অর্থনীতি
খেলাপি ঋণ কম দেখানোর সুযোগ বন্ধ হচ্ছে

খেলাপি হলেও বিশেষ বিবেচনায় নিয়মিত দেখানোর যে সুযোগ ছিল, তা অবশেষে বন্ধ হচ্ছে। আগামী এপ্রিল থেকে চলতি বা মেয়াদি সব ঋণের কিস্তি পরিশোধের তারিখ পার হলেই তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে ধরা হবে। ২০১৯ সাল থেকে মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে কিস্তি পরিশোধের তারিখের ছয় মাস পর থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ বিবেচনা হয়ে আসছে।
নতুন নিয়মে তিন থেকে ছয় মাস কিস্তি না দিলেই খেলাপি ঋণের প্রথম পর্যায় তথা ‘সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ বিবেচিত হবে, যা বর্তমানে ৯ মাস পর্যন্ত। এ ছাড়া সব ধরনের ঋণের প্রভিশন সংরক্ষণের হার অভিন্ন করা হচ্ছে। গতকাল এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো ঋণ ছয় মাস মেয়াদোত্তীর্ণ হলেই তা খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই আইনে কোনো পরিবর্তন না এনে ২০১৯ সালের এপ্রিলে এক নির্দেশনার মাধ্যমে কৌশলে খেলাপি কম দেখানোর সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পরামর্শে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, মেয়াদি ঋণ বকেয়া হিসাবের ক্ষেত্রে বাড়তি ছয় মাস সময় পাবে। এর মানে, কিস্তি পরিশোধের শেষ তারিখের ছয় মাস পর থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ গণনা করা হবে। এই নিয়মে প্রকৃতপক্ষে এক বছর পর খেলাপি হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক থেকে তিন মাস পর থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ গণনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগের মতো নির্দিষ্ট আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে গেলেই স্থগিতাদেশ পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঢালাওভাবে কোনো বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে না। নিয়ম কঠোর করার কারণে খেলাপি ঋণ এক লাফে অনেক বেড়ে গত সেপ্টেম্বর শেষে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায় ঠেকেছে। গত ডিসেম্বরে যেখানে খেলাপি ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।
আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে সব ধরনের ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন রাখতে হয়। যত বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, ততবেশি প্রভিশন রাখার নিয়ম রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও বিভিন্ন শিথিলতা ছিল। আর ঋণ বিতরণের সময়ও প্রভিশন রাখতে হয়, যা সাধারণ প্রভিশন হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ প্রভিশন রাখার বিধান আছে। আগামী এপ্রিল থেকে সব ধরনের নিয়মিত ঋণের প্রভিশন রাখতে হবে ১ শতাংশ। ভিন্ন ভিন্ন প্রভিশনিংয়ের কারণে এক খাতের ঋণ বিতরণ করে আরেক খাতে দেখানোর নজির রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ঋণ বকেয়া হওয়ার তিন মাস আগ পর্যন্ত শ্রেণীকৃত হওয়ার আগের অবস্থা তথা স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট (এসএমএ) হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে প্রভিশন রাখতে হবে এখনকার মতোই ৫ শতাংশ। এ ছাড়া তিন থেকে ছয় মাস মেয়াদোত্তীর্ণ হলে এখন থেকে একটি ঋণ সাব-স্ট্যান্ডার্ড বিবেচিত হবে। এ ধরনের ঋণে প্রভিশন রাখতে হবে ২০ শতাংশ। ছয় মাসের পর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ ডাউটফুল বা সন্দেহজনক ঋণে ৫০ শতাংশ। ১২ মাসের বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ মন্দ বা ক্ষতিজনক মানের ঋণে প্রভিশন রাখতে হবে শতভাগ। ব্যাংকগুলোর অর্জিত মুনাফা বা উদ্যোক্তাদের জোগান দেওয়া মূলধন থেকে এই প্রভিশন রাখতে হয়। ঋণ আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত এই প্রভিশন আয় খাতে নেওয়া যায় না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
মোংলা বন্দর উন্নয়নে ব্যয় হবে ৪০৬৮ কোটি টাকা

মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জি টু জি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য এবং পণ্য ক্রয় কার্যক্রমের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)।
প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৬৮ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় জি টু জি ভিত্তিতে ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি মোট ৪ হাজার ৬৮ কেটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
