রাজনীতি
প্রতিশোধ নয় আমরা বিচার চাই: জামায়াত আমির
শেখ হাসিনা ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত মানুষ হত্যা করেছেন এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, তার শাসনামলে বাংলাদেশের জনগণের জীবন ছিল দুঃসহ কালরাত। মানুষের মুখে ছিল তালা, হাতে ছিল হ্যান্ডকাফ, পায়ে ছিল বেড়ি। প্রতিটা হত্যা ও অপরাধের বিচার চাই।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লার ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে কারোর ওপর প্রতিশোধ নিতে চাই না। প্রতিশোধ মানে আইন-হাতে তুলে নেওয়া। আমরা সেটা চাই না। আমরা বিচার চাই। প্রতিটি হত্যা ও অপরাধের বিচার চাই। এসব বিচার যদি না হয় সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ভিন্নমত, ভিন্ন আদর্শে সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশ আমাদের সবার। আগামী দিনের বাংলাদেশ গঠনে পথে পথে বিভিন্ন অন্তরায় দেখতে পাচ্ছি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ, তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক চাই। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ভূমিকা ছিল অত্যন্ত উসকানিমূলক, অসহিষ্ণু এবং অগ্রহণযোগ্য। মিথ্যা তথ্যের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশকে কলুষিত করার জন্য এই সরকার এবং জনগণকে ব্যর্থ করার জন্য তারা সারা দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন এবং অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমরা এগুলোর নিন্দা জানিয়েছি।
তিনি বলেন, টানা ১৭ বছর ৬ মাসে জাতি বন্দিত্বের নিগড়ে বন্দি ছিল। এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ ছিল মজলুম এবং রাস্তায় যে ভাইটি ভিক্ষা করতেন তিনিও মজলুম। কারণ ওই সব ভিক্ষুককে চাঁদা দিতে হতো গুণ্ডাদের কাছে। চাঁদা না দিলে তারা ভিক্ষা করতে পারতেন না।
জামায়াত আমির বলেন, এই সাড়ে ১৭টি বছর বাংলাদেশের জনগণের জীবনে ছিল দুঃসহ কালরাত। মূলত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শ’খানেক মানুষকে তারা হত্যা করেছিল। ফ্যাসিবাদের সূত্রপাত তখনই হয়েছিল। স্বৈরাচারের পদধ্বনি তখন থেকেই এসেছিল।
তিনি বলেন, তারপর আপনারা দেখেছেন ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যে তারা রাষ্ট্রের গর্বিত প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীর গায়ে আঘাত দিয়েছিল। পিলখানার সদর দপ্তরে ৫৪ জন চৌকস দেশপ্রেমিক সামরিক অফিসারকে হত্যা করেছে। পরিবারের মহিলা সদস্যদের নির্যাতন, লাঞ্ছিত করেছে। তারপর তাদের হত্যা করে ড্রেনে ভাসিয়ে দিয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি। অথচ সে সময়ে সেনাবাহিনীর কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেনাবাহিনীদের দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে আরেকটি গর্বের বাহিনী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিডিআরকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের ১৫ হাজার সদস্যের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে। কুচক্রীদের চক্রান্তে এসব মানুষদের। জীবন বলি দিতে হয়েছে।
শেখ হাসিনার আমলের নির্যাতনের ভয়াবহতার বর্ণনা তুলে ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এর পরই তারা আঘাতটা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর। দেশপ্রমিক এই পরীক্ষিত শক্তির ওপর। এ দেশের শত্রুরাও জানে-জামায়াতে ইসলামী ভাঙবে, কিন্তু মচকাবে না।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ আবদুর রব, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এড. জসিম উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৯ বছর পর আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন। কুমিল্লার ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন পর সম্মেলনকে ঘিরে পুরো জেলাজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ। পথে পথে লেগেছে পোস্টার-ব্যানার। মহাসড়কের ওপরেও উড়ছে ব্যানার। দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে কর্মসূচি করায় নেতারা যেমন আনন্দিত, অংশগ্রহণ করার প্রত্যাশায় উচ্ছ্বসিত ছিলেন কর্মীরাও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তারের বরাত দিয়ে মিডিয়া সেলের একজন সদস্য এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজ রাত পৌনে ৮টার দিকে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক আলী ফালু।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ, পথে পথে নেতাকর্মীদের ঢল
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে এ লংমার্চ করছে বিএনপি ৩ সংগঠন। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চের গাড়ি বহরকে শুভেচ্ছা জানাতে সড়কের দুই পাশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিত দেখা গেছে।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় রাজধানীর নায়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চ শুরুর আগে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন-মহাসচিব রুহুল কবির।
গাড়ি বহর ঢাকা থেকে বের হওয়ার পর থেকে সড়কের দুই পাশে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। তারা হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে গাড়ি বহরকে স্বাগত জানাচ্ছেন। এ সময়; দিল্লি না ঢাকা- ঢাকা ঢাকা, ভারতের দালালেরা- হুঁশিয়ার সাবধান’ এমন নানা স্লোগান দেন তারা। নেতাকর্মীদের হাতে শোভা পাচ্ছে নানা স্লোগান সংবলিত ফেস্টুন। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উড়াচ্ছেন।
