অর্থনীতি
মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বেরোতে সংকটকে কাজে লাগাতে হবে
মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও উন্মুক্ত হওয়া উচিত। মধ্যম আয়ের স্তর দ্রুত অতিক্রম করতে হলে বিদ্যমান কাঠামোতে শৃঙ্খলা আনতে হবে, যোগ্যতাকে পুরস্কৃত করতে হবে এবং সংকটকে কাজে লাগাতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংক-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত এস গিল।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলনে (এবিসিডি) বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
ইন্দরমিত বলেন, বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ছয় বিলিয়ন মানুষ সময়ের সঙ্গে লড়াই করছে। তিনি বলেন, “বাইরের পরিবেশ এই চ্যালেঞ্জগুলো আরও কঠিন করে তুলছে। মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে মুক্তি পেতে দেশগুলোকে দুটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যেতে হবে, একটি নয়।”
তিনি আরও বলেন, “বিনিয়োগ, উৎপাদন এবং উদ্ভাবনের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। মধ্যম আয়ের স্তর দ্রুত অতিক্রম করতে হলে বিদ্যমান কাঠামোতে শৃঙ্খলা আনতে হবে, যোগ্যতাকে পুরস্কৃত করতে হবে এবং সংকটকে কাজে লাগাতে হবে।”
গিল বলেন, “আপনাকে অর্থনীতিকে উন্মুক্ত করতে হবে, বিশেষ করে যখন বিনিয়োগ-নির্ভর পর্যায় থেকে উৎপাদন-নির্ভর পর্যায়ে স্থানান্তরিত হয়েছেন। অন্যরা যা-ই করুক না কেন, এখানে বাংলাদেশকে আরও বেশি উন্মুক্ত হতে হবে।”
“এটি যেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন, উৎপাদন ও সেবা, অথবা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় নীতি সংস্কারের মধ্যে কোনও একটি বেছে নেওয়ার বিষয় না হয়,” তিনি জোর দিয়ে বলেন।
গিল বলেন, “মধ্যম আয়ের আরও অনেক দেশ রয়েছে। কিন্তু তারা তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের দিক থেকে আলাদা। আমরা দেখেছি, বৈষম্য সামান্য বেড়েছে। তবে এটি খুব বেশি গুরুতর নয়, যদি আর্থ-সামাজিক গতিশীলতা বাড়তে থাকে।”
তিনি বলেন, “আবার যদি আর্থ-সামাজিক গতিশীলতা কমে যায়, তবে বৈষম্য বাড়ুক বা কমুক, তা কোনো গুরুত্ব বহন করে না,”
বিশ্বব্যাংক-এর এই মুখ্য অর্থনীতিবিদ বলেন, “জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ শুধু এটাই দেখছে, জ্বালানি কোথা থেকে আসছে– পুনর্নবীকরণযোগ্য খাত থেকে নাকি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। এটি সম্পূর্ণ ভুল দৃষ্টিভঙ্গি।”
ইন্দরমিত বলেন, “আমাদের দেখতে হবে, বাংলাদেশ জ্বালানি থেকে উৎপাদন করতে কতটা দক্ষ। যদি দক্ষ না হয়, তাহলে এটি বোঝায়, মাথাপিছু উৎপাদনের তুলনায় কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ অনেক বেশি।”
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে এবিসিডি ২০২৪-এর মূল বিষয় “আন্তঃসংযোগ: সমতা, সুযোগ, স্বাধীনতা এবং মর্যাদা” তুলে ধরেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জাহাজের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি
জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ইয়ার্ডগুলোকে গ্রিন শিপ ইয়ার্ডে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে শর্তসাপেক্ষে এ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ কথা জানানো হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে, যা ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত এই অব্যাহতি বহাল থাকবে।
আদেশে বলা হয়েছে, সরকার ২০২৫ সালের ২৬ জুনের মধ্যে সব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ইয়ার্ডকে গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে উন্নীত করবে। নয়তো ওই সময়ের পর থেকে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কোনো জাহাজ বাংলাদেশে আসতে পারবে না। তাই মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নম্বর আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী সব ধরনের মূল্য সংযোজন কর (আগাম করসহ) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি শুধু শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় এবং ব্যবহার হবে মর্মে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র শুল্কায়নের সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে। রেয়াতি হারে আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি শুধু শিপ ব্রেকিং ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে ব্যবহার করতে হবে। ন্যূনতম পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার আগে আমদানি করা ওইসব মূলধনী যন্ত্রপাতি বিক্রি বা হস্তান্তর করা হলে প্রদত্ত রেয়াতি সুবিধা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং সেক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত সব মূল্য সংযোজন কর (আগাম করসহ) আদায়যোগ্য হবে।
আরও বলা হয়, রেয়াতি হারে আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি শুধু শিপ ব্রেকিং ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে ব্যবহার এবং ন্যূনতম পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর না করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তা তদারকি করবেন।
আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি ন্যূনতম পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর করা হবে না বলে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা শুল্কায়নের সময় আমদানিকারককে দাখিল করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দুই দিনের ব্যবধানে ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম
দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারো স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
