অর্থনীতি
খেলাপি ঋণ কম দেখানোর সুযোগ বন্ধ হচ্ছে

খেলাপি হলেও বিশেষ বিবেচনায় নিয়মিত দেখানোর যে সুযোগ ছিল, তা অবশেষে বন্ধ হচ্ছে। আগামী এপ্রিল থেকে চলতি বা মেয়াদি সব ঋণের কিস্তি পরিশোধের তারিখ পার হলেই তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে ধরা হবে। ২০১৯ সাল থেকে মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে কিস্তি পরিশোধের তারিখের ছয় মাস পর থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ বিবেচনা হয়ে আসছে।
নতুন নিয়মে তিন থেকে ছয় মাস কিস্তি না দিলেই খেলাপি ঋণের প্রথম পর্যায় তথা ‘সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ বিবেচিত হবে, যা বর্তমানে ৯ মাস পর্যন্ত। এ ছাড়া সব ধরনের ঋণের প্রভিশন সংরক্ষণের হার অভিন্ন করা হচ্ছে। গতকাল এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো ঋণ ছয় মাস মেয়াদোত্তীর্ণ হলেই তা খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই আইনে কোনো পরিবর্তন না এনে ২০১৯ সালের এপ্রিলে এক নির্দেশনার মাধ্যমে কৌশলে খেলাপি কম দেখানোর সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পরামর্শে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, মেয়াদি ঋণ বকেয়া হিসাবের ক্ষেত্রে বাড়তি ছয় মাস সময় পাবে। এর মানে, কিস্তি পরিশোধের শেষ তারিখের ছয় মাস পর থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ গণনা করা হবে। এই নিয়মে প্রকৃতপক্ষে এক বছর পর খেলাপি হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক থেকে তিন মাস পর থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ গণনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগের মতো নির্দিষ্ট আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে গেলেই স্থগিতাদেশ পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঢালাওভাবে কোনো বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে না। নিয়ম কঠোর করার কারণে খেলাপি ঋণ এক লাফে অনেক বেড়ে গত সেপ্টেম্বর শেষে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায় ঠেকেছে। গত ডিসেম্বরে যেখানে খেলাপি ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।
আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে সব ধরনের ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন রাখতে হয়। যত বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, ততবেশি প্রভিশন রাখার নিয়ম রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও বিভিন্ন শিথিলতা ছিল। আর ঋণ বিতরণের সময়ও প্রভিশন রাখতে হয়, যা সাধারণ প্রভিশন হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ প্রভিশন রাখার বিধান আছে। আগামী এপ্রিল থেকে সব ধরনের নিয়মিত ঋণের প্রভিশন রাখতে হবে ১ শতাংশ। ভিন্ন ভিন্ন প্রভিশনিংয়ের কারণে এক খাতের ঋণ বিতরণ করে আরেক খাতে দেখানোর নজির রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ঋণ বকেয়া হওয়ার তিন মাস আগ পর্যন্ত শ্রেণীকৃত হওয়ার আগের অবস্থা তথা স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট (এসএমএ) হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে প্রভিশন রাখতে হবে এখনকার মতোই ৫ শতাংশ। এ ছাড়া তিন থেকে ছয় মাস মেয়াদোত্তীর্ণ হলে এখন থেকে একটি ঋণ সাব-স্ট্যান্ডার্ড বিবেচিত হবে। এ ধরনের ঋণে প্রভিশন রাখতে হবে ২০ শতাংশ। ছয় মাসের পর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ ডাউটফুল বা সন্দেহজনক ঋণে ৫০ শতাংশ। ১২ মাসের বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ মন্দ বা ক্ষতিজনক মানের ঋণে প্রভিশন রাখতে হবে শতভাগ। ব্যাংকগুলোর অর্জিত মুনাফা বা উদ্যোক্তাদের জোগান দেওয়া মূলধন থেকে এই প্রভিশন রাখতে হয়। ঋণ আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত এই প্রভিশন আয় খাতে নেওয়া যায় না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
সয়াবিন তেলের সংকট, বেড়েছে সবজির দাম

