পুঁজিবাজার
মিউচুয়াল ফান্ড পুঁজিবাজারের অগ্রভাগে থাকা উচিত: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, মিউচুয়াল ফান্ড খাত পুঁজিবাজারের সম্মুখভাগে থাকা উচিত কারণ এটি পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফান্ড ম্যানেজারদের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসে; যার ফলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ লাভজনক হওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি তাদের বিনিয়োগ অধিক সুরক্ষা পায়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত ‘ডেভেলপিং দ্য মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মিউচুয়াল ফান্ড খাতকে যথাযথভাবে গঠন করতে না পারলে পুঁজিবাজার আগামীতে সামনে আগাতে পারবে না। পুঁজিবাজার ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতের সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করতে এবং এক্ষেত্রে টেকসই সমাধান ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বিএসইসি কাজ করছে।
তিনি জানান, বিএসইসি মিউচুয়াল ফান্ড খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবধরণের সহায়তা দিতে ইচ্ছুক। এছাড়া দেশের মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করার উপর খাত সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে একসাথে একযোগে একই লক্ষ্যে বিশ্বাসের সাথে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান।
সভায় পুঁজিবাজারে কর্মরত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসমূহের শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ দেশের পুঁজিবাজারের মিউচুয়াল ফান্ড খাতের বর্তমান পরিস্থিতি ও সংস্কারসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সুশাসন নিশ্চিতের মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণ, পুঁজিবাজারের বিদ্যমান বিভিন্ন রুলস ও রেগুলেশনের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনয়ন ও যুগোপযোগীকরণ, বহুজাতিক কোম্পানিসহ ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ, পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগবান্ধব করতে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে সংশ্লিষ্ট করের ক্ষেত্রে সংস্কার আনয়ন, বিনিয়োগ শিক্ষার মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ড প্রসারে উদ্যোগ গ্রহণ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকৃষ্টকরণের জন্য তাদের মুনাফা এবং মূলধনী লাভসহ বিনিয়োগের প্রত্যাবাসন সহজীকরণ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রচার বৃদ্ধির মাধ্যমে এই খাতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগের মাধ্যমে এই খাত সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের জন্য নীতিসহায়তা প্রদান এবং নীতি সম্পৃক্ত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার (বিশেষত বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, বিএসইসি) সমন্বিত উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ, বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা ও আস্থা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ। এছাড়া বিএসইসির অন্যান্য কর্মকার্তাবৃন্দ এবং দেশের পুঁজিবাজারের কর্মরত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ৯ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (০২ জানুয়ারি-০৬ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬৬ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৯ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৯৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৪৩৮ কোটি ০৪ লাখ টাকা।
এদিকে, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা ২৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬৫টি কোম্পানির, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৭ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৩১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ২৫৭টি শেয়ার ৫৫ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৭ কোটি ৯৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ব্লকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বীচ হ্যাচারির ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যারিকোর ২ কোটি ৮৯ লাখ ও তৃতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের ২ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইস্টার্ন হাউজিং

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে ১৯৫টির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। তাতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা এস্কয়ার নিটের শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। আর শেয়ারদর ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বাড়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স।
এদিন দরবৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, হামিদ ফেব্রিক্স, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, কাট্টলী টেক্সটাইল, এসএস স্টিল, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
খুলনা প্রিন্টিংয়ের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৪৭ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এদিন দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, বুহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তাতে দরপতনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দর হারানোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ কমেছে। আর শেয়ারদর ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ কমে যাওয়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ডেল্টা স্পিনিং।
এদিন দরপতনের তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, সেন্ট্রাল ফার্মা, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ড, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, জাহিন স্পিনিং এবং পেনিনসুলা চিটাগং পিএলসি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে ইস্টার্ন হাউজিং

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিচ হ্যাচারি। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯৭ হাজার টাকার। আর ৯ কোটি ১১ লাখ ০৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- খান ব্রাদার্স, খুলনা প্রিন্টিং, বিএসসি, সেন্ট্রাল ফার্মা, সিমটেক্স, অগ্নি সিস্টেমস এবং কুইনসাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
এসএম