কর্পোরেট সংবাদ
এভারকেয়ার হসপিটালে চিকিৎসা নিয়েছে পাঁচ শতাধিক স্ট্রোক রোগী

বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম সফলভাবে পাঁচ শতাধিক স্ট্রোক রোগীর চিকিৎসা সম্পন্ন করেছে। যাদের মধ্যে ১৫ জনের জীবন থ্রম্বোলাইসিস পদ্ধতির মাধ্যমে রক্ষা করা হয়েছে। এই সাফল্য নিউরোলজিক্যালসহ সব রকম উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এভারকেয়ার হসপিটালের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
আজ (২৭ নভেম্বর) হসপিটালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সাফল্য উদযাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নিউরোলজি কনসালট্যান্ট ডা. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন; নিউরোলজি কনসালট্যান্ট ডা. সোমেন চৌধুরী এবং এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের সিওও সামির সিং প্রমুখ। সেখানে চিকিৎসক ও স্ট্রোক থেকে সুস্থ হওয়া রোগীরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সামির সিং বলেন, “আজকের এই অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই সাফল্য আমাদের সময়োপযোগী ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন বলে আমি মনে করি। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের আমি বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই, কারণ তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।”
ডা. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, “স্ট্রোক চিকিৎসায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে থ্রম্বোলাইসিসের মতো চিকিৎসায় রোগীর জীবন রক্ষার পাশাপাশি ভালো ফলাফলও নিশ্চিত হতে পারে। তাই স্ট্রোকের পর রোগীকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার আওতায় আনতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।”
ডা. সোমেন চৌধুরী বলেন, “স্ট্রোকের চিকিৎসা শুধু জীবনই বাঁচায় না, এটি নতুন জীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে আশাবাদী করে তোলে। আমাদের সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতি জরুরি সেবা প্রদান থেকে শুরু করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া পর্যন্ত রোগীদের সার্বিক সহায়তা প্রদানে বদ্ধ পরিকর।”
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম উন্নত স্ট্রোক চিকিৎসা ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রদানে সর্বদা সচেষ্ট। চট্টগ্রামের মানুষের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসক থেকে শুরু করে দক্ষ কর্মীবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
জিপিএইচ ইস্পাত ও পিডব্লিউডির যৌথ গবেষণা প্রকাশ

দেশের শীর্ষস্থানীয় রিবার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে একটি টেকনিক্যাল সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে যৌথভাবে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়, যেখানে দেশের খ্যাতনামা প্রকৌশলীরা অংশগ্রহণ করেন। গবেষণায় উচ্চ শক্তিসম্পন্ন রিবার বি৬০০ডি-আর এবং কাঙ্খিত কংক্রিট কিভাবে আরসিসি বিল্ডিং ডিজাইনে কার্যকর এবং সাশ্রয়ী সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। একইসঙ্গে, ‘রিবার গ্রেড বি৬০০ডি-আর’যে পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়ক—তাও তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আকতার। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল।
