কর্পোরেট সংবাদ
প্রয়োজনের সময় মানবতার পাশে বিকাশ

একদিন মাঝ রাতে হঠাৎ শোরগোলে ঘুম ভেঙ্গে গেল সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের আলেয়ার। উঠেই দেখলেন বাসার মেঝে অবধি পানি চলে এসেছে। স্বামী মাঝ হাওড়ে, সন্তানরাও ছোট ছোট। কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না! এমন সময় এক আত্মীয়ের সহায়তায় সন্তানদের নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। তখন আশ্রয় মিললেও বন্যা শেষে হারিয়েছেন ভিটেমাটি আর পোষা গরু-ছাগলগুলো।
আলেয়ার মতো লাখ লাখ মানুষ প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, পাহাড় ধস, নদীভাঙ্গনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছেন। জাতিসংঘের মানবিক–বিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে গত মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত চার মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১ কোটি ৮৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বছরের প্রথম বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় রিমাল।
গত ২৬ মে এটি উপকূলে আঘাত আনে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৪৬ লাখ মানুষ। দ্বিতীয় ও সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ এবছরের বন্যা। বিগত ৩৪ বছরে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে এটি সবচেয়ে ভয়ংকর বন্যা। এবারের বন্যায় দেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৫৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এভাবেই বাংলাদেশের মানুষের জীবনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। মোটামুটি প্রতিবছরই নানা দুর্যোগ বহু মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করে, ধ্বংস করে অবকাঠামো। কিন্তু এই দুর্যোগের মুখেও দেশের মানুষ সাহস, সংগ্রাম এবং অভিযোজনের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।
দুর্যোগ মুহূর্তে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং স্থানীয় জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুতি নেয়। আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা, ত্রাণ সামগ্রী মজুত করা, উদ্ধারকারী দল গঠন করা সহ বিভিন্ন প্রস্তুতির কারণে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়। আবার দুর্যোগের পরেও ত্রাণ বিতরণ, অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে।
তবে এসব উদ্যোগের জন্য প্রয়োজন হয় তাৎক্ষণিক অর্থের জোগান, যা দুর্যোগের সময় অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ব্যাংকিং ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে পড়ায়, আর্থিক সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে যায়। এসময় দেশের যেকোনো প্রান্তে, দ্রুত ও সবচেয়ে সহজে আর্থিক লেনদেন করার সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বিকাশ-এর মতো ডিজিটাল আর্থিক সেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের সুবিধার কারণে এখন মানুষ তার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমেই তাৎক্ষণিক টাকা পাঠিয়ে দিতে পারছেন। আর সেই টাকা নিকটস্থ এজেন্টের কাছ থেকে তুলে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করতে পারছেন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা।
অনেকেই দেশের শীর্ষ দাতব্য ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে অর্থ সহায়তা পাঠানোর মাধ্যমে দুর্যোগ কবলিত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে চান। তাদের জন্যও সুযোগ করে দিয়েছে বিকাশ। বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ত্রাণ তহবিল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ত্রাণ তহবিল, ব্র্যাক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ নৌবাহিনী (বিএনএফডব্লিউএ ডোনেশন ফান্ড), বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কল্যাণ ট্রাস্ট, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, আনঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, প্রথম আলো ট্রাস্ট সহ বিভিন্ন দাতব্য ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিতে পেরেছে সর্বস্তরের মানুষ। এবছর শুধু বন্যার সময় ১৫ লক্ষ বিকাশ গ্রাহক এক বা একাধিকবার অনুদান পাঠিয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানে। শুধু দেশের মানুষই নয়, অনেক প্রবাসীরাও এই সুবিধা ব্যবহার করে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
দুর্যোগের সময় যখন মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হয়ে পড়ে, তখন তাদের সাহায্যের জন্য দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সঠিক তথ্যের অভাবে অনেক সময় সাহায্য যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং সাহায্যকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে নিয়মিত তথ্য প্রদান ও সচেতনতা তৈরিতে বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমে প্রচারণা চালায় বিকাশ। শুধু তাই নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে বিকাশ নিজেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে থেকেছে। রিমাল-এ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে বিকাশ যা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ২,৫০০ পরিবারের অন্তত দু’সপ্তাহের খাবারের জোগান দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা অনুদানের এই অর্থ সরাসরি তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেছেন। নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে কোনো চার্জ ছাড়াই অনুদানের এই অর্থ ক্যাশ আউট করেছেন তারা।
এবারের বন্যায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিকাশ-এর সব কর্মী তাদের এক দিনের বেতন অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া, বন্যার্তদের সহায়তায় গঠিত প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ৫০ লক্ষ টাকা, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ১৫ লক্ষ টাকা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের জরুরি ও উন্নত চিকিৎসাসেবায় অংশ নিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ২০ লক্ষ টাকা অনুদানও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কেবল দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অন্যতম আর্থিক সেবার মাধ্যম হিসেবেই নয়, সময়ের প্রয়োজনে দেশের জন্য প্রতিটি পরিবারের সদস্য হিসেবে বিকাশ নিজেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানবতার পাশে থাকার চেষ্টা করে আসছে।

কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ফরেন ট্রেড’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ

এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ফরেন ট্রেড’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সমাপনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. মো. তৌহিদুল আলম খান উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ প্রদান করেন। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) কবীর আহমেদ ও হারুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে চার দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, উপশাখার ৩০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকের ‘তফসিলভুক্ত ব্যাংকের শাখা কর্তৃক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক কর্মশালা

শাখা-উপশাখায় দেশের বৃহত্তম বানিজ্যিক ব্যাংক আইএফআইসির উদ্যোগে ব্যাংকটির মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত, সুশৃঙ্খল ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘তফসিলভুক্ত ব্যাংকের শাখা কর্তৃক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক কর্মশালা।
শনিবার (১২ জুলাই) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উক্ত কর্মশালাটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা, নোট রিফান্ড রেগুলেশন, নোট সর্টিং, জাল নোট সনাক্তকরণ ও প্রচলন প্রতিরোধ এবং রিপোর্টিং প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক প্রসঙ্গে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
আয়োজনে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন এবং যুগ্ম পরিচালক (ক্যাশ) আব্দুল বাসেদ। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন নীতিমালা এবং আধুনিক নগদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উপর গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের সিলেট শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এবং আইএফআইসি ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান উইলিয়াম চৌধুরী।
কর্মশালাটিতে আইএফআইসি ব্যাংকের ঢাকা ও সিলেট জোনের বিভিন্ন শাখা-উপশাখার চার শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
গৃহিণীদের জন্য এক্সক্লুসিভ সেভিংস অ্যাকাউন্ট আনলো ব্র্যাক ব্যাংক

