কর্পোরেট সংবাদ
২৫০ সিসির নতুন দুই মডেলের বাইক আনলো সুজুকি

বাংলাদেশের বাজারে ২৫০ সিসির দুটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছে সুজুকি বাংলাদেশ। মোটরসাইকেল দুটির মডেল হচ্ছে- সুজুকি জিক্সার ২৫০ এবং জিক্সার এসএফ ২৫০। মটোজিপি প্রযুক্তি দ্বারা অনুপ্রাণিত পারফর্ম্যান্স এবং ডিজাইনের নতুন মাইলফলক হিসেবে, আনুষ্ঠানিকভাবে সুজুকি জিক্সার ২৫০ সিরিজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর ঢাকার তেজগাঁওয়ে আলোকি প্রাঙ্গণে উন্মোচন অনুষ্ঠানটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুজুকির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুজুকি বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, যার মধ্যে রয়েছেন র্যানকনের জিএমডি, রোমো রউফ চৌধুরী; র্যানকন হোল্ডিংস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ফারহানা করিম; ডিভিশনাল ডিরেক্টর, শোয়েব আহমেদ; চিফ অপারেটিং অফিসার, একেএম তৌহিদুর রহমান; এবং হেড অব মার্কেটিং আমীন মাহমুদ।
বাংলাদেশের মোটরবাইক বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও পারফর্ম্যান্স নিয়ে এসেছে সুজুকি জিক্সার ২৫০ এবং জিক্সার এসএফ ২৫০। ২৫০সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিনে উন্নত ফুয়েল ইনজেকশন (এফআই) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, যা সর্বোচ্চ পাওয়ার ডেলিভারি এবং জ্বালানি সাশ্রয় নিশ্চিত করে। উচ্চতর তাপ ব্যবস্থাপনার জন্য সুজুকি অয়েল কুলিং সিস্টেম (এসওসিএস) ব্যবহার করে উচ্চ চাপের মধ্যেও সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে।
জিক্সার ২৫০ এবং জিক্সার এসএফ ২৫০ দ্রুতগতি এবং স্থিতিশীলতার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখে। মটোজিপি প্রযুক্তির আদলে তৈরি ইঞ্জিন দ্বারা এই বাইকগুলো পারফর্ম্যান্স এবং এফিশিয়েন্সির পাশাপাশি রাইডিংয়ের ক্ষেত্রেও দিবে রেসিং টেকনোলজির অনন্য অভিজ্ঞতা। উভয় মডেলেই ৬-স্পিড গিয়ারবক্স রয়েছে, যা সঠিক শক্তি সরবরাহ এবং নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে। ডুয়েল-চ্যানেল এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম রাইডারদের উচ্চ গতিতে বা হঠাৎ ব্রেকিংয়ের সময় নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে, যা বিভিন্ন রাস্তায় আত্মবিশ্বাসী রাইডিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
দুটি আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যাবে জিক্সার ২৫০: ম্যাট ব্ল্যাক এবং ম্যাট ব্লু। অন্যদিকে, জিক্সার এসএফ ২৫০ চারটি অনন্য রঙে পাওয়া যাবে: ম্যাট ব্ল্যাক এবং ম্যাট ব্লু; এর পাশাপাশি এসএফ ২৫০ এর নিউ এডিশন মটো জিপি এবং নাইট্রো নিয়ন এডিশনের অ্যাগ্রেসিভ ডিজাইন এবং উন্নত এরোডাইনামিক্স বাইকের সেরা পারফর্ম্যান্সে সহায়ক।
এই বাইকগুলো ভিন্নধর্মী রাইডিং স্টাইলকে মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। জিক্সার ২৫০ এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫০ টাকা এবং জিক্সার এসএফ ২৫০ এর দাম ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫০ টাকা। উভয় মডেলেই এলইডি হেডলাইট এবং টেইললাইট, সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং রাইডার ও প্যাসেঞ্জার উভয়ের জন্য আরামদায়ক স্প্লিট সিট রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুজুকি বাংলাদেশের ডিভিশনাল ডিরেক্টর শোয়েব আহমেদ মটোজিপি ঐতিহ্যের উপর জোর দিয়ে বলেন, সুজুকি জিক্সার ২৫০ সিরিজ আমাদের মটোজিপি-অনুপ্রাণিত ডিএনএ এবং উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সমন্বয়ে তৈরি। এই সিরিজটি ২৫০ সিসি সেগমেন্টে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে, যাতে রেসিং পারফর্ম্যান্স আর কমফোর্ট দুটোই বিদ্যমান।
সুজুকি বাংলাদেশের সিওও এ কে এম তৌহিদুর রহমান বলেন, এই বাইকগুলো রোমাঞ্চকর কিন্তু নিয়ন্ত্রিত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে নিখুঁতভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে। উন্নত এফআই প্রযুক্তি এবং এরোডাইনামিক ডিজাইন নিশ্চিত করেছে জিক্সার ২৫০ সিরিজ, যা বাংলাদেশের রাইডারদের জন্য অনন্য গতি, শক্তি এবং স্টাইলের নিশ্চয়তা দেয়।
সুজুকি বাংলাদেশ রাইডারদের জন্য অত্যন্ত উন্নত আফটার-সেলস সেবা নিশ্চিত করেছে। সার্ভিস সেন্টারগুলোতে এফআই ক্লিনার এবং প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান রয়েছে, যারা বাইকের সর্বোচ্চ পারফর্ম্যান্স বজায় রাখতে সাহায্য করবে। রাইডাররা নিরবচ্ছিন্ন সার্ভিস এবং আসল যন্ত্রাংশ পাওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চিন্ত থাকবেন।

কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিমিয়াম ব্যাংকিং গ্রাহকরা পাবেন আলফা ক্যাটারিংয়ের বিশেষ সুবিধা

প্রিমিয়াম ব্যাংকিং গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশের স্বনামধন্য ক্যাটারিং সার্ভিস প্রোভাইডার আলফা ক্যাটারিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠান এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
এই চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিমিয়াম ব্যাংকিং গ্রাহকরা আলফা ক্যাটারিংয়ে মোট বিলের ওপর ১০% ছাড় উপভোগ করবেন। এই উদ্যোগ গ্রাহকদের বিশেষ সেবা ও সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির হেড অব তারা, আগামী অ্যান্ড প্রিমিয়াম ব্যাংকিং সেগমেন্টস মেহরুবা রেজা, হেড অব প্রিমিয়াম ব্যাংকিং প্রপোজিশন আরমীন আহমেদ এবং প্রিমিয়াম ব্যাংকিংয়ের সিনিয়র ম্যানেজার এহসান সামাদ।
আলফা ক্যাটারিংয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়জাল হাফিজ উল্লাশ এবং বিক্রয় ও পরিচালনা ব্যবস্থাপক মাহমুদুল ইসলাম রিয়ন।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকের ৪৮তম এজিএম

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাবে হাইব্রিড পদ্ধতিতে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. এবতাদুল ইসলাম; অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক কাজী মো. মাহবুব কাশেম, এফসিএ; নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা; ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; কোম্পানি সচিব মোকাম্মেল হক এবং ব্যাংকের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণ। এছাড়াও, পরিচালক মুহাম্মদ মনজুরুল হক সভায় ভার্চুয়ালী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন বলেন, দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক হিসেবে আইএফআইসি তার নেতৃত্বের অবস্থান পুনরুদ্ধারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কৌশলগত সংস্কারের মাধ্যমে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন বলেন, শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং অনিয়ম বা দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এই প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ ব্যাংকের সামগ্রিক পারফরম্যান্স ও প্রধান আর্থিক সূচকসমূহ আগামী বছরে উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদর্শন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা জানান, ব্যাংক ইতোমধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অংশীজনদের আস্থা পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ব্যাংকের সব উদ্যোগই শেয়ারহোল্ডার, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আইএফআইসি ব্যাংক অচিরেই একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীলতা পর্যায়ে পৌঁছাবে।
সভায় নির্ধারিত এজেন্ডা গুলোর মধ্যে ২০২৪ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুমোদন এবং নিরীক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য প্রস্তাবসমূহ গৃহীত হয়। সভা এই অংশটি সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের কোম্পানি সেক্রেটারি মোকাম্মেল হক।
কর্পোরেট সংবাদ
সব এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটকে বিমা সুরক্ষার আওতায় আনলো ব্র্যাক ব্যাংক

ব্যাংকের সকল এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটকে বিমা সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে সম্প্রতি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই চুক্তির আওতায় এখন থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের সকল এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ‘ক্যাশ-ইন-সেফ’ এবং ‘ক্যাশ-ইন-ট্রানজিট’ বিমার মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে বিস্তৃত বিমা সুরক্ষাব্যবস্থা চালু করলো ব্র্যাক ব্যাংক।
এই পূর্ণাঙ্গ বিমা সুরক্ষা দেশের আর্থিক নিরাপত্তাকে আরও সুদৃঢ় করার মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস বাড়াবে। এই উদ্যোগ দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। গ্রাহকদের আমানতের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি ব্র্যাক ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ব্যাংকটির ওপর গ্রাহক আস্থা আরও বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে।
গত ২৮ আগস্ট ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈয়দ সেহাব উল্লাহ আল-মানজুর। এ সময় অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব অল্টারনেট ব্যাংকিং চ্যানেলস নাজমুর রহিম, হেড অব এজেন্ট ব্যাংকিং মো. নাজমুল হাসান, হেড অব অ্যাকাউন্ট সার্ভিসেস মো. আবু তাহের মৃধা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্টের সকল রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর। প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এএমডি অ্যান্ড চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার অমর কৃষ্ণ শীল (এফসিএ) এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শরীফ মুস্তাবা।
অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের পথিকৃৎ ব্র্যাক্ ব্যাংক বর্তমানে সারাদেশে ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট পরিচালনা করছে। এভাবে দেশের আর্থিক সেবার বাইরে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ব্যাংকটি।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির সম্প্রসারণ দুই জেলায়

শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যস্ততা তৈরি ও সৃজনশীল চিন্তাভাবনায় আগ্রহী করতে বিকাশ ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে বইপড়া কর্মসূচির সম্প্রসারণ করা হয়েছে এবার লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে। এই কর্মসূচির আওতায় এ বছর দেশজুড়ে ৩৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার বই বিতরণ করা হবে।
এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর জেলার কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষ্মীপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পৌর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, জিয়াউল হক হাই স্কুল এন্ড কলেজ ও রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এবং ফেনী জেলার ফেনী পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যানিকেতন, ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুল, ফেনী গিরিশ-অক্ষয় একাডেমী, হলি ক্রিসেন্ট স্কুল, এবং ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বই দেয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর টাউনহল ও ফেনীর জেলা শিল্পকলা একডেমিতে পৃথক দু’টি অনুষ্ঠানে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি নেয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার এবং ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম স্ব স্ব জেলায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকাশ এর ইভিপি ও রেগুলেটরি এন্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এর প্রধান হুমায়ুন কবির এবং অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক ট্রাস্টি খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান।
বইপড়া কার্যক্রম কে আরও জনপ্রিয় করতে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সমসাময়িক বিষয়ের উপর কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে, ৮০জন কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
পাঠ্য-পুস্তকের বাইরেও বই পড়ার অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পরিপূর্ণ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ পায়, সে উদ্দেশ্যেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশজুড়ে বই পড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই উদ্দেশ্যকে আরও প্রসারিত ও কার্যকরী করতে ২০১৪ সাল থেকে বই পড়া কর্মসূচির সাথে যুক্ত আছে বিকাশ। এই কর্মসূচির আওতায় দেশজুড়ে এপর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ বই বিতরণ করেছে যার মাধ্যমে প্রায় ৩০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৩ লাখের বেশি পাঠক উপকৃত হয়েছে।
কর্পোরেট সংবাদ
স্টার্ট-আপ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংকের চুক্তি

নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং দেশের উদীয়মান নতুন উদ্ভাবনী ব্যবসায় উদ্যোগগুলোকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার স্টার্ট-আপ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ তহবিল বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজীম এ. চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায়, প্রাইম ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার মাধ্যমে স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্প্রসারণে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা এবং পরামর্শমূলক সেবা প্রদান করবে।
প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজীম এ. চৌধুরী বলেন, নতুন নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোক্তা তৈরি এবং দেশের সিএমএসএমই খাতকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এই সহযোগিতা আমাদের যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন। আর্থিক ও ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তার মাধ্যমে আমরা নতুন উদ্যোগগুলোকে একটি সফল ব্যবসায় রূপান্তর করতে চাই, যা দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, সিএমএসএমই খাতকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন এবং টেকসই ও উদ্ভাবন-নির্ভর অর্থনীতি গড়তে এই উদ্যোগ প্রাইম ব্যাংকের জন্য এক অনন্য মাইলফলক।