ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জবি গুচ্ছ ছাড়লেও থাকছে বাকি ২৩ বিশ্ববিদ্যালয়
গুচ্ছ থেকে বের হয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এতে বাকি ২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। তবে সে সংশয় কেটেছে। গুচ্ছে থেকে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে ২৩ বিশ্ববিদ্যালয়। শিগগির ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এবার আমরা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। সম্প্রতি একটি সভায় প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। শিগগির আরেকটি সভা করে করে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে। আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের না থাকা প্রসঙ্গে অধ্যাপক আব্দুল মজিদ বলেন, তারা না থাকলে বাকি ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হবে। প্রকৌশল ও কৃষি গুচ্ছ থাকলে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে হবে জিএসটি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা। এবার সময় কমানোর পাশাপাশি সেশনজট যাতে না হয়, সে চেষ্টা করা হবে।
জানা গেছে, জবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। গত ১ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়েছে, যা চলবে ১৫ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
গত ২১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। ফলে তারা আর গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে থাকছেন না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসির ফরম পূরণের সময় বাড়লো
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারবেন। তবে ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও তাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। জরিমানা ছাড়া আজ (সোমবার, ৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ফরম পূরণের সুযোগ ছিল। তবে শেষদিনে এসে সময়সীমা আরও পাঁচদিন বাড়ানো হলো।
ঢাকা বোর্ডের আজকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫’-এর বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণের সময় আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর।
বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও আলাদা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ফি দিতে হবে ২ হাজার ২৪০ টাকা। গত বছর বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ফি ছিল ২ হাজার ১৪০ টাকা। অর্থাৎ, ফরম পূরণ ফি ১০০ টাকা বেড়েছে।
একইভাবে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এবার ফি ১০০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ১২০ টাকা করা হয়েছে, গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় যা ছিল ২ হাজার ২০ টাকা। বোর্ড জানিয়েছে, ফরম পূরণের এ ফি-এর মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা, কেন্দ্র ফিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিলম্ব ফি নিতে পারবে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। তাছাড়া এসএসসি পরীক্ষা যখনই হোক না কেন, নবম ও দশম শ্রেণি মিলিয়ে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৪ মাসের বেশি সময়ের বেতন ও সেশন চার্জ নেওয়া যাবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শুরুর আগেই স্থগিত ৪৭তম বিসিএসের আবেদন
‘অনিবার্য কারণে’ ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৪ এর অনলাইন আবেদন স্থগিত করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরুর আগের দিন সোমবার (৯ ডিসেম্বর) পিএসসির জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন। এই বিসিএসে শূন্য পদে ক্যাডার নিয়োগ পাবেন তিন হাজার ৪৮৭ জন।
৪৭তম বিসিএসের আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমাদান ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শুরু হয়ে জমাদানের শেষ তারিখ ও সময় ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট ছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসবিএসি ব্যাংকের বার্ষিক ঝুঁকি সম্মেলন
এসবিএসি ব্যাংক পিএলসির বার্ষিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক ও বোর্ডের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল হক। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনের ডিভিশন-২ এর পরিচালক আ.ন.ম. মঈনুল কবীর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ব্যক্তব্য রাখেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আজীম। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন ভুঁইয়া ও মো. নাজিমউদ্দৌলা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের
যুগ্মপরিচালক নাজমিন নাহার।
সম্মেলনে এসবিএসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, শাখা ব্যবস্থাপক ও উপশাখার ইনচার্জবৃন্দ সশরীর ও অনলাইনে প্লাটফরমে অংশ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ দিচ্ছে হাঙ্গেরি, আবেদন যেভাবে
‘স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ ২০২৫-২৬’ কর্মসূচির আওতায় হাঙ্গেরি সরকার বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করেছে। শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের আওতায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে হাঙ্গেরিতে পড়ার সুযোগ পাবেন। ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এ বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।
স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকামের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে আবেদন করা যাবে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর শতাধিক শিক্ষার্থী যোগ্যতাপূরণ সাপেক্ষে এ স্কলারশিপ পাবেন।
২০১৩ সাল থেকে হাঙ্গেরি সরকার স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ দিয়ে আসছে। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে চালু হয় এই স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপের অধীন টিউশন ফি সম্পূর্ণ ফ্রি। পাশাপাশি পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যবিমা ও আবাসনের সুবিধা। তবে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট ও ডক্টরাল- তিনটির যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। দেশটির ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা যাবে এ বৃত্তির আওতায়।
হাঙ্গেরির পেকস বিশ্ববিদ্যালয় স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ দেয়। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রতিবছর পাঁচটি মহাদেশের প্রায় ৮০টি দেশের পাঁচ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী এ বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। এই বৃত্তির লক্ষ্য হলো হাঙ্গেরিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ানো এবং হাঙ্গেরির উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শীর্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে উত্সাহিত করা।
স্কলারশিপে যত সুযোগ-সুবিধা
► সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করবে;
► ডরমিটরিতে বিনা মূল্যে আবাসনের সুবিধা;
► স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা দেবে;
► স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চলাকালে বছরে দেবে ৪৩ হাজার ৭০০ হাঙ্গেরিয়ান ফোরিন্ট;
► পিএইচডির জন্য দেবে ১ লাখ ৪০ হাজার হাঙ্গেরিয়ান ফোরিন্ট।
যেসব বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
৩১টি স্নাতক, ২৯টি স্নাতকোত্তর ও ১৫টি পিএইচডি প্রোগ্রাম অফার করা হয় এ বৃত্তিতে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসা ও অর্থনীতি, কলা ও প্রকৌশল।
আবেদনের যোগ্যতা
► আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে;
► শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে;
► ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে ১২ বছরের স্কুল সার্টিফিকেট লাগবে;
► স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে;
► পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।
► IELTS ছাড়া MOI সনদ দিয়ে আবেদন করা যাবে। তবে প্রোগ্রামভেদে IELTS সনদ প্রয়োজন হতে পারে। প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে IELTS এর উপর গুরুত্ব বেশি দেওয়া হবে।
► ৩১ আগষ্ট ২০০৭ বা এর আগেই জন্ম হতে হবে (অনার্স)।
► আন্ডার গ্রাজুয়েট পর্যায়ে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
► আপনি যে প্রোগ্রামে আবেদন করতে চাইবেন, সেই প্রোগ্রামের দেয়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
► পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত (সিভি);
► একাডেমিক সব সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট;
► রিকমেন্ডেশন লেটার;
► স্টেটমেন্ট অব পারপাস;
► গবেষণা প্রস্তাব (স্নাতক)।
লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো
► প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে Language Proficiency (English)-এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্নাতক পর্যায়ে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
