পুঁজিবাজার
আইসিবিকে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রদানের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা আনতে বিনিয়োগের জন্য সরকারি সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই অনুমোদন দিয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। আজ (২৭ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চিঠি ইস্যু হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর আইসিবিকে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রদানে সভরেন গ্যারান্টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব বরাবর চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকেও এ চিঠি পাঠানো হয়।
গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) প্রস্তাবিত ঋণ পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে এবং উচ্চহার সুদে গ্রহণ করা তহবিল পরিশোধের মাধ্যমে নিজস্ব আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ করবে। তাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর অনুকূলে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ এবং ঋণের ওপর অর্জিত বা আরোপিত সুদ অথবা এর (আসল ও সুদ) কোনো অংশ আইসিবি পরিশোধে অসমর্থ হলে সরকার যথানিয়মে তা পরিশোধ করবে।
তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সরকারকে প্রদেয় মুনাফা থেকে অপরিশোধিত বা বকেয়া ঋণ বা ঋণের ওপর ধার্য সুদ সমন্বয় করা যাবে না। এ গ্যারান্টির মেয়াদ ইস্যুর তারিখ থেকে ১৮ মাসের জন্য বলবৎ থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার নতুন নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণায় নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকখাতের মূলধন কাঠামোকে শক্তিশালী করতে শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ নীতিমালায় বেশকিছু কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নতুন নীতিমালায়, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ শতাংশের তারা দিতে পারবে না লভ্যাংশ।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ২৩টি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২৪ এর ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিংখাতে খেলাপি ঋণের অনুপাত ২০ শতাংশেরও বেশি।
নতুন নীতিমালা ২০২৫ সালের লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশের নীতিমালা করে- তা পরিপালনের জন্য সকল তফসীলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে।
নতুন নীতিমালায় কেবলমাত্র পঞ্জিকাবষের্র মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা যাবে; পূর্বের পূঞ্জীভূত মুনাফা হতে কোন নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করা যাবে না।
কোনো ব্যাংকের নগদ জমার হার (সিআরআর) ও সংবিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত (স্ট্যাচুটরি লিকুইডিটি রেশিও—এসএলআর) ঘাটতির কারণে দণ্ড সুদ ও জরিমানা অনাদায়ী থাকলে এমন ব্যাংকগুলোও লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
এছাড়া ব্যাংকের ঋণ, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে কোন প্রকার প্রভিশন ঘাটতি থাকা যাবে না।
একইসঙ্গে কোন ব্যাংকের প্রভিশন সংরক্ষণ ও অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোন প্রকার ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ করলে তারাও লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
লভ্যাংশের শর্তগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করতে পারলেও একটি ব্যাংক শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষিত লভ্যাংশের পরিমাণ কোনক্রমেই পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশের অধিক হবে না। তবে যেসব ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর পর, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২.৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে—- তারা সামর্থ্য অনুসারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে।
সেক্ষেত্রে, তাদের লভ্যাংশ প্রদানের অনুপাত সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশের বেশি হবে না, এবং লভ্যাংশ বিতরণ পরবর্তী মূলধন পর্যাপ্ততার হার কোনভাবেই ১৩.৫ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না।
কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১২.৫ শতাংশের বেশি, কিন্তু ১৫ শতাংশের কম মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সেসব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে, লভ্যাংশ প্রদানের অনুপাত সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ হতে পারবে, এবং লভ্যাংশ বিতরণ পরবর্তী মূলধন পর্যাপ্ততার হার কোন ভাবেই ১২.৫ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না।
ব্যাংক ব্যবস্থায় বিপুল খেলাপি ঋণ আর মূলধন ঘাটতি নিয়ে অনেক বছর ধরেই আলোচনাস-সমালোচনা চলছে। এতে হুমকির মুখে ব্যাংকখাতের টেকসইতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এসব নির্দেশনা সেই প্রেক্ষাপটেই এসেছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, এর ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি রয়েছে, এমন ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণা বন্ধ করা যাবে। নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এ ধরনের কঠোর নীতিমালার ফলে ব্যাংকগুলো তাদের ব্যালেন্স শিট শক্তিশালী করতে উদ্যমী হবে এবং শেয়ারহোল্ডারদের রিটার্নের চেয়ে বেশি নজর দেবে আমানতের সুরক্ষায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রাইম ব্যাংকের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং বাকীটা ২ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৪৭ পয়সা, যা আগের বছর ৪ টাকা ২৫ পয়সা ছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৪ টাকা ৭ পয়সা।
আগামী ৫ মে সকাল ১১ টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ এপ্রিল।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লিন্ডে বাংলাদেশের চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৪০০ শতাংশ নগদচূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গতবছরের ৪ সেপ্টেম্বর লিন্ডে বিডির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪১০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, যা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত লভ্যাংশ নিয়ে কোম্পানিটি মোট ৪৫০০ শতাংশ লভ্যাংশ দিচ্ছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি এক্সট্রা-অর্ডানারি আয়সহ শেয়ার প্রতি আয় (EPS) করেছে ৪২১ টাকা ৯৪ পয়সা। এ সময়ে মূল ব্যবসা থেকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২৪ টাকা ৯২ পয়সা, যা আগের বছর ১৫ টাকা ২ পয়সা ছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২৯ টাকা ৩৪ পয়সা
আগামী ২৯ মে সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ এপ্রিল।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৯ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ২৪টি কোম্পানির ১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কোম্পানিগুলোর মোট ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৭৭ টি শেয়ার ৬১ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৯ কোটি ৫৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সিঙ্গার বিডির ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার , দ্বিতীয় স্থানে ট্রাস্ট ব্যাংকের ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে লাভেলোর ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারদর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ফান্ডটির ইউনিট দর আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্সের শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে। আর এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ইসলামিক ফাইন্যান্সের দর কমেছে ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে- উত্তরা ফাইন্যান্সের ৩.৩৩ শতাংশ, পি এইচ পি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৩.২৩ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৩.০৯ শতাংশ, লিন্ডে বাংলাদেশের ৩.০১ শতাংশ, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের ৩.০০ শতাংশ, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের ২.৯৭ শতাংশ এবং প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ২.৯৪ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি