রাজনীতি
প্রতিশোধ নয় আমরা বিচার চাই: জামায়াত আমির
শেখ হাসিনা ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত মানুষ হত্যা করেছেন এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, তার শাসনামলে বাংলাদেশের জনগণের জীবন ছিল দুঃসহ কালরাত। মানুষের মুখে ছিল তালা, হাতে ছিল হ্যান্ডকাফ, পায়ে ছিল বেড়ি। প্রতিটা হত্যা ও অপরাধের বিচার চাই।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লার ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে কারোর ওপর প্রতিশোধ নিতে চাই না। প্রতিশোধ মানে আইন-হাতে তুলে নেওয়া। আমরা সেটা চাই না। আমরা বিচার চাই। প্রতিটি হত্যা ও অপরাধের বিচার চাই। এসব বিচার যদি না হয় সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ভিন্নমত, ভিন্ন আদর্শে সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশ আমাদের সবার। আগামী দিনের বাংলাদেশ গঠনে পথে পথে বিভিন্ন অন্তরায় দেখতে পাচ্ছি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ, তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক চাই। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ভূমিকা ছিল অত্যন্ত উসকানিমূলক, অসহিষ্ণু এবং অগ্রহণযোগ্য। মিথ্যা তথ্যের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশকে কলুষিত করার জন্য এই সরকার এবং জনগণকে ব্যর্থ করার জন্য তারা সারা দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন এবং অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমরা এগুলোর নিন্দা জানিয়েছি।
তিনি বলেন, টানা ১৭ বছর ৬ মাসে জাতি বন্দিত্বের নিগড়ে বন্দি ছিল। এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ ছিল মজলুম এবং রাস্তায় যে ভাইটি ভিক্ষা করতেন তিনিও মজলুম। কারণ ওই সব ভিক্ষুককে চাঁদা দিতে হতো গুণ্ডাদের কাছে। চাঁদা না দিলে তারা ভিক্ষা করতে পারতেন না।
জামায়াত আমির বলেন, এই সাড়ে ১৭টি বছর বাংলাদেশের জনগণের জীবনে ছিল দুঃসহ কালরাত। মূলত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শ’খানেক মানুষকে তারা হত্যা করেছিল। ফ্যাসিবাদের সূত্রপাত তখনই হয়েছিল। স্বৈরাচারের পদধ্বনি তখন থেকেই এসেছিল।
তিনি বলেন, তারপর আপনারা দেখেছেন ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যে তারা রাষ্ট্রের গর্বিত প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীর গায়ে আঘাত দিয়েছিল। পিলখানার সদর দপ্তরে ৫৪ জন চৌকস দেশপ্রেমিক সামরিক অফিসারকে হত্যা করেছে। পরিবারের মহিলা সদস্যদের নির্যাতন, লাঞ্ছিত করেছে। তারপর তাদের হত্যা করে ড্রেনে ভাসিয়ে দিয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি। অথচ সে সময়ে সেনাবাহিনীর কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেনাবাহিনীদের দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে আরেকটি গর্বের বাহিনী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিডিআরকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের ১৫ হাজার সদস্যের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে। কুচক্রীদের চক্রান্তে এসব মানুষদের। জীবন বলি দিতে হয়েছে।
শেখ হাসিনার আমলের নির্যাতনের ভয়াবহতার বর্ণনা তুলে ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এর পরই তারা আঘাতটা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর। দেশপ্রমিক এই পরীক্ষিত শক্তির ওপর। এ দেশের শত্রুরাও জানে-জামায়াতে ইসলামী ভাঙবে, কিন্তু মচকাবে না।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ আবদুর রব, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এড. জসিম উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৯ বছর পর আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন। কুমিল্লার ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন পর সম্মেলনকে ঘিরে পুরো জেলাজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ। পথে পথে লেগেছে পোস্টার-ব্যানার। মহাসড়কের ওপরেও উড়ছে ব্যানার। দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে কর্মসূচি করায় নেতারা যেমন আনন্দিত, অংশগ্রহণ করার প্রত্যাশায় উচ্ছ্বসিত ছিলেন কর্মীরাও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
জনগণের কাছে নতুন দলের জন্য নাম-প্রতীক চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছেন তারা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের মানুষের কাছে দলের নাম, প্রতীক চেয়েছে শিক্ষার্থীদের এই দুটি প্ল্যাটফর্ম।
