পুঁজিবাজার
লেনদেন কমলেও বেড়েছে বাজার মূলধন
দেশের পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহে সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইর সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ২৪ শতাংশ বা ১ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা।
চলতি সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩২৯ কোটি ২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৪২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
এদিকে, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৮১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২১৩টি কোম্পানির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ তহবিলের মেয়াদ ও আকার বাড়ানোর প্রস্তাব বিএসইসির
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকার তহবিলের আকার বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা ও এর মেয়াদ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য বাড়াতে অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আগমন করেন এবং এসময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বিএসইসি’র মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব, যুগ্মসচিব কামরুল হক মারুফ, উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিনসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারা এবং বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালকরা ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ”বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ভূমিকা ও কার্যাবলি’ ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং কৌশল’ শীর্ষক উপস্থাপন করেন।
তাতে বিএসইসির ভিশন ও মিশন, মূল ক্রিয়াকলাপ, বিদ্যমান কাঠামো ও লোকবল, দেশের পুঁজিবাজার ও তার সার্বিক পরিকাঠামো এবং কমিশন বিভিন্ন ডিভিশন ভিত্তিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, দক্ষিণ পূর্বে এশিয়ার অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারের সাথে দেশের বাজারের তুলনামূলক চিত্র, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য বিএসইসি’র স্ট্র্যাটেজিসমূহ এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসি কর্তৃক ইতোমধ্যে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং তার সম্ভাব্য সমাধান ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এছাড়াও বৈঠকে পুঁজিবাজারে বিদ্যমান নেগেটিভ ইক্যুইটির সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সরকারি মালিকানাধীন ভালো কোম্পানিসমূহকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি এবং প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক সোলো কনসোলিডেটেড বিনিয়োগ সীমার অতিরিক্ত হিসেবে বিশেষ তহবিল ২০০ টাকা হতে ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীতকরণ ও উহার মেয়াদ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখ হতে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তারল্য সহায়তা প্রদানসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জোরালো ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বৈঠকে নাজমা মোবারক বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিএসইসি বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের যোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় পুঁজিবাজারের বিভিন্ন পলিসি সংক্রান্ত বিষয়ে এবং বাজারে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধানে একসাথে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, পুঁজিবাজারের বিদ্যমান সংকট নিরসনে এবং পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিএসইসি নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানান তিনি। এসময় তিনি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারে অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে সহযোগিতার অনুরোধ জানান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য দেশের পুঁজিবাজারের বিকাশ ও উন্নয়ন করতে হবে এবং দেশের অর্থনীতির স্বার্থে সমন্বিত আর্থিক ব্যবস্থা ও নীতিমালা দরকার বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন তিনি।
মু. মোহসিন চৌধুরী বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিএসইসি’র কার্যক্রম বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার রয়েছে। তিনি দেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের কথা বলেন।
এছাড়া সাঈদ কুতুব বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সবধরণের সহায়তা করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুরক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কমিশনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান এবং সকল ধরণের অনিয়ম রোধে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কাজ করছে বিএসইসি: চেয়ারম্যান
পুঁজিবাজারের বিদ্যমান সংকট নিরসন এবং সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দের সঙ্গে বিএসইসির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনি এসব কথা বলেন। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এসময় বিএসইসির চেয়ারম্যান পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারে অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে সহযোগিতার অনুরোধ জানান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য দেশের পুঁজিবাজারের বিকাশ ও উন্নয়ন করতে হবে এবং দেশের অর্থনীতির স্বার্থে সমন্বিত আর্থিক ব্যবস্থা ও নীতিমালা দরকার বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএসইসি কার্যালয়ে আগমন এবং বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য বিএসইসি চেয়ারম্যান অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব, যুগ্মসচিব কামরুল হক মারুফ, উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিনসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসির কমিশনার মো. আলী আকবর, বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ ও পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক বলেন, দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের যোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিএসইসি বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এসময় পুঁজিবাজারের বিভিন্ন পলিসি সংক্রান্ত বিষয়ে এবং বাজারে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধানে একসাথে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়াও বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী। তিনি দেশের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের উদ্যোগী মনোভাবের প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিএসইসির কার্যক্রম বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি দেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন। সর্বোপরি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের সহায়তার অনুরোধ জানান তিনি।
বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সবধরণের সহায়তা করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুরক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কমিশনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান এবং সকল ধরণের অনিয়ম রোধে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন।
