পুঁজিবাজার
আইপিওর অর্থ নয়ছয়, কাট্টালি টেক্সটাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) উত্তোলিত অর্থ অপব্যবহার ও ‘নয়ছয়’ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ইতোমধ্যে বিএসইসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। বিএসইসির ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সিআইডি। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বিএসইসির উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেন্ত কমিশন গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের আইপিও অর্থ ব্যবহারসহ অন্যান্য বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ পুলিশ বরাবর প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অতএব, এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।
কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেড ২০১৮ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু, দীর্ঘ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কোম্পানিটি আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থ হয়। কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের মাধ্যমে মূলধনী যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন এবং আইপিও খরচ বহন করার জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে তহবিল ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু, ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের মাত্র ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যবহার করেছে।
কোম্পানিটির আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতা জানতে ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি কমিটি তদন্ত গঠন করে বিএসইসি। কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাসুদ খান।
জানা গেছে, কাট্টালি টেক্সটাইল পুঁজিবাজারের অন্যতম আলোচিত কোম্পানি। আইপিও তহবিল উত্তোলনের বিষয়টি বেশ বিতর্কিত ছিল। কিছু বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সুবিধা ব্যবহার না করে কেবল চট্টগ্রামে এর কারখানা ভবন থেকে ভাড়া আদায়ের ওপর নির্ভর করে চলছে। পরবর্তী সময়ে কোম্পানিটি নির্ধারিত সময়ে আইপিও তহবিল সঠিকভাবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি সময়মতো তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রত্যাশিত রিটার্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কোম্পানিটির আর্থিক বিবরণীসহ সার্বিক ব্যবসা কার্যক্রম যাচাই করে দেখেছে বিএসইসির তদন্ত কমিটি। সেখানে কোম্পানিটির আইপিওর অর্থ নয়ছয় করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর আগে আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতার জন্য ২০২০ সালের জুলাই মাসে বিএসইসি কাট্টালি টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ১ কোটি টাকা জরিমানা করে এবং স্বতন্ত্র ও মনোনীত পরিচালক ব্যতীত অন্য পরিচালকদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এবার সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছে বিএসইসি।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ০.২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ০.০২৫ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা। তবে, ঘোষিত লভ্যাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের দেওয়া হবে না। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গত ২১ নভেম্বর হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ অক্টোবর। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে (০.৮৪) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.৩২) টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫.০২ টাকা।
কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেড বিভিন্ন ধরনের পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ দেওয়ার নাম-গন্ধও নেই। ২০২১ সালের পর ২০২৪ সালে কোম্পানিটি নামমাত্র লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই, এ কোম্পানিকে ‘জেড’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভ রয়েছে ৫৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৬ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ১১ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার ২০০টি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির উদ্যেক্তা পরিচালকদের হাতে ৩০.৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২১.৭৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৭.৬২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল ‘নয়ছয়’ করার অভিযোগ ছিল। বিএসইসির তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে তা প্রমাণ হয়েছে। তাই, মানিলন্ডারিং আইন অনুযায়ী সিআইডিকে এ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির মিডিয়া উইংয়ের প্রধান (বিশেষ পুলিশ সুপার) আজাদ রহমান বলেন, আমরা এখনো এ ধরনের কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
ব্লকে ৩৭ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৮২১টি শেয়ার ৫৩ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩৭ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ব্লকে সবচেয়ে বেশি এসিআই লিমিটেডের ২৫ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ৪ কোটি ৯৭ লাখটাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা বীচ হ্যাচারীর ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে চার কোম্পানি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চার কোম্পানি গত ৩০ জুন,২০২৪ অর্থবছরের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রেরণ করেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো- সোনালী আঁশ, রহিমা ফুড, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং কুইন সাউথ টেক্সটাইল।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলো সমাপ্ত হিসাববছরের নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের পাঠিয়েছে।
সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সোনালী আঁশ ১০ শতাংশ, রহিমা ফুড ১০ শতাংশ নগদ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ১ শতাংশ নগদ এবং কুইন সাউথ টেক্সটাইল ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জেড থেকে এ ও বি ক্যাটাগরিতে ফিরলো দুই কোম্পানি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির ক্যাটাগরির উন্নতি হয়েছে। কোম্পানি দুটি হিসাববছরের ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করায় জেড ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
কোম্পানি তিনটি হচ্ছে- রহিমা ফুড এবং শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রহিমা ফুড গত ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত সময়ের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। আর সমাপ্ত সময়ের জন্য শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়ে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে।
আগামীকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে কোম্পানিগুলো ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।
তবে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানি দুটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার সংস্কারে দুই সুপারিশ টাস্কফোর্সের

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বাজারের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স কমিশনের নিকট বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিষয়ে খসড়া সুপারিশ পেশ করেছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিকট সংস্কার টাস্কফোর্স সুপারিশসমূহ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মোহাইমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা হয়েছে।
এতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিষয় তথা- সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১ এবং মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর যুগোপযোগীকরণের বিষয়ে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স খসড়া সুপারিশ দিয়েছেন।
এসময় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, কমিশনার মো. আলী আকবর ও কমিশনার ফারজানা লালারুখ উপস্থিতি ছিলেন।
সুপারিশসমূহ হস্তান্তরের সময় টাস্কফোর্সের সদস্যবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের (বিয়াক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কে এ এম মাজেদুর রহমান, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং-এর জ্যেষ্ঠ অংশীদার এ এফ এম নেসার উদ্দীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন উপস্থিত ছিলেন। এসময় পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশের মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারের সংস্কারের প্রক্রিয়া অধিকতর গতিশীল রূপ পাবে বলে সকলে একমত হন।
পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স মোট ১৭টি কার্যপরিধি বা মূল দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। কার্যপরিধির আলোকে আগামীতে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ইস্যুতে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের আরো সুপারিশ আসবে। সুপারিশসমূহের কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন ও সংস্কার নিশ্চিত হবে বলে এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সংস্কার ও উন্নয়নে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। সর্বোপরি, পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা সাপেক্ষে দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ও কল্যাণ বিবেচনায় রেখেই টাস্কফোর্সের সুপারিশের ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সংস্কার সাধনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং পুঁজিবাজারে আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স গঠন করে বিএসইসি। পরবর্তীতে টাস্কফোর্সের পরামর্শে এবং তাদের কাজের সহযোগিতার জন্য পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ’ গঠন করা হয়। বিএসইসি কর্তৃক গঠিত ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ ও ‘পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ’ পুঁজিবাজারের সুশাসন উন্নত করা, অভ্যন্তরীণ সুশাসন শক্তিশালী করা এবং আন্তর্জাতিক মানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাসহ সর্বোপরি দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পেপার প্রসেসিংয়ের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯টি কোম্পানির মধ্যে ১১৯ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এদিন দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে ৪ টাকা বা ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। তাতে দরপতনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকারেনউইক যজ্ঞেশ্বর এর দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ২৩ টাকা ৪০ বা ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ৬০ পয়সা বা ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মা ।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ঝিল বাংলা ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, পিপলস লিজিং ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, মেঘনা সিমেন্ট ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ, গ্লোবাল হেভী ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, অলটেক্স ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, হামি ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং বিডি থাই ৩ দশমিক ২১ শতাংশকমেছে।
কাফি