আইন-আদালত
সুপ্রিম কোর্টে নজিরবিহীন ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ
ডিম ছুড়ে মেরে বিচারপতিকে এজলাস থেকে নামানো ও জেলা আদালতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এতে বলা হয়, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। একইসঙ্গে দেশের জেলা আদালতগুলোতেও যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
সব প্রতিকূলতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সত্ত্বেও দেশের আদালতসমূহে বিচারসেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। ভবিষ্যতে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এজলাস কক্ষে হাইকোর্টের বিচারপতি আশরাফুল কামালের দিকে ডিম ছুড়ে মেরেছেন আইনজীবীরা। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, ওই বেঞ্চে বিচারকাজ চলাকালে একদল আইনজীবী এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি একজন বিচারপতি হয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এখনও ওই চিন্তাভাবনা পোষণ করলে আপনার বিচারকাজ পরিচালনার অধিকার নাই।’
একপর্যায়ে আইনজীবীদের মধ্য থেকে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারা হয়। তবে ছুড়ে মারা ডিম বিচারপতির আসনের সামনে থাকা ডেস্কে লাগে। এরপর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম এজলাস ছেড়ে নেমে খাস কামরায় চলে যান।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল তার পর্যবেক্ষণে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
‘চিন্ময় দাসের কাজ ও বক্তব্যের দায় ইসকন নিবে না’
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)। যেখানে বলা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের কাজ ও বক্তব্য একান্তই তার নিজের। এর দায় ইসকন নেবে না।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানিয়েছেন ইসকনের সাধারণ সম্পদক চারু চন্দ্র দাস ব্রক্ষ্মচারী। এ সময় ভারতের মন্তব্যে সম্পৃক্ত না থাকার দাবিও করে সংগঠনটি।
ইসকনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সবাইকে পুনরায় অবহিত করতে চাই যে, অনেক মাস আগেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইসকনের সাংগঠনিক পদ/পদবীসহ ইসকনের যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং উল্লেখ করা হয় যে, তাদের দ্বারা সংঘটিত কার্যক্রম ইসকনের কার্যক্রম নয়।’
চারু চন্দ্র বলেন, ‘গত ৩ অক্টোবর অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয় যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (চন্দন কুমার ধর) ইসকন বাংলাদেশের মুখপাত্র নন। তাই তার বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। অতএব, লীলারাজ গৌর দাস, স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বক্তব্য এবং কৃতকর্মের জন্য ইসকন বাংলাদেশ কোনোভাবেই দায়বদ্ধ নয়।’
ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যু ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসকন বাংলাদেশকে অন্যায়ভাবে দায়ী করার অপচেষ্টা চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা এবং চলমান আন্দোলনের সঙ্গে ইসকন বাংলাদেশের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এই মিথ্যাচার এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সড়ক দুর্ঘটনার মতো বিষয়গুলোকেও ইসকনের চক্রান্ত বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
এরপরও দুঃখজনকভাবে কিছু বিশেষ মহল ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করার মতো অযৌক্তিক দাবি তুলছে, যোগ করেন তিনি।
গত ২৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ইসকন নিষিদ্ধ নিয়ে যা জানালো হাইকোর্ট
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবামৃত সংঘ- ইসকনের বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। এসময় উচ্চ আদালত বলেন, ইসকন নিষিদ্ধ হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার, এনিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিৎ হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে আরও জানান, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৩ জনকে। এসময় সরকারের নেয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও দেশের সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে যা কখনো ভাঙবে না। রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, এ বিষয়ে সরকারকে তাদের তৎপরতা জারি রাখতে হবে।
ইসকন নিষিদ্ধ চাওয়া আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন বলছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ইসকন।
এর আগে ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে এনে ইসকনের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে আদালতের কাছে আবেদন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।
এর আগে বুধবার (২৭ নভেম্বর) ‘ইসকন’ কি ধরনের সংগঠন, এই সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন আছে কি না, কারা এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে এ তথ্য আদালতে জানাতে বলা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সেই তাপসী তাবাসসুম
মানহানির অভিযোগে করা মামলায় সমন পেয়ে সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম উর্মি আদালতে হাজির হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে জামিনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৮ অক্টোবর তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসেনের আদালত ২৮ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ২৮ নভেম্বর তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন বিচারক।
এর আগে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বাদী হয়ে একই আদালতে তাপসীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদের পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মির বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলার আবেদন হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে আবু হানিফ বাদী হয়ে এ আবেদন করেন। বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে এ বিষয়ে আদেশ পরে হবে বলে জানান আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. খাদেমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত ৫ অক্টোবর আসামি উর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লেখেন। এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকার প্রধান সম্পর্কে বিষোদগার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।’
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। তবে কী কারণে তাঁকে ওএসডি করা হয়েছে তা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি।
তাপসী তাবাসসুম উর্মি ফেসবুকে লেখেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়’।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
প্রধান সড়কে বন্ধ হচ্ছে অটোরিকশা
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা না চালাতে পুলিশের দেয়া প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন মালিক-শ্রমিকপক্ষ। বুধবার ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মো.ওবায়দুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, মালিক, গ্যারেজ মালিক ও রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল এদিন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে। তবে ভেতরের সড়কগুলোতে পূর্বের মতো এসব যান চলবে।
চেম্বার আদালতের রায়ের আলোকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এখন থেকে প্রধান সড়কে কোনো অটোরিকশা চলবে না। তবে ভেতরের সড়কগুলোতে পূর্বের মতো এসব যান চলবে। এছাড়া নতুন কোনো অটোরিকশা যাতে রাজধানীর রাস্তায় না নামে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার তাগিদ দেন।
ট্রাফিক আইন মেনে চলা ও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার।
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করেছিলেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর এলাকায় তিনদিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন তার ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন চেম্বার আদালত।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রিকশাচালক ও মালিকদের একটি প্রতিনিধি দলকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলবে না: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, এখন থেকে প্রধান সড়কে কোনো অটোরিকশা চলবে না। তবে ভেতরের সড়কগুলোতে পূর্বের মতো এসব যান চলবে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, মালিক, গ্যারেজ মালিক ও রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
চেম্বার আদালতের রায়ের আলোকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এখন থেকে প্রধান সড়কে কোনো অটোরিকশা চলবে না। তবে ভেতরের সড়কগুলোতে পূর্বের মতো এসব যান চলবে। এছাড়া নতুন কোনো অটোরিকশা যাতে রাজধানীর রাস্তায় না নামে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার তাগিদ দেন।
ট্রাফিক আইন মেনে চলা ও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার।
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করেছিলেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর এলাকায় তিনদিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন তার ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন চেম্বার আদালত।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রিকশাচালক ও মালিকদের একটি প্রতিনিধি দলকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয়।
বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসানসহ ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও ঢাকার বিভিন্ন থানার ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, মালিক, গ্যারেজ মালিক ও রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।