কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ অ্যাপ থেকে খোলা হয়েছে ৩২ লাখের বেশি ডিপিএস

ঘরে বসেই কাগজপত্র ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই বিকাশ অ্যাপ থেকেই আইডিএলসি ফাইন্যান্স, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক-এ ৩২ লাখের বেশি ডিপিএস খুলেছেন বিকাশ গ্রাহকরা। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং দেশের শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেয়া যৌথ সেবায় আস্থা রেখেই গত তিন বছরে এই সাপ্তাহিক ও মাসিক ডিপিএসগুলো খোলা হয়েছে বিকাশ অ্যাপে। এরই মধ্যে যে সকল গ্রাহকের ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে, তাদের ৯৬ শতাংশই আবার বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস খোলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। গ্রাহকদের এই সঞ্চয়ের মানসিকতা যেমন ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে সুদৃঢ় করছে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশে শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্সের মাসিক ডিপিএস দিয়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রা শুরু হয় বিকাশের ডিজিটাল সেভিংস সেবার। এরপর পর্যায়ক্রমে যুক্ত হয় বাকি চারটি ব্যাংকের ডিপিএস। আর বিকাশ অ্যাপে সাপ্তাহিক ডিপিএস সেবা চালু হয় ২০২৪-এর প্রথমার্ধে। সাধারণ ডিপিএস’র পাশাপাশি যে গ্রাহকরা ইসলামি শরিয়াহ্ মোতাবেক সঞ্চয়ে আগ্রহী, তাদের জন্য আনা হয় সিটি ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক-এর ইসলামিক ডিপিএস সেবা।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে বিকাশের যৌথ উদ্যোগে সঞ্চয়কে সার্বজনীন করার এই প্রয়াসকে উদ্যাপন ও সামনে এগিয়ে নিতে আজ রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে অংশীজনদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিকাশ।
পারস্পরিক সহযোগিতা ও সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আরও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে কীভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এই বিশেষ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন আইডিএলসি ফাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামাল উদ্দিন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শেখ মোহাম্মদ মারুফ, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহসান জামান চৌধুরী এবং বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, এখন কোনো ঝামেলা ছাড়াই ডিপিএসের টাকা গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে চলে আসছে, এই সফলতার জন্য বিকাশকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনগণের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই দেশের স্বনামধন্য ব্যাংকগুলোকেও, যারা এই কাজে বিকাশ-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট, পেমেন্টেকে আরও কার্যকরী করে তুলতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। বিকাশও এই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখছে, সেজন্যও বিকাশকে ধন্যবাদ।
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামাল উদ্দিন বলেন, বিকাশের সাথে যুক্ত হওয়ার পর এত দ্রুত আমরা ১২ লক্ষ গ্রাহক পেয়েছি যা এর আগে কখনো হয়নি। সঞ্চয়ের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যে এতো আগ্রহ তা বিকাশের সাথে আসার আগে আমরা বুঝিনি। আমরা দেখেছি, গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বন্যার্তরা তাদের সেভিংসের টাকা তুলে প্রয়োজন পূরণ করেছেন। তারা যখন ভালো অবস্থানে এসেছেন, নতুন করে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা শুরু করেছেন আবার।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, কোলাবোরেশন, কো-ক্রিয়েশন ছাড়া ভবিষ্যৎ অচল। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকের পক্ষে একা পৌঁছানো ব্যয়সাপেক্ষ। এমএফএস এই ব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছে। আরও বেশি দক্ষতার সাথে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভূমিকা রাখছে এই ধরনের পার্টনারশিপগুলো।
ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, দেশে ফাইন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম উন্নত করতে সবারই কিছু দায়িত্ব আছে। আর এই সেবাগুলো সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়ম-নীতি, পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক, সাইবার সিকিউরিটির মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফ থেকে আসা দরকার। ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে জনগণকে ভরসার জায়গায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উৎসাহ ও প্রণোদনাও প্রয়োজন।