অর্থনীতি
নোভারটিসের অধিকাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে রেডিয়েন্ট ফার্মা

নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেড নিজেদের মালিকানাধীন শেয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করবে। এ নিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দেওয়া হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নোভারটিসের হেড এশিয়া আ্যসপায়রিং মার্কেটস কেভিন জু রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)সিনা ইবনে জামালী। এসময় দুই প্রতিষ্ঠানেরই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাণ উপস্থিত ছিলেন।
নোভারটিসের হেড এশিয়া অ্যাসপায়রিং মার্কেটস কেভিন জু বলেন, গ্লোভাল স্ট্র্যাটেজির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা এনবিএল-এ আমাদের শেয়ার শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। আমাদের উদ্ভাবনী ওষুধগুলোর মাধ্যমে রোগীদের সেবা প্রদান নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ;পাশাপাশি,আমরা বাংলাদেশের মানুষের জিবনের মানোন্নয়ন ও তাদের সুদীর্ঘ জীবন অর্জনে ভূমিকা রাখার লক্ষ নিয়ে কাজ করছি । উপরন্তু,আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের কর্মীদের প্রতি ন্যায্য আচরণ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিব্ধ । এ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় রেডিয়েন্টকে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।
রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্য়ান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী রেডিয়েন্ট ও নোভারটিসের মধ্যে নতুন ব্যবসায়িক অংশদারিত্বের দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, এ অংশীদারিত্ব দেশের মানুষের জন্য নোভারটিসের উদ্ভাবনী পন্য সরবারহে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি নোভারটিসের পূর্ববর্তী কোম্পানি সিবা-গেইগি এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাস্থখাতে নোভারটিসের উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রশংসা করেন। এ শেয়ার হস্তান্তর উভয় প্রতিষ্ঠান এবং বৃহত্তর পরিসরে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
১৯৭৩ সাল থেকে নোভারটিস ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিচালনা করে আসছে নোভারটিস।
বাংলাদেশে এনবিএলের মাধ্যমে ব্যবসার ধারাবাহিকতা ও উদ্ভাবনী ওষুধ সরবারহ অঙ্গিকারবদ্ধ নোভারটিস। এছাড়া, এনবিএলেএর অধিনে থাকা সব স্থায়ী কমপক্ষে ৩বছর একই সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে রেডিয়েন্ট। এ হস্তান্তরের মাধ্যমে কর্মীদের জন্য আরও সুযোগ সৃস্টি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে; পাশাপাশি, এটি বাংলাদেশে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধনেও উল্লেখযো্গ্য ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম । রেডিয়েন্ট ফার্মার সাড়ে ৬ হাজারের ও বেশি কর্মী রয়েছে। এছাড়াও ,প্রতিষ্ঠানটির পোর্টফলিওতে ১শ’র বেশি নিবন্ধিত ব্রান্ড এবং ১২ টি আন্তর্জাতিক অংশীদার রয়েছে । এই মালিকানা স্থানান্তর দীর্ঘমেয়াতে উভয় প্রতিষ্ঠানের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

অর্থনীতি
ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা, নতুন করদাতাদের জন্য ১ হাজার

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকাভেদে বৃদ্ধি করে ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষ থেকে ন্যূনতম করের পরিমাণ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নতুন করদাতাদের জন্য ন্যূনতম করের পরিমাণ ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (০২ জুলাই) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এসব তথ্য উঠে আসে। জাতির সামনে তিনি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবার করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকাভেদে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষে মোট আয় করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকা নির্বিশেষে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে কর প্রদান সংস্কৃতির বিকাশ, কর-নেট সম্প্রসারণ এবং নতুন করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নতুন করদাতাদের ন্যূনতম করের পরিমাণ ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থনীতি
ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না

উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। সাধারণ করদাতাদের জন্য অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগের মতোই বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা অপরিবর্তিত রেখেছেন। তবে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ হারে একটি কর স্তর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া স্তরেও পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ২০২৬–২৭ অর্থবছর থেকে পরের এক অর্থবছর পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়ানোর ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন অর্থ উপদেষ্টা। ২০২৬–২৭ ও ২০২৭–২৮ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা হবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। কর স্তরের পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাব অনুসারে, ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ করহারের পরে উচ্চস্তরে আরেকটি করহার এসেছে। হিসাব করে দেখা গেছে, বছরে আয় সাড়ে ৩৮ লাখ টাকার বেশি হলে ওই করদাতাকে বাকি অর্থের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম সাড়ে তিন লাখ টাকার পরে প্রথম এক লাখ টাকার জন্য ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ ও পরবর্তী ২০ লাখ টাকা আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ এবং বাকি অর্থের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর বসবে।
এ ছাড়া নারী করদাতা ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা হলো চার লাখ টাকা। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা ও প্রতিবন্ধী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়সীমা হবে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা। গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা পাঁচ লাখ টাকা হবে। আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাতা–পিতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে।
এদিকে গেজেটভুক্ত জুলাই গণ–অভ্যুত্থান ২০২৪–এর আহত জুলাই যোদ্ধা করদাতাদের জন্য ২০২৬–২৭ অর্থবছর থেকে করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নতুন করদাতাদের জন্য ন্যূনতম কর এক হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। করমুক্ত আয়সীমা পার হলেই এক হাজার টাকা কর দিলে হবে। বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি এলাকায় অবস্থিত করদাতার জন্য ন্যূনতম কর পাঁচ হাজার টাকা, অন্য সিটির করদাতার জন্য চার হাজার টাকা এবং সিটি করপোরেশন ব্যতীত অন্য এলাকার করদাতার জন্য তিন হাজার টাকা দিতে হবে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১ কোটি ১১ লাখের মতো কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএনধারী) আছেন। চলতি অর্থবছরে প্রায় ৪০ লাখ করদাতা রিটার্ন দিয়েছেন।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে আছে। এর মানে হলো, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ গত এক বছরে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিন্তু মজুরির হার এক বছর ধরে ৮ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে আছে। তাঁদের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।
অর্থনীতি
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাজেটে ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১২৫ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে বাজেট বক্তৃতায় এসব কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এবারের বাজেটের মূল নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ অধিকতর উন্নত করে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে এ তহবিল বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতীয় মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন একাডেমির মাধ্যমে মহিলাদের জন্য দক্ষতাভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত ২০ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
কাফি
অর্থনীতি
বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা বা জিডিপির ৯ শতাংশ রাজস্ব আয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস হতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকারের ব্যয়ের খাতের মধ্যে এডিপি বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাবদ ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সুদ ব্যয় ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদ্যুৎ ও সার বাবদ ভর্তুকি দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা।
অর্থনীতি
বাজেটে ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য বড় দুঃসংবাদ

ঢাকাসহ সারা দেশে বিপদজনক বাহনের নাম ব্যাটারিচালিত রিকশা। অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যাটারিচালিত রিকশার দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাটারিচালিত রিকশায় ১২০০ ওয়াটের ডিসি মোটরের কাস্টমস শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
আজ সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবিত বাজেটে এ ঘোষণা দেন। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ব্যাটারিচালিত রিকশা তৈরিতে খরচ বাড়বে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশার ১২০০ ওয়াটের ডিসি মোটরের কাস্টমস শুল্ক ১ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।’
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২%। এই ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।
এটি দেশের ৫৪তম বাজেট এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট।
সংসদ না থাকায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
এর আগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের বাজেট টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন।
কাফি