ভৈরব মোড় পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না। আখাউড়ায় সমাবেশের মধ্যে দিয়ে লংমর্চ শেষ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী।
একই ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার অভিমুখে পদযাত্রা করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। নয়াপল্টন থেকে পদযাত্রাটি রামপুরা গেলে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় হাইকমিশনারে গিয়ে স্মারকলিপির দেন।
গত ২ ডিসেম্বর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত সহকারী হাইকমিশনে হামলা হয়। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের সমর্থকরা এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে আগুন দেয় ও ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যে হামলা হয়েছে, তা পূর্বপরিকল্পিত বলে আমাদের ধারণা। সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেয়া এবং ভাঙচুর করা ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জেলা বিএনপির সভাপতির দখলদারিত্ব-প্রভাব বিস্তারে আতঙ্কিত চাঁদপুরবাসী
৫ই আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে হাসিনা ভারত পালানোর পরবর্তি সময়ে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতির শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের দখলদারিত্ব ও প্রভাব বিস্তারে বেপরোয়া হয়ে উঠার অভিযোগ রয়েছে।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব নিয়ে বিএনপির কেন্দ্র থেকে সম্প্রতি শোকজও করা হয় চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মানিককে। সম্প্রতি আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সামি চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতির অনৈতিক দখলদারিত্ব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে। পরবর্তীতে বিএনপির কেন্দ্র থেকে শেখ ফরিদ আহমেদকে শোকজ করা হলে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি।সম্প্রতি চাঁদপুর জেলা বিএনপির দলীয় অফিসের জন্য একটি পরিবারের বাড়ি দখলেরও অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানববন্ধনও করেছে মীর আহমদ আলী নামের চাঁদপুরের একটি পরিবার। এছাড়াও সম্প্রতি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে দালাল চক্র ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী জনতার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে দালাল চক্রের পক্ষ নিয়ে সিভিল সার্জনকে হেনস্থা করার অভিযোগে জেলা বিএনপির সভাপতি সমালোচনার মুখে পড়েন। এ নিয়ে চাঁদপুর শহরে উত্তেজনা বিরাজ করে। এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ফলে খোদ চাঁদপুর জেলা বিএনপির মধ্যেই ভিবক্তি দেখা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, জেলা বিএনপির সভাপতির দখল, লুটপাট ও নৈরাজ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখা-লেখির ফলে চাঁদপুর জেলা বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক কাজী ইব্রাহিম জুয়েল বহিষ্কার হয়। এর ফলে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ও জুয়েল প্রকাশ্যে দ্বন্ধে জড়ায়।
সূত্র মতে, চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতির দখল-লুটপাট চাঁদাবাজি ও ভয় ভীতি দেখানোর বিষয় নিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ দেয় জুয়েল। একই সঙ্গে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালনের অনুমতি নেয় সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জুয়েল।
এদিকে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন এবং সংবাদ সম্মেলনের উদ্যোগ নেয় কাজী ইব্রাহীম জুয়েল। তবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে হামলায় আহত হয় অর্ধশত।একই সঙ্গে জুয়েলের বাসা-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তাঁর মালিকানাধীন পত্রিকা কার্যালয় ভাঙচুর-লুটপাট করে একদল দূর্বৃত্ত।ভুক্তভুগী জুয়েলের দাবি এই হামলার ইন্ধন দিয়েছে চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি মানিক। কারণ হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন মানিকের অনুগত চাঁদপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ সসস্র সন্ত্রাসীরা।হামলায় কাজী ইব্রাহিমের ছেলেসহ গুরুতর আহত শতাধিক। এসময় বাসা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার, সিসিটিভি ডিভিআর, মূল্যবান জিনিসপত্র ও লগদ টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, কাজী ইব্রাহীম জুয়েলের বাসা-বাড়ী, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল ও প্রত্রিকা কার্যালয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। হামলায় উপস্থিত নেতৃত্ব দেয় চাঁদপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমাম গাজী , সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী,সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোহাগ। এছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, মেহেদী হাসান শাকিল, চাঁদপুর পৌর ছাত্রদল মামুন খান, চাঁদপুর সরকারি কলেজ সভাপতি সোহেল গাজী, জিসান আহমেদ মুরাদ (সভাপতি থানা ছাত্রদল), পারভেজ খান (সাধারণ সম্পাদক সদর থানা), জুনায়েদ খান (সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদর থানা), মাসুদ মাঝি (যুগ্ম আহ্বায়ক স্বেচ্ছাসেবক দল, চাঁদপুর জেলা)। এসময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীদেরকে হামলা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এবিষয়ে ভুক্তভুগী কাজী জুয়েল অর্থসংবাদকে বলেন, গত ১৭ বছর আমি স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনে নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়েছি। অসংখ্যবার কারাবরণ করেছি। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে অসংখ্যবার আওয়ামী সন্ত্রাসীর হামলা ও লুটপাট করেছে। তবুও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথ থেকে এক পাও সরে যাইনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এবং নির্দেশে রাজপথে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। আমার কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। আজকে ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে আমার সন্তানকে রক্তাক্ত করা হলো। আমাকে খুন করার চেষ্টা করেছে। এ বিচার আমি মহান আল্লাহর কাছে দিলাম।