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, বিকাশ বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর জন্য ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তন করে দিয়েছে। ব্যাংক-এমএফএস কোলাবোরেশনের মাধ্যমে দেশের সব প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ব্যাংকিং সেবা। সিটি ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং সেবার মতো বিকাশ অ্যাপে সিটি ব্যাংকের যে ইসলামিক সেভিংস আছে তা শরিয়াহ্ উপদেষ্টা বোর্ডের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে শরিয়াহ্-ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে গ্রাহকদের জন্য আনা হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, অন্য অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করলে দেখা যায় সঞ্চয়ের হার এখনো বেশ কম, যার অর্থ হচ্ছে এই খাতে আরও কাজ করার সুযোগ আছে। নানা প্রয়োজনে ব্যক্তি যখন সঞ্চয় করেন তখন দেশের অর্থনীতির জন্যও তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেভিংস যতো বেশি হবে, সেটা চ্যানেল করে ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ব্যবসায় ব্যবহার করতে পারবে। বিনিয়োগ যে শুধু বিদেশ থেকে আসবে তা নয়, আমাদের দেশীয় বিনিয়োগ আমাদের নিজেদের সঞ্চয় থেকেই হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, সমৃদ্ধি শুরু হয় সঞ্চয় থেকে। যেদিন প্রথম এক টাকা সঞ্চয় হয়, সেদিনই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শুরু হয়। বিকাশ অ্যাপে সেভিংস-এর সৌন্দর্যই এখানে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি সহায়তা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সাথে অংশীজন হিসেবে কাজ করছে যে ব্যাংকগুলো তাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ছাড়া বিকাশের পক্ষে এখানে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিকাশ অ্যাপে চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মাসিক ও সাপ্তাহিক ডিপিএস খুলতে পারছেন গ্রাহকরা। প্রতিষ্ঠান ও ডিপিএস এর ধরনভেদে (সাপ্তাহিক বা মাসিক) ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমাতে পারছেন গ্রাহকরা। নতুন ডিপিএস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’আইকনে ট্যাপ করে কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করে যেকোনো গ্রাহক যেকোনো সময় ডিপিএস খুলতে পারছেন। আর মেয়াদ পূর্তিতে ক্যাশ আউটের খরচ ছাড়াই মূল অর্থ মুনাফাসহ
তুলতে পারছেন গ্রাহক।

কর্পোরেট সংবাদ
এআইইউবিতে প্রাইম ব্যাংকের সেমিনার

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও এআইইউবি বিজনেস ক্লাবের যৌথ সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে `ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন: এনগেজিং অ্যান্ড এম্পাওয়ারিং ইয়ুথ ইন ব্যাংকিং’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাইম ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ ‘প্রাইমএকাডেমিয়া’ এর অংশ- যা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের জন্য কনভেনশনাল ও ইসলামিক উভয় ব্যাংকিং সুবিধাসহ একটি সমন্বিত ব্যাংকিং সেবার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণে এক প্রাণবন্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। উদ্যোগটির লক্ষ্য ছিল শুধু আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও নেতৃত্বগুণ অর্জনে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ করা। বিশেষ করে আর্থিক সাক্ষরতা, দায়িত্বশীল অর্থ ব্যবস্থাপনা এবং ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে এআইইউবির সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান এবং সহযোগী অধ্যাপক ও অফিস অব প্লেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যালামনাইয়ের (ওপিএ) পরিচালক আর. তারেক মওদুদ। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী, এসইভিপি ও হেড অব লায়াবিলিটি শায়লা আবেদিন এবং এসভিপি ও হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড স্কুল ব্যাংকিং এম এম মাহবুব হাসান।
সেমিনারের প্রধান আকর্ষণ ছিল প্রাইমএকাডেমিয়া’র অংশ হিসেবে `প্রাইম ইয়ুথ অ্যাকাউন্ট’- যা বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে আর্থিক দায়িত্বশীল করে গড়ে তুলতে পরিকল্পিত এই অ্যাকাউন্ট সহজভাবে ব্যাংকিং যাত্রা শুরু করার সুযোগ করে দেয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা গ্রহণ করে আধুনিক ব্যাংকিং সেবার অভিজ্ঞতা নেন।
প্রাইম ব্যাংকের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক সাক্ষরতা এবং তরুণবান্ধব উদ্ভাবন বিষয়ে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা উল্লেখ করেন, আগামী প্রজন্মকে ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা প্রাইম ব্যাংকের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এছাড়া, সেমিনারে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব বিশেষভাবে আলোচিত হয়। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক আরও উদ্যোগ, গবেষণা সহযোগিতা ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণে প্রাইম ব্যাংক ও এআইইউবি উভয়ই দৃঢ় আগ্রহ প্রকাশ করে।
