জাতীয়
বিভ্রান্তিকর মন্তব্য, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে জামায়াতের প্রতিবাদলিপি
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক সদস্য বাংলাদেশ ও জামায়াত সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য মন্তব্য করায় এ বিষয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে প্রতিবাদলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে দূত সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন জামায়াতের নেতারা। এসময় এই প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধিদল আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর প্রতনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
দলটি জানায়, সাক্ষাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওই সদস্যের মন্তব্যের প্রতিবাদলিপি হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত সৌহার্দ্য ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-টঙ্গী-সাভার নিয়ে ‘মহানগর সরকার’ গঠনের সুপারিশ
রাজধানী ঢাকার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও পরিষেবার কথা বিবেচনায় নিয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মতো ফেডারেল সরকার নিয়ন্ত্রিত ‘ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট’ অর্থাৎ ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার প্রতিবেদন জমা দেন কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ অন্য সদস্যরা।
প্রতিবেদনে শতাধিক সুপারিশ করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, যেখানে রাজধানীর পরিসর বৃদ্ধির সুপারিশটিও আছে। এদিন প্রধান উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনও।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার প্রতিবেদনে সারাদেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করা, ডিসিদের পদবি পরিবর্তন করার মতো আরও কিছু সুপারিশও করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেয় নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।। আজ (বুধবার) দুপুর ১টার দিকে এ দুই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনগুলো হস্তান্তর করেন।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন কী রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে শতাধিক সুপারিশ থাকতে পারে বলে আগে জানা গিয়েছিল।
গত ৮ আগস্ট সরকার গঠন করার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট জমা দেয়।
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছিলেন, আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে আমরা কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে। এখন এর বাইরে আমি কিছু জানাতে পারব না।
গত ৩ অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। ৩ মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেঁধে দেওয়া বর্ধিত সময়ের ১০ দিন আগেই প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হলো।
অন্যদিকে বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় ৩ অক্টোবর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
২০২৬ সালের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা
রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের সমাপ্তি হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ২৭ মিনিটে প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়।
আখেরি মোনাজাতের পরপরই ইজতেমার বয়ান মঞ্চ থেকে ২০২৬ সালের দুই ধাপের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়।
ঘোষণা মতে, ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপ এবং ৯ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি-ঐক্য, হেদায়েত, হেফাজত, রহমত, মাগফিরাত, নাজাত, দেশ ও বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়েছে।
এতে আত্মশুদ্ধি, নিজ নিজ গুনাহ মাফ, সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত ও রহমত প্রার্থনা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় লাখো মুসল্লি দু-হাত তুলে আকুতি জানান। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে ।
দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ১২টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত চলে। মোনাজাত পরিচালনা করেন ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বি বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসরের প্রথম পর্ব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনের সব সদস্যের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাত্র ৬ দিন আগে মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তাসহ কমিশনের সব সদস্য পদত্যাগ করেছেন। এতে করে ঝুলে গেলো ১০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত নির্বাচন অনুষ্ঠান কার্যক্রম।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের কাছে দেওয়া ওই পদত্যাগপত্রে কমিশনের সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, আওয়ামীপন্থী সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের ফ্যাসিস্টদের দোসর উল্লেখ করে তাদের মনোনয়ন বাতিলের আবেদন করায় কমিশনের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে, বিধায় নির্বাচন পরিচালনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে তারা পদত্যাগ করেছেন। সমন্বয় পরিষদ ও ঐক্য পরিষদের দুটি আবেদনই সমিতির গঠনতন্ত্র বহির্ভূত বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন পদত্যাগকারী নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগে পুরো নির্বাচনই পণ্ড হয়ে গেলো বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, বারের নির্বাচনকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন পুরো নির্বাচন কমিশনই পদত্যাগ করেছে। এবারের নির্বাচন ঘিরে এর আগেও দু’বার নির্বাচনী কর্মকতাদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। একবার আমরা নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করি। আরেকবার পুনর্গঠন করি। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখন আর নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করার সুযোগ নেই। এতে করে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে গেলো। আমরা বুধবার সমিতির সভা করবো। ১১ ফেব্রুয়ারিও আমরা সভা করবো। আমাদের ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটা এডহক কমিটি করতে হবে। এ এডহক কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে একটি নির্বাচনের আয়োজন করবে।
১৩২ বছরের চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এ বছরের নির্বাচনকে ঘিরে শুরু থেকেই নানা ঘটনা ঘটে আসছে। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। বারের ইতিহাসে যা এর আগে কখনো প্রত্যক্ষ করেননি আইনজীবীরা। এবারের নির্বাচনের জন্য সর্বপ্রথম গত ৩০ ডিসেম্বর ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কয়েকদিন যেতে না যেতেই এ কমিশন থেকে গত ৫ জানুয়ারি মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ দুজন পদত্যাগ করেন। কমিশনে অগণতান্ত্রিক সরকারের সমর্থকরা অন্তর্ভুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে এ দুজন পদত্যাগ করেছিলেন। এ ঘটনার পর সমিতির পক্ষ থেকে গত ৯ জানুয়ারি নতুন করে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। এর মাত্র তিন দিনের মাথায় ১২ জানুয়ারি আবারো মৃখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ তিনজন পদত্যাগ করেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা পদত্যাগ করেছিলেন। এরপর সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি সমিতির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হয়। এতে আইনজীবী মোহাম্মদ সোলায়মানকে মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা করা হয়। আইনজীবী উত্তম কুমার দত্ত, সামশ্রী বড়ুয়া ও মো. নুরুদ্দীন আরিফ চৌধুরীকে নির্বাচনী কর্মকর্তা করা হয়।
পদত্যাগপত্রে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি উল্লেখ করেছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে ব্যালট পেপার ছাপানোসহ ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচনে একপক্ষ সেনাবাহিনী মোতায়েন অন্যপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থক আখ্যা দিয়ে তাদের মনোনয়ন বাতিলের আবেদন করেন। দুই আবেদনই অগ্রহণযোগ্য। উভয়পক্ষের পারস্পরিক অবস্থান নির্বাচনের প্রতিকূল হওয়ায় নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে বিভিন্নভাবে হেনস্তা, ভয়ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। তাই ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন করার কোনো পরিবেশ নেই।
নির্বাচনে ঐক্য পরিষদ মনোনীত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. হাসান আলী চৌধুরী বলেন, সমন্বয় পরিষদ থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন চাওয়াতে নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করেছে। আমরা কমিশনের কাছে কোনো আবেদন করিনি। কমিশন কেন বলছে যে, আমরা আবেদন করেছি, তা বলতে পারছি না।
সমন্বয় পরিষদ মনোনীত সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের প্রতি হুমকি রয়েছে, তাই আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির জন্য প্রস্তাব করেছিলাম। অন্যদিকে ঐক্য পরিষদ আমাদের মনোনয়ন বাতিলের জন্য আবেদন করেছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এসব আবেদনকে ‘অজুহাত’ হিসেবে দাঁড় করিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শ্রম আইন আইএলওর মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ডে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কারখানা শ্রমিকদের নিরাপত্তা উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন ‘নিরাপন’র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নিরাপনের নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নিরাপনের চেয়ারপারসন সাইমন সুলতানা এবং স্বাধীন পরিচালক তপন চৌধুরী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় পশ্চিমা ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা নিরাপন কর্মকর্তাদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আইএলও’র মানদণ্ডে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। শিগগির আপনারা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী জানান, অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিক ইউনিয়ন ও পোশাক প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে ১৮ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা এই খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
সাইমন সুলতানা পোশাক শিল্পে সংস্কার কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিরাপন তার স্থানীয় অংশীদার ‘ব্র্যাক’ ও ‘আমাদের কথা’র মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য উদ্ভাবনী টুল উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরাও বাংলাদেশের কারখানার নিরাপত্তার উন্নতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উপস্থিত ছিলেন।