খেলাধুলা
অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ দলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবারও অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপ জয় করায় বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিজয়ের মাসে আন্তর্জাতিক বিজয়ের জন্য গর্বিত জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ভারত। বাংলাদেশ ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয়। জবাবে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কোণঠাসা হয়ে যায় ভারত। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে ভারত অলআউট হলে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশের যুবারা।
২০২৩ সালে এই স্টেডিয়ামেই স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলদেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খেলাধুলা
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তামিম

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। গত ২৪ মার্চ ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে গিয়ে গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের কল্যাণে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরেছেন তিনি।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তামিম। আগের দিনই তার সুস্থতা নিয়ে সুসংবাদ দিয়েছিলেন সেখানকার চিকিৎসকরা।
এর আগে গত ২৪ মার্চ সাভারে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে গিয়ে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। অস্বস্তি বৃদ্ধি পেলে নিজের গাড়িতেই পার্শ্ববর্তী কেপিজে হাসপাতালে যান এই তারকা। এরপর পুনরায় মাঠে ফিরে আসেন। তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিতে বিকেএসপিতে হেলিকপ্টারও উড়িয়ে আনা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হলে তাকে আর হেলিকপ্টারেও ওঠানো সম্ভব হয়নি। ফলে ফের কেপিজে হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসকরা ২২ মিনিট সিপিআর এবং ৩টি ডিসি শক দিয়ে তামিমকে চিকিৎসা দেয়ার মতো অবস্থায় নিয়ে আসেন। এরপর তার এনজিওগ্রাম করা হয় এবং ব্লক হয়ে যাওয়া ধমনিতে রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়।
সেখানে দুইদিনের চিকিৎসা শেষে বুধবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর এভারকেয়ারে হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন তামিম। সেখানকার চিকিৎসকরা গতকাল তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়েছিলেন। সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন বাসায় যাওয়ার বিষয়েও। তবে সতর্ক করে দিয়েছেন, যেন নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এবং ডায়েট ও ঔষধ মেনে চলেন। ভবিষ্যতে ফের তার হৃদরোগের ঝুঁকি থাকার শঙ্কার কথাও জানান চিকিৎসকরা।
তবে আপাতত স্বস্তির খবর, সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন তামিম। ঈদটা তিনি কাটাতে পারবেন পরিবারের সঙ্গেই। তবে এ ক্রিকেটার ফের আবার ব্যাট হাতে মাঠে নামতে পারবেন কি না, সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ৩-৪ মাস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ বুকে ব্যথা, লাইফ সাপোর্টে তামিম

বিকেএসপির মাঠে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল। খেলা চলাকালীন হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখানে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে তাকে।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) বিসিবির মেডিকেল বিভাগের এক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন টসেও।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তামিমকে প্রথমে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু, অবস্থা ভালো মনে না হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এই মুহূর্তে সেখানেই ভর্তি আছেন তিনি।
মোহামেডানের ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তামিমকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, হেলিকপ্টারে উঠানোর মতো শারীরিক অবস্থা না থাকায় ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাকে।
তামিমের অসুস্থতার খবরে স্থগিত করা হয়েছে বিসিবির বোর্ডসভা। দুপুর ১২টায় এ সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তামিমকে দেখতে মিরপুর থেকে ছুটে গিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা। ঢাকা থেকে পৌঁছেছেন তার ভাই নাফিস ইকবাল এবং স্ত্রীও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
জুয়ার বিজ্ঞাপনে সাকিব

বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা ফিরে পাওয়ার পর যখন তাঁর ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষা, তখন আবারও বিতর্কিত বিষয়ে আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। গতকাল নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার, সেখানে একটি বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে দেখা গেছে তাঁকে। একে তো প্রকাশ্যে জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন, তার ওপর মানুষকে বেটিংয়ের জন্য আহবান করতে দেখা গেছে সাকিবকে। অথচ বাংলাদেশের আইনে যেকোনো ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ।
এর আগে ২০২২ সালে একবার সেরোগেট বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন করে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন সাকিব। ওই সময় বোর্ডের কঠোর সিদ্ধান্তের কারণে ভুল স্বীকার করে সরে এসেছিলেন তিনি। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটার ছিলেন সাকিব। তবে এ বছর চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশেও ফেরেননি তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
দেশে এসে উচ্ছ্বসিত হামজা, ভারতকে হারানোর আশাবাদ

বাংলাদেশে পৌঁছেছেন ইংলিশ লিগের তারকা হামজা চৌধুরী। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে যখন তিনি বের হলেন, তার অপেক্ষায় হাজার হাজার ভক্ত-সমর্থক। যাদের সামনে ছিল গণমাধ্যমের অসংখ্য ক্যামেরা তাক করা। সংবাদকর্মীদের ভীড়ও ছিল উল্লেখ করার মতো। পেছন থেকে ধেয়ে আসছিল ‘হামজা, হামজা’ স্লোগান।
ভিড়ের মধ্যে শুধু হামজা বলেন, ‘দেশে ফিরে ভালো লাগছে, আমি খুব রোমাঞ্চিত। কোচ কাবরেরার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছি। সে মাফিক খেলতে পারলে আশা করি আমরা ভারতকে হারাতে পারব।
এদিকে, সিলেট বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে চলে যাবেন হামজা। তার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী জানান, হামজা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে দেখা করবেন, কথা বলবেন। আজ সেখানে ইফতার বিতরণ করা হবে গরিবদের মধ্যে। হামজা নিজে একটি এতিমখানা চালান। সেখানে ইফতারি বিতরণ করে হামজা নিজের বাসায় আসবেন।
তার আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকায় যাবেন হামজা। এরপর যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই মিডফিল্ডারের। এই ম্যাচে ভারতকে হারাবে বাংলাদেশ এমন আশা নিয়ে সমর্থকেরা বুক বেঁধেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
দেশে এসে পৌঁছেছেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার জন্য হামজা দেওয়ান চৌধুরী দেশে এসে পৌঁছেছেন। আজ (সোমবার) দুপুর পৌনে ১২টায় সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা এই ফুটবলার। গতকাল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন হামজা।
হামজা ও তার পরিবারকে বরণ করে নিতে সিলেট এয়ারপোর্টে উপস্থিত হয়েছেন বাফুফের ৭ জন নির্বাহী সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভুইয়া শাহীন, কামরুল ইসলাম হিল্টন, গোলাম গাউস, ইকবাল হোসেন, সত্যজিৎ দাশ রুপু, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ও মন্জুরুল করিম। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পর হামজাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন তারা। তাদের সাথে রয়েছেন হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী।
হামজাকে স্বচক্ষে এক নজর দেখার জন্য সিলেট এয়ারপোর্টের বাইরে অনেক সমর্থক ভিড় করেছেন। কেউ কেউ ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমকর্মীরাও বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন।
হামজা আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে এবারের আসাটা বিশেষ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশে এসেছেন তিনি। স্মরণীয় এ সফরে তার সঙ্গী মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা।
সিলেট বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে চলে যাবেন হামজা। সেখানে আজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি। তার আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল ঢাকায় আসতে পারেন হামজা। এরপর যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে বর্তমানে শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডারের।
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তবে এখন তিনি বাংলাদেশেরও নাগরিক। তাকে নাগরিকত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।