স্বাস্থ্য
নভেম্বরে ডেঙ্গু কেড়ে নিলো ১৭৩ প্রাণ
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কোনোভাবেই কমছে না। মৃত্যুর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি মাসে (নভেম্বর) ডেঙ্গুতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছরে এক মাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া নভেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯ হাজার ৬৫২ জন।
চলতি বছরের মাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১৪ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে এক হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ৩৩৯ জন, মার্চে পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৩১১ জন হাসপাতালে, এপ্রিলে দুই জনের মৃত্যু এবং ৫০৪ জন হাসপাতালে, মে মাসে ১২ জনের মৃত্যু এবং ৬৪৪ জন হাসপাতালে, জুনে আটজনের মৃত্যু এবং ৭৯৮ জন হাসপাতালে, জুলাইতে ১২ জনের মৃত্যু এবং দুই হাজার ৬৬৯ জন হাসপাতালে, আগস্টে ২৭ জনের মৃত্যু এবং ছয় হাজার ৫২১ জন হাসপাতালে, সেপ্টেম্বরে ৮০ জনের মৃত্যু এবং ১৮ হাজার ৯৭ জন হাসপাতালে, অক্টোবরে ১৩৪ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯১ হাজার ৪৬৯ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৭৯ জন। মারা গেছেন ৪৮৮ জন। নিহতদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০৮ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৮৯ জন মারা গেছেন। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
কোমর ব্যাথা: কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ
কোমর ব্যাথা এক অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা, যা একবার না একবার অনেকের জীবনেই দেখা দেয়। কাজের চাপ, ভুল ভঙ্গি, আঘাত, অথবা কোনো রোগের কারণে কোমর ব্যাথা হতে পারে। এই ব্যাথা কখনো কখনো কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে যায়, আবার কখনো কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়তে পারে।
কোমর ব্যাথার কারণ:
•ভুল ভঙ্গি: দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকা, ভারী জিনিস তোলা, অথবা অনুপযুক্ত ভঙ্গিতে ঘুমানোর কারণে কোমরের পেশী ও স্নায়ুতে টান পড়ে এবং ব্যাথা হয়।
•পেশির টান: কোমরের পেশীতে টান পড়লে তীব্র ব্যাথা হয়।
•ডিস্ক সমস্যা: মেরুদণ্ডের ডিস্ক ফেটে গেলে বা স্লিপ হয়ে গেলে কোমর ব্যাথা হতে পারে।
•আর্থ্রাইটিস: প্রদাহজনিত রোগ, যেমন অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণে কোমর ব্যাথা হতে পারে।
•স্পনডাইলোলিস্থিসিস: মেরুদণ্ডের একটি কশেরুকা আরেকটি কশেরুকার উপর সরে গেলে এই সমস্যা হয়।
•স্পনডাইলাইটিস: মেরুদণ্ডের জয়েন্টে প্রদাহ হওয়াকে স্পনডাইলাইটিস বলে।
•কিডনি বা মূত্রথলির সমস্যা: কিডনি বা মূত্রথলির সংক্রমণের কারণেও কোমর ব্যাথা হতে পারে।
•ক্যান্সার: কম ক্ষেত্রে, কোমরের ক্যান্সারের কারণেও ব্যাথা হতে পারে।
কোমর ব্যাথার লক্ষণ:
•তীব্র বা হালকা কোমর ব্যাথা
•কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়া
•কোমর নড়াচড়া করতে কষ্ট হওয়া
•পা বা পায়ের আঙুল অসাড় হয়ে যাওয়া
কোমর ব্যাথার চিকিৎসা:
•দেখাশুনা: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কোমর ব্যাথা নিজে থেকেই কয়েকদিনের মধ্যে সেরে যায়। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, গরম পানি সেকে স্বস্তি পাওয়া যায়।
•ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপি ব্যায়ামের মাধ্যমে কোমরের পেশী শক্তিশালী করা হয় এবং ব্যাথা কমাতে সাহায্য করা হয়।
•ওষুধ: ব্যথানাশক ওষুধ, পেশী শিথিলকারী ওষুধ, এবং স্টেরয়েড ইনজেকশন দেওয়া হতে পারে।
•সার্জারি: খুবই জটিল ক্ষেত্রে, সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
কোমর ব্যাথা প্রতিরোধ:
•সঠিক ভঙ্গি: দাঁড়ানো, বসা, এবং ঘুমানোর সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখুন।
•নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করলে কোমরের পেশী শক্তিশালী হয় এবং ব্যাথার সম্ভাবনা কমে যায়।
•ভারী জিনিস তোলার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন: ভারী জিনিস তোলার সময় গোড়ালি থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে শরীর সোজা করে তুলুন।
•স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন কোমরের উপর চাপ বাড়িয়ে দেয়।
•মুক্ত থাকুন: মানসিক চাপ কোমর ব্যাথার কারণ হতে পারে।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:
•যদি কোমর ব্যাথা কয়েক দিনের মধ্যে না কমে।
•যদি ব্যাথা খুব তীব্র হয়।
•যদি ব্যাথার সাথে জ্বর, অসাড়তা, বা দুর্বলতা অনুভূত হয়।
উপসংহার:
কোমর ব্যাথা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, একে উপেক্ষা করা উচিত নয়। সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে কোমর ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
লেখা- ডা. মো. নাসির উদ্দিন। এমবিবিএস, এমএস (নিউরোসার্জরী), এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৮৮ জন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন ও বরিশাল বিভাগে দুজন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩৯, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৮৮, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৭ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৭ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮৯ হাজার ৬০৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৪৭৫ জনের মধ্যে নারী ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং পুরুষ ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু কাড়লো আরও ১০ প্রাণ
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৯০ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭১ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৭১৫ জনে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে তিনজন ও দক্ষিণ সিটিতে রয়েছেন দুজন। এছাড়া বরিশাল বিভাগে তিনজন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন এবং ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩৪, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৮৩, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪৩, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৬ জন রয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৮ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮৮ হাজার ৭১৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৪৭১ জনের মধ্যে নারী ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পুরুষ ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগে মারা যান ২৮১ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৩৪
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৩৪ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬১ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৭২৫ জনে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুজনই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৬১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০৭, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৮২, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩২, খুলনা বিভাগে ১২৬ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৪৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪১ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং সিলেট বিভাগে একজন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮৭ হাজার ৭২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৬১ জনের। এর মধ্যে নারী ৫১ শতাংশ এবং পুরুষ ৪৯ শতাংশ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগে মারা যান ২৮১ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮ জন, ছাড়পত্র পেল ৪৬৮
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে এবং একই সময়ে সারা দেশে ৪৫৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬৭ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২২ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৭ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় ৪৬৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট ৮০ হাজার ৫১৮ জন ডেঙ্গুরোগী ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ৮২৬ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক দুই শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক আট শতাংশ নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৩৮ জন।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
এমআই