আরও উপস্থিত ছিলেন- বুয়েটের অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান, সাবেক অধ্যাপক ড. ফকরুল আমিনসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ. এইচ. মোহাম্মদ মতিউর রহমান (পি. ইঞ্জ.), প্রকৌশলী আবুল ফারাজ খান (পি. ইঞ্জ.), গণপূর্ত ডিজাইন বিভাগের প্রধান সাবেক প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব (পি. ইঞ্জ.) এবং হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক (পি. ইঞ্জ.)। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীবৃন্দ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে দুটি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান (পি. ইঞ্জ.) তাঁর গবেষণায় দেখান, উচ্চ শক্তির রিবার ব্যবহার আরসিসি বিল্ডিং ডিজাইনে অত্যন্ত কার্যকর এবং সুউচ্চ ভবনের ক্ষেত্রে রিবার কনজেশন কমিয়ে খরচ হ্রাসে সহায়তা করে। একইসঙ্গে এটি পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ ও গ্রীনহাউস গ্যাস কমিয়ে টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
দ্বিতীয় গবেষণা পত্র মো. জাহিদ হাসনাইন ব্যাখ্যা করেন উচ্চশক্তির রিবারের সাথে কাঙ্খিত কংক্রিটের শক্তিমাত্রা, সামঞ্জস্যতা এবং উচ্চশক্তি রিবার ব্যবহারের সম্পর্কিত অন্যান্য দিকগুলো। সেমিনারে অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান ও অধ্যাপক ড. ফখরুল আমিন বর্তমান বিএনবিসি ২০২০ এ উল্লেখিত অধ্যায়-২, অংশ-৫ অনুচ্ছেদ ২.১.১ এর নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্চ শক্তি রিবার ব্যবহারের কথা বলেন।
সাবেক প্রকৌশলী এ এইচ মো. মতিউর রহমান বিল্ডিং কোড বিএনবিসি ২০২০ হালনাগাদ করার মাধ্যমে উচ্চশক্তির রিবার ব্যবহারের পরামর্শ দেন এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের হালনাগাদ এসওআর এ অন্তর্ভুক্তির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। হাউসিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক মো. আবু সাদেক বলেন, নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং পরিবেশেরবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। সেক্ষেত্রে জিপিএইচ ইস্পাত অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে যা প্রশংসনীয়। টেকসই উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে এইচবিআরআই কে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান যেখানে জিপিএইচ ইস্পাত সহযোগিতা করতে পারে।
জিপিএইচ ইস্পাতের টেকনিক্যাল হেড মো. সাইফুল ইসলাম দেশব্যাপী উচ্চ শক্তি রিবার সহজলভ্য করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং মানসম্পন্ন রিবার উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তিকে অনুসরণ করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।
জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল বলেন, গবেষণার মাধ্যমে আমাদের উন্নতি করতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরগুলোও গবেষণার জন্য উদ্যোগ নেয়। জিপিএইচ ইস্পাত বুয়েট, এমইএসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে গবেষণার কাজ করছে এবং আমরা জাপানের টোকিয়ো ইউনিভার্সিটিতে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের দল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছি। সেখানে তারা বিভিন্ন মেয়াদে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন, যা আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। জিপিএইচ ইস্পাত শুধু ব্যবসায়িক লক্ষ্য পূরণে নয়, দেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতাও রয়েছে। তাই আমরা দেশের উন্নয়নে বিশেষত গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি) প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, জিপিএইচ ইস্পাত নির্মাণ খাতে গবেষণায় বিনিয়োগ করে তাদের দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তাদের যৌথ গবেষণা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ ধরনের গবেষণা অব্যাহত রাখা জরুরি। ভবিষ্যতের নির্মাণ কাজে নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে আরও দক্ষতা আনার জন্য জিপিএচের মতো আরও কোম্পানিকে এগিয়ে আসা উচিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সেনা কল্যাণ সংস্থায় মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান

সেনা কল্যাণ সংস্থার সুধীজন এবং ব্যবসায়িক অংশীজনবৃন্দের সঙ্গে মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. হাবিব উল্লাহসহ বিভিন্ন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এসকেএস টাওয়ারের সেনা গৌরব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল আব্দুল হাফিজ (অব.) উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সাবেক সেনা প্রধান, সেনা কল্যাণ সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান, সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সংস্থার অংশীজনবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের মধ্যে কয়েকজন তাঁদের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন। সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. হাবীব উল্লাহ অনুষ্ঠানে তাঁর দিক- নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র এবং নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। সেনা কল্যাণ সংস্থার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
রবি-এয়ারটেল অ্যাপে পিন ছাড়াই বিকাশ পেমেন্টে রিচার্জ সুবিধা

এখন মাই রবি ও মাই এয়ারটেল অ্যাপে বিকাশ অ্যাকাউন্টকে যুক্ত করে গ্রাহকরা পিন ছাড়াই নিরবচ্ছিন্নভাবে টক-টাইম, ইন্টারনেটসহ অন্যান্য সেবার পেমেন্ট করতে পারছেন। পাশাপাশি, ‘পছন্দের পেমেন্ট পার্টনার’ হিসেবেও বিকাশ-কে যুক্ত করা হয়েছে মাই রবি ও মাই এয়ারটেল অ্যাপ দুটিতে। এছাড়া, বিকাশ অ্যাপ থেকেও পছন্দমতো রবি’র ‘ইজি প্ল্যান’ ও এয়ারটেল-এর ‘মাই প্যাক’ কেনার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
এদিকে, ‘মাই রবি’ অ্যাপ থেকেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার সেবাও সম্প্রতি শুরু হয়েছে।
উদ্ভাবনী এই সেবাগুলো গ্রাহকদের ডিজিটাল লাইফস্টাইলকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক, নিরাপদ ও ঝামেলাহীন করে তুলবে। গ্রাহকরা বিকাশ-কে একবার পছন্দের পেমেন্ট অপশন হিসেবে যুক্ত করে নিলে ওটিপি বা পিন ছাড়াই ওয়ান-ক্লিকে ডিজিটাল কনসেন্ট (সম্মতি) দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন। পাশাপাশি, বিকাশ অ্যাপের ‘আমার বিকাশ’ অপশন এ রবি ও এয়ারটেল গ্রাহকরা রবি’র ‘ইজি প্ল্যান’ ও এয়ারটেল-এর ‘মাই প্যাক’ থেকে নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী অফার বেছে নিতে পারবেন।
এছাড়া, এখন ‘মাই রবি’ অ্যাপ থেকেই সহজে ও নির্বিঘ্নে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন রবি গ্রাহকরা। ‘মাই রবি’ অ্যাপের ‘সার্ভিস’ সেকশনে এখন থেকে ‘বিকাশ রেজিস্ট্রেশন’ নামে একটি ডেডিকেটেড আইকন থাকবে, যেখানে গ্রাহকরা মাত্র এক ক্লিকেই বিকাশ-এর গ্রাহক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। কিছু ভেরিফিকেশন ও সম্মতির পর গ্রাহকের জন্য বিকাশ নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে ই-কেওয়াইসি (ইলেকট্রনিক নো ইওর কাস্টমার) প্রক্রিয়াটি পূরণ করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিজনেস রিভিউ সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চট্টগ্রাম সাউথ জোন, চট্টগ্রাম নর্থ জোন, খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখার বিজনেস রিভিউ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) চট্টগ্রাম রিজিওনাল সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জি.এম. মোহা. গিয়াস উদ্দিন কাদের ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু নোমান মো. সিদ্দিকুর রহমান।
চট্টগ্রাম নর্থ জোনপ্রধান এম. জুবায়ের আজম হেলালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সাউথ জোনপ্রধান আবদুল নাসেরসহ ২টি কর্পোরেট শাখা ও জোনদ্বয়ের অধীন শাখাসমূহের ব্যবস্থাপকগণ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের নতুন সংযোজন আমেরিকান এক্সপ্রেস মেটাল কার্ড

