হয়েছে এবং এ টিম দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে সফটওয়্যারগুলো ধীর গতিসম্পন্ন হওয়ায় নাগরিকরা ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ান সেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। সেবা প্রাপ্তিতে এ গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে।
এতে বলা হয়, ভূমিসেবা দেওয়া মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে নাগরিকদের ধৈর্যসহকারে আন্তরিকতার সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেন সে বিষয়ে ৮টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ভূমিসেবা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ম্যানুয়াল তৈরি করে সরবরাহ করা হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ গত ১০ ডিসেম্বর, সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করে সমস্যা সমাধানের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। জনবান্ধব, হয়রানিমুক্ত সেবা দেওয়ার জন্য সফটওয়্যার সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানে ভূমি মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণ কাঙ্ক্ষিত ভূমিসেবা পেতে কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব ভূমি মালিকদের কাছ থেকে আমরা আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
অপুষ্টিতে ভুগছে দেশের ১১.৯ শতাংশ মানুষ
ক্ষুধা মোকাবিলায় বাংলাদেশে অগ্রগতি হলেও এখনও মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা বিরাজ করছে এখানে। বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টির শিকার।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এর প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ১১ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকিতে এবং ২৩ দশমিক ছয় শতাংশের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বয়সের তুলনায় যথেষ্ট কম।
মূলত চারটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ক্ষুধা সূচকের স্কোর নির্ধারিণ করা হয়েছে: এর মধ্যে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার। বাংলাদেশে জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ খর্বকায়। পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ১১ শতাংশ শারীরিকভাবে দুর্বল। পাঁচ বছর বয়সের আগে প্রায় ৩ শতাংশ শিশু মারা যায়।
রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশ এবং কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের যৌথ আয়োজনে ‘ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশের পথে: বাধা এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে। ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশ ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিলেই এই প্রতিবেদন তৈরি করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের অন্যতম অনুঘটক হিসেবে জেন্ডার ন্যায্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি অর্জন করতে হলে ব্যক্তিপর্যায় থেকে শুরু করে সামগ্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে আইনি অধিকার, আনুষ্ঠানিক শর্তাবলি এবং অনানুষ্ঠানিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতি, যা প্রায়ই পরিবার ও সমাজে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে।
বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এর তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ক্ষুধা নিরসনে বাংলাদেশের অগ্রগতি হলেও এখনও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২-এর প্রকৃত ক্ষুধামুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে আছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও লিঙ্গবৈষম্যের কারণে এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষ খাবারের তীব্র সংকটে থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, অনিরাপদ কৃষি চর্চার ফলে আমরা নিরাপদ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করতে পারছি না। এতে পুষ্টিনিরাপত্তাও নিশ্চিত হচ্ছে না।
মাছসহ বাংলাদেশে যে ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য বৈচিত্র্য আছে, তা রক্ষার ওপর জোর দেন তিনি। এ ছাড়া খাদ্যনিরাপত্তায় নারীর লোকজ জ্ঞানকেও গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি। এ সময় অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও খাদ্যব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে উল্লেখ করেন ফরিদা আখতার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
চাকরিতে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ করে বিধি সংশোধন
বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ও পরীক্ষার ফি কমিয়ে নীতিমালা সংশোধন করেছে সরকার। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪ সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি গত ২৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানের সই করা এ প্রজ্ঞাপনই বুধবারই গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণে পরীক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছরের স্থলে ৩২ বছর করা হয়েছিল। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর এবং একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪ বার বিসিএসে অংশ নিতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে সর্বোচ্চ ৪ বারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিদ্যমানের মতো যতখুশি ততবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিধান রাখার পক্ষে মত দেয়। পিএসসির ওই সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ ৪ বার বিসিএস-এ অংশগ্রহণের বিষয়টি বিধিতে যুক্ত হয়নি। এর অর্থ একজন প্রার্থী ২১ থেকে ৩২ বছর বয়সের সময়কালে যতবার ইচ্ছে বিসিএসে অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মানসুর হোসেন বলেন, বিধিমালায় যেসব সংশোধনী আনা হয়েছে সেটাই কার্যকর। চার বারের বেশি অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি যেহেতু বিধিমালায় নেই কাজেই ধরে নিতে হবে ওটা কার্যকর হচ্ছে না।
এদিকে বিধিমালায় আগে মুক্তিযোদ্ধার কোটা, প্রতিবন্ধী, স্বাস্থ্য ক্যাডার এবং অনগ্রসর নাগরিকদের ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষায় বয়স সীমা ৩২ বছর থাকলেও বিধি সংশোধন করে এ সংক্রান্ত দুটি উপধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ নতুন বিধি অনুযায়ী সবার ক্ষেত্রে ৩২ বছর করা হয়েছে।
বিধিমালায় বিসিএসে অংশগ্রহণে পরীক্ষার ফি ৭০০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা এবং অনগ্রসর নাগরিকদের ১০০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় বিদ্যমান ২০০ নম্বর থেকে কমিয়ে ১০০ নম্বর করা হয়েছে। এর ফলে মোট নম্বর ১১০০ এর স্থলে ১০০০ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাত দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবেন দুদক চেয়ারম্যান
আগামী সাত দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দেবেন এবং তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ছিলেন।
এর আগে আজ এক সংবাদ বিবৃতিতে দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে আয় ও সম্পদ বিবরণী, দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানায় টিআইবি।
এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দেবো এবং এটি জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যেখান থেকে নবজাগরণের সৃষ্টি সেটা হচ্ছে বৈষম্য। বৈষম্য মানেই দুর্নীতি। আমরা যদি দুর্নীতিকে কাত করতে পারি, কমিয়ে আনতে পারি তাহলে বৈষম্য ক্রমাগত কমে যাবে। একেবারে নির্মূল হয়ত হবে না। যেসব বিষয়ে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে রাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো যারা ঘটিয়েছেন তারা যাতে শেষ পর্যন্ত ছাড় না পান আমরা সে বিষয়টিই চেষ্টা করব।
এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় দুদক কার্যালয়ে আসেন নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনার আজিজী। তারা দায়িত্ব বুঝে নেন।
গতকাল মঙ্গলবার সদ্য পদত্যাগ করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ৬৩০ কোটি টাকা
স্থানীয় সরকার বিভাগ সোনাগাজী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কে ফেনী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করবে। এ লক্ষ্যে ৬৩০ কোটি ২১ হাজার ২৭৮ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। পাশাপাশি সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের ক্রয় প্রস্তাব পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘সোনাগাজী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কে ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-বেজা/ডব্লিউ-১ -এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদক কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেয়। ৪টি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আরবিসিজি এবং এনডিই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬৩০ কোটি ২১ হাজার ২৭৮ টাকা।
সভায় ‘হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় প্যাকেজ নম্বর-এসইউএন/জামালগঞ্জ/সিডব্লিউ-১-এর ক্রয় কাজ পুনঃদরপত্র আহ্বান সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত কাজ এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ২টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স-এর ১৯৮ কোটি টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য গত ২৭ মার্চ সিসিজিপি সভায় উপস্থাপন করা হলে অনুমোদন না করে কিছু তথ্য চাওয়া হয়। সে অনুসারে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য চাওয়া হলে কোনও তথ্য প্রেরণ করেনি।
এরই মধ্যে দরপ্রস্তাবটির বৈধতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স জামাল ইকবাল-এর ২২৮ কোটি ৭৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪ টাকার দরপ্রস্তাব দাপ্তরিক প্রাক্কলন অপেক্ষা ১৪.৬৮ শতাংশ বেশি হওয়ায় বর্ণিত ক্রয়প্রস্তাবটি পুনঃদরপত্র আহ্বানের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।