এছাড়া আমি দলের পরিক্ষীত কর্মী। আমাকে দলের নেতাকর্মীরা ভালোবাসেন এবং আমি সুনাম ক্ষুন্ন যেন না হয় সেই জন্য জেলা বিএনপি সভাপতি অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেছি এটাই আমার অপরাধ। তাই আমার প্রতি ইর্শান্বিত হয়ে তিনি বার বার আমাকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি আমার দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।’
এ বিষয়ে শান্তিপ্রিয় ও সচেতন চাঁদপুর বাসির দাবি, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। না হয় চাঁদপুরে বিএনপি জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে থাকবে । পাশাপাশি চাঁদপুরবাসীর জান ও মালের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বিভাগের হস্তক্ষেপ চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনে সাড়া দেননি। ফলে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার রবিক উদ্দিন অর্থসংবাদকে বলেন, আমরা সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
এদিকে জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা নাম না প্রাকাশ করার শর্তে বলেন, আসলে জুয়েল শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে দলের ইমেজ রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মানিক সাহেব তা সহ্য করতে পারেননি। তাই জুয়েলকে দল থেকে বহিস্কারের পথ বেছে নেন। শুধু বহিস্কার করেই ক্ষান্ত হননি এবার তিনি জুয়েলকে প্রাণে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিএনপির উর্ধ্বতন মহল ব্যবস্থা না নিলে মানিক সাহেব জেলা বিএনপিকে শেষ করে দিবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই আমরা জেলা বিএনপি সভাপতির অনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপারে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতি দাবী জানাই।
এদিকে প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, গতকাল ৯ ডিসেম্বর ইব্রাহীম জুয়েল এর বাসার মূল গেইট ভেঙ্গে হামলাকারী জুয়েলকে ঘেরাও করে হত্যার উদ্দেশ্যে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় এবং তার পূর্ব নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন যেন না করেন তার জন্য হুমকি দেন। এসময় তারা জুয়েলের কাছে সিসি টিভির ডিভিআর ও কম্পিউটার ল্যাপটপ তুলে দেওয়ার দাবী জানায়। এরপর তারা অস্ত্রের মুখে জোর পূর্বক অফিসের সকল কম্পিউটার ও সিসিটিভির ডিভিআর ও ক্যামেরাসহ সব খুলে নিয়ে যায়। তবে ইব্রাহীম কাজী জুয়েলকে পুলিশের সহযোগীতায় নিরাপদে সরিয়ে নেয় উপস্থিত বিএনপির, যুব দল ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মীরা।
অপর দিকে ইব্রাহীম জুয়েলকে না পেয়ে তাঁর একমাত্র ছেলে আফতাবকে কাছে পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তাকে প্রথমে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করলে তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার অবস্থা আসঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। এতিকে হামলায় ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সাংবাদিক সহ প্রায় শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে ছাত্রদলের একটি সূত্র জানায় রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদা মানিকের নির্দেশে ছাত্রদল-যুবদলের অসংখ্যা দুর্বৃত্ত ইব্রাহিম জুয়েল এর বাড়িতে হামলার ছক আঁকেন। সেই মোতাবেক পরিকল্পিতভাবেই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান বিএনপি’র একাধিক সূত্র। হামলার সময় পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং চাঁদপুর কুমিল্লা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ৮ ডিসেম্বর রোববার রাত থেকেই ছাত্রদল ও যুবদলের একটি অংশ চাঁদপুর শহর ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তারা শত শত মোটরসাইকেল চড়ে এবং দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার, নতুন বাজার এবং ষোলঘর এলাকায় মহড়া দেয়। জনমনে প্রীতি ও এত সৃষ্টি করতে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। হঠাৎ করেই একেরপর এক ককটেল বিস্ফোরনের আওয়াজে কেঁপে ওঠে পুরো চাঁদপুর শহর। এতে চাঁদপুর কুমিল্লা মহাসড়কে যান চলাচলে ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে আতঙ্ক সৃষ্টিকারীরা সটকে পড়ে। পরের দিন গতকাল সোমবার সকাল থেকেই তারা চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার, নতুন বাজার এবং ষোলঘর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত মোটরসাইকেল এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করতে মহড়া দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নির্যাতিত সাবেক কয়েকজন নেতা জানানা, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদা মানিকের নির্দেশে বিএনপি ছাত্রদল যুবদলের একটি অংশ চাঁদপুর শহর জুড়ে এই তাণ্ডব এবং হামলা চালিয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর যে সকল সাবেক ছাত্র নেতারা চাঁদপুরে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের দখল, লুটপাট ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল তাদের টার্গেট করে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি
ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিএনপির পক্ষ থেকে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন দলটির নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ।
বাড়ি বাড়ি যাওয়া অত্যন্ত ‘সময় সাপেক্ষ’ এবং ‘অপ্রয়োজনীয়’ মন্তব্য করে বিএনপির নির্বাচন সংস্কার বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক মঈন খান বলেন, যদি সত্যিকার অর্থে সৎভাবে সঠিক ভোটার তালিকা আমরা করতে চাই, তাহলে কিন্তু বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, কম্পিউটার এআই… আজকে কিন্তু আমরা কম্পিউটারকে বলে দিলে সে নিজেই করে দিতে পারে, সেটা অবশ্যই সঠিক হবে। আমি কোন দিন ১৮ বছর হয়ে যাব, সেটাও কিন্তু কম্পিউটার করে দিতে পারে। সেটার জন্য বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এটায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যিনি মারা গেছেন তার নামটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ চলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি জন্য যাতে সত্যিকারভাবে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে এবং জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, ‘ডামি প্রতিনিধি’ না, ‘ভুয়া প্রতিনিধি’ না, সেজন্য আমাদের এই সংস্কার প্রস্তাব।
আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচনকে ‘কুক্ষিগত করতে’ অনেক কিছু করেছে অভিযোগ এনে মঈন খান বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করতে না পারে, তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, সেজন্য আমরা ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের প্রণীত বিধিমালার সংশোধন চেয়েছি।
সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন উপহার দিতে ৩/৪ মাসের বেশি সময় লাগবে না জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যেসব প্রস্তাব করেছি, সেসব প্রস্তাব অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এখানে এমন কোনো প্রস্তাব করা হয় নাই যেটা নতুন করে কোনো কিছু করতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার কথা বলেছি, নির্বাচন সচিবালয় করা এবং তাদের কিছু ক্ষমতা দেওয়া ইত্যাদি, আমরা প্রচলিত আইনগুলোর সংশোধন, সংস্কার, এগুলোর জন্য অধিক সময়ের প্রয়োজন হয় না।
অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচেনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা প্রস্তাব যেটা করেছি, সেটা হলো যাদের নেতৃত্বে যেসব অপকর্ম হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারা বিতাড়িত হয়েছে, পলায়ন করেছে। যাদের মাধ্যমে অপকর্ম করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। আমরা বিশ্বাস করি, যে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকছে তার নির্বাচনী কোনো স্টেক নাই, নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। আর যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে তাদের মধ্যে যারা এই ধরনের অপকর্মের সাথে আগে যুক্ত ছিল বা থাকতে পারে, তাদের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে এমন লোকদেরকে নিযুক্ত করা যারা এই ধরনের অপকর্মে যুক্ত হবেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যেসব সংস্কারের কথা বলেছি সেগুলো অধিকাংশ আইনি সংস্কারের বিষয়, কাগজের বিষয়। বাস্তবে যে কাজগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশন সময় নেয়, যেমন ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নতুন ভোটার সংযোজন, কী কী ভুল-ভ্রান্তি আছে, ভুয়া ভোটার ‘গণনা’ করা তারপরে নির্বাচনের কাজ; অফিসার নিয়োগ, সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি সব কাজ গুছাতে বাস্তবে ২/৩ মাসের বেশি সময় লাগার কথা না।
তত্বাবধায়ক সরকার হলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে বাধ্য মনে করেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তত্বাবধায়ক সরকারের মূল্য আছে বা হবে। এটাই ছিল সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার সবচাইতে বড় বাধার একটা। সীমাবদ্ধতা, অপকর্মে জড়িতদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখা, এসব হচ্ছে উপসর্গ। তত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হলে এই সমস্ত উপসর্গ আর থাকবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যাত্রায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এ যাত্রায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এটাই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।
আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বরকে ‘মানবাধিকার দিবস’ ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর ‘মানবাধিকার দিবস‘ পালিত হয়ে আসছে। ২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য— ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই।’
তিনি বলেন, এইপ্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি ন্যায়নিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
বিগত দিনে বাংলাদেশে দীর্ঘ একদলীয় শাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এবং রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়িয়েছিলেন—রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ। তারা মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন।
কাফি