অর্থনীতি
ওয়ালটন বাংলাদেশকে গর্বিত ও সম্মানিত করেছে: এনবিআর চেয়ারম্যান
![ওয়ালটন বাংলাদেশকে গর্বিত ও সম্মানিত করেছে: এনবিআর চেয়ারম্যান ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/12/aa-5.jpg)
রাজধানীতে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সল্যুশন বা এটিএস এক্সপো-২০২৪’। দ্বিতীয়বারের মত একক এই বৃহৎ শিল্পমেলা আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি’র হল-৩ এ মেলা শুরু হয়ে চলবে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘এটিএস এক্সপো-২০২৪’ এর উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান, উরি ব্যাংকের কান্ট্রি হেড জিন হুর, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নাজিথ মীওয়ানাগে প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ওয়ালটন বাংলাদেশকে গর্বিত ও সম্মানিত করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। বিশ্বে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছে ওয়ালটন।
তিনি আরো বলেন, এটিএস এক্সপোতে এসে শুধু ওয়ালটন সম্পর্কেই নয়; বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয়েও দারুণ ধারণা পেয়েছি। প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছে। ওয়ালটন শুধু নিজেরাই এগিয়ে যাচ্ছে না; দেশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে নিতে কাজ করছে।
বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন পণ্যের চাহিদা সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অফিসিয়াল কাজে বেশ কিছুদিন পূর্ব তিমুরে ছিলাম। সেখানকার বাজারে ওয়ালটন পণ্যের ব্যাপক চাহিদা দেখেছি। ওয়ালটন পণ্যের উচ্চ গুণগতমান দেশটির ক্রেতাদের আস্থা জয় করে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ওয়ালটনের নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে ফিনিশড প্রোডাক্টস, কাঁচামাল, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, প্যাকেজিংসহ সব ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস উৎপাদিত হচ্ছে। এসব পণ্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করতে সক্ষম ওয়ালটন। দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের নিকট ওয়ালটনের এই সক্ষমতা তুলে ধরে দেশের আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যেই এটিএস এক্সপো আয়োজনের উদ্যোগ।
তিনি জানান, স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় শিল্পজাত উপকরণ এখন দেশেই তৈরি করছে ওয়ালটন। এসব পণ্য এখন আর বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। এতে করে স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উপকরণ ক্রয়ের খরচ এবং সময়ও যেমন কমবে, তেমনি দেশের আমদানি নির্ভরতা হ্রাসের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে।
সরকারকে দেশীয় শিল্পে প্রদত্ত নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে ওয়ালটনের এমডি বলেন, অ্যাসেম্বলার ও ম্যানুফ্যাকচার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইনগত পার্থক্য করা প্রয়োজন।
ওয়ালটনের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম বলেন, এটিএস এক্সপোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে ভিন্নভাবে পরিচিত করিয়ে দিতে চাই আমরা। বিশ্বের সেরা সব পণ্য আমরা এখন দেশে তৈরি করতে সক্ষম। লাস ভেগাস, ক্যান্টন ফেয়ার এবং ফ্র্যাঙ্কফুটের মতো বিশ্ব মেলা মঞ্চে আমরা ওয়ালটন পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা সেখানে দেখিয়েছি, বাংলাদেশ কোথায় আছে। এখন বৈশ্বিক ক্রেতাদের এখানে এসে দেখে যেতে হবে। সারাবিশ্ব অচিরেই বাংলাদেশকে প্রযুক্তি পণ্যের হাব হিসেবে চিনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এটিএস এক্সপো’তে একই ছাদের নিচে ওয়ালটনের সর্বাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টস এ উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও টেস্টিং সল্যুশনস প্রদর্শন করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রদর্শিত হচ্ছে এনার্জি সেভিং ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, লিফটসহ বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম এবং কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য সামগ্রী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
১০ হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
![১০ হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/dal.jpg)