ঈদের আগের তুলনায় অর্থাৎ প্রায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কমবেশি বেড়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকার আশপাশে, যা আগের তুলনায় প্রায় ২০ টাকা বেশি।
এছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। আগের চেয়ে নির্ধারিত দাম না বাড়লেও অনেক দোকানে সয়াবিন তেল নেই। যে কারণে অনেকে বোতলের গায়ের দামের চেয়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। শীতের অধিকাংশ সবজি শেষ হয়ে গেছে আর গ্রীষ্মের অনেক সবজি এখনো বাজারে কম। এ কারণে দাম বেড়েছে।
রাজধানীর রামপুরা বাজারে সকালে ঢুকতেই সবজির বাড়তি দামের আঁচ পাওয়া গেল। দাম নিয়ে এক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে তর্কে জড়ান স্থানীয় বাসিন্দা বিধান চন্দ্র। তিনি সেখান থেকে ১০০ টাকা দরে আধা কেজি বরবটি ও করলা কিনেছেন। তিনি বলেন, ঈদের আগেই সব সবজি ৬০ টাকার আশপাশে ছিল। ঈদের পরে সব বেড়ে যাচ্ছে।
ওই বাজারের পাশাপাশি মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে করলা, ঝিঙা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা ৮০–১০০ টাকায়, পটোল, ঢ্যাঁড়স ৬০–৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে দাম কম রয়েছে পেঁপের, তাও ৪০-৫০ টাকা। অবশ্য কারওয়ান বাজারের মতো বড় বাজারে সবজির এ দাম আরও কিছুটা কম।
এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আলু, আদা, রসুন ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।
এদিকে, বাজারে আবারও সয়াবিন তেলের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে। অর্থাৎ কোনো দোকানে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল থাকলেও এক-দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো কোনো দোকানে প্রতি লিটারে নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা এনামুল বলেন, কোম্পানি তেল দেয় না। ঈদের পর থেকে অর্ডার নিচ্ছে না। যে কারণে ৫ টাকা বেশি দিয়ে বাইরে থেকে কিনে আনি।
আরেক বিক্রেতা বলেন, আজ ঈদের পর প্রথম একটা কোম্পানি তেল দিয়ে গেছে। দুই লিটারের মাত্র তিন কার্টন তেল। আর বলেছে, দাম বাড়ানোর আগে মাল দেবে না। নতুন রেট এলে নতুন তেল পাবেন।
প্রসঙ্গত, সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে একলাফে ১৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকরা। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দুই দফা বৈঠকের পরও দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস ২৭ মার্চ ট্যারিফ কমিশনে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে ১ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৩ টাকা হবে বলে জানায় পরিশোধন কারখানার মালিকদের ওই সংগঠন। সেই হিসাবে লিটারে দাম বাড়ছে ১৮ টাকা। তবে দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের অনুমতি এখনো মেলেনি। যে কারণে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রিটার্ন না দিলে ব্যাংক হিসাব তলব করবে এনবিআর