পাশাপাশি দেশের মানুষের চিন্তা, প্রত্যাশা, পরামর্শ চেয়ে একটি গুগল ফরম ছেড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি গুগল ফরমটি যুক্ত করেছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তারা লিখেছেন, ‘ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে! আপনি কেমন দল চান আমরা তা জানতে চাই এবং সে আদলেই দলটা গড়তে চাই। কমেন্টে দেয়া ফর্মে আপনার মতামত জানান। ফরমটি পূরণ করতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগবে।’
এদিকে গুগলে দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুগল ফরমে তারা জানিয়েছে, ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ! আপনার মতামতই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বদলের চাবিকাঠি! একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা চলছে, যা জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বহন করবে এবং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সমতার ভিত্তিতে গড়ে উঠবে। তরুণদের শক্তি, জনগণের মতামত এবং পরিবর্তনের অঙ্গীকারই হবে এই পথচলার মূল ভিত্তি। এই ফরমটি শুধু তথ্য সংগ্রহের জন্য নয়—এটি একটি সুযোগ, একটি দায়িত্ব এবং একটি আন্দোলনের অংশ হওয়ার আহ্বান! আপনার চিন্তা, প্রত্যাশা ও পরামর্শ জানিয়ে যুক্ত হোন। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে, আপনার মতামত দিন!’
ফরমে তারা ১০টি অপশন রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে-
১) পূর্ণ নাম
২) লিঙ্গ
৩) পেশা
৪) জেলা
৫) ফোন নম্বর
৬) আপনার মতে কোন তিনটি কাজ করলে দেশ বদলে যাবে?
৭) নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে আপনার জীবনের কোন সমস্যার সমাধান চান?
৮) নতুন দলের কাছে আপনি কী প্রত্যাশা করেন?
৯) দলের নাম কী হতে পারে?
১০) দলের মার্কা কী হতে পারে?
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সচিবালয় থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সচিবালয় থেকে শুরু করে নিম্ন স্তরে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায়ে শাসন ও ক্ষমতার পরিবর্তন আনতে হবে। নতুবা কোন পরিবর্তনের সুফল পাওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান কয়েক দিনের ব্যবধানে সংবিধান পরিবর্তন করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করতে পেরেছে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন কেন জনগণ যেভাবে চায় সেভাবে সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না?- অবশ্যই জনগণের ম্যান্ডেট মেনে নিতে হবে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া’র সভাপতিত্বে গণশক্তি সভার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘শাসন ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন ও নির্বাচন’- শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কেউ নিজ ইচ্ছায় বসেনি, তাদেরকে সরকারের বসানো হয়েছে। অথচ কোন কোন দল এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে! কেন এসব হুমকি-ধামকি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে আসেনি, রাখবে না, রাখতে পারবেও না। এই সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের চেষ্টা করছে। তবে শুধু সংস্কার নয় প্রয়োজন গণহত্যার বিচার কাজও সম্পন্ন করা।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকার গণহত্যার বিচার রাজনৈতিক বিবেচনায় করবে, ফলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না এবং বিচার জনমনে প্রশ্নবৃদ্ধি হবে। এজন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার এবং গণহত্যার সাথে জড়িত ও মদদদাতাদের বিচার করা এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করলে বিপ্লব ব্যর্থ হবে। বিপ্লবের সুফল জনগণের দৌড়গৌড়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধভাবে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করা।
সভার সভাপতি সাদেক রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আমিনুল করিম। এতে প্রবন্ধকার ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর প্রতিক কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ, মেজর (অব.) রেজাউল হান্নান শাহীন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক কাজী ফারুক, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিঠি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ৩১ জানুয়ারি শেহবাজ শরীফ লিখেছেন, ‘আমি আপনার (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে জানতে পেরে উদ্বিগ্ন।’
সুস্থতা কামন করে তিনি লিখেছেন, আমি আপনার সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করি। সর্বশক্তিমানে আল্লাহ আপনাকে সব অসুস্থতা থেকে রক্ষা করুন এবং আপনাকে সুস্বাস্থ্য দান করুন।