গৃহিণীদের জন্য ‘তারা হোমমেকার্স’ অ্যাকাউন্ট সেবা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। দেশে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট ডিজাইন করা হয়েছে গৃহিণীদের এক্সক্লুসিভ সব ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা উপহার দিতে।
এই অ্যাকাউন্ট খুলতে কোনো আয়ের প্রমাণপত্রের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, ফরমাল ওয়ার্কফোর্সের বাইরে থাকা যেসব নারীদের স্যালারি স্লিপ, নিয়োগপত্র বা অন্যান্য কাগজপত্র নেই, তাঁরা শুধুমাত্র একটি সেলফ-ডিক্লারেশনের মাধ্যমে সহজেই এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এর ফলে দেশের গৃহিণীদের আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার সাথে যুক্ত হওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বাধা দূর করতে সক্ষম হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ফরমাল ব্যাংকিংব্যবস্থার বাইরে থাকা এসব গৃহিণীরা পারিবারিক আর্থিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, এই উদ্যোগ তার-ই স্বীকৃতি। তাঁদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে অ্যাকাউন্টটিতে রাখা হয়েছে একাধিক সুযোগ-সুবিধা। এখানে ডেবিট কার্ডে নেই কোনো ফি, গ্রোসারি কেনাকাটায় থাকছে ক্যাশব্যাক এবং যেকোনো ব্যালেন্সের থাকছে ইন্টারেস্ট আয়ের সুযোগ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়নের পথ সুগম করেছে। অ্যাকাউন্টটি ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল চ্যানেল ও দেশজুড়ে বিস্তৃত ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহজেই খোলা যাবে।
নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের পরিবারের কথা বিবেচনা করে এই প্রোডাক্টটি ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে অনেক বেশিসংখ্যক নারীদের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। অ্যাকাউন্ট খোলার যোগ্যতা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে মাসিক পারিবারিক আয় ২ লাখ টাকার কম, প্রারম্ভিক জমা অনূর্ধ্ব ৫ লাখ টাকা এবং ছয় মাসে মোট জমা ১২ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না।
ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এই উদ্যোগের বিষয়ে বলেন বলেন, গৃহিণীদের জন্য এই এক্সক্লুসিভ সেভিংস অ্যাকাউন্ট চালু করতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত ও গর্বিত। আমরা বিশ্বাস করি, এই অ্যাকাউন্ট তাঁদের ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করার পাশাপাশি তাঁদের আকর্ষণীয় অনেক সুবিধা দেবে। এটি গৃহিণীদের অমূল্যায়িত শ্রমের স্বীকৃতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের যাত্রায় ব্র্যাক ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই অ্যাকাউন্ট সেবা চালুর মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’ আর্থিক সেবা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে সেসব নারীদের কাছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিংব্যবস্থার বাইরে ছিলেন।
এই অ্যাকাউন্ট চালুর আগে দেশব্যাপী ২,৫০০-এরও বেশি ফ্রন্টলাইন কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ব্যাংকটি। এতে কর্মীরা অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন এবং গ্রাহকদের সঠিকভাবে গাইড করতে প্রস্তুত আছেন, যা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে করবে সহজ ও উপভোগ্য। ব্র্যাক ব্যাংকের উইমেন ব্যাংকিং সেগমেন্ট ‘তারা’-এর অধীনে চালু হওয়া এই অ্যাকাউন্ট উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তির পথে আরও একটি মাইলফলক। গৃহিণীদের জন্য এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট সেবা চালুর মাধ্যমে সেই আর্থিক অন্তর্ভুক্তির দিগন্ত আরও প্রসারিত করলো ব্র্যাক ব্যাংক।
কর্পোরেট সংবাদ
নারী উদ্যোক্তাদের সম্মাননা ও ডিজিটাল ক্ষমতায়নে আইপিডিসির অনন্য উদ্যোগ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘নারী উদ্যোক্তা প্রণোদনা কর্মসূচি ২০২৫’-এ নারী উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদান করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ব্যতিক্রমী নারী উদ্যোক্তাদের তাদের দৃঢ় মানসিকতা, সময়মতো ঋণ পরিশোধ এবং সিএমএসএমই খাতে উদ্যোক্তাগত উৎকর্ষের জন্য সম্মানিত করা হয়।
এ বছরের সম্মাননাপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তারা এসেছেন ঢাকা, যশোর, বগুড়া, বরিশাল, সিলেট, ফরিদপুর, রংপুর, চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ থেকে। তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে উদ্যোক্তাগত দক্ষতা, ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা, আর্থিক শৃঙ্খলা এবং নিজ নিজ কমিউনিটিতে ইতিবাচক প্রভাবের ভিত্তিতে। সম্মাননার পাশাপাশি প্রত্যেককে তাদের ব্যবসা আরও বিস্তৃত ও শক্তিশালী করার জন্য আর্থিক প্রণোদনাও প্রদান করা হয়েছে।
নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির নিরলস প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় ‘নারী উদ্যোক্তা প্রণোদনা কর্মসূচি ২০২৫’ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, ডিজিটাল মানি ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণের মতো দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে এই উদ্যোগ নারী উদ্যোক্তাদের টেকসইভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে। এর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে আইপিডিসি। এ উদ্যোগ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উদ্যোক্তা পরিবেশ গঠনের লক্ষ্যে সংগঠনের স্বপ্নকে প্রতিফলিত করে, যেখানে নারীরা উন্নতি করবে, নেতৃত্ব দেবে এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।
প্রণোদনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘ফ্রম ক্যাশ টু ক্যাশলেস; ডিজিটাল মানি ম্যানেজমেন্ট’ শিরোনামে একটি সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ সেশন আয়োজন করা হয়। এই সেশনে ডিজিটাল আর্থিক সরঞ্জাম, মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম এবং টেকসই ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে বাস্তবভিত্তিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণে অংশ নেন সম্মাননাপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন খাতের আগ্রহী নারী উদ্যোক্তারা। সেখানে অভিজ্ঞতা বিনিময়, নেটওয়ার্ক গঠন এবং আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধির একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তদের একজন এম/এস ঐশী স্টোরের মালিক লুৎফর নাহার বলেন, এই প্রণোদনা শুধু অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, এটি আমাদের পথচলা ও সংগ্রামের একটি স্বীকৃতি। এটি আমাকে আরও বড় স্বপ্ন দেখাতে এবং নতুন আত্মবিশ্বাসে আমার দোকানটি সম্প্রসারণ করতে উৎসাহিত করেছে। এমন অসাধারণ সহায়তার জন্য আমি আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, আমরা শুধু সফলতাকেই নয়, সম্ভাবনাকেও স্বীকৃতি দিতে চাই। এই অসাধারণ নারীরাই আগামী বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তুলছেন। তাদের এই যাত্রায় আমরা স্বীকৃতি ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পাশে আছি। যাতে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি আর্থিক পরিবেশ তৈরি হয়।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে আইপিডিসি সারা দেশে নারীদের ক্ষমতায়ন ও একটি টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোক্তা পরিবেশ গড়তে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা

জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় রেজিস্ট্রেশন, চাঁদা সংগ্রহ এবং এপিআই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন খান এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিউজ্জামান।
এই সমঝোতার মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে দেশের জনগণের অংশগ্রহণ আরও সহজতর হবে এবং এর প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রমের সম্প্রসারণ নিশ্চিত হবে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সর্বদা সরকারের উন্নয়নমুখী উদ্যোগসমূহে সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং এই চুক্তি তারই একটি প্রমাণ।