অর্থনীতি
এডিবির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্ডা
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাসাতো কান্ডা। ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এডিবির ঢাকা অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এডিবি জানায়, বোর্ড অব গভর্নরস সর্বসম্মতিক্রমে মাসাতো কান্ডাকে এডিবির ১১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। কান্ডা বর্তমানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এডিবির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন। এডিবির বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়াদ আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ার এবং ব্যাংক অব ইতালির গভর্নর ফ্যাবিও প্যানেটা জানান, কান্ডা আন্তর্জাতিক অর্থায়নের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা এবং বহুপাক্ষিক নেতৃত্বের মাধ্যমে এডিবিকে কঠিন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভালোভাবে কাজ করবেন। এডিবির বোর্ড অব গভর্নরস কান্ডার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।
এডিবি জানায়, প্রায় ৪ দশকের অভিজ্ঞতার সঙ্গে কান্ডা জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রধান নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক বিষয়ক অর্থমন্ত্রীর সহ-সভাপতি তিনি। আর্থিক খাতের নীতি এবং সামষ্টিক-অর্থনীতিতে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি আর্থিক পরিষেবা সংস্থায় ডেপুটি কমিশনার, বাজেট ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এবং নীতি পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষা ও বিজ্ঞান নীতির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের একজন নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খেলাপি ঋণ কম দেখানোর সুযোগ বন্ধ হচ্ছে
খেলাপি হলেও বিশেষ বিবেচনায় নিয়মিত দেখানোর যে সুযোগ ছিল, তা অবশেষে বন্ধ হচ্ছে। আগামী এপ্রিল থেকে চলতি বা মেয়াদি সব ঋণের কিস্তি পরিশোধের তারিখ পার হলেই তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে ধরা হবে। ২০১৯ সাল থেকে মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে কিস্তি পরিশোধের তারিখের ছয় মাস পর থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ বিবেচনা হয়ে আসছে।
নতুন নিয়মে তিন থেকে ছয় মাস কিস্তি না দিলেই খেলাপি ঋণের প্রথম পর্যায় তথা ‘সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ বিবেচিত হবে, যা বর্তমানে ৯ মাস পর্যন্ত। এ ছাড়া সব ধরনের ঋণের প্রভিশন সংরক্ষণের হার অভিন্ন করা হচ্ছে। গতকাল এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো ঋণ ছয় মাস মেয়াদোত্তীর্ণ হলেই তা খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই আইনে কোনো পরিবর্তন না এনে ২০১৯ সালের এপ্রিলে এক নির্দেশনার মাধ্যমে কৌশলে খেলাপি কম দেখানোর সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পরামর্শে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, মেয়াদি ঋণ বকেয়া হিসাবের ক্ষেত্রে বাড়তি ছয় মাস সময় পাবে। এর মানে, কিস্তি পরিশোধের শেষ তারিখের ছয় মাস পর থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ গণনা করা হবে। এই নিয়মে প্রকৃতপক্ষে এক বছর পর খেলাপি হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক থেকে তিন মাস পর থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ গণনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগের মতো নির্দিষ্ট আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে গেলেই স্থগিতাদেশ পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঢালাওভাবে কোনো বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে না। নিয়ম কঠোর করার কারণে খেলাপি ঋণ এক লাফে অনেক বেড়ে গত সেপ্টেম্বর শেষে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায় ঠেকেছে। গত ডিসেম্বরে যেখানে খেলাপি ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।
আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে সব ধরনের ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন রাখতে হয়। যত বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, ততবেশি প্রভিশন রাখার নিয়ম রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও বিভিন্ন শিথিলতা ছিল। আর ঋণ বিতরণের সময়ও প্রভিশন রাখতে হয়, যা সাধারণ প্রভিশন হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ প্রভিশন রাখার বিধান আছে। আগামী এপ্রিল থেকে সব ধরনের নিয়মিত ঋণের প্রভিশন রাখতে হবে ১ শতাংশ। ভিন্ন ভিন্ন প্রভিশনিংয়ের কারণে এক খাতের ঋণ বিতরণ করে আরেক খাতে দেখানোর নজির রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ঋণ বকেয়া হওয়ার তিন মাস আগ পর্যন্ত শ্রেণীকৃত হওয়ার আগের অবস্থা তথা স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট (এসএমএ) হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে প্রভিশন রাখতে হবে এখনকার মতোই ৫ শতাংশ। এ ছাড়া তিন থেকে ছয় মাস মেয়াদোত্তীর্ণ হলে এখন থেকে একটি ঋণ সাব-স্ট্যান্ডার্ড বিবেচিত হবে। এ ধরনের ঋণে প্রভিশন রাখতে হবে ২০ শতাংশ। ছয় মাসের পর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ ডাউটফুল বা সন্দেহজনক ঋণে ৫০ শতাংশ। ১২ মাসের বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ মন্দ বা ক্ষতিজনক মানের ঋণে প্রভিশন রাখতে হবে শতভাগ। ব্যাংকগুলোর অর্জিত মুনাফা বা উদ্যোক্তাদের জোগান দেওয়া মূলধন থেকে এই প্রভিশন রাখতে হয়। ঋণ আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত এই প্রভিশন আয় খাতে নেওয়া যায় না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে পাশে চায় বিএসইসি
শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। গতকাল বুধবার বিকেলে গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ সহায়তা চান। বাংলাদেশ ব্যাংকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ও আকার বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয় গর্ভনরের কাছে। ২০০ কোটি টাকার বিশেষ এই তহবিলের মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর পাশাপাশি তহবিলের আকার বৃদ্ধির কথা বলা হয় বিএসইসির পক্ষ থেকে।