ভর্তুকি দামে বিক্রির লক্ষ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে সরকার। এতে কেজি প্রতি মসুর ডালের দাম বাজার দরের তুলনায় ১৭ টাকা ৯ পয়সা কম পড়বে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ প্রস্তাবটি অনুমোদন দিলে কারওয়ানবাজারের শবনাম ভেজিটেবল অয়েল থেকে এই মসুর ডাল পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে আগামী মার্চ মাসে গ্রহণ করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে টিসিবি’র বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় ২ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯২ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার চুক্তি করা হয়েছে। নতুন করে আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এ জন্য গত ৯ ডিসেম্বর উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২৩ ডিসেম্বর।
নির্ধারিত সময়ে শবনাম ভেজিটেবল অয়েল, নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড এবং ইজি জেনারেল ট্রেডিং দরপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে ইজি জেনারেল ট্রেডিং ৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডালের জন্য দরপত্র জাম দেয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৯৯ টাকা ৪৮ পয়সা করে প্রস্তাব দেয়।
অপর দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নাবিল নাবা ফুডস প্রডাক্টস ১০ হাজার মেট্রিক টনের জন্য দরপত্র জমা দেয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম প্রস্তাব করে ৯৮ টাকা ৭৫ পয়সা। অন্যদিকে শবনাম ভেজিটেবল অয়েল প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৯৭ টাকা ৯১ পয়সা করে প্রস্তাব দেয়।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে শবনাম ভেজিটেল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ৫০ কেজির বস্তায় ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সুপরিশ করেছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
টিসিবি’র বাজার তথ্য অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় বাজারে মাঝারি দানার মসুর ডালের প্রতি কেজির গড় খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা। এ হিসাবে স্থানীয় খুচরা বাজরের তুলনায় প্রতি কেজিতে ১৭ টাকা ৯ পয়সা কমে মসুর ডাল কিনতে পারবে সরকার।
সূত্র জানিয়েছে, এর আগে ৯ ডিসেম্বর স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৯৪ টাকা ৯৫ পয়সা কেজি দরে মসুর ডাল কেনা হয়। তবে আগের তুলনায় এখনকার প্রস্তাবিত দাম বেশি হলেও দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য এবং স্থানীয় বাজারের মূল্যের চেয়ে কম এবং সংগতিপূর্ণ বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কারণ বর্তমানে মসুর ডালের বাজার মূল্য ঊর্ধ্বমুখী।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, সর্বশেষ ১৭ ডিসেম্বর উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে প্রস্তাবিত দর ছিল প্রতি কেজি ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা। তবে মূল্যায়ন কমিটি সেই ডাল কেনার সুপরিশ করেনি। এখন যে ডাল কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে আগামী মার্চ মাসে গ্রহণ করা হবে। সে সময়ের মজুদ বিবেচনায় মসুর ডাল কেনা প্রয়োজন বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ দিকে মসুর ডাল কেনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রত্যয়ন করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিবের প্রত্যয় হলো, এই ক্রয়প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণে ক্রয় সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণ করা হয়েছে এবং বিবেচ্য প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-বিধানের পরিপন্থি নয়। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম-নীতির কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সুপরিশ করা দরদাতার প্রস্তাবের সঙ্গে উন্মুক্ত দরপত্রের ডকুমেন্টের সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী রমজান মাসে টিসিবি’র কার্ডধারীদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দরপত্রের মাধ্যমে যে দর পাওয়া গেছে তা বাজার দর এবং দাপ্তরিক দরের তুলনায় বেশ কম। তাছাড়া অন্তর্জাতিক উৎসের তুলনায় স্থানীয় বাজার থেকে কম দামে মসুর ডাল পাওয়া যাচ্ছে। এখন সরকরি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন দিলে ১০ লাখ টন মসুর ডাল কেনা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চারদিন ধরে বন্ধ সঞ্চয়পত্র বিক্রি
![চারদিন ধরে বন্ধ সঞ্চয়পত্র বিক্রি ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/National-Savings-Certificat.jpg)
সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের জন্য চার দিন ধরে সঞ্চয়পত্রের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে কোনো ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রিসহ বিভিন্ন স্কিমের মুনাফার অর্থ তোলা যাচ্ছে না। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