প্রাইমএকাডেমিয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই সেমিনার প্রমাণ করে যে, প্রাইম ব্যাংক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ আর্থিক সেবা কাঠামো গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- যার আওতায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ব্যাংকিং, ডিজিটাল ফি সংগ্রহ, পেরোল সেবা, স্কুল ব্যাংকিং এবং শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক কাস্টমাইজড অ্যাকাউন্ট- সবই একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্মের অধীনে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
নীলফামারীতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ব্র্যাক ব্যাংকের ইনস্ট্যান্ট লোন বিতরণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট (এফআইডি) পরিচালিত ১০, ৫০ এবং ১০০ টাকা হিসাবধারীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় নীলফামারীর প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ইনস্ট্যন্ট লোন বিতরণ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
সম্প্রতি নীলফামারীতে আয়োজিত এই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল প্রান্তিক কৃষক, নিম্ন আয়ের মানুষ, স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টধারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ইনস্ট্যান্ট লোন সুবিধা প্রদান করা।
গ্রামীণ বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বৃহত্তর লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্বল্প ইন্টারেস্ট রেটে প্রান্তিক পর্যায়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সহজ ঋণসুবিধা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।
আয়োজনে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) লিড ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, যেখানে অংশ নিয়েছিল এই অঞ্চলে পরিচালিত আরও ২০টি ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং তৃণমূল পর্যায়ের সুবিধাভোগীদের একই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করতে এই উদ্যোগটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর আবেদা রহিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের জয়েন্ট ডিরেক্টর জুমা রানী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য ব্যাংকের প্রতিনিধি, গ্রাহক, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মাত্র ৭ শতাংশ ইন্টারেস্ট রেটে ৩০ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ‘জীবিকা প্লাস’ ইনস্ট্যান্ট লোন বিতরণ করে। জামানতবিহীন এই ডিজিটাল লোন মাত্র কয়েক মিনিটেই প্রসেস করা হয়, যা ব্যাংকটির গ্রাহকবান্ধব সেবার প্রতিফলন। আয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিবর্গরা ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
এই উদ্যোগ প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষমতায়ন, গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ এবং উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
আইবিটিআরএতে বাফেডার পাঁচ দিনব্যাপী কর্মশালা

বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেডা) উদ্যোগে পাঁচ দিন ব্যাপী ‘সার্টিফিকেশন কোর্স অন ট্রেজারি ডিলিংস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) ইসলামী ব্যাংক ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমিতে (আইবিটিআরএ) এ সভার উদ্বোধন করা হয়।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও বাফেডা’র ট্রেজারার মো. ওমর ফারুক খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মশালা উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফেডা’র এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী মো. আবুল হাসেম ও আইবিটিআর’র ডাইরেক্টর জেনারেল মো. মাহবুব আলম।
এই কর্মশালায় দেশের ৩০টি ব্যাংকের বিভিন্ন পদমর্যদার ৫০ জন নির্বাহী ও কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবি ইনকাম প্লাস ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাফল্যের নতুন অধ্যায়

ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড পরিচালিত ইউসিবি ইনকাম প্লাস ফান্ড বিনিয়োগকারীদের জন্য আরেকটি সাফল্যের গল্প তৈরি করেছে। গত এক বছরে ফান্ডটি বিনিয়োগে দিয়েছে চমকপ্রদ ১৯ শতাংশ রিটার্ন। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে যাত্রা শুরু করার পর থেকে ফান্ডটির মোট রিটার্ন দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশ, যা দেশের ফিক্সড ইনকাম বিনিয়োগ খাতে বিরল সাফল্য।
ফান্ডটি সম্পূর্ণভাবে সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করা, ফলে এখানে ডিফল্ট ঝুঁকি নেই। পাশাপাশি রয়েছে সহজে অর্থ উত্তোলনের সুবিধা ও মূলধন সুরক্ষার নিশ্চয়তা। ঝুঁকি এড়িয়ে স্থিতিশীল রিটার্ন পেতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ বিনিয়োগের ঠিকানা।
বর্তমানে ফান্ডটির আকার দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি টাকারও বেশি, যা বাংলাদেশের ফিক্সড ইনকাম ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বড় ফান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে ইউসিবি ইনকাম প্লাস ফান্ডকে।
ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান বলেন, আমরা আমাদের বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের সম্মানিত বোর্ড, সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট ও সহকর্মীদের অব্যাহত সমর্থন ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব হতো না। এই মাইলফলক আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ বিনিয়োগ কৌশল এবং মূলধন সুরক্ষার প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। সামনের দিনগুলোতে আমরা আরও উন্নত মানদণ্ড স্থাপন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কর্পোরেট সংবাদ
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঢাকায় ব্যাংকার্স মিট

সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ফিনটেক প্রতিষ্ঠান ফিলপস লিমিটেড ঢাকায় আয়োজন করলো ব্যাংকার্স মিট ২০২৫। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ এবং জ্যেষ্ঠ নির্বাহীদের একত্রিত করে এই অনুষ্ঠানে ভবিষ্যৎমুখী ডিজিটাল ব্যাংকিং নিয়ে আলোচনা, সহযোগিতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের সহযোগিতায় ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্ভাবন ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিকগুলো তুলে ধরা হয়।
ফিলপস প্রদর্শন করে তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি সমাধান যার মধ্যে ছিল ডিজিটাল ঋণ প্রদানের প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল কাস্টমার অনবোর্ডিং সলিউশন যা গ্রাহককেন্দ্রিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নির্দেশ করে।
ফিলপসের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার তুষার হাসান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি করা এবং তাদের কৌশলগত লক্ষ্যের সাথে আমাদের সমাধানকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।”
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল বিশ্ববিখ্যাত ফিউচারিস্ট, আন্তর্জাতিক বেস্টসেলিং লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ব্রেট কিং-এর কী-নোট বক্তব্য। তিনি দেখান কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তি বৈশ্বিক আর্থিক খাতকে বদলে দিচ্ছে এবং ঐতিহ্যবাহী ব্যাংক ও ডিজিটাল-প্রথম ফিনটেকের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে তুলছে।
কিং বলেন, বাংলাদেশ এখনই লিগ্যাসি সিস্টেম ছেড়ে “ভবিষ্যতের ব্যাংক” মডেলে যেতে পারে। তিনি টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু বিষয়ক ভূমিকার গুরুত্বও তুলে ধরেন এবং ব্যাংক ৫.০ ধারণা উপস্থাপন করেন, যেখানে ডিজিটাল অবকাঠামো, রিয়েল-টাইম গ্রাহক সংযোগ এবং গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবন প্রতিযোগিতার মূল চালিকাশক্তি হবে।
অনুষ্ঠানে ফিলপস সিটি ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের সাথে নতুন অংশীদারিত্বের ঘোষণা দেয়। সিটি ব্যাংকের জন্য এই সহযোগিতায় তাদের ফ্ল্যাগশিপ সিটি টাচ ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম সম্পূর্ণভাবে পুনর্গঠন করা হবে, যাতে আরও স্মার্ট ও নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত হয়। অন্যদিকে এবি ব্যাংকের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে চালু হবে ডিজিটাল ন্যানো লোন সুবিধা।
কী-নোট শেষে, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান মাসরুর আরেফিন বলেন, “আমরা ফিলপসের প্রতি কৃতজ্ঞ, তারা এমন এক সময়ে ব্রেট কিং-কে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে যখন আমাদের খাত বড় পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে। ব্যাংকার্স মিট ২০২৫-এর আলোচনা প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জরুরিতা আরও স্পষ্ট করেছে।”
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে ফিলপসের সিইও বিশ্বাস ধাকাল বলেন,“ফিলপস উদীয়মান বাজারে বছরের পর বছর সফলতার মাধ্যমে অর্জিত প্রযুক্তি ও পরিচালন দক্ষতার সমন্বয়ে বাংলাদেশে এসেছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদে এখানে থাকতে চাই এবং ব্যাংক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও শিল্পের অংশীদারদের সাথে একযোগে কাজ করে ডিজিটাল রূপান্তর ও গ্রাহক-প্রথম উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করবো।”
ফিলপস হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বৈশ্বিক ফিনটেক এনাবলার, যারা ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সেবা প্রদানকারী ও সিস্টেম অপারেটরদের সাথে অংশীদারিত্বে কাস্টমাইজড ডিজিটাল সমাধান তৈরি ও বাস্তবায়ন করে। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ডিজিটাল আর্থিক রূপান্তরে প্রমাণিত প্রযুক্তি সক্ষমতা নিয়ে বর্তমানে তারা জিসিসি ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সম্প্রসারণ করছে। সমাধান স্থপতি ও রূপান্তর পরামর্শক হিসেবে ফিলপস কৌশল নির্ধারণ থেকে শুরু করে কার্যকর বাস্তবায়ন পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকে, যাতে জনপরিসরে প্রভাব নিশ্চিত হয়।
কাফি