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, ট্যাক্স বাড়াতে না পারলে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হওয়া যাবে না। তাই যারা রিটার্ন দিচ্ছে না, তাদের নোটিশ দেয়া হচ্ছে এবং পরবর্তী সময়ে তাদের ব্যাংক হিসেব তলব করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব করতে আয়কর বিষয়ক ১৯টি, ভ্যাট বিষয়ক ৪০ ও শুল্ক বিষয়ক ৫৫টি প্রস্তাবনা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।
গেল অর্থবছরে জমা হওয়া ৪৫ লাখ রিটার্নের মধ্যে ৩০ লাখ শূন্য রিটার্নধারী মন্তব্য করে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, মাত্র ১৫ লাখ করদাতা থেকে রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। বাংলাদেশের ট্যাক্স টু জিডিপি রেশিও খুবই কম। এত কম সংখ্যক লোকের থেকে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই কর হার বাড়ানোর বিকল্প নেই।
যৌক্তিকভাবে বাড়ানো হবে করহার এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের যেন এনবিআর অফিসে ঘুরতে না হয়, সেজন্য সবকিছু অটোমেশন করা হচ্ছে। এখন সিঙ্গেল উইন্ডোর মাধ্যমে এক লাখ ৬০ হাজার সার্টিফিকেট অনলাইনে দেওয়া হয়েছে। ভ্যাট ও বন্ড সুবিধা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমরা বন্ড সুবিধা অটোমেশনের আওতায় আনতে কাজ করছি। এছাড়া আয়করের মত ভ্যাটও যেন ঘরে বসে দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
বাজেটকে জনবান্ধব করতে ব্যবসায়ীসহ সবার মতামত নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আগামী বাজেটে ঘাটতি থাকবে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি যেন না হয়, সেই দিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। মার্কিন শুল্ক আরোপের ফলে দেশের পোশাকখাত যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
কর ফাঁকির বিষয়টি প্রধান প্রায়োরিটি মন্তব্য করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা যে দাবি তুলেছেন তা যৌক্তিক। বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। বাজেট প্রণয়নে এ সুপারিশ দেওয়া হবে। তবে আমরা এখন রাজস্ব আহরণের বিষয়ে জোর দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান, উইমেন চেম্বারের সভাপতি আবিদা মোস্তফা, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি সরওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, সাবেক সহ-সভাপতি বেলাল আহমেদ ও বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরীসহ অনেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডার কোয়েস্ট ওয়াটার গ্লোবাল

কানাডাভিত্তিক কোয়েস্ট ওয়াটার গ্লোবাল ইনক বাংলাদেশের পরিষ্কার পানিসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চুক্তির অংশ হিসেবে কোয়েস্ট ওয়াটার গ্লোবাল ইনক বাংলাদেশে অ্যাকুয়াট্যাপ (আ্যাকুয়াটেপ) নামে একটি বিকেন্দ্রীভূত পানি সরবরাহ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সমীক্ষা পরিচালনা করবে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারণে কাজ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেড় বছর পর সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি

দেশের ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ২৫০ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রায় দেড় বছর পর রপ্তানির এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৯ শর্ত মেনে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব চাল রপ্তানি করতে হবে।
গত ৮ এপ্রিল আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রক দপ্তরের কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে এ–সংক্রান্ত চিঠি দিয়ে রপ্তানির অনুমতির বিষয়টি জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখা-২–এর জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে ৯ শর্তে ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ২৫০ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে এসব সুগন্ধি চাল রপ্তানি করা হবে বলে জানান সচিব মাগফুরুল হাসান আব্বাসী। তিনি বলেন, প্রতি কেজি চাল সর্বনিম্ন ১ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার হিসেবে ১৯৫ টাকা রপ্তানি দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এসব রপ্তানি এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টন পর্যন্ত চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে চাল রপ্তানি করতে পারবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে পাকিস্তানের শিল্পগোষ্ঠী

পাকিস্তানের এনগ্রো হোল্ডিংসের সিইও আব্দুল সামাদ দাউদ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে এনগ্রোর সিইও বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও জ্বালানি খাতের বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং কোম্পানির কার্যক্রম প্রসারের ইচ্ছা জানান।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা।
সামাদ দাউদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সম্ভাবনা নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। পাশাপাশি ভোলার গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে শিল্পখাতের বিকাশে অংশগ্রহণের সুযোগও আমরা দেখছি।’
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে টেকসই এবং ভবিষ্যতমুখী অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে মনোযোগ দিতে চাই, যা আমাদের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দাউদ চারদিনব্যাপী এই সম্মেলনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বিডা সামিটে এক মানবিক ছোঁয়া ছিল— এটি আন্তরিক, স্বাগতপূর্ণ এবং লক্ষ্যনির্ভর মনে হয়েছে। এক ছাদের নিচে এত শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিকে দেখে আমি অভিভূত।
অধ্যাপক ইউনূস এনগ্রোর নেতৃত্বকে বাংলাদেশে আবার আসার আমন্ত্রণ এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার সুযোগ দেখার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি আপনাকে আবার আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ অনেক কিছু দিতে পারে— শুধু বিনিয়োগকারীদেরই নয়, পুরো বিশ্বকে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।