জাতীয়
বিশ্ব এইডস দিবস আজ, বেশি আক্রান্ত বিবাহিতরা
আজ ১ ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ রোববার পালিত হচ্ছে দিবসটি। দেশে এইডসে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিবাহিত। আর অবিবাহিত রয়েছেন ৪০ শতাংশ। বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত রয়েছেন ৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এসটিডি বা এইডস শাখার তথ্যমতে, নতুনভাবে আক্রান্ত ও মৃতদের মধ্যে ৬৩ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৪৯ বছর এবং ২১ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। নতুনভাবে আক্রান্তের মধ্যে ১০ শতাংশ রোহিঙ্গা, ১ শতাংশ নারী যৌনকর্মী ও ১ শতাংশ হিজড়া। নতুনভাবে সংক্রমিতদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বিবাহিত, ৪০ শতাংশ অবিবাহিত, ৫ শতাংশ বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত। দেশের আট বিভাগে নতুনভাবে সংক্রমিতদের সংখ্যা ঢাকায় ৪০৬ জন, চট্টগ্রামে ৩২৬, খুলনায় ১৫৪, রাজশাহীতে ১৪৭ এবং অন্যান্য বিভাগে ৪৪ থেকে ৮৬ জন।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর টিবিএল ও এইডস বা এসটিডি প্রোগ্রাম ডা. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, আমাদের পরীক্ষা করার সক্ষমতা বেড়েছে। তাই পরীক্ষা বেশি হওয়ায় শনাক্তও হয়েছে বেশি। তাই সংক্রমণ বেড়েছে, সেটা বলা যাবে না। তা ছাড়া আক্রান্তদের চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। তাই রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সমকামী জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইডসে আক্রান্তের হার অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত সময়ে মোট শনাক্তের ৪০ শতাংশের বেশিই সমকামী ও হিজড়া। এ বছরে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ লাখের বেশি। মূলত ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, টিবি রোগী, এএনসি চেক আপ, কারাগারের বন্দি, সম্ভাব্য মধ্যপ্রাচ্যগামীদের এই পরীক্ষা করা হয়।
বিভাগ হিসেবে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চসংখ্যক এইচআইভি রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ২০২৪-এ প্রায় ১৫০ জন নতুন করে এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আর প্রায় ১ হাজার ২০০ রোহিঙ্গা এইডসের চিকিৎসা নিচ্ছেন। উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল, কক্সবাজার কারাগার ও আইওএম ক্লিনিকের মাধ্যমে তারা এ চিকিৎসা পাচ্ছেন।
এইডস বা এসটিডি প্রোগ্রামের তথ্যমতে, বাংলাদেশে এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার ৬৯। চার বছর ধরে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। ১৯৮৯ থেকে (দেশে যখন প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয়) ২০২০ সাল পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৩২, ২০২১ সালে ৮ হাজার ৭৬১, ২০২২ সালে ৯ হাজার ৭০৮ জন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা পৌঁছে ১০ হাজার ৯৮৪ জনে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক বছরে এইচআইভি সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে পুরুষ যৌনকর্মী, সমকামী ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে। এরপর আছেন শিরায় মাদক গ্রহণকারী ও নারী যৌনকর্মী। একসময় এই জনগোষ্ঠীর মধ্যেই এইচআইভি বেশি হতো। এখন তাদের মধ্যে সংক্রমণ কমে আসছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, হিজড়া, সমকামী জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি শনাক্তের প্রবণতা বেশি। কারণ তারাই বেশিরভাগ সময় বৈষম্যের শিকার হন। এই বৈষম্য স্বাস্থ্য সেবায়ও প্রকট। কুসংস্কার, ভয় ও লজ্জার কারণে যেন এই ব্যক্তিরা চিকিৎসা সেবা থেকে হারিয়ে না যান, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। তা না হলে তাদের মাধ্যমে নতুন ব্যক্তি সংক্রমিত হতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বাংলাদেশের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবে সৌদি: রাষ্ট্রদূত
সৌদি সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের যেকোনো প্রয়োজনে সৌদি আরব পাশে থাকবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকার সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রায় ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন বাংলাদেশি সৌদি আরবে কাজ করছে এবং দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তারা অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার এবং আনঅফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে আরও ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান।
এ সময় সৌদি আরবে বসবাসরত ৬৯ হাজার অনিবন্ধিত ব্যক্তির পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনার জন্য তিনি উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট নবায়নের কার্যক্রম দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার সৌদি আরবের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী। তাই সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান সকল প্রকল্প অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে সৌদি আরবকে তথ্যপ্রযুক্তি খাত বিশেষ করে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়ে বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী। তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবনা পাওয়া গেলে সৌদি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৌদি আরব এবং রাজ পরিবার সম্পর্কে বিভ্রান্তকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হয় যা বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করলে উপদেষ্টা বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, শুধু সৌদি আরব নয় পৃথিবীর কোনো দেশ সম্পর্কে যেন বাংলাদেশের গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচার না করা হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা সজাগ আছি: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত যে উত্তেজনা এবং শক্তি নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা শত্রুর মোকাবিলা করেছি, আমাদের ছাত্র-জনতা বুক পেতে দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, সেই ঐক্যে কোনও চিড় ধরেনি, ফাটল ধরেনি। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা এখনও সজাগ আছি, ঐক্যবদ্ধ আছি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে সমাপনী বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা সেই জাতি যে জাতি ৫ আগস্টে স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করেছি। সেই জাতি এখনও সজাগ আছে, ঐক্য মজবুত আছে এবং এই মজবুত ঐক্যের বিষয়টি দুনিয়ার সামনে তুলে ধরতে চাই।
তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে বলেন, কেউ যেন মনে না করে আমরা ঠান্ডা হয়ে গেছি। ঠান্ডা আমরা হইনি। আমরা আগের সেই পথেই আছি। যে মজবুত ঐক্যের মাধ্যমে জাতিকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছি, সেই ঐক্য এখনও আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে।
প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একত্রে সংলাপে বসার উদ্দেশ্য নিয়ে বলেন, একসঙ্গে বসার মাধ্যমে সারা দুনিয়াকে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি আমাদের ঐক্য মজবুত আছে। এ জাতি মরেনি, দুর্বল হয়নি। সবল আছে।
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে, তা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এই স্বাধীনতা আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার শক্তি কারোর নেই। যে যত ষড়যন্ত্র করুক, যত অপপ্রচার করুক, যত কিছু করুক, আমাদের কাছ থেকে এটা ছিনিয়ে নিতে পারবে না। কারণ আমাদের রক্ত এখনও শুকায় নাই। আমাদের দেয়ালে দেয়ালে যে লেখাগুলো আছে, সেগুলো পড়েন। সেগুলো এখনও মুছে যায়নি। তকতক করছে। সেটা আমাদের বুকেও তকতক করছে। কাজেই আমরা সেই শক্তিমান জাতি, যারা লড়াই করবে।
রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যেকোনও দেশে নানা মত, নানা পথ থাকে। কিন্তু দেশের স্বার্থে কোনও মতভেদ আমাদের মধ্যে নেই। ৫ আগস্টের পর থেকে একত্র হয়ে চলেছেন, সেই একতা, মজবুত ঐক্য এখনও রয়ে গেছে এবং থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই ছিল প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির মধ্যে প্রথম ওয়ান টু ওয়ান সাক্ষাৎ। তারা প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঢাকা-ইসলামাবাদ-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু নিয়ে আলোচনা
বেসামরিক বিমান পর্যটন ও ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পর্যটন ও ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের অফিস কক্ষে তারা সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা ভ্রাতৃপ্রতীম দুই দেশের মানুষের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক ও আন্তরিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আরও গভীর ও অর্থবহ হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানুষের স্বভাব সুলভ আতিথেয়তার কথা স্মরণ করেন এবং ঢাকা-ইসলামাবাদ-করাচি বিমান যোগাযোগ ও দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পর্যটন সেক্টরে সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুন নাসের খান, পাকিস্তানের ডেপুটি হাই-কমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিফ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে ই-ভিসা আবেদনের সুযোগ দিয়েছে পাকিস্তান। অনলাইনে আবেদন করলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে ই-ভিসা। অনেকের পাকিস্তানে ভ্রমণের আগ্রহ থাকলেও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই পাকিস্তানের কোনো শহরের। মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইন্সগুলোতে অন্য দেশে ট্রানজিট নিয়ে যেতে হয় পাকিস্তান।
বাংলাদেশি যাত্রীদের পাকিস্তানের বিভিন্ন গন্তব্যে নিতে দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)। তবে এখন বাংলাদেশিদের আগ্রহ দেখে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালেই ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দু-এক দিনের মধ্যে সুখবর আসছে: জামায়াতের আমির
অপপ্রচার মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সংলাপের বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, অপপ্রচার মোকাবিলায় আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করবো। আমরা কারও পাতা ফাঁদে পা দেব না। কারও কাছে মাথা নত করবো না, আবার সীমা লঙ্ঘনও করবো না। দু-একদিনের মধ্যে সুখবর পাবেন আশা করি।
সরকারকে সহযোগিতা করছেন জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতের ভূমিকা অসহিষ্ণু। চরমপন্থা যেদিক থেকেই আসুক আমরা ঘৃণা করি। আমরা ভালো থাকলে তারাও ভালো থাকবে। আমরা ভালো না থাকলে তারা কীভাবে ভালো থাকবে?
শফিকুর রহমান বলেন, ভারতের অপপ্রচার বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় সব মিথ্যার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে সংলাপ করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর অংশ হিসেবে বিএনপি, জামায়াত ও গণতন্ত্র মঞ্চসহ ১২ দলীয় জোটের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।