এতে চীন সরকার কর্তৃক প্রকল্প ঋণ ৩ হাজার ৫৯২ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৪৭৫ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চীনের তিনটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দেয়। তার মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অন্য তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনকে (সিসিইসিসি) যথোপযুক্ত বিবেচনা করা হয়। এছাড়া মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ২৮২তম বোর্ড সভায় যাচাই-বাছাই করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নিরূপণ করে ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়।
প্রকল্পের ডিপিপিতে বর্ণিত প্রধান ক্রয় কার্যসমূহ হলো, মোংলা বন্দরে ৪ লাখ টিইউজ করেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রকল্পটির অধীনে দুটি কন্টেইনার জেটি (৩৬৮ মিটার), ৮৭ হাজার ৬০০ বর্গ মিটার লোডের কন্টেইনার ইয়ার্ড, ৩৪ হাজার ১৭০ বর্গ মিটার খালি কন্টেইনার ইয়ার্ড, ৪ হাজার ২৬০ বর্গ মিটার হ্যাজার্ডার্স কার্গো হ্যান্ডলিং ইয়ার্ড নির্মাণ, ৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭টি আরটিজি ও ৩৩টি অন্যান্য যন্ত্রপাতি, সার্ভে ও ডিজাইন, ভূমি উন্নয়ন, আরসিসি পেভমেন্ট, মেরিন স্ট্রাকচার, আনুষাঙ্গিক সুবিধাদিসহ পরিচালন ভবন, তেল সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থা, ইলেক্ট্রিকাল কাজ, আইসিটি সম্বলিত যোগাযোগের কাজ, পানি সরবরাহ, নিষ্কাশন ও অগ্নিনির্বাপণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং অটোমেশন ইত্যাদি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেক্সিমকোর আরও ১১ হাজার ২৯৩ শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তার শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আরও ১১ হাজার ২৯৩ জন শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৭ হাজার ৬৮০ জন শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হলো। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তার শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে। আজ প্রতিষ্ঠানটি ১১ হাজার ২৯৩ জন শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ সম্পন্ন করেছে। এ পর্যন্ত মোট ২৭ হাজার ৬৮০ জন শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অ্যাম্বুলেন্স-বাসে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব বারভিডার

অ্যাম্বুলেন্স ও বাসে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা)। একই সঙ্গে মাইক্রো বাসে সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
বারভিডার সভাপতি আবদুল হক এনবিআর চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সম্পূরক শুল্কের কারণে যেই মাইক্রোবাসটি ছিল ২০ লাখ টাকা সেটা প্রায় ৪০ লাখ টাকা হয়ে গেছে। এটা কমালে অনেকেই গাড়িটি কিনতে পারবে। এমপিরা বিনা শুল্কে গাড়ি আনছে। কিন্তু আপনি কিনতে গেলে ৮০০ শতাংশ শুল্ক। এটা অনেকটা রাগ করে করা হয়েছে। এটা বাস্তবসম্মত নয়।
তিনি বলেন, এটা সহনীয় করলে অনেকে রাজস্ব বাড়বে। অনেক টাকা আসবে। মানুষ গাড়ি কিনতে চায় কিন্তু তারা কিনতে পারছে না।
এবিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এ বিষয়ে আমরা চিন্তা করছি। দেখি আমরা কী করতে পারি। জাপানি গাড়ি ভালো, এদের রিসেল ভ্যালু আছে। জাপানি গাড়ি প্রমোট করার জন্য যা যা দরকার আমরা সবই করব।
একটা গ্রুপ ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রির নামে রাজস্ব সুবিধা নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠার যেন স্ক্রু ড্রাইভার শিল্প মানের নামসর্বস্ব শিল্প এলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। একই সঙ্গে বাজেট প্রস্তাবে ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক হ্রাসের অনুরোধ জানিয়েছে বারভিডা।
এ ছাড়া ১০-১৫ আসনবিশিষ্ট হাইয়েস প্রকৃতির মাইক্রোবাসের ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, অবচয় হার পুনর্নির্ধারণ, হাইব্রিড গাড়ির সিসি স্লাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাস, ফসিল ফুয়েলচালিত গাড়ির সিসি স্লাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাসসহ বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বারভিডা।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) নিবন্ধন খরচ হিসেবে গেইন ট্যাক্স ৪ শতাংশ, স্ট্যাম্প শুল্ক ১ শতাংশ, নিবন্ধন ফি ১ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ফি ১ শতাংশ ও সব ধরনের ভ্যাট ২ শতাংশ নির্ধারণসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। তবে, বহাল থাকা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বিষয়ে তারা কোনো প্রস্তাব দেয়নি।