► এই বৃত্তির লক্ষ্য হলো হাঙ্গেরিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ানো এবং হাঙ্গেরির উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শীর্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে উত্সাহিত করা।
► স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল—তিনটির যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। একাধিক আবেদন করলে আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
► অসম্পূর্ণ আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
আবেদন করবেন যেভাবে
► আগ্রহী প্রার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। এবং আবেদনের পদ্ধতিসহ অন্য সব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বয়স বাড়ানোর আবেদন
বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বয়স বাড়িয়ে ৩৪ বছর করার দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের কাছে আবেদন করেছেন চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, পূর্ববর্তী সব বিসিএসে চিকিৎসকদের বয়সসীমা ৩২ থাকলেও বর্তমানে আবেদনকারীদের বয়সসীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের বয়সসীমা পূর্বেরটাই রয়েছে গেছে, যা চিকিৎসকদের সঙ্গে একধরনের বৈষম্য।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পাঠানো আবেদনে সাধারণ এমবিবিএস চিকিৎসকদের পক্ষে পাঁচজনের সই রয়েছে। তারা হলেন ডা. মাহফুজুল হক চৌধুরী, ডা. মো. মঈন উদ্দিন চিশতি, ডা. গোলাম ছামদানী, ডা. আব্দুল হাকিম ও ডা. রুহুল আমিন।
চিকিৎসকদের আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, আমরা দেশের সাধারণ এমবিবিএস চিকিৎসক। আমরা জেনেছি ৪৭তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপনে সব আবেদনকারীর বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ করা হয়েছ, যা বিপ্লবোত্তর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদার ও বৈষম্যহীন দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক এবং সরকার এই কারণে আপামর নবীন এবং প্রবীণের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য বিসিএস আবেদনকারীর স্নাতক শেষ করতে যেখানে ন্যূনতম ৪ বছর লাগে সেখানে সব চিকিৎসকের এমবিবিএস স্নাতক ও ইন্টার্নশিপ শেষ করতে ন্যূনতম ৭৮ মাস বা সাড়ে ৬ বছর লাগে, তাই পূর্ববর্তী সব সাধারণ বিসিএস আবেদনকারীদের যেখানে বয়সসীমা ৩০ বছর ছিল সেখানে চিকিৎসকদের বয়সসীমা ৩২ ছিল। তাই একই কারণে উদার ও বৈষম্যহীন ন্যায় প্রতিষ্ঠায় চিকিৎসকদের বয়সসীমা পূর্বের ন্যায় ২ বছর বৃদ্ধিপূর্বক ৩২ এর পরিবর্তে ৩৪ করার আবেদন করছি।
এরআগে, গত ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বয়স বাড়ানোর দাবি জানান চিকিৎসকরা। সমাবেশে চিকিৎসকরা বলেন, সম্প্রতি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়ি ৩২ করা হলেও সুবিধা বাড়েনি চিকিৎসকদের। কারণ চিকিৎসকদের বয়সসীমা আগে থেকেই ৩২ বছর নির্ধারণ করা ছিল। এখনও ৩২ রয়েছে।
অতিরিক্ত সময় চাওয়ার পেছনে চিকিৎসকদের যুক্তি হচ্ছে- এমবিবিএস কোর্স ৫ বছরের। এর সঙ্গে ইন্টার্ন ১ বছরের করতে হয়। এর পর রেজাল্ট আসতে আরও প্রায় ৬ মাস লাগে। সবমিলিয়ে একজন চিকিৎসকের গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করতে ৬ বছর থেকে সাড়ে ৬ বছর লেগে যায়। দেখা যায়, একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর যেখানে গ্র্যাজুয়েশন করতে ৪ বছর লাগে, সেখানে একজন চিকিৎসকের গ্র্যাজুয়েশন করতে ২ থেকে আড়াই বছর বেশি লাগে। এই অতিরিক্ত সময় লাগার কারণে, বিসিএসেএর জন্য পূর্বে যে ২ বছর বাড়তি সময় দেওয়া ছিল। বর্তমানে অন্য সবার ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ করা হলেও, চিকিৎসকদের আগের মতোই ৩২ বছর রয়ে গেছে। এ কারণে অতিরিক্ত সময় বাড়ানোর সুবিধা অন্যরা পেলেও, চিকিৎসকরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, আমাদের দেশের মেডিকেলের পড়ালেখার সঙ্গে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নের অনেক দূরত্ব রয়ে গেছে। যেখানে একজন সাধারণ স্টুডেন্ট অনার্সে ভর্তির পর থেকেই বিসিএস পরীক্ষার প্রিপারেশনের সুযোগ পায়, অথবা তার পড়ালেখার ধরনটা বিসিএস পরীক্ষার সঙ্গে মিল থাকে। কিন্তু এমবিবিএস পড়ালেখা সম্পূর্ণ আলাদা হওয়ায়, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বাড়তি পড়ালেখা করে বিসিএস প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হয়। এর সঙ্গে রয়েছে বয়সের সীমাবদ্ধতা। এসব কারণে পূর্বের মতো জেনারেল ক্যাডারের চাইতে টেকনিক্যাল ক্যাডার স্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত ২ বছর সময় বাড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে জোর দাবি জানান চিকিৎসকরা।