ভরিতে এবার সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৩২ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে এক লাখ ৪০ হাজার ২৭১ টাকা। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর) থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৪০ হাজার ২৭১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৪ হাজার ২৫৭ টাকায় বিক্রি করা হবে।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর সোনার দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ১০ ডিসেম্বর কার্যকর হয়, ওই দামে এতদিন সোনা কেনাবেচা হয়েছে। সেই হিসেবে আজকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯২ হাজার ৯৩৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সিঙ্গাপুর থেকে ৭০৮ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক কোটেশন বা দরপত্রের মাধ্যমে এক কার্গো তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৭০৮ কোটি ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮০ টাকা। এ অর্থ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (২০২৫ সালের ৪-৫ জানুয়ারি) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদক কমিটি। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এই এলএনজি আমদানির প্রস্তাব নিয়ে আসে।
সূত্রটি জানিয়েছে, পেট্রোবাংলা থেকে ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। তিনটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড সিঙ্গাপুর এক কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৫ দশমিক ০২ মার্কিন ডলার হিসাবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৭০৮ কোটি ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮০ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিন দেশ থেকে ৬৬১ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
সৌদি আরব, রাশিয়া ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার, ৩০ হাজার টন এমওপি সার, ৪০ হাজার টন ডিএপি সার এবং ৩০ হাজার টন টিএসপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৬০ কোটি ৭৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিন প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি (সাবিক) থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ২৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৩৪২ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার।
এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন ‘প্রডিন্টরগ’ এর কাছ থেকে ১০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা দিয়ে এই সার আমদানি করা হবে। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ২৮৯ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের কাছ থেকে এ সার কিনতে ব্যয় হবে ২৮০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৫৮৪ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার।
এছাড়া মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির আর একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের কাছ থেকে এ সার কিনতে ব্যয় হবে ১৫২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪২৩ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তামাক ব্যবহার কমাতে জোরালো পদক্ষেপ জরুরি: এনবিআরকে আত্মা-প্রজ্ঞা
জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও রাজস্ব আয় বাড়াতে তামাক কর এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এনবিআর কার্যালয়ে চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানে সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই দাবি তুলে ধরেন প্রজ্ঞা ও আত্মা’র প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সবাই কর কমাতে আসে আপনারা কর বাড়াতে এসেছেন এজন্য ধন্যবাদ। আপনাদের সবগুলো সংস্কার প্রস্তাব যৌক্তিক। আসন্ন বাজেট তৈরিতে এগুলো বিবেচনায় আনবো এবং আইন সংশোধনে যথার্থ ভূমিকা রাখবো।
বৈঠকে জানানো হয়, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। তবে বাংলাদেশে তামাকপণ্য অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য এবং তামাককর কাঠামো ত্রুটিপূর্ণ। এতে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহারে বিশেষভাবে উৎসাহিত হচ্ছে। তামাক ব্যবহারের কারণে দেশে বছরে বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের স্বাস্থ্য ব্যয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মূল্যস্ফীতি এবং আয় বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে সবধরনের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি, নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক খুচরা মূল্যের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ করা এবং সিগারেটে বহুস্তর বিশিষ্ট আ্যডভ্যালোরেম কর পদ্ধতির পরিবর্তে ইউনিফর্ম স্পেসিফিক বা মিক্সড (স্পেসিফিক ও আ্যডভ্যালোরেম) কর পদ্ধতি প্রচলনের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে বলে আলোচনায় জানানো হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ সম্পর্কে বৈঠকে অবহিত করা হয়। এসময় এনবিআর-এর তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, আইন শক্তিশালীকরণের সাথে তামাক রাজস্ব কমার কোন সম্পর্ক নেই। ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস হওয়ার পর পরবর্তী ২০০৫-০৬ এবং ২০০৬-০৭ অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ১৭.৯৭ শতাংশ এবং ৩৭.৫২ শতাংশ। একইভাবে, ২০১৩ সালের সংশোধনীর পর পরবর্তী ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ২৫.৫১ শতাংশ এবং ৪৬.৫২ শতাংশ। সুতরাং তামাক কোম্পানিগুলোর অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হয়ে খসড়া সংশোধনীটি দ্রুত পাস করতে এনবিআর-কে সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়।
বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনায় অংশ নেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, আত্মা’র আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন, সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী, প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এবং কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।