চিঠিতে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক এবং বর্ণাঢ্য জীবনের উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরো লিখেছেন, ‘আপনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যে একটি বিশাল ব্যক্তিত্ব। জনসেবার প্রতি আপনার অবিচল প্রতিশ্রুতি অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। স্থানীয় বা জাতীয় যে নামেই হোক, নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে, মানুষের অর্থ সম্পদ লুটতরাজ করে বাইরে নিয়ে গেছে। জবাবদিহিতা ছিল না বলেই এ কাজগুলো করা সম্ভব হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কদমতলীতে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
নির্বাচন দেরিতে হলে পতিত স্বৈরাচার সরকার ও তার দোসররা ষড়যন্ত্রের আরও সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আমরা প্রায়শই বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে থাকি, আহা ওই দেশটি কী সুন্দর, ওই দেশের সিস্টেম কী ভালো। ওসব দেশে জবাবদিহি আছে। জবাবদিহি আছে বলেই সেসব দেশের সিস্টেমগুলো কাজ করে। জবাবদিহি কী? জবাবদিহি হচ্ছে নির্বাচন। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্বাচন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বুঝি, সমাজে বা রাষ্ট্রে যদি জবাবদিহি না থাকে, তাহলে কোনো কিছু টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। জবাবদিহি থাকতেই হবে। আমাদের সংসারে কিন্তু জবাবদিহি থাকে যে, এই কাজটি করা যাবে, এই কাজ করলে মানুষ সমালোচনা করবে, সন্ধ্যার ভেতরে বাসায় ফিরে আসতে হবে। অর্থাৎ পরিবারেও আমাদের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ যদি জনগণের ভোটে ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হতো, জনগণের ভোটে যদি মেয়র নির্বাচিত হতো, তাহলে তারা আপনাদের দেখভাল করতে বাধ্য থাকতেন। কারণ তিনি জানতেন আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এখন যদি আমি মানুষের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ না করি, আমি যদি মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করি, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে আমি হেরে যাব। কারণ মানুষ আমাকে ভোট দেবে না।
তিনি বলেন, মানুষের অধিকার আদায়ে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বহু কর্মী আত্মাহুতি দিয়েছে, শহীদ হয়েছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে। আমাদের দল ছাড়াও দেশের লাখ লাখ মানুষ অত্যাচারিত হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে।
দ্রুত সংস্কার কাজ করে শেষ করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কারের নামে নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে ফ্যাসিস্ট সরকার আবারও সুযোগ পাবে দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসার। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রতি অনুরোধ, সংস্কার সংস্কার করে এই আলাপ দীর্ঘায়িত করবেন না, নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলে সংকট আরও বাড়বে, স্বৈরাচার আরও ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে। সংস্কার বাস্তবায়ন করা হলে দ্রুত জনগণকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব। বিএনপি যে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে এবং সংস্কার কমিশন যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচন ছাড়া কোনো রাস্তা নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সৌদি যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে দুবাই হাসপাতালে বাবর
স্বপরিবারে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দুবাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সাবেক বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে রওনা হন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানটি দুবাই পৌঁছায়। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলে। বিমানের মধ্যেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। বিমানবন্দরে নামার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় দুবাই হাসপাতালে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে সৌদি চলে গেছেন। সঙ্গে রয়েছেন ছেলে লাবিব।
তিনি সুস্থ হলে সৌদি আরবে যাবেন। সেখানে ওমরাহ শেষে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাবরের, যোগ করেন জাকির হোসেন।
জানা গেছে, স্বপরিবারে ওমরায় যাওয়ার সময় লুৎফর জামান বাবরের স্ত্রী, দুই মেয়ে,পুত্র লাবিব ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন সঙ্গে ছিলেন।