এদিকে অধিদপ্তর জানায়, সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন কাজ চলছে। যার কারণে সেবা সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার পর থেকে সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সার্ভার সচল করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের পরিচালক রোকনুজ্জামান জানান, বিষয়টি সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর দেখে। তারা বলেছিলেন আজ দুপুর ১২টা নাগাদ চালু হবে কিন্তু এখন পর্যন্ত সার্ভার সচল হয়নি।
তবে সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কাজটি করা হচ্ছে। তারা জানিয়েছে খুব শিগগিরই সার্ভার চালু হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপির দায় স্বতন্ত্র পরিচালকের নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
![আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপির দায় স্বতন্ত্র পরিচালকের নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/bangladesh-bank1-880x528-1.jpg)
এখন থেকে কোনো ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) ঋণখেলাপি হলেও স্বতন্ত্র পরিচালকরা খেলাপি হবেন না। আগে প্রতিষ্ঠান খেলাপি হয়ে গেলে স্বতন্ত্র পলিচালরাও ঋণখেলাপি হতেন।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) জারি করা এক সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩-এর ১৬ (৫) ধারা অনুযায়ী কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে ওই প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালকরা ঋণখেলাপি হবেন না।
এতদিন এনবিএফআইগুলো তাদের পর্ষদে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিত। তবে এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্যানেল থেকে নিয়োগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করে নীতিমালা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রবিবার স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার ইস্যু করে সব তফসিলি ব্যাংককে পরিপালনের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, স্বতন্ত্র পরিচালকদের মূল কাজ হচ্ছে আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা করা। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদে প্রতিষ্ঠান ও আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত হলেও স্বতন্ত্র পরিচালকদের পক্ষ থেকে নোট অভ ডিসেন্ট পাওয়া যেত না। তাই স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও অধিক ক্ষমতা দিয়ে এই সার্কুলার ইস্যু করা হয়েছে।
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন অনুযায়ী, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক রাখার সুযোগ রয়েছে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালকের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বতন্ত্র পরিচালকের প্যানেল প্রস্তুত করবে। সেখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানও যোগ্য ব্যক্তির নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পাঠাতে পারবে। নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদেরকে প্যানেলভুক্ত করবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখা গেলে বা স্বাধীন মতামত প্রদান বাধাগ্রস্ত হলে অথবা পর্ষদ সভার কার্যবিবরণীতে মতামতের প্রতিফলন না হলে স্বতন্ত্র পরিচালক অবিলম্বে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে লিখিতভাবে জানাবেন বলেও উল্লেখ করা হয় সার্কুলারে।
প্রয়োজনে, পরিচালনা পর্ষদের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে তার প্রদত্ত নোট অভ ডিসেন্টের কপি তিনি সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবেন। স্বতন্ত্র পরিচালক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোনোরূপ গ্যারান্টিপত্রে স্বাক্ষর করবেন না,’ বলা হয় এতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কৃষি ঋণ বিতরণ কমেছে ১৪.৩৯ শতাংশ
![কৃষি ঋণ বিতরণ কমেছে ১৪.৩৯ শতাংশ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/09/kishi-lon.jpg)
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখ দেয়। এরমধ্যে জুলাই মাসের প্রথমভাগে জামালপুর, আগস্টের শেষে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং সেপ্টেম্বরের শেষে বন্যায় প্লাবিত হয় দেশের উত্তরাঞ্চল। ফলে কৃষকরা পুরোপুরি ফসল ফলাতে পারেননি। এতে ব্যাহত হয় কৃষি উৎপাদন ও বিপণন। বন্যার কারণে কমে গেছে কৃষি ঋণ বিতরণও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমেছে কৃষি ঋণ বিতরণ।