বাংলাদেশের প্রথম আমেরিকান এক্সপ্রেস মেটাল কার্ড নিয়ে এলো দেশের বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক লিমিটেড পিএলসি। এর নাম সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্ল্যাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ড। আমন্ত্রণের মাধ্যমে প্রাপ্ত এ কার্ড ব্যক্তিগত সেবা, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সহায়তা, সাশ্রয় এবং আকর্ষণীয় সুবিধার সমন্বয়ে গঠিত, যা গ্রাহকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার একটি হোটেলে সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্ল্যাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ড উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অরূপ হায়দার, হেড অব কার্ড তৌহিদুল আলমসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই কার্ডে মেম্বাররা তাদের জীবনধারার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ২০ হাজার টাকা মূল্যের এক্সক্লুসিভ ওয়েলকাম গিফট ভাউচার পাবেন। দুই বছরের জন্য বিনামূল্যে ট্যাবলেট প্লাসের মেম্বারশিপ উপভোগ করবেন। যা আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল বুটিক হোটেল এবং ব্র্যান্ডসমূহে বিশেষ সুবিধা দেবে ব্যাংকটি।
কার্ড মেম্বাররা এই কার্ডের আওতায় বিনামূল্যে প্রায়োরিটি পাস মেম্বারশিপ পাবেন এবং দুজন অতিথিসহ বিশ্বের এক হাজার ৭০০-এরও বেশি বিমানবন্দর লাউঞ্জে অবারিত প্রবেশাধিকার উপভোগ করবেন। এছাড়াও ফাস্টট্র্যাক ভিআইপি মিট অ্যান্ড গ্রিট সার্ভিসে ১০ শতাংশ ছাড়ে তাদের বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে সিক্সট রেন্ট-এ-কার লয়্যালটি প্রোগ্রামে বিনামূল্যে সদস্যপদ, যেখানে কাউন্টারে প্রাধান্য সেবা, ছাড়, ফ্রি আপগ্রেড এবং আরও অনেক সুবিধা।
এই কার্ডে প্রত্যেক কার্ড মেম্বারের জন্য থাকছে একজন নির্ধারিত রিলেশনশিপ ম্যানেজার, যিনি তাদের অ্যাকাউন্টসংক্রান্ত সব ধরনের সহায়তা দেবেন। এছাড়াও থাকছে রিয়েল-টাইম অটো-ডেবিট সুবিধা, যা নির্বিঘ্নে তাদের সব কার্ড লেনদেন নিশ্চিত করবে। আর এই কার্ডে নির্বাচিত মার্চেন্টদের কাছে কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকেরা ১০ গুণ পর্যন্ত মেম্বারশিপ রিওয়ার্ডস পয়েন্ট উপার্জন করতে পারবেন।
এই পয়েন্ট ব্যবহার করে বার্ষিক ফি, বকেয়া বিল পরিশোধ, এমনকি খ্যাতনামা আউটলেটে কেনাকাটা ও ডাইনিং করতে পারবেন। এই কার্ডে আরও রয়েছে এক্সক্লুসিভ ডাইনিং অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেশের রেস্টুরেন্টে কিউরেটেড ডাইনিং এবং বাংলাদেশের শীর্ষ ফাইভ-স্টার হোটেলে ‘বাই ১ গেট ২’ ব্যুফে অফার।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্ল্যাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ডে আমাদের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। যা বাংলাদেশে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতার সংজ্ঞা নতুনভাবে তৈরি করেছে এবং গ্রাহকদের জন্য ভ্রমণ ও জীবনধারার বিশেষ সুবিধা নিয়ে এসেছে। এটি ক্রেডিট কার্ড সেবায় একটি নতুন স্থাপন করবে, যা সিটি ব্যাংক ও আমেরিকান এক্সপ্রেসের সম্মিলিত উৎকর্ষকে তুলে ধরে।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, মেটাল কার্ড আমার কাছে খুব একটা বড় বিষয় নয়। যেটা সত্যিকার অর্থে এটিকে আলাদা করে তোলে তা হলো আমেরিকান এক্সপ্রেসের শতবর্ষের গ্রাহক প্রতিশ্রুতির ঐতিহ্য।
আমেরিকান এক্সপ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার, গ্লোবাল নেটওয়ার্ক সার্ভিসেস, এশিয়া এবং সাউথ প্যাসিফিক গ্রোথ মার্কেটস দিব্যা জৈন বলেন, এই উদ্বোধন আমাদের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি বাংলাদেশের প্রথম মেটাল কার্ড। কার্ডটি শুধুমাত্র একটি পেমেন্ট সল্যুশন নয়, বরং এটা তাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যারা প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা এবং সুবিধাকে মূল্য দেন।
সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্লাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ড মেম্বারদের ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশাকে পূরণ করে এবং শুধু আর্থিক সুবিধাই নয়, বরং একটি সত্যিকার অসাধারণ জীবনধারা উপহার দেয়।