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সভাপতি ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম বলেন, দেশীয় টাইলস পণ্যের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ও স্যানিটারির ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অন্যদিকে শিপিং এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২৪ চূড়ান্ত করাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির পরিচালক এ.এইচ.এম. কামাল বলেন, বিগত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নতুন শিপিং এজেন্ট লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে না। এনবিআর প্রস্তাবিত শিপিং এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২৪” এখনও অনুমোদিত না হওয়ায় এ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এর ফলে শিপিং বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ও কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শিপিং এজেন্ট হিসেবে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যবসায় প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চাহিদা পূরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি এনবিআরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিধিমালাটি চূড়ান্ত ও অনুমোদনের অনুরোধ জানান। এ ছাড়া, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশন এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলানায় ৪৬ শতাংশ বেশি।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ছিল ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) এ তথ্য জানিয়েছে।
তথ্য মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকেরা ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে তারা আমদানি করেছিল ৬০৩ কোটি ডলারের পোশাক। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক আমদানি বেড়েছে সাড়ে ১৯ শতাংশ।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এ বাজারে গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সাল শেষে বড় প্রবৃদ্ধি না হলেও ইতিবাচক ধারায় ফেরে। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি ২০২৩ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমেছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনার কথা বলেন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।
এমনকি বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে কারখানা সরিয়ে এখন অন্য দেশে নিতে আগ্রহী হতে পারেন। বিনিয়োগের সেই সুযোগ বাংলাদেশও নিতে পারে। অবশ্য বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে যে প্রবৃদ্ধি, তা মূলত দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় বাড়তি ক্রয়াদেশের প্রভাব বলে জানান পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাচারের টাকা ফেরত দিতে অনেকেই অফার করেছে: আনিসুজ্জামান

পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, অনেকেই পাচার হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অফার করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
পাচার হওয়ার টাকা ফেরত আনা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব। আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা। যেসব স্থানে টাকা গিয়েছে এতে সেসব দেশ উপকারভোগী। আন্তর্জাতিক আইন আছে যেহেতু তারা উপকারভোগী তাই সহজে তারা এটা ছাড়বে না। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টাকে উনারাই অফার করছেন। এ বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য। আমরা অতিদ্রুত কাজ করছি। আশা করছি আমরা সফল হবো।
কারা অফার করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলা সম্ভব না। এগুলো বললে কাজে সমস্যা হবে। কিছুতো গোপনীয়তা মানতে হবে। যারা টাকা নিয়ে গেছে তারাতো বসে নেই। এ জন্যই একটা গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। এরমধ্যে যতটুকু বলা সম্ভব সেটুকুই বলছি। এর বেশি বললে আমাদের কাজটা বন্ধ হয়ে যাবে।
এখানে আইনের ইস্যু আছে, প্রপার আইন করতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে মিল রেখে। আপনি ধরলেই তো টাকা ফেরত আনতে পারবেন না। এখানে কতগুলো মাধ্যম আছে। এসব বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাচ্ছি বিশ্বব্যাংকসহ অনেকেই কাজ করছে।