বৈঠকে বিএসইসির পক্ষ হতে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ভূমিকা ও কার্যাবলী ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং কৌশল’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রেজেন্টেশনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর ভিশন ও মিশন, মূল ক্রিয়াকলাপ, বিদ্যমান কাঠামো ও লোকবল, দেশের পুঁজিবাজার ও তার সার্বিক পরিকাঠামো এবং কমিশন বিভিন্ন ডিভিশন ভিত্তিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
এছাড়াও, দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, দক্ষিণ পূর্বে এশিয়ার অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারের সাথে দেশের বাজারের তুলনামূলক চিত্র, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য বিএসইসির স্ট্র্যাটেজিসমূহ এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসি কর্তৃক ইতোমধ্যে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং তার সম্ভাব্য সমাধান ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়াও বৈঠকে পুঁজিবাজারে বিদ্যমান নেগেটিভ ইক্যুইটির সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সরকারি মালিকানাধীন ভালো কোম্পানিসমূহকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি এবং প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক একক ও সমন্বিত বিনিয়োগ সীমার অতিরিক্ত হিসেবে বিশেষ তহবিল ২০০ (দুইশত কোটি) টাকা হতে ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকায় উন্নীতকরণ ও উহার মেয়াদ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং হতে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তারল্য সহায়তা প্রদানসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জোরালো ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
কনফিডেন্স সিমেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিএসইসিতে তলব
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি কোম্পানিটির লভ্যাংশ বিতরণ জনিত কারণে শেয়ারের ক্যাটাগরি পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে তাদের সভা তলব করেছে বিএসইসি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি জেড ক্যাটাগরিতে অবনমনপ্রাপ্ত কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিএসইসির একটি সভা তলব করা হয়েছে। বিএসইসির পক্ষ হতে কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইও, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ও কোম্পানি সচিবকে সভায় উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ০৮ ডিসেম্বর সকাল বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, জেড ক্যাটাগরিতে অবনমনপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বসছে বিএসইসি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ জনিত নন- কমপ্লায়েন্সের কারণে অবনমনপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সভার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়টির সমাধানে কাজ করছে বিএসইসি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিএসইর পরিচালক হলেন শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী। তিনি আলফা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। শেষ মুহূর্তে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হলেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সিএসইর নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সূত্র মতে, এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রুডেন্সিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেডের এমডি রেজাউল ইসলাম এবং আলফা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের দুইজনের মনোনয়ন বৈধতা দিয়েছিলো সিএসই। তবে রেজাউল ইসলাম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হলেন শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী।
জানা গেছে, আগামী ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। তবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বৈধ দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় একক প্রার্থী হিসাবে শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরীকে আগেই পরিচালক হিসাবে ঘোষণা করেছে সিএসই।
শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী এর আগেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ছিলেন এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি প্রগতি শিপিং (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন।
শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী এমএনসি প্যাকেজ লিমিটেডের পরিচালক। তিনি বিজিএপিএমইএর উপদেষ্টা এবং সাবেক ১ নং সহ-সভাপতি। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি চিটাগং ক্লাব লিমিটেড এবং ভাটিয়ারি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের আজীবন সদস্য।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার ও ইন্স্যুরেন্সের অবস্থা করুণ: গভর্নর
অর্থনীতির চার স্তম্ভের মধ্যে ইন্স্যুরেন্স আর পুঁজিবাজারের অবস্থা করুণ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটরিয়ামে ‘টিপিং পয়েন্টস অব রিফর্ম এজেন্ডা ফর দ্যা টার্নঅ্যারাউন্ড অব দ্যা ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে এ আলোচনা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
গভর্নর বলেন, গত ১০-১২ বছর ধরেই অর্থনৈতিক খাত পিছিয়ে ছিল। অর্থনীতির ৪ টি স্তম্ভ ব্যাংকিং, স্টক মার্কেট, ইন্স্যুরেন্স, বন্ড মার্কেট কোনোটাই আমাদের দেশে শক্তিশালী নয়। বন্ড মার্কেট আমরা গড়েই তুলতে পারিনি। ইন্স্যুরেন্স আর পুঁজিবাজারের অবস্থা করুণ। ফলে একমাত্র ব্যাংকিং খাতকেই আমাদের দেশে বড় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি উৎস বের করতে না পারলে আমাদের ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীলতা থাকবেই।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী জুনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা। পরবর্তী অর্থবছরের মাঝে তা ৫ শতাংশে নামানো। মূল লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। আশা করি তা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, বন্যার কারণে বর্তমান বাজারে সবজি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তি। একসময় তা কমে আসবে। মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারলে আমরা ব্যাংকের সুদ ও নীতি সুদহার কমিয়ে আনব।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির গভর্নর বলেন, দেশে টাকা নাই। ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল রিজার্ভ; যা এখন হয়েছে ২৪ বিলিয়ন। অর্থাৎ বাকি টাকাটা বাইরে চলে গেছে। আমরা যদি আমানত বাড়াতে না পারি, টাকা বাইরে চলে যায়, তাহলে ব্যাংক ও অর্থনৈতিক খাতের প্রবৃদ্ধি হবে না। এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করার জন্য টাকা পাচার বন্ধ করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ গ্যারান্টি সংস্থার (মিগা) ড. জুনায়েদ কামাল আহমদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর কবির আহাম্মদ, মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান ও নূরুন নাহার প্রমুখ।
এসএম