এ ছাড়া বহুজাতিক ও ভালো মৌল ভিত্তির কোম্পানি বাজারে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছে বিএসইসি। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলো যাতে ব্যাংকের পাশাপাশি পুঁজিবাজারকেও বেছে নেয়, সেই ব্যবস্থা করার জন্য গভর্নরকে অনুরোধ জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে ব্যাংকের পাশাপাশি একটি অংশ যাতে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়, সে জন্য আইনি কোনো বিধান করা যায় কি না, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৈঠক বিএসইসির পক্ষ থেকে যেসব সহায়তা চাওয়া হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি গভর্নর। তবে তিনি শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ সহায়তার আশ্বাস দেন বিএসইসির চেয়ারম্যানকে। সেই সঙ্গে নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বিষয়ে দুই সংস্থা মিলে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও আশ্বস্ত করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বিল চালু করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দুর্বল ব্যাংকগুলোকে নিজ ভল্ট থেকে টাকা দেওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই টাকা যাতে বাজারে মূল্যস্ফীতি উসকে না দেয়, সে জন্য নতুন করে ৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বিলের মাধ্যমের টাকা তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ এক প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন ও তারল্য ব্যবস্থাপনাকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে প্রচলিত ৭, ১৪ ও ৩০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের পাশাপাশি ৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিল প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এদিকে গতকাল ৩০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে ৪৫২ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে অংশ নিয়েছে ১১টি ব্যাংক। এতে গড় সুদের হার ছিল ১১ দশমিক ১০।
এর আগে দুর্বল পাঁচটি ব্যাংককে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা তারল্য–সহায়তা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি খাতে পরিচালিত ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংককে এ তারল্য–সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে গ্যারান্টির বিপরীতে দুর্বল ব্যাংকগুলো টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংককে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়। তবে দুর্বল ব্যাংকগুলো অভিযোগ করছে, এ ব্যবস্থায় তারা চাহিদামতো টাকা পায়নি। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজের ভল্ট থেকে টাকা ধার দেওয়া শুরু করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, একদিকে বাজার থেকে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার দেওয়া হচ্ছে। ফলে বাজারে অতিরিক্ত টাকা সরবরাহের ঝুঁকি রোধ করা যাচ্ছে। বাজার থেকে টাকা না তুলে শুধু ধার দিলে তা মূল্যস্ফীতি উসকে দেওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। এ জন্য সতর্কতার সঙ্গে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নবায়নযোগ্য শক্তির বিদ্যুৎ প্রকল্পে আরও ৫ বছরের কর সুবিধা
নবায়নযোগ্য শক্তির বিদ্যুৎ প্রকল্পে আরও ৫ বছরের কর সুবিধা দিয়েছে সরকার। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আরেক দফা কর ছাড় দিয়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে নবায়নযোগ্য শক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র সর্বমোট ১৫ বছরের কর অব্যাহতি পাবে। এরমধ্যে ১০ বছরের জন্য পুরো আয়কর অব্যাহতি এবং ৫ বছরের জন্য বিভিন্ন হারে আয়কর ছাড়।
এক মাসের মাথায় আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে আরও ৫ বছরের বাড়তি কর সুবিধা দেওয়ার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করলো এনবিআর।
এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর নবায়নযোগ্য শক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে প্রথম ৫ বছরে পুরো আয়কর অব্যাহতি এবং পরের ৫ বছরের জন্য কর ছাড় দিয়েছিল।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নবায়নযোগ্য শক্তির কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদনে গেলে সেটি আয়ের ওপর প্রথম ১০ বছর আয়কর অব্যাহতি এবং পরবর্তী ৫ বছর বিভিন্ন হারে আয়কর ছাড় পাবে।
২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়া বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতির আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো এ সুবিধা পাবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এসব কোম্পানিকে প্রথম ১০ বছর আয়ের ওপর কোনো কর দিতে হবে না। পরের ৩ বছর ৫০ শতাংশ এবং এর পরের ২ বছর ২৫ শতাংশ কর অব্যাহতি মিলবে। তবে সেজন্য বাংলাদেশ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিতে নির্ধারিত সব শর্ত পূরণ করতে হবে।
সম্প্রতি এক সেমিনারে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) জানায়, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে, নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্ব দিলে অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দুই দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়। তার আগে ২৬ নভেম্বরও দাম কিছুটা কমানো হয়। দুদিনে দু-দফা সোনার দাম কমানোর পর এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৪৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৮০৪ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৮২২ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬৯৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩০৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৭১ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৩৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ বুধবার এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।