ব্যাংকাররা বলছেন, সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালের শেষার্ধে ব্যাংকসহ পুরো ব্যবসায়ীক কার্যক্রমই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ব্যাংক খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধিও কমে গেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরপর তিনটি বন্যার ফলে কৃষি ঋণ বিতরণ কমে গেছে। বিপরীতে বেড়েছে বকেয়ার পরিমাণ। আগামীতে এই ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে জানান তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের কৃষি খাতে ৩৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যা অর্থবছরের প্রথম পাঁচ (জুলাই-নভেম্বর) মাসে ১৩ হাজার ৮১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। এটি মোট বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রার ৩৪ শতাংশ। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে (প্রথম পাঁচ মাস) বিতরণের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে কৃষি ঋণ বিতরণ কমেছে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, কৃষি ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এরমধ্যে আদায় হয়েছে ১৬ হাজার ৭০ কোটি, বকেয়া রয়েছে ২৯ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বকেয়ার (খেলাপি নয়) পরিমাণ ১১ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। মোট ঋণের মধ্যে ৫ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা বা বিতরণকৃত মোট ঋণের ১০ শতাংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে।
ব্যাংক খাতের সার্বিক খেলাপি ঋণের হারের চেয়ে কৃষি ঋণের খেলাপি ঋণের হার অনেক কম। বর্তমানে ব্যাংক খাতে মোট ঋণ ১৬ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা বা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের হার ৩০ শতাংশ ছাড়াতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়মের সন্ধান মিলেছে: গভর্নর
![নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়মের সন্ধান মিলেছে: গভর্নর ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/01/nagad-governor.jpg)
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেডের কার্যক্রমে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অনিয়মের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, নগদের ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত আমরা দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার মতো অনিয়ম পেয়েছি। মারাত্মক ঘটনা হলো- তারা অনুমোদন ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে প্রায় ৬০০ কোটি ই-মানি তৈরি করেছে। এটা অত্যন্ত ভয়ংকর।
গভর্নর বলেন, নগদ নিয়ে আমরা শুরু থেকে গভীরভাবে কাজ করছি। সেখানে সুশাসন নিশ্চিতে প্রশাসক দেওয়া হয়েছে। তাদের আগের যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি, জালিয়াতির অভিযোগ ছিল, সেগুলো তদন্তে কাজ চলছে। নগদের ব্যবস্থাপনায় আরও অনিয়ম চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত চলমান।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) কার্যালয়ে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম: ব্রিজিং দ্য গ্যাপস’ শীর্ষক সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে এমসিসিআই ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়ালগুলোর মধ্যে বাজারে বিকাশ রয়েছে। তারা বেশ ভালো অবস্থানে। আমরা চাই এ মার্কেটে আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান আসুক। নগদকে আমরা সেই পথে ফেরাতে চাই। সুশাসন ফিরলে আমরা নগদের জন্য নতুন বিনিয়োগ আহ্বান করবো। তার আগে এখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা নগদকে বাজারে আরেকটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ দিতে কাজ করছি।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, এমএফএস খাত আরও টেকসই করতে একদিকে প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। আবার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। ঝুঁকিমুক্ত, ঝামেলামুক্ত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে পাঠ্যক্রমে ধারণা দিতে হবে। যাতে হাই স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা এটার ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা শিখে আসে।
টেলিকম খাতে বর্তমান করের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটি বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ। কর আরও বৃদ্ধি পেলে এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমে যেতে পারে এবং সেবার মানও নেমে যেতে পারে।
সেমিনারে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে বাংলাদেশের অবস্থান, করণীয় ও সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এমসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, পিআরআই’র গবেষণা পরিচালক ড. বজলুল হক খন্দকার, বিকাশ লিমিটেডের সিইও কামাল কাদির প্রমুখ।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার।