পুঁজিবাজার
ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে শেয়ার কারসাজি দূর করা সম্ভব: অর্থসচিব

পুঁজিবাজারে শেয়ার কারসাজি ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। এবিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কাজ করবে বলেও মনে করছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ সচিব বলেন, এখন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো আজকের আলচনায় উঠে এসেছে। সরকার সহ বড় বড় সবাই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। এখন ব্যাংকগুলোর অবস্থা শোচনীয়। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে আসতে হবে, এজন্য মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইসিবি সরকারের পক্ষে কাজ করছে। বিএসইসি রেগুলেশন নিয়ে কাজ করছে। আইসিবিকে যে ৩ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে, তা পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের পজিটিভ চিন্তার ফল।
অনুষ্ঠানে, সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) অধ্যাপক আবু আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মন্ডল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর নীতি) একেএম বদিউল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান (বিএসইসি) খন্দকার রাশেদ মকসুদ, বিএসইসির কমিশনার মহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, ফারুক আহমদ সিদ্দিকী।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মোর্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মিনহাজ জিয়া।
বিএসইসি কমিশনার আলী আকবর বলেন, পুঁজিবাকারে অনেকগুলো আইন রয়েছে। কমিশন অনেকদূর এগিয়েছি। আমরা এখন কেউ বলতে পারবো না যে, আমরা চাপে আছি। এমন পরিস্থিতিতে যার যার যায়গা থেকে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে না পারি তাহলে সবার ব্যর্থতা হবে। এখন থেকে পুঁজিবাজার তার নিজের গতিতে চলবে।
আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন অনেক ক্ষেত্রে ভূয়া। এসব তথ্য প্রকাশের পর দেখা যায় শেয়ারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এরপর দেখা গেলো আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য সঠিক না। কিছু প্রণোদনা ছাড়া ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনা কঠিন। সরকার কোথাও কোনো টাকা দিতে চায় না। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বেশি দিতে চায়না। এরপরও পুঁজিবাজারের জন্য আইসিবিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। মার্কেটের সমস্যাগুলো অনেক আগেই চিহ্নত করা হয়েছে।
আইসিবিকে টাকা দিলে পুঁজিবাজারের স্বার্থে ব্যাবহার করা হবে। আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সুদের হার কমতে পারে। আর সুদের হার কমলে পুঁজিবাজারে টাকা আসা শুরু করবে বলেও মনে করছেন আইসিবি চেয়ারম্যান।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ট্যাক্স জিডিপি রেশিও আমাদের বড় দুর্বলতা। এরজন্য সরকারকে অর্থের জন্য ব্যাংক খাতের উপর নির্ভরতা বাড়ছে। আমাদের এখানে আইন বেশি হয়, তবে এর প্রয়োগ কম হয়। পুঁজিবাজারে কোনো সুশাসন নেই। বাজারে বিনিয়োগ না হলে ভালো কোম্পানি কেন আসবে। আইপিওর প্রাইসিং পলিসি নিয়ে টাস্কফোর্সের কাজ করা উচিত।
বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, বিএমবিএ পুঁজিবাজারের চাহিদা ও যোগান দুই পাশেই কাজ করে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। নতুন বাংলাদেশে যাতে করে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা হয় এজন্য আজকের এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের টেকনোলজিতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। তবে ৫ বছর পরে দেখা গেলো পুঁজিবাজারে ডিমিউচুয়ালাইজেশনে দেখা গেছে চাহিদা পূরণ হয়নি। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় আর্থিক অবস্থা দেখে। তবে আমাদের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্বাস করার মতো কিনা সেটা নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত।
সিএসইর চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, এতদিন আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, সেগুলো আবারও বলছি। কারণ বিএসইসি কিছু রিফর্ম উদ্যোগ গ্রহণ করা হছে। সেই রিফর্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদাভাবে তালিকাভুক্ত হতে হয়। এতে খরচ বাড়ে বলেও আলোচনায় উঠে এসেছে। এজন্য আঞ্চলিক যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে চায় সেগুলো সিএসইতে লিস্টেড করা যেতে পারে। এছাড়া মূলধনের ভিত্তিতে কোম্পানিগুলোকে ভাগ করা যায় কিনা সেটি নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটালের সিইও সুমিত পোদ্দার বলেন, দেশের অর্থনীতিতে মানি মার্কেটের উপর নির্ভরতা বেশি। অথচ আমরা সবসময় বলি, পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন করার জন্য সরকারের সহায়তা দরকার।
সুমিত পোদ্দার আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্লোর প্রাইসের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। বাজারে আর কখনো ফ্লোর ফেরত আসবে না এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এটা ভালো করে বুঝাতে হবে। তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আবারো আস্থা ফিরে পাবে। পাশাপাশি মার্কেট ডেভেলপমেন্ট করতে ফাইন্যান্সিয়াল লিটেরেসির দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করা যায়। ভারত এটি করে দেখিয়েছে। বিএসইসিও মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নয়ন করতে কাজ করছে। এরফলে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়বে। আমাদের দেশের বাজারে প্রাইস সেনসেটিভ তথ্যের উন্নতিতে কাজ করা দরকার। কারণ একটা কোম্পানি বিক্রি হবে বা বন্ধ হওয়ার একবছর আগেই সবাই জানতে পারে। তবে সেই তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জে সেই তথ্য জানানো হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে সব সমস্যা শুরু হয় ফাইন্যান্সিয়াল ডিসক্লোজার থেকে। ভুল তথ্যের উপর ভ্যালুয়েশন করা হয়। এটি যেন না হয়, সেজন্য ফরেন্সিক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির কাজ স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইকে দেওয়া উচিত। আমরা এখনো অডিট কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে পারিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, সিঙ্গেল ব্রোয়ার এক্সপোজার ঝুঁকির সঙ্গে জড়িত। বাজার স্থিতিশীল হলে এক্সপোজার উঠিয়ে আরও বাড়ানো হতে পারে। ব্যাংকগুলো ফাইন্যান্স করার আগে দেখে, ইক্যুয়েটি পার্টিসিপ্যান্ট কতটুকু। পুঁজিবাজার ভালো করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার নতুন নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণায় নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকখাতের মূলধন কাঠামোকে শক্তিশালী করতে শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ নীতিমালায় বেশকিছু কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নতুন নীতিমালায়, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ শতাংশের তারা দিতে পারবে না লভ্যাংশ।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ২৩টি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২৪ এর ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিংখাতে খেলাপি ঋণের অনুপাত ২০ শতাংশেরও বেশি।
নতুন নীতিমালা ২০২৫ সালের লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশের নীতিমালা করে- তা পরিপালনের জন্য সকল তফসীলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে।
নতুন নীতিমালায় কেবলমাত্র পঞ্জিকাবষের্র মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা যাবে; পূর্বের পূঞ্জীভূত মুনাফা হতে কোন নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করা যাবে না।
কোনো ব্যাংকের নগদ জমার হার (সিআরআর) ও সংবিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত (স্ট্যাচুটরি লিকুইডিটি রেশিও—এসএলআর) ঘাটতির কারণে দণ্ড সুদ ও জরিমানা অনাদায়ী থাকলে এমন ব্যাংকগুলোও লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
এছাড়া ব্যাংকের ঋণ, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে কোন প্রকার প্রভিশন ঘাটতি থাকা যাবে না।
একইসঙ্গে কোন ব্যাংকের প্রভিশন সংরক্ষণ ও অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোন প্রকার ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ করলে তারাও লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
লভ্যাংশের শর্তগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করতে পারলেও একটি ব্যাংক শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষিত লভ্যাংশের পরিমাণ কোনক্রমেই পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশের অধিক হবে না। তবে যেসব ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর পর, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২.৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে—- তারা সামর্থ্য অনুসারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে।
সেক্ষেত্রে, তাদের লভ্যাংশ প্রদানের অনুপাত সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশের বেশি হবে না, এবং লভ্যাংশ বিতরণ পরবর্তী মূলধন পর্যাপ্ততার হার কোনভাবেই ১৩.৫ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না।
কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১২.৫ শতাংশের বেশি, কিন্তু ১৫ শতাংশের কম মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সেসব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে, লভ্যাংশ প্রদানের অনুপাত সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ হতে পারবে, এবং লভ্যাংশ বিতরণ পরবর্তী মূলধন পর্যাপ্ততার হার কোন ভাবেই ১২.৫ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না।
ব্যাংক ব্যবস্থায় বিপুল খেলাপি ঋণ আর মূলধন ঘাটতি নিয়ে অনেক বছর ধরেই আলোচনাস-সমালোচনা চলছে। এতে হুমকির মুখে ব্যাংকখাতের টেকসইতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এসব নির্দেশনা সেই প্রেক্ষাপটেই এসেছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, এর ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি রয়েছে, এমন ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণা বন্ধ করা যাবে। নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এ ধরনের কঠোর নীতিমালার ফলে ব্যাংকগুলো তাদের ব্যালেন্স শিট শক্তিশালী করতে উদ্যমী হবে এবং শেয়ারহোল্ডারদের রিটার্নের চেয়ে বেশি নজর দেবে আমানতের সুরক্ষায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রাইম ব্যাংকের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং বাকীটা ২ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৪৭ পয়সা, যা আগের বছর ৪ টাকা ২৫ পয়সা ছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৪ টাকা ৭ পয়সা।
আগামী ৫ মে সকাল ১১ টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ এপ্রিল।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লিন্ডে বাংলাদেশের চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৪০০ শতাংশ নগদচূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গতবছরের ৪ সেপ্টেম্বর লিন্ডে বিডির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪১০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, যা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত লভ্যাংশ নিয়ে কোম্পানিটি মোট ৪৫০০ শতাংশ লভ্যাংশ দিচ্ছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি এক্সট্রা-অর্ডানারি আয়সহ শেয়ার প্রতি আয় (EPS) করেছে ৪২১ টাকা ৯৪ পয়সা। এ সময়ে মূল ব্যবসা থেকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২৪ টাকা ৯২ পয়সা, যা আগের বছর ১৫ টাকা ২ পয়সা ছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২৯ টাকা ৩৪ পয়সা
আগামী ২৯ মে সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ এপ্রিল।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৯ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ২৪টি কোম্পানির ১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কোম্পানিগুলোর মোট ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৭৭ টি শেয়ার ৬১ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৯ কোটি ৫৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সিঙ্গার বিডির ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার , দ্বিতীয় স্থানে ট্রাস্ট ব্যাংকের ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে লাভেলোর ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারদর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ফান্ডটির ইউনিট দর আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্সের শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে। আর এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ইসলামিক ফাইন্যান্সের দর কমেছে ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে- উত্তরা ফাইন্যান্সের ৩.৩৩ শতাংশ, পি এইচ পি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৩.২৩ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৩.০৯ শতাংশ, লিন্ডে বাংলাদেশের ৩.০১ শতাংশ, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের ৩.০০ শতাংশ, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের ২.৯৭ শতাংশ এবং প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ২.৯৪ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি